Better life with steem || The Diary Game || 23 January

in Incredible India7 months ago

আজ সকালের নাস্তা

সকালবেলা এত পরিমাণে কুয়াশা পড়ে, ঘুম থেকে উঠে নামাজ পরে আর কম্বল ছেড়ে উঠতে মন চায় না। নাস্তা বানানো তো দূরের কথা, আমার শশুর আবার ভালো আছে, সকালে এক কাপ চা আর বাজারে গিয়ে হালকা কিছু খেয়ে সকালের নাস্তা করে নেয়। মাঝে মধ্যে আমাদের জন্য নিয়ে আসে। রুটি আর ডাল কিনে এনেছিলো মেয়ে এবং শাশুড়ি আম্মা খেয়ে নিয়েছে। আর আমি এক কাপ চায়ের সাথে দুই পিস বিস্কুট এবং মোয়া দিয়ে সকালের নাস্তা করলাম। হালকা রোদে বসে বেশ ভালই লাগছিলো।

মেয়েকে নিয়ে গায়ে রোদ লাগানোর সময়

আমার মেয়ে খুব একটা শীতের জামা পড়তে চায় না, অনেক জোরা জোরি করে তারপরে পড়াতে হয়। আর যখনি দেখে একটু রোদ উঠেছে তখনই তো একদম খোলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তাই নাজিফা শীতের জামা খুলে রোদে নিয়ে কিছুটা সময় বসে ছিলাম। আর তখন এই ছবি টি তুলি, রোদে বসলে আর উঠতেই মন চায় না। তবুও উঠে গেলাম কারণ এখন কাজে লেগে পড়তে হবে।

জমিতে অন্যের হাঁস এসেছে কিনা এটা দেখতে গিয়ে তোলা ছবি

শাশুড়ি আম্মাকে দুপুরে রান্নার জন্য সবকিছু মোটামুটি গুছিয়ে দিয়েছি, কারণ কিছুদিন ধরে কাজের খালাম্মা আসতেছে না কারণ উনি বেড়াতে গিয়েছে। তাই মোটামুটি অনেক কাজেই এখন করতে হয় আমাকে। হঠাৎ করে একটা লোক এসে বলল আমাদের জমিতে নাকি হাস নেমেছে, শাশুড়ি আম্মা তখন বলল তুমি তাড়াতাড়ি গিয়ে দেখে আসো জমির কি অবস্থা।ঘর থেকে বের হয়ে যেতে ছিলাম, আবার ঘরে চলে গেলাম কারণ ফোনটা নিয়ে আসেনি। তাই ফোন নিয়ে সোজা চলে গেলাম আমাদের পুকুর পাড় দিয়ে জমির কাজ পর্যন্ত, এবং গিয়ে দেখে একটাও হাঁস নেই, যা আছে তা অনেক দূরে, হয় তো বা এখান থেকে চলে গিয়েছে।

M7YJgYmt9DySNyfn7j5EQjjBS341dHKxM1wMm7mTMfXe8m5BZm2TSNuyC2FN4qQG93idHyPv19z9YX3aXBiH5fPVd2ia1QV387b2ZiLXnx...GzmTDucpVumVLZo3H3rqjjtrKNQccEYnQKGhqbDFaFgaFN2Wf6xYmkPtaFoCbxsyAdj3u2ezEgiRQNURpdfSWuS4dzpeD5LKpYJoEDPbpaUa9gGiYjyhpMz382.png

এই সময়টা তে একটু এক সপ্তাহের মত খেয়াল রাখতে হয় কারণ হাঁস এসে, ধান গাছের চারা গুলো উঠিয়ে দেয় এবং নষ্ট করে ফেলে। এখানে বেশ কয়েক মিনিট থাকলাম এরপরে বাসায় চলে আসি।বাসায় এসে আমি ও মেয়ে চলে গেলাম গোসল করতে। গোসল থেকে বের হয়ে দেখি। সাহেব আমার হাজির, হুট করে বলা নেই ছুটিতে চলে এসেছে। গতকাল রাতে ফোনে কথা বলার সময়, কিছুটা আন্দাজ করতে পেরে ছিলাম, তবে বুঝতে পারিনি এভাবে বাড়িতে চলে আসবে। যাইহোক, এরপরে দ্রুত দুপুরের খাবার রেডি করি।

দুপুরের খাবার খাওয়ার সময়

ভাত রান্নার সাথে দুপুরে অল্প করে রুটি পিঠা তৈরি করা হয়েছে, কারণ গতকাল কে কিছু মুরগির মাংসের তরকারি ছিলো ফ্রিজে, ও টা কে গরম করে নেয়া হয়েছে রুটি দিয়ে খাওয়ার জন্য। তাই সবাইকে দিলাম নিজেও নিয়ে বসলাম। যদিও পিঠা বানাতে খুব সময় সাপেক্ষ একটা ব্যাপার, কিন্তুু আমার খেতে বেশি সময় লাগে না। দুপুরে খাওয়া শেষে কিছুটা সময় বিশ্রাম করি কারণ, হঠাৎ করে বাম হাতটা প্রচন্ড ব্যথা করছিলো।

