শাশুড়ি আম্মা বলল না ও গরম গরম খাও, তাই আমি কয়েক টা পিঠা নিলাম প্রথমে আপনাদের জন্য ছবি তুললাম। এবং হাজবেন্ড ফোন দিলো, তার সাথে খেতে খেতে কিছুটা সময় কথা বললাম। এবং সে আমাকে জানালো তার কাছে শিফট হওয়ার জন্য। এবং তখনই মন টা খারাপ হয়ে গিয়েছে কারণ,😥 এখন আমার শাশুড়ি আম্মা আমাকে রান্না করে খাওয়াতেছে, মাঝেমধ্যে অনেক মজার মজার খাবার খাওয়াই রান্না করে, যে গুলো আমি পছন্দ করি। আর তার কাছে গেলে সবকিছু উল্টা হবে। তবুও কিছু করার নাই তার কথা সম্মতি দিলাম।✋ তবে, এর পিছনে অনেক শর্ত আছে।থাক, সে সব কথা আরে না বলি।

noon time,
দুপুরের রান্না শেষে ভেবেছিলাম গোসল করতে যাব, কিন্তুু বাড়ির গেটের সামনে এসে এক ভ্যান ওয়ালা এমন ভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করছিলো তার জিনিস গুলো বিক্রি করার জন্য,, শুধু বলছিল ১০০ টাকায় ৬ পিস, এরপরে, গিয়ে দেখি আমার পছন্দ হয়েছে তাই, ১০০ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে আসলাম। আর এই ৬ প্যাকেটের মধ্যে কয়েক ধরনের আইটেম ছিল এজন্য বেশি ভালো লেগেছে। ওখান থেকে এসে গোসল করে, জোহরের নামাজ আদায় করে নিলাম।
আজ আমি খিচুড়ি রান্না করেছিলাম, আর ফ্রিজে থাকা মুরগির মাংস বের করে গরম করে নিয়েছি, সাথে ছিল নতুন পদ্ধতিতে চিংড়ি মাছ ভর্তা। ও হ্যাঁ সালাতের কথা তো ভুলেই গেছি, খিচুড়ির সাথে শসার লেবু না হলে আমার একদম ভালো লাগেনা। তাই এগুলো কেটে রেডি করে নিয়েছি। চারদিকে কুয়াশার মাঝে, রান্নাঘরে বসে আজকের দুপুরের খাবার টা একদম জমে গিয়েছিল।
afternoon time,
সারাদিনে একদম, রৌদ্র উঠে নি আজকে। কিন্তুু বিকেল বেলা মনে হলো সূর্যটা একটু দেখা যাচ্ছে। দুপুরের খাবার পরে সবাই 7up খেয়ে ছিলো কিন্তুু আমি খাইনি। তাই বাকিটুকু রয়েছে 7up আমার জন্য। তাই দিন শেষে রোদ্র টুকু দেখতে দেখতে খেয়ে নিলাম।কাল রাত থেকে মেয়ের হঠাৎ করে, প্রচন্ড ঠান্ডা, সর্দি হয়েছে। একদম ভালো মানুষ টা রেখে গিয়েছিলাম পরীক্ষা দিতে এসে দেখি, রাতে ঠান্ডা লেগেছে।
এক পর্যায়ে মেয়ে কাছ থেকে জানতে পারলাম। আমার শাশুড়ি আম্মা রান্নাঘরে থাকা কালীন বাথরুমে গিয়ে ট্যাপ ছেড়ে তার পুতুলের জামা ধুয়েছে। তাছাড়াও ফ্রিজে রাখা চকলেট খেয়েছে,, তাই এরকম হঠাৎ করে গলা বসে গিয়েছে। মেয়ে টা কে নিয়ে আর পারি না। একটু চোখের আড়ালে দুষ্টুমি শুরু হয়ে যায়। এরপরে হাজবেন্ডের কাছে ফোন দিয়ে বললাম এবং তিনি একটা পিসক্রিপশন লিখে দিলো, ওটা দেখে ওষুধ কিনে আনো আমার শশুর।

night,
মাগরিবের নামাজ আদায় করে, সবার জন্য বিকালের চা, বিস্কুট নাস্তা বানালাম। কিছুটা সময় মেয়ের কাছে বসে ছিলাম। মনটা একদমই ভালো লাগছিল না। তাই সন্ধ্যার পর পর অনেক চেষ্টা করে, দুই পিস কেক খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। তাই আজ আর কিছু করতেই ভাল লাগছিল না, এজন্য পোস্ট লিখতে বসছি। আজকের লেখা টা এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে।

