Better Life with Steem ||The Diary Game|| 14 - 11 - 2023
Photo edited by canva
ফজরের আজান হয়েছে ঘুম ভেঙেছে তবে, এত ঠান্ডা যে কম্বল ছেড়ে উঠতে মন চাচ্ছিল না। তবুও উঠে নামাজ পড়ে নিলাম এরপরে আবার শুয়ে পড়েছি। এখন প্রায় 7:00 টা বাজে কিন্তুু তবুও শীত আমাকে ছাড়ছিল না তাই, প্রথমেই আমি আমাদের উঠান টা ঝাড়ু দিয়ে নিজেকে গরম করে নিলাম। অন্যদিকে শাশুড়ি আম্মা চা বানিয়েছেন, এবং আমি একটা পাকা পেঁপে কেটে নিলাম। এরপরে এগুলো দিয়ে আমরা সকালের হালকা নাস্তা করলাম।
নাস্তা শেষে একটু হাঁটাহাঁটি করছিলাম। হঠাৎ দেখি একটা ছেলে এই বক পাখি টা নিয়ে এসেছে ধরে জমি থেকে তো আমি জানতে চাইলাম কি করবে সে বলল এটা বিক্রি করতে যাচ্ছে, আমাদের এখানে পাখি ধরা নিষেধ কিন্তুু কিছু দুষ্টু ছেলে আছে যারা কিনা পাখি স্বীকার করে থাকে এই শীতের সময়, পরবর্তীতে আমি কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম এটা কত টাকায় বিক্রি করবে, আমাকে বলল ১০০ টাকা দিতে হবে, আমি বলছিলাম না ৮০ টাকা দিবো, এভাবে কিছুক্ষণ কথা বলার পরে সে আমার কাছে ৮০ টাকায় বক পাখি টা বিক্রি করে দিলো। এরপরে আমি বাসায় চলে আসি আর এই পাখিটা তে প্রায় 400 গ্রাম মাংস হয়েছিল।
দুপুর বেলা টা বেশ ভালই কেটেছে, আমাদের পুকুরের পাঙ্গাস, ও সরপুটি মাছ দিয়ে, লাল শাক রান্না করা হয়েছিল সাথে ছিল পাখির গোশত গোসল করে, নামাজ পড়ে সবাই মিলে দুপুরের খাবার টা খেয়ে নিলাম। মেয়ে কে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি আমি আজ আর বিশ্রাম করতে যাই নি, কারণ এখন আমি একটা পোস্ট রেডি করব, তা না হলে আজ আর সময় পাবো না কারণ, রাতে আমাকে বই পড়তে হবে আর পড়া শেষে ঘুম আসে এজন্য এখনই এই কাজ টা রেডি করে রাখছি।
হালকা কিছু কাজ করে নিলাম যেমন: থালা বাসন ধুয়েছি, বাহির থেকে জামা কাপড় এনেছি, ঘর গুছিয়েছি, এবং কিছু বেগুনের চারা গাছে পানি দিয়েছি, এসব কাজ শেষে মেয়ে বলো পাস্তা খাবে তাই, মেয়ের জন্য পাস্তা রান্না করে দিলাম। সন্ধ্যায় আমি ও শশুর, শাশুড়ি মিলে পাস্তা খাই এবং সেই সাথে পরিবারের কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করলাম। আমার মনে হয় কোন কাজ করার আগে পরিবারের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া টা এই বেশি ভালো হয়।
মাগরিবের আজান হয়েছে নামাজ শেষে পড়তে বসেছিলাম কিছুক্ষণ পড়ার পরে খুব খারাপ লাগছিল কেন জানি, অনেক মন খারাপ হচ্ছিলো এরপরে মায়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে নিলাম বেশ ইচ্ছা করছিল বাবার বাড়িতে যাওয়ার জন্য। কিন্তুু সামনে পরীক্ষা এই চিন্তা ভাব না করে আর যাওয়ার কথা বলি নি তবে ভিতরে ভিতরে বেশ খারাপ লাগছিল, যাই হোক এই ছিল আমার আজকের ডেইলি ডায়েরি গেম, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আর লিখছি না, এখানে এই আপনাদের কে বিদায় জানিয়ে শেষ করছি। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
খুব সুন্দর করে একটি দিনের সারমর্ম গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে আপনার দিনলিপিটি আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। এসময় আবহাওয়াটাই এমন যে বিছানার মায়া ত্যাগ করা কঠিন।আপনার সারাদিন খুব ভালো কেটেছে। এভাবেই ভালো থাকুন,জীবন উপভোগ করুন।
ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার একটা দিন বেশ ভালোভাবেই কেটেছে।আসলে যেহেতু আমরা গ্রাম ছাড়া বসবাস করি। তাই শীতের সময়টা অনেক বেশি মজার আমার কাছে মনে হয়। কিন্তু সকাল বেলাটা একটু বেশি ভালো লাগে। কেননা ফজরের নামাজের আজান দিলে নামাজ পড়ার জন্য তো আমাদেরকে উঠতেই হয়। কম্বলটা ছেড়ে ওঠার মন মানসিকতা থাকে না, কিন্তু তারপরে ওঠে নামাজ পড়তে হয়।
পুকুরের তাজা মাছ দেখেই কেমন যেন একটা ভালো লাগা কাজ করছে। আসলে আমি নিজেও মাঝে মাঝে পুকুরের তাজা মাছ রান্না করি। এবং সেই মাছের ঝুল দিয়ে ভাত খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আপনি আপনার মেয়ের জন্য পাস্তা রান্না করেছেন। আপনার একটা দিনের উপস্থাপন করার জন্য, ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য এবং খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