বিকালের নাস্তা তৈরি করার সময়

ভাবছিলাম বিকালে কি নাস্তা তৈরি করা যায় ঝটপট, তাই মনে পড়লো বাজার থেকে কিনে আনা চুসনি পিঠার কথা, তাই ফ্রিজ থেকে দুধ,ও নারিকেল বের করে রাইস কুকারে বসিয়ে দিয়েছি রান্না করার জন্য, এবং ঘড়ি ধরা ১৩ মিনিটের মধ্যে হয়ে গিয়েছে, তাই গরম গরম সবাই মিলে বিকেলের নাস্তা করলাম এই দিয়ে।

আমার মেয়ে যখন টেবিল গোছাতে ছিল

সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়ে মেয়েকে পড়তে বসিয়েছি, এর আগেই মেয়ে সব বই খাতায় এলোমেলো করে রেখেছে। বললাম টেবিল টা একটু সুন্দর মত গোছানো শিখো আমার মত করে, বললো আমিও খুব সুন্দর বুঝাতে পারি বললাম তাহলে করো, আর বাকি টা তো দেখতেই পাচ্ছেন সবগুলো এনে একটার উপরে রেখে দিয়েছে। তবুও বকা দেইনি ব্যাপার টা বেশ ভালো লেগেছে। কারণ, আস্তে আস্তে এভাবেই করতে করতে একদিন ভালো ভাবে শিখবে।

এরপরে, মেয়ে কে পড়ানো শেষে, সবাই রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। খাওয়া শেষে দাঁত ব্রাশ করে এসে, ফোন টা হাতে নিয়ে আপনাদের জন্য পোস্ট লিখতে বসে পড়েছি। তো এই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে, ধন্যবাদ সবাইকে।
2gsjgna1uruv8X2R8t7XDv5HGXyHWCCu4rKmbB5pmEzjYSj1ATxRsaEvyH89EyziiK3D1ksn1tTDvDwLCveqrhctVcDnDqtNbsqFMtuqD1RetzrgjG.png

Sort:  
 7 months ago 

আপনার শ্বশুর মশাই আসলেই অনেক ভালো ।সকালে এক কাপ চা খেয়ে বাজারে যেয়ে নাস্তা করে। সেই সাথে আপনার জন্য নিয়ে আসে এমন শশুর কি আর হয় 😊

ছোট বাচ্চারা এমনই শীতের পোশাক পরতে চায় না জোর করে পুড়িয়ে দিতে হয়।। আর জমিতে হাঁস
লেগেছে কিনা দেখতে গিয়েছিলেন একটু সাবধানে যাবেন আপু তাড়াহুড়া করে আবার পরে না যান 😊 আপনার মেয়ে তো খুব সুন্দর ভাবে বই গোছাতে পারে। আমার মনে হয় আপনিও এত সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে পারবেন না 😂

 7 months ago 

জি ভাই ,

  • এটা সত্যি আমার শ্বশুর অনেক ভালো একজন মানুষ, আমি তার ভিতরে একটা জিনিস সবসময় দেখেছি কিভাবে নিজেকে তিনি সৎ রেখেছেন। এবং তার একটা জিনিস আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সেটা হলো, বিপদে আপদে অন্যের পাশে দাঁড়ানো।
  • কথাটা মন্দ বলেন নি যে দৌড় দিয়েছিলাম পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল খানিক টা,, তবে ভাগ্যিস পড়ে যায়নি।
  • মাঝেমধ্যে তো এত রাগ উঠে এই শীতের পোশাক পরানো নিয়ে তারপরে পড়াই না, হ্যাঁ একদম তাই এমন নতুন স্টাইলের বই গোছানো আমি আগে কখনো পারতাম না।।
 7 months ago 

যাক শুনে ভালো লাগলো আপনার শ্বশুর অনেক ভালো একজন মানুষ সেই সাথে অন্যের বিপদে দাঁড়ায়। আপনার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া ও ভালবাসা রইল ভাল থাকবেন।।

 7 months ago (edited)

সকালবেলা এক কাপ চা এবং দুটি বিস্কুট ও মোয়া দিয়ে নাস্তা করলেন। আসলে সব বাচ্চারা এরকম আমার ছেলে তো শীতের পোশাক পরতেই চায়না কোন রকম জোর করে পাতলা একটা টুইটার পরিয়ে দিতে পারি। আসলে আপনার সাহেব আপনাকে প্রত্যেকবারই সারপ্রাইজ দেয়। আসলে এরকম বারবার সারপ্রাইজ না দিয়ে একটু জানিয়ে আসলে নিজের কাছে খুব ভালো লাগে মনে আনন্দ পাওয়া যায় আমি যেটা মনে করি। আসলে মার কাজ দেখে তো মেয়েই শিখবে তো আপনার মেয়ে আপনার কাছ থেকে কিছুটা শিখতে চেয়েছিল। তবুও মোটামুটি ভালোই করেছে সামনে থেকে আরো পারবে। এটা একটা খুব ভালো কাজ রাতে খাওয়া দাওয়া করে আবার দাঁত ব্রাশ করে ঘুমিয়ে পড়েন।
থ্যাংক ইউ আপু আপনার সারা দিনের দিনলিপি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।

