Better Life With Steem || The Diary Game || 7th February 2024. একটি ব্যস্ততম দিন অতিবাহিত করলাম।
Hello,
Everyone,
আমার এই ছোট্ট জীবনে কমবেশি অনেক অভিজ্ঞতাই অর্জন করতে পেরেছি, আমাদের যে এখনো কত কিছু দেখার আছে ,,শেখার আছে ,,বোঝার বাকি আছে,, সৃষ্টিকর্তার এই সুন্দর সৃষ্টি সত্যি অতুলনীয়,,, সেই সাথে রয়েছে প্রতি টা মানুষ। সবাই কে একদম আলাদা আলাদা ভাবে তিনি এই পৃথিবীতে তৈরি করেছেন।। সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি আমি, তিনি যেভাবে আমাকে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ। আজকের দিনটা আমি বেশ ব্যস্ততার মধ্যে পার করেছি সেই সাথে ছিলো, কিছু চোখের পানি।
- সকালের নাস্তা করার সময়
আপনারা হয়তো জানেন গতকালকের পোস্টে বলেছিলাম ।আমি আমার শাশুড়ি আপনাকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি চোখের ডাক্তার দেখানোর জন্য। আজ নিয়ে যাব ডাক্তার দেখানোর জন্য তাই সকাল বেলা একটু তাড়াতাড়ি করে সকালের নাস্তাটা শেষ করি। এরপরে রেডি হয়ে আমরা তিনজন বেরিয়ে পড়ি, ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার জন্য।
- মেট্রোরেলে ওঠার আগে ছবি তোলার সময়
আমি মিরপুর ১১ তে আছি এবং এখান থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাব কারণ ওখানে রয়েছে হাসপাতাল টা, এবং ওখানেই তাকে চোখের ডাক্তার দেখাবো সেই সাথে, আমার চোখ দেখাবো কারণ মাঝেমধ্যে চোখ জ্বালা করে, তাই টিকিট কেটে এসে দাঁড়িয়ে রইলাম এবং হাজব্যান্ড বললো একটা ছবি তোলার জন্য এজন্য দাঁড়িয়ে গেলাম।
এরপরে আমরা উঠে পড়ি এবং হাসপাতালের কাছে এসে পৌঁছে যাই। প্রথমে আমি আমার চোখ দেখাই এবং অন্যদিকে আসবে আমার শাশুড়ি আমাকে নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে চলে গেলেন। ডাক্তার আমার চোখ দেখে বললো ফোন এবং কম্পিউটার দুটাই বন্ধ করতে হবে যদি নিজের চোখ দুটো সুস্থ রাখতে চান। মানে সে আমার চোখ দেখেই বুঝে গিয়েছে রাতে আমি কম্পিউটার নিয়ে বসি। এরপরে চশমা এবং ওষুধ লিখে দিলো। এবং আমি ওখান থেকে চলে আসি আমার শাশুড়ি এবং হাসবেন্ড এর কাছে।
- হাসপাতালে না আসলে বোঝা যায় না অসুস্থ রোগীর কষ্ট
এখানে আসার পরে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছে ।এবং বারবার সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছিলাম তিনি আমাকে অনেক ভালো রেখেছে ।কারণ,এখানে এসে যা দেখছি সত্যি হাসপাতালে না আসলে অসুস্থ রোগীর কষ্ট বোঝা যায় না।
এরপরে শাশুড়ি আমাকে ডাক্তার দেখালো এবং অনেক গুলো টেস্ট করাতে দিলো, প্রথমে তিন টা টেস্ট করানো হলো বাকি চারটা টেস্ট করানো সম্ভব হলো না ।কারণ তার ডায়াবেটিসের পয়েন্ট ছিল ১৩ তাই ডাক্তার বলেছে দশের নিচে না নামলে টেস্ট এবং অপারেশন কোনটাই হবে না। তখন মনটা ভীষণ খারাপ লেগেছিল আমার। এরপরে কিছু ওষুধ কিনে বাসায় চলে আসি।
সারাটা দিন ডাক্তারের ওখানে থাকার পরে বাসায় এসে শরীর বেশ ক্লান্ত লাগছিলো, এরপরে খাওয়া-দাওয়া করি তবে খাওয়ার কোন ইচ্ছাই ছিল না আমার তবুও জোর করে কিছু খেয়ে নিলাম। হাজবেন্ডের ছুটি শেষ আজ তিনি চলে যাবে কিছুক্ষণ পরেই, বেচারা কষ্ট করে এসে বসে আছে এবং টিভি দেখতে ছিল এই মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দি করে রাখলাম।
এরপরে তিনি রেডি হলেন এবং বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিবেন আমার তখন ভীষণ খারাপ লাগছিলো কারণ, আমি কিভাবে কি করব জানিনা। আজ তিনি ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছিলো এরপর থেকে আমার একাই যেতে হবে শাশুড়ি আম্মা কে ,,এই নিয়ে ভিতরে অনেক ভয় কাজ করছিল কারণ এই শহরটা আমার কাছে একদম অপরিচিত। অন্যদিকে মেয়েটা কে রেখে এসেছি বাড়িতে। এত বেশি খারাপ লাগছিল কেন জানি নিজের অজান্তে শুধু চোখ দিয়ে ধর ধর করে পরছিলো,,,
হাসব্যান্ড বললো চিন্তা করো না সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে আমি তো আছি। আল্লাহকে ডাকো কোন সমস্যা আর সমস্যায় থাকবে না। এরপর তাকে বিদায় জানালাম। রুমে এসে শুয়ে পড়ি। যদিও ঘুম আসছিলো না তবু চোখ দুটো জোর করেই বন্ধ করে রেখেছিলাম। এইতো এই ছিল আমার আজকের দিনের কার্যক্রম ভালো থাকবেন সবাই।
- ধন্যবাদ সবাইকে ।
আজ আপনার দিনটি অনেক ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে।। আর হ্যাঁ আমি শুনেছিলাম আপনি আপনার শাশুড়িকে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছিলেন।। আজ বাসায় আসবেন তাও আবার মেট্রো রেলে জেনে ভালো লাগলো।।