আমি আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লাম। পড়ে আমার খুবই ভালো লগল। আপনি ঘুম থেকে উঠে উঠান ঝাড়ু দিয়ে নিজের শরীরটা একটু গরম করে নিয়েছেন।
তারপর আপনি একটা পেঁপে কেটে খেয়ে সকালের নাস্তা করেছে। দুপুরে লাল শাক মাছ ও বকের মাংস রান্না করেছেন।
সন্ধ্যা কিছু খাওয়া দাওয়া করে আপনার পরিবারের সদস্যর সাথে পরিবার নিয়ে আলোচনা করেছেন।
খুবই ভালো লাগল আপনার দিনলিপিটা পড়ে। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় দিনলিপি পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম। ভালো থাকবেন আপনি সেই দুয়া করি সবসময়।
জি ভাইয়া পরিবারের সাথে মিলে আলোচনা করতে আমার বেশ ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার মন্তব্যের রিপ্লে দেওয়ার জন্য। ভালো থাকুন সবসময় সেই কামনা করি।
জি ভাইয়া আপনিও ভালো থাকবেন ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে কারোরই মন চায় না। কিন্তু দিনের কর্মব্যস্ততার কারণে উঠে যেতেই হয়। আপনার মত আমারও একই অবস্থা। যাইহোক ধাপে ধাপে আপনি আপনার দিনের সবগুলো কাজ এক এক করে করে ফেলেছেন।বক পাখি রান্না করেছেন কিন্তু একটি ছবি দিলেন না।আমার আসলে বক পাখিকে কখনো কাছ থেকে সেভাবে দেখা হয়নি এজন্য বললাম।
যাইহোক আপনার পরীক্ষার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো করে পড়ুন ।নিশ্চয়ই আপনি সফলতার মুখ দেখবেন। ভালো থাকবেন।
আপু বক পাখির রান্না ছবি দেই নি, কারণ খাবার শেষে মনে পড়েছে ছবি তোলার কথা তবে বক পাখিটার ছবি কিন্তুু দিয়েছি। চাইলে উপরের ছবিটা দেখে নিতে পারেন
সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন। সকালে আপনার মতো আমারও বিছানা ছেড়ে উঠতে মন চায় না। সামনে আপনার কিসের পরীক্ষা...???
শীতের দিন আসলে এমনটাই হয় বিছানা ছাড়তে মন চায় না,
জি, আমার অনার্স দ্বিতীয় বছরের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা।
বাবার বাড়ি যাওয়ার আকুতি মনের ভিতর সবসময় কাজ করে। কিছু ই করার নেই।সব সামলিয়ে ই চলতে হবে আমাদের। আপনার দিন লিপি টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময়।
কমেন্টটা করে বেশ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে
আপনাকে ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সবসময়।
আচ্ছা আপু ঠিক আছে আল্লাহ হাফেজ।
আল্লা হাফেজ।
🙌
আপনি সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি যা যা করেছেন সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।।
আমি একটু অবাক হয়েছি বক পাখির কথা শুনে কারণ একটা বক পাখির মাংস ৪০০ গ্রাম হয় সেটা আমার কখনো জানা ছিল না।। আমি অনেক আগে বুকের মাংস খেয়েছিলাম কিন্তু এখন আর খাওয়া হয় না।।
জি ভাইয়া ৪০০ গ্রাম হয়েছিল ওটা অনেক ওজন ছিল তাই। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটা বক্তব্য করার জন্য।
আমি কখনো একটা বকের মাংস ৪০০ গ্রাম দেখিনি একটু আশ্চর্য হয়েছে শুনে।।
যাই হোক কিছু কিছু বকের মাংস একটু বেশি থাকে এটা মানতে হবে।।
জি ভাইয়া আপনি সর্বোচ্চ কত গ্রাম দেখেছেন আর না দেখলে আপনাকে মানতে হবে। আপনি বুঝতে পেরেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ বকের কতটুকু মাংস হয়েছে সেই বিষয়টি পোস্টে উল্লেখ করার জন্য।।
জি ভাইয়া আপনাকেও ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন।
গ্রামে শীত পরে গিয়েছে শুনে কিছুটা অবাকই হলাম। কারন ঢাকাতে এখনো শীতের দেখা নেই। আপনি আপনার দৈনন্দিন কার্যকলাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
জি আপু গ্রামে ভালো শীত পড়েছে তবে বেশি সকাল বেলা বোঝা যায়।
জি আপু গ্রামে বেশ শীত পড়েছে তবে সকাল বেলা বেশি শীত মনে হয়।