Better Life With Steem || The Diary game || 31 May 2024 ||
Photo edited by canva
![]() |
---|
একটা মানুষের মাঝে কত স্বপ্ন থাকে, কত আশা থাকে, তবে যখন ওই স্বপ্নগুলো একদম ভেঙ্গে যায়, আশা গুলো জন্য হাল ছেড়ে দেয়, তখন শুধু ওই মানুষটাই জানে তার ভিতর টা কেমন করে। কিন্তুু বাহিরের মানুষ শুধু কথা বলতে পারে,, কখনো এই মানুষটার জায়গা দাঁড়িয়ে কেউ বুঝতে চায় না। সকাল থেকে একটা ব্যাপার নিয়ে ভীষণ ভাবে খারাপ লাগছিলো, আমাদের জীবন নাটকের চেয়েও নাটকীয় কথা টা একদম বাস্তব সত্যি কথা।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে এই বারান্দায় গিয়ে অনেক টা সময় কাটিয়ে ছিলাম একা একা, আজ শুক্রবার হাজবেন্ডের অফিস ছিল না, তাই একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। হঠাৎ করে মনে হলো একটু নুডুলস খাওয়া যেতে পারে আজ সকালে নাস্তা হিসেবে।
![]() |
---|
তবে, আমার থেকে আমার হাসবেন্ড ভালো নুডুলস রান্না করতে পারে, তাই ঘুম থেকে তাকে তুললাম এবং বললাম নুডুলস রান্না করার জন্য, প্রথমে এই তো রাজি হতে এই চাই ছিলো না। পরে বললাম তুমি নুডুলস রান্না করতে গিয়ে যা যা ময়লা করবা সবকিছু আমি পরিষ্কার করবো। সাথে আমি তোমাকে নুডুলস রান্নায় সাহায্য করবো, এরপরে নুডুলস রান্না করলো এবং আমরা সবাই মিলে সকালের নাস্তা করলাম নুডুলস দিয়ে।
![]() |
---|
সকালের নাস্তা করা শেষে নিচে চলে গিয়ে ছিলাম ময়লা গুলো ফেলে দেয়ার জন্য। বাহিরে প্রচন্ড গরম তাই রুমে এসে ফ্যান টা ছেড়ে কিছুটা সময় রেস্ট নিচ্ছিলাম। সেই সাথে কয়েক টা পাকা আম কেটে সবাই মিলে খেয়ে নিলাম। আম গুলো ফ্রিজে ছিলো। আর ফ্রিজ থেকে বের করার পরে যখন আম গুলো খেতে ছিলাম। এত বেশি ভালো লাগছিলো মনে হয়ে ছিলো যেন একদম ফ্রিজে ঢুকে আছি। তাছাড়া আমগুলো একদম ফ্রেশ ছিলো এগুলো আমার শ্বশুরের গাছের আম একদম ফর্মালিন মুক্ত, একবার খেলে দ্বিতীয় বার খাওয়ার স্বাদ দেখবেন মনে।
![]() |
---|
এরপরে গিয়ে ছিলাম দুপুর রান্নার আয়োজন করার জন্য। প্রথমের রাইস কুকারে ভাত বসিয়ে দিয়ে ছিলাম। এরপরে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না ও পটল ভাজি সাথে ছিলো শুটকি ভর্তা। ঢাকা তে আসার পরে প্রতিদিন এই কম বেশি ভর্তা খাওয়া হয়, কারণ "তিনি" আবার ভর্তা পছন্দ করেন। তাই এখন খেতে খেতে আমার মুখে বেশ ভালো লাগে এই জন্য প্রতিদিনই চেষ্টা করি একটা করে ভর্তা রাখার জন্য।
দুপুর রান্নাবান্না শেষ করে, রুম গুলো পরিষ্কার করে গোসল করে নিয়ে ছিলাম। গোসল শেষে যোহরের নামাজ আদায় করলাম। আমার শেষ দেখলাম হাজবেন্ড নামাজ থেকে চলে এসেছে, তাই মেয়ে কে সাথে নিয়ে সবাই মিলে দুপুরে খাওয়াটা সম্পূর্ন করলাম। এবং খাওয়া-দাওয়া শেষে কিছুক্ষণ সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম।
তবে বিশ্রাম নিতে গিয়ে কয়েক টা কমেন্ট করে ছিলাম। এরপরে ইউটিউব দেখছি এবং হঠাৎ করে এই পাউরুটি তৈরি করার একটা রেসিপি চোখে পড়ে ছিলো। এবং মাথার মধ্যে বেশ ভালোভাবে ঢুকেছে যে এটা আজ বিকালে তৈরি করতে হবে। যে ভাবা সেই কাজ আমিও ইউটিউব দেখে দেখে রেসিপি টা ফলো করে, পাউরুটি তৈরি করার কাজে লেগে পড়ি।
![]() |
---|
যেহেতু প্রথম তাই এর পিছনে আমাকে অনেক সময় দিতে হয়েছে। যাইহোক ঠিকমত তৈরি করতে পেরেছি এটা এই ভালো এটা দেখে আমার মন টা ভরে গিয়ে ছিলো রুটি টা এত বেশি ফুলে গিয়েছিলো খুব ভালো লাগছিলো দেখতে তবে, দুঃখের বিষয় এই যে রুটির নিচে অনেক বেশি পুড়ে গিয়েছিলো। আর যে কারণে রুটি থেকে অনেক পোড়া গন্ধ ছিলো আর এই জন্য একটু খেতেও পারি নি।
![]() |
---|
