Better Life With Steem | | The Diary Game | | 23 June, 2024
![]() |
---|
সবাইকে আমার আজকের পোস্টে স্বাগতম।
- আশা করছি সবাই ভালো আছেন, আমিও ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে সবার সাথে আনন্দ সাথে দিন কাটাচ্ছি। তো চলুন আমার আজকের দিনটা কিভাবে কেটেছিল আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
প্রতিদিনের তুলনায় আজ একটু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছি। ওঠার পরে হাতমুখ ধুয়ে রান্নাঘরে আম্মুর কাছে গিয়ে বসলাম। বসা মাত্রই আম্মু একটা ডিম সিদ্ধ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল এটা কি খেতে। আমার আম্মু জানে আমি অনেক বেশি ডিম পছন্দ করি। সারাদিনে যদি কিছু না দিয়ে শুধু ডিম দেওয়া হয় তাতেও আমার অনীহা হবে না।
![]() |
---|
কি যে একটা জালা আর ভালো লাগেনা,,,,! যদি এমন নিয়ম হতো বিয়ের পরেও মেয়েরা ইচ্ছামত বাবার বাড়িতে থাকতে পারবে তাহলে আমার জন্য ভালো হতো।এরপরে আবার ঢাকায় ফিরে যেতে হবে। তাই আম্মুকে অনেক সময় নিয়ে বুঝালাম। এরপরে সকালের নাস্তা করেছি গতকাল রাতে ভাই আমার মিডবক্স এনেছিল,,,।
![]() |
---|
যদিও এই খাবারগুলো গরম গরম খেতে বেশি ভালো লাগে কি আর করার তাই এখন ঠান্ডা ঠান্ডা একটু খেয়ে নিলাম একদমই ভালো লাগেনি। এরপরে আম্মুর তৈরি করার রুটিন ডিম ও তরকারি দিয়ে সকালের নাস্তা করেছিলাম। নাস্তা খেয়ে কিছুটা সময় রেস্ট নিয়ে মেয়েকে নিয়ে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়েছি।
![]() |
---|
শাশুড়ি আমার নরম হলেও ফুফুর শাশুড়ি গুলো হলো একদম গরম, তাই দুজনে মিলে পরামর্শ করলাম আগামীকাল কে তাদের বাড়িতে যেতে হবে বেড়াতে। এরপরে গোসল করে এসেছি আমি আসার আগে শাশুড়ি আম্মা রান্না করে রেখেছিলো, এরপরে সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছি।
খাওয়া-দাওয়া শেষে কিছুটা সময় রেস্ট নিয়ে ছিলাম, এবং রেস্ট নিতে নিতে হাজবেন্ডের সাথে কিছুটা সময় কথা বললাম। আমার অনুপস্থিতে তিনি বেশ বুঝতেছে রান্না করার কি জ্বালা। যদিও হালকা নাস্তা তৈরি করতে সে পারে, তবে এগুলো দিয়ে তো আর দিন চলে না। তাই তাকে একদম জানিয়ে দিলাম শুক্রবারে আসতেছি আমি। যদিও এর আগেই যাওয়ার কথা ছিলো আমার তবে ,, সমস্যার কারণে যেতে পারছি না।
![]() |
---|
এরপরে বিকাল বেলা মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলাম একটু পুকুর পাড়ের দিকে, তবে এবার বাড়িতে এসে পুকুর পাড়ে যেতে ভয় লাগে কারণ, রাসেল ভাইপার সাপ কথা শুনে একটু ভয় লাগে। তাই একটু আমাদের বাগান দিয়ে ঘোরাফেরা করছিলাম।
এত সুন্দর সবজি হয়েছে এ বছর আমাদের সবজি বাগানে অনেক ধরনের সবজি লাগানো হয়েছে ডাটা শাক, পুঁইশাক, ঢেঁড়স গাছ, বেগুন গাছ,বিশেষ করে মরিচ গাছগুলো একদম আমার মন কেড়ে নিয়েছে। প্রত্যেক টা মরিচ গাছ অনেকগুলো জায়গা নিয়ে রয়েছে, সব মরিচ গাছগুলো বোম্বাই মরিচ ।
![]() |
---|
সন্ধ্যা হয়ে এসেছিল তাই আর বেশি সময় থাকেনি বাড়ি ফিরে এসেছি। সন্ধ্যার পরে শুরু হলো কারেন্টের খেলা মাগরিবের নামাজ শেষ করা মাত্রই কারেন্ট গিয়েছে। এরপরে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত কারেন্ট শুধু আসা-যাওয়া করছিলো। সব মিলিয়ে রাতে খুবই খারাপ একটা অবস্থা ছিল।
তবে ভাগ্য ভালো রাতে কমিউনিটি সাপ্তাহিক টিউটোরিয়াল ক্লাস ছিলো আর ক্লাসে জয়েন্ট হতে পেরে ছিলাম, গতকাল কে ক্লাসে ম্যাম সবার কাছ থেকে কনটেস্ট এর জন্য নতুন বিষয় জানছিলো,,,, সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি ক্লাস কালকে উপভোগ করেছি এবং অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম। এরপর রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
- এইতো এই ছিলো আমার সারাদিনের কার্যক্রম আজ আর লিখব না। এখানে বিদায় নিবো সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আপনার মতো আমিও ডিম সিদ্ধ খেতে ভালোবাসি। আর তাছাড়া ডিম ভাজির থেকে ডিম সিদ্ধ বেশি উপকারি আমাদের জন্য। মায়েরা সব সময় সন্তানের ইচ্ছেটা মনে রাখে। আপনি ডিম সিদ্ধ পছন্দ করেন এজন্য আপনার মা ডিম সিদ্ধ করে দিয়েছিলো আপনার জন্য। গরমের সময় ফ্রিজের ঠান্ডা জিনিস খেতে সব সময়ই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
