Better Life with Steem || The Diary Game || April 8, 2024
- আজ আমার ব্যস্তময় একটি দিনের কার্যক্রম
সবাই কে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ডেইলি ডায়েরি গেম টি। আমি আশাবাদী আপনাদের পড়ে ভালো লাগবে তো চলুন শুরু করছি।
- আজ ২৮ তম রোজা তাই সহেরি খেতে উঠেছিলাম তিন টা বাজে ৪০ মিনিট। উঠে হাত মুখ ধুয়ে, খাবার গুলো গরম করে সবাই মিলে সেহরি খাওয়াটা সম্পূর্ন করলাম। এরপরে ফজরের নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এরপরে ঘুম ভেঙ্গে ছিলো আট টা বাজে। আমি আর দেরি না করে, তাড়াতাড়ি করে উঠে হাতমুখ ধুয়ে সংসারের কিছু কাজ করলাম। সেই সাথে বেশ কয়েক দিন ধরে বাড়ি সহ ঘর গোছানোর কাজ চলছিলো যেহেতু, ঈদের বেশি দিন বাকি নেই তাই এর আগে সবকিছু একটু গুছিয়ে নেওয়া এই ভালো।
- এরপরে আমার একটা কাজের জন্য বাহিরে চলে গেলাম রেডি হয়ে, বাহিরে একটা কাজ ছিল এছাড়া আমার জামা তৈরি করতে বাহিরে দর্জি দোকানে দিয়ে ছিলাম। যদিও আমি সেলাই মেশিনের কাজ জানি তবে, এই থ্রিপিসের কাজ করতে একটু সাহস কম পেয়ে ছিলাম তাই বাহিরে বানাতে দিয়েছিলাম। এছাড়া আমার মেশিন টা একটু সমস্যা দেখা দিয়েছিলো সব মিলিয়ে বাহিরে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম। তাই কাজ করার ফাঁকে জামা দুই টা কে ও বাড়িতে নিয়ে আসলাম।
- সব কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরতে ফিরতে প্রায় যোহরের আযান পড়ে গিয়েছিলো, তাই বাড়ি ফিরে গোসল শেষ করে যোহরের নামাজ আদায় করে নিয়েছিলাম। এরপরে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম। আজ আবার আমার শাশুড়ি আম্মা আমার মেয়েকে দুপুরের খাবার রান্না করে খাইয়ে দিয়েছিলেন যার কারণে একটু রেস্ট নেওয়ার সুযোগ পেয়ে ছিলাম। রেস্ট নিতে নিতে আমি আমার আম্মুর সাথে কিছুটা সময় কথা বললাম এবং তার শরীর কেমন আছে কতটুক পরিমানে সুস্থ আছে সব খবর নিয়েছিলাম।
এরপরে আর বসে থাকি নি রাতে রান্নার জন্য সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছিলাম। সাথে আমার সাহেব আমাকে বেশ সাহায্য করেছিলো, তরকারি কাটা কাজে। রান্না শেষ করে ইফতারি গুলো তৈরি করে নিয়েছিলাম। এরপরে আছরের আজান হলো আমিও নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষ করে কিছুটা সময় সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করছিলাম এবং দোয়া দরুদ পড়ছিলাম।
কিছুক্ষণ পরে দেখলাম ইফতারির সময় হয়ে গিয়েছে তাই ইফতারি গুলো টেবিলে গুছিয়ে নিয়ে বসে পড়লাম। আমাদের জীবন থেকে সময় যে কত দ্রুত চলে যায়, এটা বোঝা বড় মুশকিল এইতো কয়েক দিন আগেই তো রমজান মাস শুরু হয়েছিল আর দেখতে দেখতে রমজান মাস শেষের দিকে আর মাত্র দুই রোজা রয়েছে। এ বছরের মত শেষ এর পরে সবাই মিলে ইফতারি সম্পূর্ন করি। আজ ইফতারিতে আলুর চপ, বেগুনি ,ডালের বড়া তৈরি করেছিলাম।