তবে, এটা বেশ ভালো ভাবে জানি চাইলেই তো আর সবকিছু পাওয়া যায় না। এবং পরিস্থিতি সবসময় এক রকম থাকেও না।এই জন্য মেয়ের মন ভুলানোর জন্য মেয়ের বাবা লেগে পরেছে। ফোনে কার্টুন দেখিয়ে অনেক আদর করছিলো তবে, তার মন বাড়ির দিকে এই রয়েছে। যেমন টা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। দোয়া করবেন সবাই আমাদের জন্য।।।।। যাই হোক এর পরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম।
- আজ আর লিখব না, এখানে বিদায় নিবো সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আপনি ঠিকই বলেছেন সব মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু স্বপ্ন থাকে, আশা থাকে। সেগুলো ভেঙে গেলে সত্যিই খুব কষ্ট হয়। আপনার হাজবেন্ড নুডুলস টা রান্না করা দেখে বেশ ভালোই লাগছে।খেতে নিশ্চয়ই ভালোই হয়েছে। মাঝে মাঝে হাজবেন্ড রা এরকম একটু হেল্প করলে বেশ ভালোই লাগে। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম আমার বেশ ভালোই লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ একদম তাই, আমরা মেয়েরা মনে চাইলো সব কিছু করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। শুধু আশাগুলো মনের ভিতর থেকেই যায়।
হ্যাঁ খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিলো। ঠিক বলেছেন মাঝে মধ্যে এরকম একটু হেল্প করলে আমাদের কাজের উৎসাহ বাড়ে তবে,, একটু কাজ করাতে হলে তার থেকে বেশি কথা খরচ করতে হয়।
তবে আমার কাছে মনে হয় মুখের একটু কথা খরচ করে যদি এরকম বসে বসে খাবার পাওয়া যায় তাহলে মন্দ হয় না।।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
আসলে যার কষ্ট বা যার বেদনা শুধু সে নিজেই বুঝে।অন্য কেউ এর গভীরতা উপলব্ধি করতে পারে না এটাই স্বাভাবিক।
আপনার হাসবেন্ডের নুডুলস রান্না দেখে মনে হচ্ছে খুব মজায় হয়েছে খেতে। আর ফলের রাজা আমের সিজন চলে এসেছে তো এখন ভরপুর আম খাওয়া হবে এই জিনিসটা ভাবলেই আমার মনটা আনন্দে নেচে ওঠে।
পোস্টের শেষে বাবা মেয়ের খুনসুটি দেখে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম তাই শুধু যার কষ্ট যার দুঃখ সে তার গভীরতা উপলব্ধি করতে পারে পাশের মানুষটি সান্ত্বনা দিতে পারে আর কিছু নয়।
হ্যাঁ তিনি নুডুলস রান্নাটা বেশ ভালোই পারে, তবে রান্না করতে গেলে রান্না ঘরের যে অবস্থা করে,,, পরে দেখা যায় রান্না করতে যতটুকু সময় লেগেছে তার থেকে গুছাতেতে আরও বেশি সময় যায়
আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই কিছু স্বপ্ন থাকে। আর এই সপ্নগুলো ভাঙ্গার বেদনাও ও সহ্য করতে হয় কমবেশি সবাইকেই।কিন্তু কিছু করারও নেই কারণ এটাই জীবন।
ভাই তো ভালই নডুলস রান্না করেছে দেখছি। তবে ছেলেরা কাজ করলে রান্না করার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে বেশিরভাগ ছেলে। আমার দুই ছেলে যদিন রান্না করে সেদিন রান্না করে জিনিসপত্র সব নোংরা করে রাখে এটাই বিরক্ত লাগে।
আপনার বানানো নিচের দিকে একটু পুড়ে গেলেও দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। পরেরবার যখন বানাবেন তখন আরো ভালো হবে।
আপনার সারাদিনের কার্যক্রম পড়ে খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন সব সময়।
একদম তাই এটার নামই জীবন যেখানে সুনামির মতন ঢেউ আসবে, আবার নদীর মত বয়ে যাবে নানান দিকে।।
হ্যাঁ নতুন হিসেবে খারাপ রান্না করেন, আমি শিখানোর চেষ্টা করছি কারণ, তাকে বুঝাতে চাচ্ছি কোন কাজে ফেলে দেওয়ার নয়। এতে করে যদি মাঝেমধ্যে একটু তার হাতের রান্না খাওয়া সম্ভব হয় সেই কথা চিন্তা করে।
