Better Life With Steem | | The Diary Game | | 22 June, 2024
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার আজকের পোস্টে সবাইকে স্বাগতম।
আজ সকাল বেলা ঘুম ভেঙ্গে ছিলো আমার ছয় টা বাজে, আম্মু একবার ডেকেছিল আমি ঘুম থেকে উঠে আবার ঘুমিয়ে গিয়েছে , এরপর আমার ভাই এসে আর ঘুমাতে দেয়নি। তাই উঠে পড়েছি। অন্য দিকে আমার মেয়েও ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিলো তবে, আজ আর আমাকে কিছু করিয়ে দিতে হয়নি তার মামা তাকে ব্রাশ করিয়ে মুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা করিয়ে দিয়েছে।
বাবার বাড়ি আসলেই একটা সুবিধা নিজেকে সময় দেওয়ার সাথে সাথে বাচ্চাকে ও সময় দিতে হয় না। এরপর আমার আম্মু সকালের নাস্তা দিলো, রুটি পিঠাও গরুর গোশত দুই ভাই বোনের মিলে এক প্লেটে খেয়ে নিলাম। ছোটবেলা অনেক এক প্লেটে খাওয়া হয়েছে তবে বড় হওয়ার সাথে সাথে এ ছোট ছোট বিষয় গুলো আমরা নিজেরা এই হারিয়ে ফেলেছি। তবে মাঝে মধ্যে যখন খাওয়া হয় তখন কিন্তু ভীষণ আনন্দ পাই।
এরপরে আব্বুর সাথে গিয়েছিলাম আমাদের নতুন বাড়িতে, ওখানে ছোটখাটো একটা দিঘী আছে। মূলতো আব্বু চেয়েছিল আজকে মাছ ধরবে , তাই আমার চাচা ভাই এবং কয়েকজন লোক কে সাথে নিয়ে জাল টেনেছেন মাছ ধরার জন্য। সেই সাথে আমিও গিয়েছিলাম, এ দীঘিতে অনেক ধরনের মাছ রয়েছে, বেশ অনেক মাছ ধরা হয়েছে , এবং আব্বুর ইচ্ছামত একটু বেশি করেই মাছ ধরে ছিলো কারণ ঢাকায় যাওয়ার সময় আমাকে মাছ দিয়ে দিবে বলে।
অনেক দিন পরে নতুন বাড়িতে গিয়ে একটু ভালো লাগলো এর আগে বাবার বাড়িতে এসেছি তবে নতুন বাড়িতে আর আসার সুযোগ হয়নি। এ বাড়িতে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে, যদিও সবাই আমরা এই বাড়িটা কে নতুন বাড়ি বলেই চিনি তবে এই বাড়িটা বেশ পুরাতন।
আমার বাবা প্রথম ব্যবসার টাকা দিয়ে এই বাড়িটা কিনে ছিলো আজ থেকে অনেক বছর আগে। এখানে অনেক ধরনের ফলের গাছ রয়েছে তবে, আমরা একটাও বাড়িতে নিয়ে খেতে পারি না কারণ , আমাদের গ্রামে দুই একটা ফল চোর রয়েছে যে বড় হওয়ার আগে গাছ থেকে উধাও হয়ে যায়।
মাছধরা শেষে বাড়ি চলে আসি।যেহেতু অনেক মাছ তাই আম্মুর সাথে আমিও একটু হাত লাগিয়ে ছিলাম কাটার জন্য, মাছ কাটা শেষে গোসল করে দুপুরে খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম, এবং আমার ভাই এবং চাচতো ভাই বোনেরা মিলে বুদ্ধি করেছে, তেলাপিয়া মাছ দিয়ে বারবিকিউ করবে আর এই মাছ গুলো আজকে ধরা হয়েছে একদম ফ্রেশ ছিল।
তাই আমি ওদের সাথে সাথে একটু হাত লাগিয়ে ছিলাম সবাই একসাথে আনন্দ করে কাজগুলো সম্পূর্ণ করেছিলাম। চাচতো ভাই-বোনেরা অনেক দিন পরে একসাথে হলে অনেক আনন্দ করা হয়। এবং আনন্দ করতে করতে সবাই মিলে একসাথে খেয়েছিলাম ।ভীষণ ভালো হয়েছিল খেতে আর এই বারবিকিউর থেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে সস টা খেতে। সসের সাথে মাখিয়ে মুখে দিতেই যে কি শান্তি আমি নিজে তৈরি করেছি সস, কোন একদিন সময় করে আপনাদের সাথে রেসিপিটা শেয়ার করব।
বিকেল বেলা বেশ আনন্দ করে কাটিয়েছি। সন্ধ্যার পরে আম্মুর সাথে গিয়েছিলাম ঘুরতে পাশের বাসায় একটা নতুন বউ আনা হয়েছে সম্পর্কে আমার চাচতো ভাইয়ের বউ। বউটা দেখতে ভীষণ মিষ্টি, এবং খুব সুন্দর ব্যবহার। ফোন নিয়ে যাওয়া হয়নি তখন কারন ফোন চার্জে ছিলো, তাই আর আপনাদের জন্য ছবি তুলতে পারিনি। এরপরে বাড়ি চলে আসি।
