Better Life With Steem | | The Diary Game | | 26 June, 2024

in Incredible India2 months ago (edited)
  • প্রিয় বন্ধুরা, সবাই কে আমার আজকের পোস্ট টি তে স্বাগতম।

আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছি, তখন সাড়ে পাঁচ টা বাজে,উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরপরে বাড়ির আশে পাশে দিয়ে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করছিলাম। হাঁটাহাঁটি করা শেষে শাশুড়ি আম্মার জন্য চা তৈরি করছিলাম এরপরে দুই জনে মিলে চা খেলাম বিস্কিট এবং কেক দিয়ে।

এরপরে সকালের নাস্তার জন্য শাশুড়ি আম্মা মুড়ি এবং কাঁঠাল দিয়েছিলো খেতে তবে, কাঁঠাল আমি খুব একটা পছন্দ করি না তাই খাইনি। আমি মেয়েকে নিয়ে কয়েক টা আম কেটে খেয়ে ছিলাম আমগুলো আমাদের গাছের ছিল এত বেশি মিষ্টি এবং ফরমালিন মুক্ত ছিলো।আম খেতে খেতে কিছুটা সময় গল্প করছিলাম। পাশের বাসার একটা কাকী আসছে তার সাথে।

এরপরে আমি, একটু কাজ করছিলাম আগামীকাল কে ঈদের ছুটি শেষ করে ঢাকায় যাব তাই ব্যাগ গুলো গুছিয়ে নিয়ে ছিলাম। ঠিক সেই সময় শাশুড়ি আম্মা দুইটা আমসত্ত্ব হাতে দিলো এবং এটা কি মুড়িয়ে নিলাম। আমসত্ত্ব খেতে আমি বেশ পছন্দ করি সেই সাথে আমার মেয়ে অনেক পছন্দ করে। তাই সাথে করে নিয়ে নিলাম।

প্রতিদিনের তুলনায় আজ আমার কাছে মনে হয়, আজ অনেক বেশি গরম পড়েছে বাহিরে প্রচন্ড রোদ বৃষ্টির মতো রুদ্র ঝরছে,এবার বাড়িতে এসে খাওয়া হয়নি, তাই আমার শ্বশুর তিনটা ডাব পেরে নিয়ে এসেছে। একটা আমার শশুর খেয়েছে একটা আমাকে কেটে দিলো।অনেক টা পানি হয়েছে পানি মগ খাওয়ার পরে মনে হলো দিল টা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। আর ডাবের সাদা অংশ তো অসম্ভব ভালো লাগছে আমার কাছে।

এরপরে শাশুড়ি আম্মা কে রান্নার কাজে সাহায্য করেছি। তিনি দুপুরে রান্নাটা করে নিলে এবং রান্না করা শেষে। আমাকে এবং আমার মেয়েকে একটা তেলাপিয়া মাছ ভেজে দিয়েছিলো।সসের সাথে ভরিয়ে মাছটা খেতে অনেক স্বাদ হয়েছিল। মাছ খাওয়া শেষে, গোসল করে নিয়েছিলাম এরপরে জোহরের নামাজ আদায় করে নিয়েছি।

নামাজ শেষে সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম। আজ দুপুরে রান্না করা হয়েছিলো চিংড়ি মাছ
দিয়ে শাপলা রান্না, কাঁঠালের বিচি ভর্তা, সেই সাথে শিং মাছের ঝোল।দুপুরে খাবার খাওয়া শেষে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে ছিলাম। কারণ প্রতিদিনের অভ্যাস দুপুরে খাবার খাওয়া শেষে একটু বিছানায় না শুলে আর ভালো লাগে না ।

বিকাল বেলা আছর নামাজ আদায় করে, পুকুর পাড় একটা দোলনা আছে ওখানে গিয়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে ছিলাম পুকুর পাড়া আসলে দোলনাতে ওঠা হয়। ভীষণ ভালোও লাগে। এখন আর খুব একটা ওঠা হয় না কারণ,আমি গেলে আমার মেয়ে চলে আসে, এর পরে দুই জনে আবার ঝগড়া শুরু করে দেই।পরে দেখা যায় দুই জনের একজন উঠতে পারে না।

বেশ খানিক টা সময় কাটিয়েছে এখানে, আমার আম্মুর সাথে ফোনে কথা বলেছি দখিনা হাওয়া খেতে খেতে। কথা বলা শেষ হওয়ার পরে শাশুড়ি আম্মা ডাক দিলোএবং বাসায় এসে দেখি। আমার শ্বশুর বাজার থেকে এসেছে সাথে কিছু খাবার নিয়ে।

খাবার গুলো হলো হালখাতার দাওয়াত ছিলো,যদিও আমার শ্বশুরের কাছে দোকানদার কোন টাকা পাবে না। তবে আমার শ্বশুরের সাথে দোকানদারের অনেক ভালো সম্পর্ক তাই তাকে দাওয়াত করেছিল।বলা যায় আমার শশুরের ছোট বেলার বন্ধু।