 7 months ago 

সকাল বেলা উঠে খুব একটা রান্না করতে মন চায় না তাই হালকা নাস্তা দিয়ে আমরা সবাই সকালের নাস্তাটা সেরে ফেলি।
সারপ্রাইজ হতে সবার ভালো লাগে তবে, সব সময় না যেমনটা আপনি বলছেন। তবে এটা তার অভ্যাস আমি বলি কারণ সব সময় এমনটাই করে। তবে আগের থেকে খানিকটা কমেছে।
হ্যাঁ আমার কাছ থেকে হয়তো শিখছে গোছানো যদিও কিছুই পারে না ওভাবে তবে চেষ্টা করছে এটাই আমার কাছে অনেক পাওয়া।

 7 months ago 

আপনার শশুর ও শাশুড়ী দুজনেই ভালো মানুষ। একজন মজার মজার রান্না করে খাওয়ায় আরেকজন বাইরে থেকে খাবার কিনে এনে খাওয়ায়। হাসে গাছ তুলে ফেলে এই জিনিসটা আমার জানা ছিলো না। পৃথিবীতে কত ছোট ছোট জিনিস আছে যেগুলো জানি না ভাবলে অবাক লাগে।
আপনার সাহেব ভালোই সারপ্রাইজ দিয়েছে আপনাকে।এরকম সারপ্রাইজ মাঝে মাঝে পেলে ভালোই লাগে।
বাচ্চাদের জিনিস গুছানো আসলেই খুব সুন্দর হয়। আগে আমার ছেলে শুধু কাগজ ছিড়তো। বকা দিলে চমৎকার করে ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করে ফেলে দিতো। তার মিনিট খানেকের মাঝেই দেখতাম আবার কাগজ নিয়ে বসে পরেছে ছেড়ার জন্য। বড়ো হলে এগুলো স্মৃতি হয়ে যায় দ্রুত।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়ই।

Posted using SteemPro Mobile

 7 months ago 

একদম ঠিক তারা দুজনেই অনেক ভালো মনের মানুষ।
একদম তাই মাঝেমধ্যে এরকম সারপ্রাইজ হতে বেশ ভালোই লাগে।
আপনার ছেলের গল্পটা পড়ে বেশ ভালই লাগলো বাচ্চারা এমনই হয়। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 7 months ago 

ঠিকই বলেছেন, শীতের সময় কম্বল ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করে না। সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে চা, বিস্কুট ও মোয়া দিয়ে নাস্তা করেছেন। তারপর বাড়িতে বেশ কাজের মধ্যেই ছিলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।।

Loading...

আপনার মেয়েকে হাসি হাসি মুখে খুব মিষ্টি লাগছে দেখতে। যে রাস্তার ছবি পোস্ট করেছেন ওই রাস্তা দিয়ে আমি বর্ষাকালে হাটতে গেলে যে কতবার আছাড় খাবো তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। চুসনি পিঠাকে আমাদের এখানে চসি বলে। চসির পায়েস খেতে দারুন লাগে। আপনার মেয়ে বই খাতা দিয়ে পুরো তিনতলা বাড়ি বানিয়ে ফেলেছে।

 7 months ago 

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য, গ্রামে থাকলেও বর্ষাকালে আমি ঘর থেকে বের হতেই ভয় পাই।
যদি একবার পড়ে যায় তাহলে আমি শেষ।
জেনে ভালো লাগলো চুসনি পিঠা কে আপনাদের ওখানে চসি পিঠা বলা হয়

 7 months ago 

বাংলাদেশে প্রচন্ড শীত আর এই শীতের ভিতরে আপনার মেয়ে শীতের পোশাক পড়তে চায় না সে তো একটি পালোয়ান। আপনাদের উপরে বেশি ভালই লাগলো বিশেষ করে আপনার মেয়ের গল্পটি পড়ে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য আপনার পরবর্তী দিন আরিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।

 7 months ago 

মাঝেমধ্যে শীতের জন্য পড়াতে গিয়ে আমি নিজেই বিরক্ত হয়ে পড়ি এরপরে বাদ দিয়ে দেই।
কিন্তু এটাও সত্য বাচ্চাদের শীত কম থাকে। তবে মায়ের মন বলে কথা মনে হয়, ওই জন্য ঠান্ডা লেগে গেল।

 7 months ago 

আমি আগে এটা জানতাম না যে বাচ্চাদের একটু শীত কম লাগে। তবে আপনি এটা ঠিক কথা বলছেন যে বাচ্চাদের শীত না লাগলেও মায়ের মন তো আর মানে না ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 58495.14
ETH 2461.74
USDT 1.00
SBD 2.36