বাবার বাড়িতে এসেছে একটা দিন হলো তবে এর ভিতরে আবার ব্যাগ গুছাতে হবে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য, কারণ শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার পরে ওখান থেকে আবার ঢাকায় ফিরতে হবে। এরপরে আমি আমার ভাইয়ের সাথে একটু পরামর্শ করলাম ও কবে ঢাকায় যাবে কারণ ও যদি ঢাকায় যায় তাহলে ওর সাথেই যাওয়া হবে। কারণ আমার আম্মু আমাকে একা থাকতে একদমই সাহস পায় না যদিও আমি কয়েক বার যাওয়া আসা করেছি তবু ভয় পায়। একেই বলে "মা।"
এরপরে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম ভাই আর আমি একসাথে মিলে ঢাকায় যাবো। এ কথা শুনে আমার মাও একটু ভরসা পেলো, এরপরে আমার আব্বু আসলো বাজার থেকে, এবং সবাই মিলে একসাথে রাতের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম।
- সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা দিন কেটেছে আমার, প্রতিটা দিন যদি এভাবে কাটতো তাহলে মনে হয় জীবনে কোন দুঃখই থাকতো না। এ কথাটা চিন্তা করতেই পরক্ষনে মনে হলো হাসি ,কান্না ,আনন্দ মিলে আমাদের জীবন। তবুও সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো আছি। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য আল্লাহ হাফেজ।
প্রিয় বন্ধুরা আমার পোস্টে ব্যবহার করা ছবিগুলো সব গতকালকের, তবে আমি ছবি সুন্দর্য জন্য প্রথম ছবি টা একটু এডিট করে দিয়েছি।।।
Hi, @karobiamin71,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
- Explore Steem using our Steem Blockchain Explorer
- Easily create accounts on Steem using JoinSteem
- Delegate to @ecosynthesizer and wtiness vote @symbionts to support us.
Thank you
@karobiamin71,
আপনার প্রথম ছবিটি এডিট করার জন্য তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। অনুগ্রহ পূর্বক, এটা লেখাতে উল্লেখ করে দিন আপু।
জি আপু করেছি।
আপনার দিনটি অনেক সুন্দর ছিলো।বাবার বাসায় গেলে ভালো সময় কাটবে এটার সাভাবিক।আপনার বাবা আপনার জন্য অনেকগুলো মাছ ধরেছেন।তেলাপিয়া মাছের বারবিকিউটি লোভনীয় হয়েছিলো।আপনার চাচাতো ভাইয়ের জন্য শুভকামনা। বিবাহিত জীবন সুখের হোক।একদিন বাবার বাসায় থেকে আবার শশুর বাড়ি গেছেন কারন আপনাদের আবার ঢাকায় ফিরতে হবে।
অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে গেলে ভালো মন্দ খাওয়া দাওয়া হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি ঠিকই বলেছেন, ছোটবেলায় ভাই বোন একসাথে এক প্লেটে খেয়ে থাকে সচারাচর তবে বড় হলে এসব হারিয়ে যায়। যদিও আমার ভাই বোন কেউ নাই, তবে এগুলো নিয়ে অনেক কল্পনা করেছি। অনেক দিন পর ভাইয়ের সাথে এক প্লেটে খেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আমার কাছে বড় মাছের থেকে এমন ছোট মাছই বেশি পছন্দ। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম পড়ে। ভালো থাকবেন।
আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি ঠিকই বলেছেন বাপের বাড়ি আসলে বাচ্চাকে সময় দিতে হয় না আর মেয়েদের বাপের বাড়ি আসলে ভালোবাসা একটু বেড়েই যায়। আপনি ঠিকই বলেছেন ছোটবেলায় অনেকেই এক প্লেটে ভাই বোন প্রত্যেকে মিলে খাওয়া-দাওয়া করত। কিন্তু আমি এখনো মাঝে মাঝে বাপের বাড়ি গেলে আমি আর বোন দুজনে মিলে এক থালাতে খাওয়া-দাওয়া করি।
প্রতিটা মেয়ে বাবার বাসায় গেলে একদম স্বাধীন কোন কিছু নিয়ে আর চিন্তা করতে হয় না । আজকে নতুন বাসায় গিয়েছিলাম আর সেখানে আপনার বাবা ও ভাই মিলে অনেক মাছ ধরেছে আসলে পুকুর থাকলে মাছ কিনতে হয় না।।। জেনে ভালো লাগলো অনেকদিন পর নতুন বাড়িতে যেয়ে অনেক ভালো লেগেছে।।