Better life with steem || The Diary Game || 6th February

in Incredible India7 months ago

IMG_20240206_151346.jpg

প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া জানাই, আবার ও নতুন একটি ভোরের আলো দেখতে পেয়ে, আশা করছি সবাই ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আবার আপনাদের মাঝে আসতে পেরে বেশ আনন্দিত। চলুন আজ সারাদিনটা কিভাবে কেটেছে সেটাই শেয়ার করছি।

IMG_20240206_114551.jpg

  • সবাইকে শুভ সকাল জানিয়ে শুরু করছি

এখন প্রায় সকাল পাঁচ টা বাজে, ঘুম ভেঙ্গেছে, তবে উঠতে পারি নি পরবর্তীতে শাশুড়ি আম্মার ডাকে ঘুম ভেঙ্গেছে । এরপরে তারাতারি করে নাস্তা টা রেডি করলাম। আমাদের গাড়ি ছিল ৯ টা দিকে। তাই হালকা ‌ বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েছি, বাস স্ট্যান্ডে আসার জন্য। সকালে নাস্তা ভালো ভাবে করিনি দেখে শাশুড়ি আম্মা ব্যাগে করে ডিম ও রুটি নিয়েছেন।

IMG_20240206_122641.jpg

IMG_20240206_122656.jpg

  • বাসা থেকে বের হয়ে গাড়িতে বসে সেলফি তোলার সময়

সকালে বাস স্ট্যান্ডে এসে পৌঁছে গিয়েছি, আমাদের আগে থেকে টিকিট কাটা ছিলো, তাই গাড়ি পেতে খুব একটা দেরি হয়নি। রাজর টেকেরহাট থেকে আমরা গাড়িতে উঠেছি। এবং পদ্মা সেতু হয়ে যাত্রাবাড়ী এসে নেমেছি। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ঢাকায় এসে ছিলাম, এবং বেশ ভালো লাগছে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে যেতে পেরে, এবং খুব কাছ থেকে দেখছিলাম এবং কয়েক টা ফটোগ্রাফি করে রেখে ছিলাম গাড়ির ভেতর থেকে।

IMG_20240206_130036.jpg

IMG_20240206_130118.jpg

এরপরে শাশুড়ি আম্মা বলল কিছু খাও এবং আমি আমার হাজব্যান্ড ও আমার শাশুড়ি আম্মা ডিম এবং বাহির থেকে কিনা ছোলার ডাল খেলাম। এবং বাহিরের আশেপাশে সবকিছু দেখছিলাম। অনেকে আছে ঘুমিয়ে যায় তবে,, এই অভ্যাসটা আমার নেই আমি ছোটবেলা থেকেই গাড়িতে উঠলে ছোট, বাচ্চাদের মতো এদিক সেদিকে তাকিয়ে দেখতে থাকি আর প্রাকৃতি সৌন্দর্য কে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে।

IMG_20240206_130252.jpg

এরপর আমরা যাত্রাবাড়ী এসে পৌঁছেছি তখন প্রায় দুই টা বাজে, এরপরে মেট্রোরেলের উঠি এবং মেট্রোরেল দিয়ে মিরপুর ১১ তে এসে নেমেছি, প্রথমবার মেট্রোরেলে উঠতে পেরে বেশ ভালই লাগছিল তবে টিকিট কাটার জন্য বেশ লম্বা সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম , যদিও আমি টিকিট কাটেনি আমার হাজব্যান্ড কেটেছে তবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে আমাকে ও, এরপরে উঠে বেশ ভালোই লাগছিলো।

IMG_20240206_151339.jpg

এরপরে হাজবেন্ডের সাথে বেশ কিছুটা সময় বসে কথা বললাম, তার আগামীকাল কে ছুটি শেষ এবং তিনি আমাকে এবং শাশুড়ি আম্মা কে রেখে তার কর্মস্থলে চলে যাবেন। তাই তিনি বেশ চিন্তিত আমি সবকিছু সামনে নিতে পারবো কি না,,, বারবার জিজ্ঞাসা করছিল আমি পারবো কিনা।

IMG_20240206_150551.jpg

এরপরে তাকে বোঝালাম চিন্তা করো না সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আর তার সাথে কথা বলতে বলতে আমরা চলে আসি। এরপরে মেট্রোরেল থেকে নেমে সোজা আমার মামা তো ভাইয়ের বাসাতে চলে আসি। এরপরে ফ্রেশ হয়ে আমরা খাবার খেয়ে নিলাম ।এবং আমি বিছানায় মাথা দিয়ে চোখ বন্ধ করে রইলাম এবং সকাল থেকে এই অব্দি যা করেছি সব কিছুই একবার ভেবে নিলাম।

আজ আর ডাক্তারের চেম্বারে যাইবো না, হাজবেন্ডের সাথে কথা হয়েছে এবং আমার মামাতো ভাই ও বললো আগামীকাল যাওয়ার জন্য। তাই মেয়ের সাথে কিছুটা সময় কথা বলি। এবং তখন আমার এত পরিমাণে মন খারাপ হয়েছে,, খুব মিস করছিলাম তখন ওকে কিন্তু কিছু করার নেই। তাই মন খারাপ না করে বসে বসে আপনাদের জন্য পোস্টটা রেডি করলাম। সবাই ভাল থাকবেন ,এবং আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ হাফেজ।।

Sort:  
Loading...
 7 months ago 

আসলে গাড়িতে উঠলে ঘুমানোর অভ্যাস আমারও নেই। আমিও চারপাশটা শুধু দেখতেই পছন্দ করি।আর মেট্রোরেল এ উঠতে বর্তমান সময়ে টিকেট কাটতে হয়। এটা কিন্তু তারা বেশ ভালো একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ধন্যবাদ আপনার চমৎকার জার্নি এর পরে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 7 months ago 

আপনার সারাদিনে ব্যস্তময় দিনগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন খুব সুন্দরভাবে।আমিও গাড়িতে উঠলে আমার কোন ঘুম পায় না এদিক ওদিকে তাকিয়ে সব প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে। তবে বাসে চড়তে পারিনা বাসে উঠলেই খুব ভয় লাগে বমির কারণে ।

তারপরও দূরে যাতায়াত করার জন্য বাসে যেতে হয় ভয় যতই করি না কেন। আর আপনার ফটোগ্রাফিতে পদ্মা সেতুর দৃশ্য গুলো দেখতে পেলাম খুব ভালো লাগলো। থ্যাঙ্ক ইউ

 7 months ago 

কমেন্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনার বাস গাড়িতে উঠলে বমি হয়।
তবে আমি এই এদিক দিয়ে বেশ সুস্থ এতে আমার কোন সমস্যা হয় না।

 7 months ago 

আপনার সারাদিনের কার্যালিপি পড়ে মনে হল খুব ব্যস্ততার মাঝেই দিন পার করেছেন। শুধু ব্যস্তময় দিন নয় একজন দায়িত্ব তোমার বউমা হিসেবে কাজ করে গিয়েছেন। আপনারা বাসা থেকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে ঢাকায় গিয়েছেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59615.63
ETH 2524.32
USDT 1.00
SBD 2.44