Better Life with Steem|| The Diary Game|| 5 january 2024

in Incredible India10 months ago

Brown Floral Couple Photo Collage.pngPhoto edited by canva

Hello,

Everyone,

সর্বপ্রথম, সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদুলিল্লাহ, আজকের দিনটা খুব সুন্দর ভাবে কাটাতে পেরেছি, আজ আমি খুব আনন্দিত কারণ, হঠাৎ করে আমার ভাইয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এবং খুব সুন্দর একটি সময় পার করেছি।আজ সারাদিন কি কি করেছি তাই শেয়ার করবো,

1048ac9a-9206-4d5d-8e47-ee34d05489c1.jpg
  • তো চলুন মূল কথায় যাওয়া যাক।

সকাল বেলা,
শাশুড়ি আম্মার ডাকে ঘুম ভেঙ্গেছে, এবং ফজরের নামাজ আদায় করে, কিছুটা সময় কম্বলের নিচে গিয়ে বসে ছিলাম। এরপরে, উঠে সকালের নাস্তা বানানোর কাজে লেগে পড়ি। যেহেতু, অনেক বেলা হয়ে গিয়েছে তাই ঝটপট করে প্রেসার কুকারে পাতলা খিচুড়ি রান্না করলাম সবজি দিয়ে। এবং সবাই সকালের নাস্তা করে নিলাম।

মধ্য দুপুর,

শশুর কে দেখলাম দুই ছড়া কলা কেটে নিয়ে এসেছে, তাই আমি বাহিরে রোদে দিলাম, এতে করে খুব দ্রুত পেঁকে যাবে। আমি আমার শ্বশুর কে বলছিলাম এক ছাড়া বিক্রি করার জন্য কারণ, এত কলা খাওয়ার লোক নেই বাসাতে। কিন্তুু ,আমি আমার শ্বশুর কে দেখেছি তিনি কোন ফল বা সবজি বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে না। তাই, আমাকে আমার শাশুড়ি আম্মা বলছিলো যাও গিয়ে তোমার আম্মুকে এক ছড়া দিয়ে আসো।

4d617446-d53b-483c-a137-8f14a2f44bed.jpg

ঠিক এমন সময়, আমার ফোনটা বেজে উঠে এবং গিয়ে রিসিভ করি দেখি আমার আম্মু ফোন দিচ্ছে, এবং আম্মু বলছিলো আমাদের বাজার পর্যন্ত আসার জন্য ।কারন,আব্বু আজ আমাদের দীঘি থেকে মাছ ধরেছে তাই মাছ নেওয়ার জন্য, আমি তো নিষেধ করি, পরবর্তীতে আব্বু বারবার বলছিল তাই রাজি হয়েছি।

কি আর করা, আমার শাশুড়ি কলা দিয়ে খুশি থাকতে চায়। আর আমার আব্বু, আম্মু মাছ দিয়ে খুশি থাকতে চাই। কি আর করার,, 😂🤣 দুপুরে খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিতে পারবো না। তবুও খারাপ লাগছে না কারণ, দুই পরিবারের খুশিতে আমিও খুশি।
APJuWYdNufXfexVJdadzh84ubwxgJmQjFLw8A4brEnLhiN3hK5unENyHMhQzKqrVMegcPNVB19GB3ww1fqD6hmAXJ84TP8g8komtaH6PwG...x6wfZjZLosucmv9nWq1U9CQuccghJ6GMVXk44vU13efv4TV3Gr9UvvmQC11SFH2GuHU1Upe9w5tVrZqrA9aixUmguhU7yW54aBV34tkzgX9FdrtvLp7rcV6oB4.png

দুপুর বেলা,
শাশুড়ি আম্মা রান্না হয়ে গিয়েছিল । জোহরের নামাজ আদায় করে সবাই মিলে দুপুরে খেলাম। এবং মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে নিজে রেডি হয়ে নিলাম। কারণ আমাকে আমাদের বাজারে যেতে হবে , তাই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েছি। আমাদের বাসা থেকে বাজার টা যেতে ২০ টাকা ভাড়া লাগে, তবে আমাদের বাসার সাথে আরও একটা বাজার আছে, মূলত কাঁচা বাজার টা আমরা ওখান থেকেই করি।


বাসার সাথে যেহেতু রাস্তা তাই ভ্যান পেতে খুব একটা দেরি হয়নি, আমাদের মসজিদ পর্যন্ত আসতে ভ্যান পেয়েছি। যেহেতু শীতকাল তাই ইচ্ছা করেই পিছনে বসে আছি, কেননা সামনের দিকটাই প্রচুর বাতাস লাগে, এরপরে ধানের জমি, শস্য ফুলের গাছ, অনেক গাড়ি দেখতে দেখতে বাজারে এসে পৌঁছে গেলাম।