আপনার শাশুড়ি হাতের পিঠা বানানো আপনি খুব পছন্দ করেন। এবং দেখেও মনে হচ্ছে পিঠাগুলো খুব সুস্বাদু হয়েছে। আপনার হাজব্যান্ড আপনাকে শিফট হওয়ার কথা বলে তখন আপনার মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। তখন আপনার কিছু করার ছিল না তার কথার উপরে আপনার সম্মতি দিলেন। বাঁচ্চারা একটু ফাঁক পেলেই তারা দুষ্টুমিতে ভীষণ মেতে উঠে। এত পরিমাণ ঠান্ডা পড়ছে আর ট্যাপের পানি তো আরো ঠান্ডা এসবের কারণে আপনার মেয়ের ঠান্ডা লাগছে। ওষুধ এনে দু পিসকে খাইয়ে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে দিলেন।
থ্যাংক ইউ আপু আপনার সারাদিনে কার্যক্রম গুলো উপস্থাপনা করেছেন।
জি আপু পিঠা গুলো বেশ সুস্বাদু হয়েছে,
একদম ঠিক কথা বলেছেন। বাচ্চারা একটু সুযোগ পেলে এত পরিমাণে দুষ্টামিতে মেতে ওঠে। তখন ওরা এটা বুঝতে চায় না যে এর কারণে পরবর্তীতে তারই ক্ষতি হতে পারে।
অসুস্থ থাকার কারণে কোন কিছুই খেতে চাইনি। তাই দুই পিস কেক খেয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। মায়ের মন তে, ওর খাওয়া দেখে আমার চোখ না ভরলে মনে হয় যেন ওর পেট ভরে নাই। ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
শীতের সময় তেলের পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে এবং তেলের পিঠা সবাই সুন্দর করে বানাতে পারেনা যাই হোক আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আপনার শাশুড়ি তেলের পিঠা খুবই সুন্দর তৈরি করতে পারে, সকালে পাখির শব্দ শুনে ঘুম থেকে আপনি উঠে গেলেন এবং উঠে নামাজ আদায় করে নিয়ে রান্নাঘরে গিয়ে দেখতে পেলেন আপনার শাশুড়ি আম্মা সকালের নাস্তা হিসেবে পিঠা তৈরি করছে বিষয়টি দেখে খুবই ভালো লাগছে।
একদম ঠিক বলেছেন তেলের পিঠাটা সবাই তৈরি করতে পারে না।
কারো হাতে একদম ফুলে ওঠে, আবার কারো হাতে কাঁচা থেকে যায়।
যেমন আমি খুব একটা ভালো পারি না। তবে আমার শাশুড়ি আম্মা খুব সুন্দর তলে পিঠা তৈরি করতে পারে।
আর এটা দিয়ে সবাই মিলে নাস্তা করি আর হ্যাঁ,
শীতের সকালে পাখির কিচিমিচি শব্দ শুনতে বেশ ভালই লাগে।
আপনার শাশুড়ি খুব সুন্দর তেলের পিঠে বান ায় শুনে তো খেতে ইচ্ছে করছে।। তার উপর বলেছেন একসাথে সাত আটটা খাওয়া যাবে।। ভাইয়া সাথে কথা বলে আপনার একটু মন খারাপ হয়েছিল কারণ সে তার ওখানে যেতে বলে আর তখন শাশুড়ির আদর থেকে কিছুটা বঞ্চিত হবে সেটা ভেবে।। তারপরও আপনি ভাইয়ের কথায় সম্মতি দিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।।