বাড়িতে আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে রসগোল্লা, নিমকি, পুরি, সাথে কিছু নাড়ু ছিলো নাড়ুগুলো ভীষণ মজাদার ছিলো,এরপরে সবাই মিলে সন্ধ্যার হিসাবে এই সব খেয়ে নিলাম। এর মাঝে মাগরিবের আযান হলো মাগরিবের নামাজ আদায় করে মেয়ে কে পড়তে বসিয়ে ছিলাম।

তবে পড়ানো আর হয়নি কারণ, এর মাঝেই খবর এসেছে আমার চাচা শ্বশুরের বাড়ি চুরি হয়েছে তাও আবার দিনের বেলা। কি করে সম্ভব, খবর নিয়ে জানতে পারলাম আমার কাকী শাশুড়ি বাসায় ছিলেন না। বাড়ি ফাকা দেখে কেচি গেট ভেঙ্গে রুমে ঢুকে ফোন সহ অনেক টাকা পয়সা নিয়ে গিয়েছে। সাথে আলমারির যত জামা কাপড় ছিলো এলোমেলো করে রেখে গিয়েছে।

এই খবর শুনে আমার শ্বশুর সাথে সাথে বেরিয়ে গেলেন তাদের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমি এবং আমার শাশুড়ি আম্মা যায়নি কারণ তখন রাত হয়ে গিয়েছে তাই।খুবই খারাপ একটা অবস্থা এটা শোনার পরে একদম মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো।এরপরে তেমন কিছুই আর করা হয়নি শশুর আসার পরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।

  • সবাই ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
Sort:  
Loading...
 2 months ago 

তাই আমার শ্বশুর তিনটা ডাক পেরে নিয়ে এসেছে।

  • প্রথমেই বলি আপনার আম কাটার স্টাইলটা বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে। যাইহোক এই গরমে ডাবের জল অনেক উপকারী। তবে আপনি ডাব লিখতে গিয়ে, সেটাকে ডাক লিখে ফেলেছেন। সেটাকে সঠিকভাবে লেখার অনুরোধ রইলো।

  • দিনে দুপুরে ডাকাতির কথা শুনেছিলাম ঠিকই, আজ আপনার পোস্ট পড়েও জানতে পারলাম। আমার মনে হয় এই ধরনের চুরি গুলো পরিচিত লোকেরাই করে, তা না হলে অজানা লোকের কাছে কি করে এই তথ্য থাকবে যে সেদিন বাড়িতে কেউ থাকবে না।

  • যাই হোক ছুটি শেষে আবার ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, আসলে ভালো সময় গুলো যেন খুব দ্রুতই ফুরিয়ে যায়। যদিও আমসত্ত্ব খেতে আমি খুব একটা পছন্দ করি না, তবে চাটনিতে ব্যবহার করলে কখনো কখনো খেয়ে থাকি। তবে আপনার শাশুড়ির তৈরি করা আমসত্ত্ব দেখতে বেশ লোভনীয়ই লাগছে। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

জি দিদি অবশ্যই ঠিক করে দিয়েছি।

 2 months ago 

আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি সকাল বেলায় উঠে হাঁটাহাঁটি করেন ।আসলে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাটাহাটি করা খুব ভালো। সকাল বেলায় আপনার শাশুড়ি মুড়ি দিয়ে কাঁঠাল খেয়েছেন ।আমিও কাঁঠাল খেতে খুব ভালোবাসি। বেশ অনেক কিছুই রান্না করেছেন। তবে আপনার মত আমি আমসত্ত্ব খেতে খুব ভালোবাসি ।সারাদিনটা আপনার খুব ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে। সুন্দর পোস্টটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

জেনে ভালো লাগলো আপনি আমসত্ত্ব খেতে অনেক পছন্দ করেন। প্রতিদিন সকালে হাঁটাহাঁটি করা আমাদের প্রত্যেকের শরীরের জন্যই অনেক বেশি কার্যকরী।
তবে মাঝে মধ্যে সময়ের অভাবের কারণে হয়ে ওঠে না। তবে চেষ্টা করি প্রতিদিনই কিছুটা সময় হাঁটার জন্য।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

সর্বপ্রথম আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য। ঘুম থেকে উঠে একটু হাটাহাটি করে শাশুড়ি আম্মার জন্য চা এবং নিজের জন্য চা তৈরি করে দুজন একসাথে চা এবং বিস্কিট ও কেক দিয়ে নাস্তা করে নিয়েছিলেন।