- ইফতারি শেষ করে দ্রুত মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম, কারণ মাগরিবের নামাজের সময় খুবই কম থাকে। আর প্রতিদিনের মতো নামাজ শেষ করেই বিশ্রাম নিতে চলে গেলাম বিছানা তে, একটু শুয়ে থাকার পরে মনে হয়েছিলো কিছু শান্তি। এই কয়েক দিনের তুলনায় আজ আমার কাছে আবহাওয়া টা একটু ঠান্ডা মনে হয়েছে যার কারণে একটু কম কষ্ট হয়েছে। এর আগে প্রচন্ড গরম পড়তে এবং রোজা রেখে দিনশেষে অনেক কষ্ট হয়ে যেতো। তাদের শুকরিয়া আদায় করি সৃষ্টিকর্তার কাছে,এই দুই দিন আবহাওয়া টা একটু ঠান্ডা হয়েছে।
এরপরে আমার ননদের সাথে কথা বললাম তাদের কে ঈদের দাওয়াত দিলাম। এবং তারাও দাওয়াত পেয়ে খুব খুশি এবং সবশেষে জানানো ঈদের দিন আমাদের বাড়িতে আসতেছেন, এটা শুনে আমরাও খুশি কারণ, ঈদ মানেই আনন্দ পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন সবাই কে নিয়ে এই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করা উচিত। তবে হ্যাঁ ভাববেন না আমি কিন্তুু আপনাদের সাথেই আছি আর আমার আনন্দ মানেই আপনাদের আনন্দ আমি মনে করি।।।।। সবাই দোয়া করবেন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য।
- এরপরে রাতের খাবার খাওয়া শেষ করি এশারের নামাজ আদায় করি। আর এরপরে আমার মেয়ে সে শুরু করে আর দুই দিন পরে ঈদ তাই আজ এসে মেহেদি লাগাবে। এত যে বললাম ঈদ পূরণ হয়ে যাবে আর একটা দিন পরে লাগাতে হবে। সে কথা কে শুনে আরে থেকেও বড় কথা হলো এই রাতে মেহেদি লাগিয়ে দিলে আমার বিছানা একদম নষ্ট করে ফেলবে। কি আর করার মেয়ের থেকে তার বাবা কোন অংশে কম নয় এরপর দেখলাম বাবা মেয়ে মিলে মেহেদী দেওয়া নেওয়া করছিলো।
সামনে ঈদ এজন্য সবাই ঈদের জামা কাপড় বানাতে ব্যস্ত। আপনার নিজের সেলাই মেশিন আছে কিন্তু সমস্যার কারণে বাইরে বানাতে দিয়েছেন। ঈদের সময় টেইলার্সে যা ভিড় লাগে বলার মত নয়। আপনার বাসার কাজে আপনার সাহেব আপনাকে সাহায্য করেছে জেনে ভালো লাগলো।
সারাদিন এই মুহূর্তগুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে সবার ঘরে ঘরে খুশি,, আসলে আমরা অনেক কাজ জানা সত্ত্বেও, আবার সেই একই করতে ভয় লাগে। এর জন্য আপনি বাইরে দোকান থেকে জামা কাপড় সেলাই করে এনেছেন।
আপনার প্রতিটা পোস্ট টি দেখতে পাচ্ছি আপনার সাহেব আপনার প্রত্যেকটা কাজে সাহায্য করছে। আসলে এরকম ভালো মন মনের মানসিকতার মানুষ খুবই কম দেখা যায়। আপনার জন্য দোয়া রইল আপনাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হোক। এরকমই সব সময় এক জনের কাজে আর একজন যেন সবসময় সাহায্য করতে পারেন। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য আর হ্যাঁ দোয়া করবেন যেন এভাবে সারা জীবন কাটাতে পারি।
আপনাকেও অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা।। আজ সকাল থেকে সংসারের বেশ কাজ করেছেন আপনি যা প্রতিনিয়তই করে থাকেন।। আর হ্যাঁ অনেক সময় আমরা অনেক কিছু জেনে থাকলেও অন্যের কাছে যাই কারণ কনফিউজ থাকা অনেক সময় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।।।