Better Life with Steem|| The Diary Game|| 23 October 2024
প্রিয় বন্ধুরা আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ, বেশ ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম , আমার আজকের কার্যক্রম ।
![]() |
---|
অন্যদিনের তুলনায় আজ একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠে ছিলাম, ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে ওজু করে,প্রথমেই আমি এক মগ পানি খেয়ে নিলাম, কারণ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করা,প্রত্যেক টা মানুষের জন্যই খুবই উপকারী। তাই আমি ঘুম থেকে উঠে চেষ্টা করি খাওয়ার জন্য।
এরপরে সকালের নাস্তা তৈরি করে ছিলাম। সেমাই পিঠা, এই পিঠা টা আমি গতকাল রাতে তৈরি করে রেখে দিয়েছিলাম। তাই সকাল বেলা রান্না করে নিলাম।হাজবেন্ড সকাল বেলা পিঠা ও মুড়ি দিয়ে খেয়ে অফিসে চলে গেলো।
তার সাথে আমিও সকালে নাস্তাটা করে নিয়ে ছিলাম, নাস্তা করার পরে কেমন জানি একটা ঝিমঝিম ভাব কাজ করছিলো, তাই আমি প্রায় আধা ঘন্টার মত একটু ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কড়া লাল চা খেয়ে নিলাম।
এরপর সংসারের কাজে লেগে পড়ি। প্রথমেই নিচে চলে গিয়ে ছিলাম ময়লা ফেলার জন্য, এরপরে বাসায় এসে রুমগুলো ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে মুছে নিলাম। এরপরে দুপুরে রান্নার জন্য প্রস্তুুতি নিচ্ছিলাম,কি রান্না করবো ভাব ছিলাম,এরপর হাজব্যান্ড কে একটা মেসেজ দিলাম। তিনি বললো বিরিয়ানি রান্না করার জন্য। বিরিয়ানি খেতে ভীষণ ভালোবাসি আমি তবে, এটা রান্না অনেক সময় সাপেক্ষ একটা ব্যাপার।
কি আর করার, হাসবেন্ড মানুষ যখন বলেছে তখন তো করতেই হবে, তাই আমিও তার কথা মত দুপুর বেলা বিরিয়ানি রান্না করলাম, দুপুরে রান্না শেষে মেয়েকে নিয়ে গোসল করে আসলাম। গোসল শেষ করে জোহরের নামাজ আদায় করলাম, এরপরে ভেবে ছিলাম খেয়ে নিবো,কিন্তুু মেয়ে বললো ও বাবা অফিস থেকে আসবে তারপরে খাবে।
বাবা কে ছাড়া নাকি খাওয়াই যাবে না,আমার মেয়ের এমন কথা শুনে আমার বাবার কথা মনে পড়ে গেলো,তাই সাথে সাথে আমি আমার আব্বুকে একটু কল করলাম। তার খবর নিলাম বেশ কিছুটা সময় কথা বললাম। মেয়েরা সবসময় একটু বাবার ভক্ত হয়,তাই আমার মেয়েও এর ব্যতিক্রম নয়,,এরপরে কি আর করার মেয়ের সাথে সাথে আমিও অপেক্ষা করলাম।
আমি টেবিলে সবকিছু সাজিয়ে রাখলাম, এর মাঝেই আমার হাজব্যান্ড আসলো এবং সবাই মিলে দুপুরে খাবার টা খেয়ে নিলাম । খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি বেশ কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে ছিলাম। সেই সাথে মেয়ে কে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম।
বিকেল বেলা আমার হাসবেন্ড পিজ্জা তৈরি করেছিলো,যদিও এটা তৈরি করার আমার কোন ইচ্ছাই ছিল না কারণ, পিজ্জা তৈরি করতে গেলে টমেটো, ক্যাপসিকাম এসবের দরকার হয়,কিন্তু ফ্রিজে এসব ছিল না,আমি নিষেধ করা তে তিনি বলল আজ নাকি সে গরিবের পিজ্জা তৈরি করবে😃। তাই তিনি টমেটো সস, চিকেন,ও মোজেরেলা চিস দিয়ে এটা তৈরি করেছে।
![]() |
---|