APJuWYdNufXfexVJdadzh84ubwxgJmQjFLw8A4brEnLhiN3hK5unENyHMhQzKqrVMegcPNVB19GB3ww1fqD6hmAXJ84TP8g8komtaH6PwG...x6wfZjZLosucmv9nWq1U9CQuccghJ6GMVXk44vU13efv4TV3Gr9UvvmQC11SFH2GuHU1Upe9w5tVrZqrA9aixUmguhU7yW54aBV34tkzgX9FdrtvLp7rcV6oB4.png

বিকাল বেলা,

বাজারে পৌঁছে প্রথমে আমি একটা ফ্লেক্সি লোড এর দোকানে যাই, সেখান থেকে কিছু টাকা তুলে নিলাম। এবং দেখলাম আমার ছোট ভাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে, ও আমাকে মাছগুলো দিল এবং আমি বাড়ি থেকে নিয়ে এসে ছিলাম কলা, পেঁপে, নারিকেল, সেই সাথে আম্মুর পছন্দ রসমালাই কিনে দিলাম। এবং আমরা দুজনে মিলে গ্ৰিল ও নান রুটি খেয়েছি। এরপরে ও আমাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে চলে গেল।


e1166565-455b-4ee1-9ed0-ffaa3eda73f7.jpg

f9cd14d6-31d0-4cc5-af85-b9e49aab053b.jpg

72194dcb-1ee4-454e-a42c-1e4e24db01e2.jpg

ও হ্যাঁ, আমি সূর্য পশ্চিম আকাশে ডুবতে যাওয়া দেখতে দেখতে, বাসায় চলে আসি আমার কাছে যে এই ব্যাপার টা এত বেশি ভালো লেগেছে যেটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না। সূর্যটা খুব কাছ থেকে দেখা যাচ্ছিল এবং খুবই স্পষ্টভাবে। বাসায় আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। বাসায় এসে এগুলো আমি আমার শাশুড়ি আম্মা হাতে ধরিয়ে দিলাম। এবং আমি আমার রুমে চলে আসি। কারন, শরীরটা খুব খারাপ লাগতে ছিলো তাই আর কোন কাজের কাছে যাইনি।


ae8f5272-d63e-4f77-a69b-00116ca1d106.jpg

7a4fefb2-bceb-4a66-975c-150a37dcd090.jpg

যাইহোক, অনেক দিন পর ভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালো লেগেছে আর আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে তো আরো ভালো লাগছে। আজ আর লিখব না এখানে বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।


"আমার এই পোস্ট টা পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ"🌹

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPg13dbw9cQZbWBAMsz6ohqaqkrCm7KQkkehxGNGyBHUtdhA93eZcSchXaVXZysREMB8zjUwUs3U28Dgq5...6GDBNJCmAd5JNGWLPSkuM888uyEzyBgMoeFJwAqVPrXj9kr2ZxfAAZ52YNYHTgxako2YfB8eBek887u6aX6V6xSrNFswxpNSqg9oo9aGj9PXQiHCj9R7TnZTvn.png

Sort:  

শ্বশুরবাড়ি থেকে গাছপাকা কলা, পেঁপে, নারিকেল, সেই সাথে আপনার আম্মুর পছন্দ রসমালাই কিনে বাপের বাড়ি দিলেন আর বাপের বাড়ি থেকে আপনাদের দিঘির মাছ ছোটভাই আপনাকে দিল। তারপর দুই ভাইবোনে মিলে গ্ৰিল ও নান রুটি খাওয়া হয়েছে। সূর্যাস্তের ছবিটা সত্যিই খুব সুন্দর তুলেছেন। অনেকদিন পর ভাইয়ের সাথে দেখা করে আপনার দিনটা বেশ ভালই কেটেছে।

 10 months ago 

আমি আর আমার ভাই সমবয়সী বলা যায়, আমরা দুই ভাই বোন সারাক্ষণ মারামারি লেগে থাকতো তবে ভালোবাসাটাও কিন্তু অনেক গভীর ছিল দুজনের প্রতি।

তবে এখনো দুজন দুজনকে অনেক মিস করি সময় পেলেই আমার বাড়িতে চলে আসে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।

Loading...
 10 months ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য। দুপুরে জ্বরের নামাজ পড়ে আপনি আপনার মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে বাজারে যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছেন এবং বাজারে যাওয়ার মুহূর্তে কয়েকটি ছবি উঠিয়েছেন।

সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢোলতে না ঢোলতে আপনি বাসায় এসেছেন এবং যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েছে তখন সে দৃশ্যটি আপনার ক্যামেরা আবদ্ধ করেছেন।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

 10 months ago 

ছোটবেলা মেয়েকে রেখে সব জায়গায় যেতে পারছি। কোন সমস্যা হয়নি আর এখন মেয়ে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে ।এবং আমার পিছু ধরছে কোথাও যাওয়ার কথা শুনলে এমনিতেই কান্না শুরু করে। তাই কোথাও যেতে হলে ওকে ঘুম না পাড়িয়ে কিবা ওর চোখের আড়াল না হয়ে যেতে পারি না।

