Better life with steem || The Diary Game || 16th May, 2024 ||
![]() |
---|
প্রথমেই জানতে চাইবো সকালে কেমন আছেন? আমি অনেক অসুস্থতা নিয়েও আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পেরেছি, তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ, এবং আমি আমার আজকে ডাইরি গেমটি শুরু করছি।
ঢাকাতে আসছি আজ একটা সপ্তাহ পূর্ণ হলো, দুই টা দিন ভালো যেতেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছি। হয় তো নতুন জায়গার আসার কারণে, আমি অসুস্থ থাকলে নিজের এত টা খারাপ লাগে না,, তবে মেয়েটা ও অসুস্থ আমার সাথে সাথে তাই মন মেজাজ দুটাই খারাপ। যে কারণে আপনাদের মাঝেও প্রতিদিন উপস্থিত হতে পারছি না।।
জানিনা আমার সাথে কি হচ্ছে, এই বছরের শুরু থেকেই বেশ কয়েক বার ঢাকায় যাওয়া আসা ।এই মাসে আবার শুরু হয়েছে নতুন করে বাসা নেওয়া,, বাসা গোছানো সব মিলিয়ে যেন হাপিয়ে উঠছে। আমার সবকিছুই যেন অগোছালো হয়ে গিয়েছে । তবুও দিনশেষে সৃষ্টিকর্তা উপরে শুকরিয়া, তিনি যে ভাবে রাখছে তাতে এই সন্তুষ্ট।
![]() |
---|
আজ সকালে ঘুম থেকে একদমই উঠতে ইচ্ছা করছিল না । তবুও ওঠে সকালের রান্না টা করে ফেলি সাড়ে সাতটার ভিতরে। এরপর হাজব্যান্ড কে ডাক দিলাম তিনি ঝটপট রেডি হয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সাড়ে আটটার ভিতরে বেরিয়ে পড়লেন। এরপরে আর রুম গুলো গোছাতে পারেনি।গেটের দরজা লাগিয়ে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ি।
কারণ, একদমই ভালো লাগছিল না। অন্যদিকে মেয়ে কাশি দিতে দিতে বমি করে ফেলেছে,, এরপরে আবার তাকে পরিষ্কার করি। সর্দি এবং কাশি দুইটা এই লেগে আছে মেয়ের পিছনে। বেশ কিছুটা সময় শুয়ে থাকার পরে। মনে হলো আমি যদি এভাবে শুয়ে থাকি অসুস্থ শরীর নিয়ে তাহলে আরো বেশি খারাপ লাগবে তাই উঠে পড়লাম।
![]() |
---|
এবং রান্নাঘরে যেতে চোখে পরলো বাড়ি থেকে নিয়ে আসা কাঁচা আমগুলো, তাই বসে বসে আমগুলো কেটে, ধুয়ে, পরিষ্কার করে টক-ঝাল-মিষ্টির একটা আমসত্ত্ব তৈরি করার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। এরপরে তৈরিও করে ফেললাম কিন্তুু, তৈরি করা শেষে মনে পরলো আমি রোদে দিবো কিসে , যেহেতু নতুন সংসারের অভাবে সবকিছু কিনে উঠতে পারিনি, তাই ভাবছিলাম কিসে দেওয়া যায়। বেশি আর প্যারা না নিয়ে খাবারের থালাতে আমগুলো রোদে দিয়ে দিলাম।
এরপরে গোসল করে আসলাম মেয়েকে নিয়ে ।ও মেয়েকে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে ছিলাম।ঠিক এমন সময় এসে হাজবেন্ড কলিং বেল বাজালো, এবং তিনি ভিতরে আসলো ও আমরা দুজনে মিলে দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিলাম। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুটা সময় ঘুমিয়ে ছিলাম।
![]() |
---|
মেয়ে ঘুম থেকে উঠে, বায়না ধরছে নিচে যাবে, প্রথমে ইচ্ছা করছিল না এরপরে ভাবলাম আমি একটু ঘুরে আসি ভালো লাগবে। এরপরে মেয়েকে নিয়ে নিচে গেলাম এখানে অনেক ভাবি রা আছে তাদের বাচ্চাদের কে নিয়ে আসে খেলানোর জন্য। আমাদের ফ্ল্যাটের সামনে ছোট্ট একটা বাচ্চাদের পার্কের মতো আছে, এবং সেখানে নিয়ে গিয়ে ছিলাম। ওখানে বেশ কিছুটা সময় খেলাধুলার শেষে আমি বাসায় ফিরে আসি।