এটা তৈরি করার সময় আমি একদম এই ধারে কাছেও যায় নি। তবে খেয়ে টেস্ট করে দেখে ছিলাম চিজ বেশি দেওয়ার কারণে,ভীষণ ভালো লেগে ছিলো খেতে। পরবর্তী একটা সময় তার হাতের এই পিজ্জা তৈরি করার রেসিপি টা শেয়ার করব আপনাদের সাথে।
এই তাল বাহানা করতে করতে বিকাল টা কেটে দিয়েছে আমার,, তবে সত্যি কথা বলতে আমি ভীষণ আনন্দ পেয়েছি,, এরপরে মাগরিবের আজান হলো নামাজ আদায় করে, মেয়েকে নিয়ে পড়াতে বসে ছিলাম, এর মাঝে আমার শাশুড়ি আম্মা কল করলো, তার সাথে বেশ কিছু সময় কথা বললাম। কথা বলা শেষ করে, মেয়ে কে পড়ানো শেষ করলাম। এরপর আমরা সবাই মিলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

Thank you ❤️
সকালে পানি খাওয়ার অভ্যাসটা অনেক উপকারী। আমিও সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠে হাফ লিটার পরিমাণ পানি খাই।
গরিবের পিজাতো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে।
এরপর এর রেসেপি দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
একদম ঠিক আর এই কথা চিন্তা করে আমি প্রতিদিনের চেষ্টা করি পানি খাওয়ার,, আর পানি পান করার পরে আমি ভীষণ উপকারও পেয়েছি।।
এই পিজ্জা টা দেখে আমার নিজেরও ভীষণ হাসি পেয়েছিলো,তবে গরিবের পিৎজা হলেও মাঝে মধ্যে এরকম হাজবেন্ডের হাতে তৈরি খাবার খেতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে।।।
আর হ্যাঁ অবশ্যই একদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব এই রেসিপিটা।
আমরা এটাকে সুরু পিঠা বলি এই পিঠা দুধ দিয়ে রান্না করলে আমার কাছে ভীষণ স্বাদ লাগে আর শীতের সময় যদি তাত রস দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তো কথাই নাই জমে ক্ষীর।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
হতে পারে একেক অঞ্চলে একেক রকম নাম, একদম ঠিক কথা বলেছেন দুধ দিয়ে এই পিঠা রান্না করলে ভীষণ ভালো লাগে।।
তবে এটা বানাতে অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার আমি কখনো এটা আগে নিজের হাতে তৈরি করিনি এটাই প্রথম,, হাজবেন্ড এবং আমি মিলে দুজনে তৈরি করেছিলাম।
ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
সত্যি আপনার হাসবেন্ড এর মত ঘরে ঘরে এমন হাসব্যান্ড তৈরি হোক স্বামী স্ত্রীর ভিতর মিল মহব্বতটা এভাবেই বাড়াতে হয় একে অপরের কাজে সাহায্য করে। এই পিঠ া হাতে কে টে বানাতে হলে অনেক কষ্টের এবং অনেক সময় লাগে এটা কিছুটা জানি যখন বাড়িতে আম্মু পিঠা তৈরি করত।
আজ আপনার বাসায় বেশ মজার মজার খাবার তৈরি হয়েছে। পিঠা সেমাই থেকে শুরু করে বিরিয়ানি সবই রান্না করেছেন। তবে আপনার হাসবেন্ডের গরীবের পিজ্জা তৈরির কথা শুনে বেশ মজা পেলাম। কখনও কখনও আমাদের প্রয়োজনীয় সকল জিনিস থাকে না তখন হাতের কাছে যেটা আছে সেটা দিয়ে কাজ সারতে হয়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
হাহাহাহা,
তার এমন কথা শুনে আমারও ভীষণ হাসি পেয়েছিলো,আর যেটা আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না,, মাঝেমধ্যে আমাদের এমন এমন কিছু খাবার তৈরি করতে ইচ্ছা করে বা খেতে ইচ্ছা করে। যেটার যত সব উপকরণ বাসায় থাকে না কিন্তু মন তো আর তা বুঝে না,,, তাই মাঝেমধ্যে উপকরণ ছাড়াও মজাদার রেসিপি তৈরি করা যায়। এই পিজ্জা টা না খেলে আমি বুঝতামই না।