 10 months ago 

আসলে গাছের পাখা করার মধ্যে কোন ধরনের ফরমালিন থাকে না। সেটা খেতে অনেক বেশি মজা হয় এবং অনেক বেশি মিষ্টি হয়। তাই আপনার শশুর মশাই সেই পাকা কলা বিক্রি করতে চায় না। আপনার শাশুড়ি আপনার মায়েদের কে পাকা কলা দিয়ে সন্তুষ্ট থাকে। আবার আপনার মা দীঘির তাজা মাছ আপনাদেরকে দিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, বিষয়টা অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং।

দুপুরে ভাত খেয়ে আর রেস্ট করতে পারলেন না। বাজারে চলে গিয়েছেন, ভাইয়ের কাছ থেকে মাছ নিয়ে ভাইকে কলা দিয়ে আবার বাড়ি ফিরে এসেছেন। দুপুরের পর থেকে অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই আপনাকে থাকতে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 10 months ago 

জি আপু ভালই মোটামুটি ব্যস্ততার মধ্যে দুপুরের পর কাটিয়েছি তবে ব্যস্ততার মাঝেও খুব ভালো লেগেছে। তাছাড়া বেশ কিছুদিন পরে ভাইয়ের সাথে দেখা অন্যরকম আনন্দ ছিল।

 10 months ago 

বিয়ের পর মেয়েদের এক পরিবার ছেড়ে আরেক পরিবারে যেতে হয় এটা সব মেয়েদের বেলায়। সেই পরিবারের লোক যদি নিজের মা বাবার মতন হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আপনার দুটি পরিবারের মানুষ খুবই ভালো এবং খুব মিল মহব্বতে ভালোবাসা আছে। আপনি আপনার শ্বশুরবাড়ি থেকে গাছপাকা কলা, পেঁপে, নারিকেল, সেই সাথে আপনার আম্মুর পছন্দ রসমালাই কিনে বাপের বাড়ি দিলেন আর বাপের বাড়ি থেকে আপনাদের পুকুরে মাছ ছোট ভাই নিয়ে আসলো। তারপর দুই ভাই বোনে মিলে গ্রিল নান রুটি খেয়ে নিলেন। আসলে সত্যিই সূর্য আছে ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে।
থ্যাঙ্ক ইউ আপনার দৈনন্দিন জীবনে কার্যকারী দিনগুলো শেয়ার করেছেন।

 10 months ago 

আমি আমার পরিবারের কাছে অনেক বেশি কিছু আশা করি না সবসময় এটাই বলি আমার শ্বশুর শাশুড়ি এবং আমার বাবা মা যেন মিলেমিশে থাকে।
আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দেয়ার চেষ্টা করি পরের বাড়ির প্রতিটা মানুষের মন জয় করার তবে এটা হতো সত্য একটা মানুষ সবার কাছে পছন্দের হতে পারে না তবুও আমি চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।

 10 months ago 

বাপের বাড়ি আর শ্বশুর বাড়ির মধ্যে এমন মিল থাকলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
বাপের বাড়ি আর শ্বশুর বাড়ি থেকে জিনিস পত্র আদান প্রদান করতে গিয়ে আপনারা ভাই বোন মিলে অনেক সুন্দর একটি সময় পার করলেন এবং আপনার মায়ের পছন্দের রাসমালাই কিনে আপনার ভায়ের হাতে পাঠিয়েছেন। বাবা মায়ের পছন্দের খাবার তাদের খাওয়াতে পারলে অনেকটা আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।

 10 months ago 

একদম তাই, বিশেষ করে মা তো আছেই আমি সবসময় চেষ্টা করি আমি আমার বাবার মন যুগিয়ে গিয়ে চলতে কারণ ,আমি আমার বাবার এক টা মেয়ে আমি নিজে যদি ভালো থাকি তাহলে আমার বাবা-মার মনটা অনেক ভালো থাকবে। আর ছোট বা বড় সব সময় চেষ্টা করি বাবা-মায়ের পছন্দের জিনিসগুলো কিনে দেওয়ার জন্য জানিনা কতটুকু পেরেছি তবে চেষ্টাটা করে যাচ্ছি।

 10 months ago 

শশুর বাড়ি কাছাকাছি হলে এই এক সুবিধা। দুই বাড়ির খাবার আদান প্রদানের আনন্দটা উপভোগ করা যায়। খুব ভালো লাগলো আপনাদের পারিবারিক বন্ধন দেখে।

 10 months ago 

ঠিকই বলেছেন। বাবা-মা এদিক দিয়ে একটা কাজের কাজ করেছে কাছাকাছি বিয়ে দিয়ে। মন চাইলে যাওয়া যায় আবার আশাও যায়।
মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছু জিনিস যদি বাবার বাড়ি পাঠানো যায় তাহলে যে কি একটা ভালো লাগা কাজ করে ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।

 10 months ago 

আপনি লাকি। আপনাদের এই বন্ধন অটুট থাকুক।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 76027.52
ETH 2923.44
USDT 1.00
SBD 2.62