আসলে প্রচণ্ড গরমে যখন ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা ঠান্ডা আম খাওয়া যায় তখন অনেকটাই ভালো লাগে মনে হয় যে কোন দেহটাই ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। আপনি এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার সারাদিনের কাজের বিষয়েও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি
আপনার মতো আমিও সিদ্ধ ডিম খেতে ভালোবাসি আর তাছাড়া ভাজা ডিম থেকেও সিদ্ধ ডিম বেশি উপকারী। গরমের সময় ফ্রিজের ঠান্ডা যেকোনো জিনিস খেয়ে অন্যরকম একটা শান্তি পাওয়া যায় তবে অতিরিক্ত খেলে সমস্যা হয়। বর্তমান সময়ে আমাদের এখানে কাঁচা ঝালের দাম ৪০০ টাকা কেজি তাই সবার বাড়িতে ঝাল গাছ থাকলে কিছু টাকা বেচে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।
সর্বপ্রথম আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আসলে শুধু আপনার মনের ইচ্ছা নয় এটি আমার মনে হয় এটি প্রত্যেকটা মেয়ের মনে ইচ্ছা থাকতে যদি বিয়ের পরে তার বাবার বাড়ি সারা জীবন থাকতে পারতো তাহলে ভালো হতো।
যাইহোক কন্যা সন্তান হয়ে জন্মগ্রহণ যখন করেছেন স্বামী সন্তান শ্বশুর শাশুড়ি নিয়ে থাকতে হবে। এবং অনেক দিন পরে মায়ের কাছে এসেছেন অনেক কথা আপনাদের মাঝে আছে যেটা আমরা অনুভব করতে পারি। শাশুড়ি আম্মা আপনার জন্য অভিমান করছে আমি যতটুকু জানি আপনি ঈদের পরে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তার পরেও আপনাদের শাশুড়ি বৌমার মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক হয়তোবা তার জন্য আপনাকে অনেক বেশি মিস করছে আপনার শাশুড়ি আম্মা।
আপনার ডিম্ সেদ্ধর ছবিটা দেখে আমি ভাবতেছিলাম এটা আবার কি খাবার। পরে আপনার লেখা পরে বুজতে পারলাম যে এটা ডিম্ সেদ্ধ । মেয়েদের এই এক সমস্যা ,বাবার বাড়ি আর শশুর বাড়িতে ব্যালান্স করতে গিয়ে প্রায় সময়ই বাবার বাড়ি পেছনে পরে যায়। আপনার সৌভাগ্য এমন একটা শাশুড়ি পেয়েছেন যে এতো আদর করে। ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনার ডিম অনেক পছন্দ এটা আমার জানা ছিল না।। আসলে মা সবসময় তার চায় তার সন্তানটা একটু বেশি সময় তার কাছে থাকো কিন্তু বিয়ে হলে এই সুযোগ-সুবিধা আর থাকে না।। আমার মনে হয় যদি বিয়ের পরও মেয়েরা তাদের ইচ্ছামতো থাকতেও পারতো তাহলে শুধু আপনি না প্রতিটা মেয়ে অনেক খুশি হত।।
এই তো মেয়েদের ভাগ্য। শশুর বাড়ির সকলের মন রক্ষা করতে গিয়ে, নিজের আর মায়ের মনের ইচ্ছা পূরণ করা সম্ভব হয় না। মায়ের কাছে যতোই থাকা হোক, যেন সাধ মেটে না। আর আমার তো বিয়ের পর মায়ের সাথে থাকার সৌভাগ্যই কখনো হয়নি। শশুর বাড়ির লঙ্কা গাছগুলো তো খুব সুন্দর হয়েছে। আমাদের বাড়িতে কেন জানি না লঙ্কাগাছ কিছুতেই হয় না। শাশুড়ি মা অনেক বার লাগিয়েছেন, সব মারা যায়, কিছুদিন বাদেই। যাইহোক ভালো থাকবেন।
ঠিক কথা বলেছেন, বিশেষ করে আমি বিয়ের পরে মায়ের সাথে এভাবে থাকার সুযোগই পায় না তাই একটু পাই।তাও অনেক জোর করে।
শশুর বাড়ির সবার মন রক্ষা করতে গিয়ে নিজের মনটাই শেষে খারাপ হয়ে যায়,আমার মনের দিকে কেউ খেয়াল থাকুক বা না থাকুক।নিজেকে সব সময় সবকিছু ত্যাগ করেই যেতে হয়,মেয়েদের জীবনে এটা।
হ্যাঁ আমিও সেটা খেয়াল করে দেখলাম এবছর মরিচ গাছগুলো বেশ ভালো হয়েছে।।।ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি যে নিয়মের কথা বলেছেন এই নিয়ম কখনোই হবে না। বিয়ের পরে মেয়েরা নিজেদের স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলে। কিন্তু তার পরেও আপনি যথেষ্ট স্বাধীনভাবে চলাফেরা করেন এর জন্য অবশ্যই শুকরিয়া আদায় করা উচিত। আমাদের কিন্তু এতটাও স্বাধীনতা নেই। যাইহোক আপনি আপনার মাকে আপনার বিষয়টা সম্পূর্ণ বোঝাতে পেরেছেন।
আম ফ্রিজে রাখলে খেতে বেশ ভালোই লাগে কেননা আম তখন ঠান্ডা হয়ে থাকে। আপনার ফুফুর শাশুড়ি অনেক বেশি গরম। তাই ওনাদের বাড়িতে বেড়াতে যেতেই হবে। তাই সবকিছু আগে থেকেই ঠিক করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য।