আসলে সমস্যার উর্ধ্বে আমরা কোন মানুষ নয়।। আমরা সকল মানুষই কোন না কোন সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন পার করি।। আজ ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন বেশ কিছু টেস্ট দিয়েছে ।। আসলে প্রয়োজন ছাড়া ডক্টর কখনো টেস্ট করাতে বলে না বলে আমি মনে করি।।
আর হ্যাঁ আপনার শাশুড়ির জন্য দোয়া রইল তার চোখে সমস্যাটা যেন সমাধান হয়।।
সংসার মানে বড় একটা দায়িত্ব। সংসারের ছোটখাটো দায়িত্ব নিতে নিতে আমরা কখন যে দায়িত্ববান হয়ে যায় সেটা বলা যায় না।
আসলে কোন জায়গায় নতুন গেলে একটু পথঘাট না জেনে নিজের অজান্তে একটু ভয় লাগে। কাছের ভালোবাসার মানুষগুলো যদি দূরে থাকে তাহলে নিজের অজান্তে অনেক কান্না আসে।
আসলে এই সমস্যাটা আমারও হয় ফোনের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখ থেকে এমনি ইচ্ছে করে অনেক পানি বের হয়। আমার এই চোখের সমস্যা কথা আমি আমার হাজব্যান্ড কেউ বলেছিলাম সে বলছে ঢাকায় আসলে কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেবে।
আপনার শাশুড়ির অনেকগুলো টেস্ট দিয়েছে । আশা করি টেস্টের রিপোর্ট গুলো ভাল হবে আপনার শাশুড়ির জন্য অনেক দোয়া রইল। থ্যাংক ইউ আপনার সারাদিনই ব্যস্ত এই মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
একদম তাই, কাছের মানুষগুলো চলে গেলে কিবা কাছের মানুষ কে রেখে কোথাও গেলে তখন খুব খারাপ লাগে।
অবশ্যই সাজেস্ট করব দ্রুত আপনার চোখের ডাক্তার দেখানোর জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।
ঢাকা শহরে বর্তমান সময়ে মেট্রোরেল থাকার কারণে, মানুষের জীবনটা সহজ হয়েছে। তা না হলে মিরপুর ১১ থেকে ফার্মগেটে যাওয়ার জন্য। আপনার কত পরিমানে কষ্ট করতে হতো, সেটা হয়তো বা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ডাক্তারের কাছে গেলেই প্রচুর পরিমাণে পরীক্ষা করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। আসলে সারাদিন ডাক্তারের কাছে থাকার পরে বাসায় এসে, ক্লান্ত শরীরটা আর কোন কাজ করার জন্য সায় দেয় না।
দায়িত্ব যখন নিয়েছেন, তখন সেটা অবশ্যই পালন করতে হবে। ভয় পাবেন না সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রাখেন। দেখবেন আপনি সঠিকভাবে আপনার শাশুড়ি আম্মাকে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় চলে যেতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
একদম তাই মেট্রোরেল হওয়ার কারণে, জনগণের অনেক সুবিধা হয়েছে।
দোয়া করবেন সেটাই যেন হয় দায়িত্বটা কে যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি।
আপনি এত দূর থেকে এসে মেট্রোরেলে চড়েছেন আর আমি মেট্রো রেলের পাশেই থাকি তাও এখন পর্যন্ত মেট্রোরেলের চড়তে পারিনি। তবে শাশুড়ি মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন এ ফাঁকে নিজের চোখ দেখিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন। আপনি নিয়মিত ওষুধ ও চশমা ব্যবহার করুন। নিশ্চয় ভালো ফল
পাবেন। সৃষ্টিকর্তা আপনার সমস্ত কাজে সহায় হোক এই কামনা করছি।
আপু আপনাদের বউ-শাশুড়ির বন্ডিংটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি যখনই আপনার পোস্ট করি এই বিষয়গুলো খুব ভালোভাবেই খেয়াল করি।
আপনার শাশুড়ি আমাকে আপনি কখনো শাশুড়ি চোখে দেখেন না নিজের মায়ের চোখে দেখেন এটা একটি শিক্ষা নিয়ে বিষয়।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
যাক আপনার মেট্রোরেল এ ভ্রমণ করা হয়ে গেলো। আমার এখনো এই সুযোগ হয় নি।
শুনেছিলাম আপনি ঢাকা এসেছেন, তবে মনে হচ্ছে এসে অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে আপনার সময় পার হচ্ছে। ভালোভাবে সব কিছু ম্যানেজ করুন।
সকালের নাস্তা ডিম ও রুটি দিয়ে শুরু করেছেন ৷ আমার ও অনেক পছন্দের গরম ডিম ভাজি আর রুটি ৷
আপনার শাশুড়ি আম্মাকে চোখের ডাক্তার দেখানোর জন্য আপনি ঢাকায় নিয়ে গেছেন। ডাক্তার দেখাতে যাবেন দেখেই সকালবেলা নাস্তা খেয়েছেন। আপনারা মিরপুর ১১ থেকে ফার্মগেটে গিয়েছে মেট্রোলের মাধ্যমে কারণ ফার্মগেটের ওইখানে হাসপাতাল ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি কার্যলিপি শেয়ার করার জন্য। দোয়া করি আপনার শাশুড়ি আম্মা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।