Better Life with Steem|| The Diary Game||15 July 2024
Photo edited by canva
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি,আমার আজকের পোস্টে আপনাদের সবাই কে স্বাগতম।
![]() |
---|
- শুরু করছি সেই সকাল থেকে, ঢাকায় আসার পর থেকে দিন দিন কেমন জানি হয়ে যাচ্ছি আমি।কোন কাজের প্রতি আমার যেন মনে স্থির থাকে না।সবকিছু থেকে কেমন যেন পিছিয়ে পড়ছি। না নিজের পড়ালেখা টা ঠিক রাখছি,না সংসারের কাজ ঠিকমতো করছি।কি বা কমিউনিটির কাজে এই বা মন দিতে পারছি কতটুকু।জানিনা কি হলো মনে হয় মানসিক ডাক্তার দেখাতে হবে আমাকে।সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য যেন, প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে হাজির হতে পারি।
আমার কাছে মনে হয়,সকাল টা যদি ফজরের নামাজ পরে শুরু করি তাহলে দিন টা আমার ভীষণ ভালো যায়।এমন কি সারাদিনে ভীষণ ভালো থাকে। কেমন যেন ভিতর টা হালকা হালকা লাগে,তবে আজ সকাল বেলা শয়তান ঘাড়ে এসে বসার কারণে নামাজ পড়তে পারি নি ।
![]() |
---|
এরপরে উঠে সকালে রান্না করলাম, আখনি এ খাবার টা পোলার চাল দিয়ে রান্না করলে বেশি হয় তবে, আমি ভুলে গিয়ে ছিলাম যার কারণে চাল দিয়ে করেছি তবে, খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছিলো।এরপরে হাজবেন্ড আমি মেয়ে সবাই নাস্তা করলাম।আমার সাহেব অফিসে চলে গেলেন আমি মেয়েকে নিয়ে বাসায় রইলাম।
এরপরে অলসতা না করে রুম গুলি সুন্দর ভাবে গুছিয়ে নিলাম। এবং মেয়েকে একটু পড়তে বসিয়ে ছিলাম। পড়ানো শেষ করে দুপুরে রান্না করতে গিয়েছি, আজ দুপুরে রান্না করেছিলাম পটল ভর্তা, রুই মাছ ভুনা,সাথে ডাল ছিলো।দুপুর রান্না শেষ করে রুমে এসে দেখি কি একটা অবস্থা।
![]() |
---|
- আমার মেয়ে আমার নতুন লিপিস্টিক টা কে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে সব বের করছে এবং তাই মুখে ও হাতের সব জায়গায় লাগিয়েছে। এমন কি আমার বিছানার চাদর টা কে ও নষ্ট করে দিয়েছে।কি আর বলবো, মেয়ের দিকে তাকাতে হাঁ করে কান্না শুরু করছে,উল্টো পরে আমি কান্না থামাই। ভালো লাগে না এত দুষ্টামি,ছোট ছোট বাচ্চারা সবকিছু গুছিয়ে রাখে আর আমার মেয়ে কিভাবে জিনিস নষ্ট করা যায়। খেলনা একটা কিনে দিলে, উল্টো সেই টা কে খুলে দেখবে এটা কি ভাবে তৈরি করছে,,,,,,।
![]() |
---|
এরপরে মেয়েকে নিয়ে গোসল শেষ করলাম, জোহরের নামাজ আদায় করলাম, দুপুরে খাবার খেলাম খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে ছিলাম। এরপরে মনে হলো একটু হাটাহাটি করি, সারাদিনে এ রকম বাসার ভিতরে কেমন জানি লাগে, এক কথায় পোল্টি মুরগির মতো তাই গিয়েছিলাম এই ভিতরে একটা ছোট্ট জাদুঘর আছে সেখানে।
![]() |
---|
এই জাদুঘর আমি আগে আসি নি সময় হয়নি, সেই কারণে আজ হাঁটতে হাঁটতে গিয়েছিলাম বাসার পাশেই খুব একটা দূরে নয়, এই প্যাঁচানো একটু রাস্তা শেষ করার পরে,এখানে গিয়ে দুই খানা ছবি করেছিলাম , ফোন ভিতরে নিতে দেয় না। তাই বাহিরে রেখে গিয়ে ছিলাম, ভিতরে কোন ছবি তোলা হয়নি দেখার মত আহামরি খুব একটা কিছু নেই তবে, মোটামুটি ভিতরে চলে। ভিতরে ছিলো বন্দুক, মূর্তি আরো অনেক কিছু।
![]() |
---|
- এরপরে ওখান থেকে চলে আসি সন্ধ্যা হওয়ার আগেই, বাসায় এসে বারান্দা থেকে জামা কাপড় গুলো তুলে নিলাম,আর তখন দেখ ছিলাম আকাশের সৌন্দর্য টা কি চমৎকার একটা রূপ ধারণ করেছিলো তখন,দেখে আর ছবি না করে থাকতে পারলাম না। সূর্য তার লাল আভা দিয়ে যেন পুরো শহরটা কে ঢেকে রেখেছে।
এরপরে মাগরিবের আজান হলো নামাজ আদায় করে,বেশ কয়েক দিন পরে একটু বই খুলে বসলাম।অনেক পড়তে হবে,তাই কিছু টা সময় ফোন থেকে দূরে থেকে বই নিয়ে বসলাম। পড়া শেষ করে মেয়ে রাতের খাবার খাইয়ে দিলাম।সাথে নিজেও খেয়ে নিলাম। এরপর আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে ছিলাম।
সেই তো এই ছিল আমার আজকের দিনে কার্যক্রম, সবাই ভালো থাকবেন আর হ্যাঁ আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeNW8WGqB2SscxBbm243ErNeLe1aTY8yLYdZGXGZgGfeS/3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD_1.gif)
আমাদের জীবনে মাঝে মাঝে এরকম পরিস্থিতি আসে, যখন আমাদের কোন কিছুই ভালো লাগেনা ওই পরিস্থিতিতেও জীবনকে উপভোগ করার চেষ্টা করা, টেনশন গুলো দুশ্চিন্তাগুলো দূরে রেখে জীবনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া, অবশ্যই ফজরের নামাজ পড়ে দিন শুরু করলে সেই দিনটি অনেক ভালো যায় ,আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দরপুষটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মত আমারও মাঝে মাঝে এরকমটা হয় কোন কাজেই মন দিতে পারি না। কোন কিছুই তখন ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে নিজেকে মানসিক রোগী বলে মনে করি। অনেক সময় সারাদিন একা একা চাপ দেওয়ালের মধ্যে থাকতে থাকতে এই রকমটা হয়। আবার অনেক চিন্তা ভাবনা মাথায় ঘোরাফেরা করলে এরকমটা হয়ে থাকে। আপনার সারাদিনে কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জানতে পারলাম আপনার একটা অসুখ হয়েছে। যে অসুখ আমার সব সময় হয়ে থাকে। আমার এই রোগ ঠিক হবে না এত তাড়াতাড়ি। সেটা আমি জানি তবে আপনার ইমিডিয়েটলি আপনার হাজবেন্ড এর কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। যেন আপনার এই অসুখ তাড়াতাড়ি সেরে যায়। আপনার মেয়ের কান্ড দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। একদিকে আপনার উপকার হল নতুন একটা লিপস্টিক কিনতে পারবেন। আপনার বারান্দা থেকে প্রাকৃতিক দৃশ্যটা বেশ সুন্দর লেগেছে দেখতে। পোস্টের মধ্যেই এত সুন্দর লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।