কাঁঠাল আপনার খেতে খুব ভালো লাগে না বলে আপনি আপনার মেয়েকে নিয়ে আম খেয়েছিলেন। আসলে নিজেদের গাছের ফল খেতে অনেক ভালো লাগে এবং সেটি অনেক বেশি মিষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক কারণ বাজারে বর্তমানে শুধু ফরমালিন দিয়ে ফল বিক্রি হয় যার জন্য সেই ফলে বেশি স্বাদ লাগেনা।

 2 months ago 

আমি খুব একটা চা পছন্দ করি না তবে শাশুড়ির সাথে থাকতে থাকতে। এখন মাঝে মধ্যে একটু খাই।
একদম তাই নিজেদের গাছের ফল খেতে অন্যরকম একটা আনন্দ। যেটা হাজার টাকা দিয়ে কিনেও পাওয়া যাবে না। ফরমালিন দেওয়া কোন খাবারে আমি খেতে পারি না। তাই চেষ্টা করি এরকম খাবার থেকে দূরে থাকার।
যদিও বর্তমান বাজারে প্রত্যেকটা জিনিসের ভেতরে, ভেজাল রয়েছে তবে চেষ্টা করি একটু এড়িয়ে চলার। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

আপনার এতো ধরণের আম কাটা দেখে লোভ লাগতেছিলো। গ্রামে থাকার এই এক সুবিধা ,ভেজালমুক্ত জিনিস পাওয়া যায়। ঢাকাতে সবকিছুই পাওয়া যায় কিন্তু সেটা কতটা ভেজাল মুক্ত সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। আমসত্ত্ব আমার খুব প্রিয়। দিনের বেলাতে চুরি আমার শশুর বাড়ির গ্রামেও হয় শুনেছি। সাবধানে থাকবেন।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়।

 2 months ago 

বর্তমানে চোর এত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে যে রাতে না দিনেই চুরি করতে বেরিয়ে পড়ে। আর এটা খুবই ভয়াবহ একটা ঘটনা। দেখা যায় কোন কোন জায়গায় তো আবার ছুরি নিয়েও বেরিয়ে পড়ে।
জেনে ভালো লাগলো আপনার কাছে আমসত্ব বেশি প্রিয়। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য

 2 months ago 

প্রথমে আপনার ফলের ছবিগুলো দেখে বেশ লোভ লেগে গেছে।। আর হ্যাঁ জেনে একটু আশ্চর্য হলাম জাতীয় ফল খেতে আপনার তেমন পছন্দ না।। আর হ্যাঁ এই গরমে ডাবের পানি খাওয়ার অনেক উপকার।। আর আপু আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি অনেক শুকিয়ে গেছেন ঢাকায় যাওয়ার পর।।

 2 months ago 

অনেক বেশি গরম পরে আর এই গরমে ডাবের পানি খাওয়া সত্যিই আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই কাঁঠাল আমি ছোটবেলা থেকেই একটু কম পছন্দ করি।

আপনি খেয়াল করেছেন আমি শুকিয়ে গেছি। হতে পারে একটা জায়গা থেকে অন্য একটা জায়গায় এসেছি। এখানে পরিবেশ পরিস্থিতি মানিয়ে নিতেও কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। হয়তো সেই কারণেই একটু শুকিয়ে গিয়েছে।

 2 months ago 

আপনি একদম সঠিক বলেছেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গেলে সবকিছু গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগে আর একটু চিন্তা হয়।। আমার মনে হয় আপনি এই চিন্তার কারণে কিছুটা শুকিয়ে গেছেন।।

 2 months ago 

প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাবো আপনি অনেক সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি এই পোস্টের মধ্যে ব্যবহার করেছেন। যেটি দেখলেই খেতে মন চায়, এবং আপনার সারাদিনের যে কার্যক্রম আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন সেটাও অনেক সুন্দর ছিল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।

 2 months ago 

ঈদের ছুটি শেষ তাই আবারও ঢাকা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। আপনার শাশুড়ি তৈরি করা আমসত্ত্ব দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে। আমার মা দুই ধরনের আমসত্ত্ব তৈরি করেছে। একটা হচ্ছে কামরাঙ্গা দিয়ে আরেকটা হচ্ছে আম দিয়ে। দেখতে এত বেশি সুন্দর দেখায় খেতে তার চাইতেও বেশি মজা।

চোর কখনো দিন কিংবা রাত চিন্তা করেনা। তার চিন্তা হচ্ছে কিভাবে মানুষের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়া যায়। এটাই চিন্তা করে আপনার চাচা শ্বশুরের বাড়িতে এসে ডাকাতি করতে গিয়েছে। বিশেষ করে দিনের বেলায়। যাইহোক আশা করি তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ধন্যবাদ আপনার পরিবারের সাথে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকুন পরিবার-পরিজন নিয়ে এটাই কামনা করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 63223.35
ETH 2688.72
USDT 1.00
SBD 2.55