সে যাই হোক কথাটা কিন্তু ঠিক বলেছেন পাউরুটি টা দেখতে সুন্দর হয়েছে তবে,, আমি আপনার কথায় অনেক ভরসা এবং এই আশা নিয়ে আমি পরবর্তীতে পাউরুটি তৈরি করব ইনশাআল্লাহ।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
লোভনীয় হয়েছে মেগি রান্না এভাবে ম্যাগি রান্না করলে কিন্তু পরবর্তীতে দাওয়াত দিতে হবে।
তাই নাকি অবশ্যই দাওয়াত দিবো,, ম্যাগি নুডুলস আমি অনেক পছন্দ করি মাঝে মাঝে তো মেয়ের জন্য রান্না করি সাথে নিজেও খেয়ে নিও কারন আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।।।
আর আমি সবসময় চাই আমার পছন্দের জিনিস অন্যকে খাওয়াতে ।। যাতে তারা ও আমার মত উপভোগ করুন তাছাড়া আপনি আমার বড় ভাই হিসেবে যখন মেঘে নুডুলস খাওয়ার আশা জানিয়েছেন তাই অবশ্যই একদিন দাওয়াত দিব ইনশাআল্লাহ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু সব মানুষের কিছু ছিল কিছু স্বপ্ন থাকে এবং অনেক বড় আশা ও থাকে। আর সেই আশা এবং স্বপ্নগুলো যদি পূর্ণ না হয় সত্যি অনেক খারাপ লাগে যেটা নিজেকে ছাড়া আর কাউকে বোঝানো যায় না।
আর হ্যাঁ এটা না বলে আপনার হাসবেন্ডের রান্না মনে হয় খুব সুস্বাদু হয় দেখে যেটা বোঝা যায়। তার রান্নার হাতটা খুব সুন্দর। আপনার ছোট মেয়ে তার দাদা দাদির কথা মনে এবং তাদের সাথে দেখাও করতে চাই। দাদা দাদির আদর পাওয়া এটা একটা ভাগ্যের বিষয়।
থ্যাংক ইউ আপনার সারা দিনের কার্যক্রম বেশ ভালই লাগলো।
মানুষের মনে তো অনেক আশা থাকে তবে সব কিছু পূরন করা সম্ভব নয়। তবে তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে তো হবে না।
এই কথাটা একদম ঠিক বলেছেন। আসলেই আমাদের জীবন নাটকের থেকেও কেনো অংশে কম নয়। কখন যে কার সাথে কি ঘটে যায় সেটা কেউ বলতে পারে না।
আপনার রান্না নুডলস দেখতে সত্যিই ভীষণ লোভনীয় লাগছে।দেখেই খেতে মন চাচ্ছে। দুপুরের রান্না থেকে শুরু করে বাসার সকল কাজই করেছেন। আপনার হাসবেন্ড এর অফিস ছুটি তবে তাই বলে আপনার কাজতো ছুটি নয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Wow, @karobiamin71 amazing post written by you. Hope you get success in life.
Stay blessed.
প্রিয় বন্ধু আমার লেখার প্রশংসা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি চেষ্টা করি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে ভালো করার। আর যখন আপনাদের কাছে ভালো লাগে তখন আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে কাজের মাঝে একটা তৃপ্তি খুঁজে পাই।
It's my pleasure.
Stay blessed.
প্রথমত আপনার হাসবেন্ডের হাতের নুডলস গুলা লোভনীয় লাগতেছে।আর মজা বিষয় হচ্ছে আপনারা কাজ কাজ ভাগাভাগি করছেন।এমন খুনশুটি আসলেই অনেক সুন্দর। আসলে মানুষ মানুষকে বুঝতে চায় না।যাই হোক এটাই পৃথিবীর নিয়ম।আপনারা আম খেয়েছেন এরপর রুটি বানাইছেন।কিন্তু দু্ভাগ্য বশত রুটি পোড়া লেগেছিলো।
ধন্যবাদ হাজবেন্ডের রান্নার প্রশংসা করার জন্য।
আমি চাই কাজ ভাগাভাগি করার জন্য এবং তিনিও করে এতে করে কঠিন কাজের সহজ মনে হয় আমার কাছে।
একদম তাই এটাই পৃথিবীর নিয়ম বড় অদ্ভুত। আমি দেখেছি মানুষ ছাড়া প্রাণীগুলো একে অন্যের জন্য মায়া বোঝে খারাপ লাগার কাজ করে,, তাদের ভিতরে কিন্তু আমরা মানুষের কষ্ট বুঝি না এটা আমাদের দুর্ভাগা।
আপনি ঠিকই বলেছেন একটা মানুষের মনে হাজারো রকমের প্রশ্ন জাগে। আর যখন মানুষের স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে যায় তখন মানুষটি কতটা ভেঙ্গে পড়ে একমাত্র যার স্বপ্ন ভেঙে যায় সেই ভালো জানে। বাহ! আপনার থেকে আপনার হাজবেন্ড অনেক বেশি রান্না করতে পারে। আমাগো একদিন ভাইয়ের হাতের নুডুলস রান্না খেতে হবে।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।