বাসায় আসার পরে একটু ভালো লাগছিলো তাই আবার সবার জন্য নাস্তা তৈরি করার কাজে লেগে পড়েছে। আমি আজ সন্ধ্যায় নাস্তা তৈরি করেছিলাম, থানকুনির পাতা দিয়ে বড়া আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগে আর হ্যাঁ আপনাদের কাদের পছন্দ জানাতে কিন্তুু ভুলবেন না।
![]() |
---|
নাস্তা করা শেষে মেয়ে পড়াতে বসে গিয়েছি কিছুটা সময় বই পড়ানোর পরে, আজ মেয়েকে খাবার দিলাম এবং বললাম একা একাই হাত দিয়ে খাওয়ার জন্য । যদিও জানি আমাকে খাইয়ে দিতে হবে তবে প্রথমে ওকে দিয়ে শুরু করেছি। এই ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে কবে যে আমার মেয়ে একটু হাত দিয়ে খেতে শিখবে।। এরপরে আমি খাইয়ে দিলাম এবং রাতে খাওয়া শেষে আমি ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে ছিলাম।
এভাবে কেটেছে আমার আজকের দিনটা শরীর খারাপের জন্য ফোনটা ও কেন জানি হাতে নিতে মন চায় না। সবাই আমার জন্য এবং আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন খুব দ্রুত যেন সুস্থ হয়ে উঠি। সবাই ভালো থাকবেন আজ আর লিখব না এখানেই বিদায় নিবো, ধন্যবাদ সবাইকে।
অসুস্থতা আমাদের জীবনের একটা অংশ। তাই সেটাকে সঙ্গী করেই বেচে থাকতে হবে। আয়া করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। বাসা পাল্টানো সত্যিই খুব কষ্টের কাজ এবং সেই সাথে খুব ঝামেলারও মনে হয়। মেয়েকে নিয়ে খেলাধুলা করতে গেলেন এবং বাসায় এসে থানকুনি পাতার বড়া বানালেন।
আপু মনে হয়, আজ সকালে ঘুম থেকে একদমই উঠতে ইচ্ছা করছিল না হবে। অনুগ্রহ করে সংশোধন করে দিবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আবওহাওয়া পরিবর্তন এর জন্য অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আমিও মাঝে অসুস্থতায় ভুগেছি। তার উপর আপনি বাসা পরিবর্তনসহ বিভিন্ন কাজের জন্য শরীরের উপর দিয়ে ধকলও গেছে।
আমসত্ত্বটা অনেক লোভনীয় হয়েছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে সুস্বাদু হবে।
সময়ের সাথে সাথে বাচ্চারা সব কিছু শিখে যায়। আপনার মেয়েও নিজে হাতে খেতে শিখে যাবে।
আপনার ও আপনার মেয়ের জন্য দোয়া রইলো দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে সারাদিনের কর্মকান্ড শেয়ার করার জন্য।
TEAM 2
Congratulations! This post has been voted through steemcurator05. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.Thank you
আমি চাই আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। বাড়ি পরিবর্তন করলে সত্যিই খুব পরিশ্রম হয় সাথে কষ্ট হয়। এখন ঠান্ডা গরমে সব বাচ্চাদেরই শরীর খারাপ করছে। আর বাচ্চারা তো নিজের হাতে খেতেই চায় না। বাচ্চারা সময়ের সাথে সাথে সবকিছু শিখে যায়। আপনার মেয়েও শিখে যাবে। নিজের হাতে খেতে। আপনার পোস্টটি খুব সুন্দর হয়েছে।
জেনে খারাপ লাগলো আপনি এবং মেয়ে দুজনই অসুস্থ।। আর হ্যাঁ একটা জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গেলে সব কিছু গুছিয়ে নিতে একটু সময়ের প্রয়োজন।। দোয়া রইল খুব তাড়াতাড়ি যেন আপনারা সুস্থ হন।।
বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তন এর জন্য অনেক এরকম অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
তবে সন্তানরা অসুস্থ হয়ে গেলে মায়ের বেশি কষ্ট হয়।
তবে নতুন জায়গায় গিয়েছেন কিছুদিন গেলেই পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
দোয়া করি আপনারা যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।