আর হ্যাঁ আপনার মন খারাপ দেখে একটু খারাপ লাগলো কারণ মন খারাপ করে থাকলে আপনাকে ভালো লেগে না😭
জানিনা এটা কতটুকু সত্য কারণ যখন মন খারাপ হয় তখন নিজের চেহারা তো আর আয়নায় দেখিনা। 🤭
তবে এই কথাটা প্রায় মানুষই বলেছে আমাকে, যেহেতু জন্ম হয়েছে গ্রামে। তাই গ্রামটায় আমার কাছে বেশি ভালো লাগে ।।শহরে গিয়ে থাকলে আমি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ি কারণ ,,এরকম সমস্যার সম্মুখে আমি কয়েক বছর আগে হয়েছিলাম একবার। তাই আমি খুব একটা শহর পছন্দ করি না।
তবুও তো কিছু করার নেই, পরিবার যেটা বলবে সেটাই আমাকে মেনে নিতে হবে।
আমিও আপনার মত অনেক মানুষ দেখেছি যারা গ্রামে থাকতে বেশি স্বাচ্ছন্ন বোধ করে।। আর শহরে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে।। কিন্তু আমাদের পরিস্থিতি আর সময় সব সময় এক জায়গায় রাখে না।।
আপনার হাজবেন্ড এর কাছে কখনো সাথে শিফট হবেন, বিষয়টা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। আসলে বাড়িতে থাকতেই অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার কাছে যেটা আপনার পোস্ট পড়ার পর বুঝতে পারলাম।
ছোট বাচ্চারা শীতের সময় পানি ব্যবহার করলেই তাদের গলা বসে যায়। তাদেরকে অবশ্যই সাবধানতার সাথে রাখতে হয়। আমার ছোট ছেলের মাঝে মাঝে এমন করে যার কারণে সে কথা বললে কিছুই শোনা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
তার কাছে যাওয়ার জন্য আমার খুব একটা ইচ্ছা নেই, কারণ আমার কাছে শহর এলাকার থেকে গ্রাম এলাকাটায় সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে হাতের নাগালে সব কিছু পাওয়া সম্ভব।তবু ও হাজবেন্ডের কথা তো আর অমান্য করা যায় না।
বাচ্চারা একটু সময় পেলেই তাদের দুষ্টামি এত বেশি বেড়ে যায় যেটা আমাদের ধারণার বাহিরে আর এইরকম দুষ্টুমির কারণে আমার মেয়েটা হঠাৎ করে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
আমার মা'কেউ দেখতাম যখন তখন এই পিঠা বানাতে। আপনার শাশুড়ির বানানো পিঠার ছবি দেখেই মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো হয়েছে। আপনার খিচুড়ি দেখে লোভ লাগতেছে। আগামীকাল মনে থাকলে খিচুড়িই রান্না করবো। চিংড়ি ভর্তার পাশে গুঁড়া গুঁড়া ঐগুলি কি আপু।
আপনি পুতুলের কাপড় ধুয়ে দেন না তো কি করবে ,সে নিজেই ধুয়েছ। সাবধানে রাখবেন ওকে। বাচ্চাদের একবার ঠান্ডা লাগলে সহজে সারতে চাই না।
ভালো থাকবেন সবসময়।
জি আপু,, একদম ঠিক অনেক সুন্দর তেলের পিঠা তৈরি করতে পারে। মাঝে মাঝে তো বলি তার অনুপস্থিতে এগুলো অনেক বেশি মিস করবো।
খিচুড়িটা খুব অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করেছিলাম তবে খেতে বেশ ভালো হয়েছিল। আর হ্যাঁ আপু ওইটা হচ্ছে চিংড়ি মাছের গুড়ো শিল্পাটাই বেটে নিয়েছিলাম ভেবেছিলাম ভর্তা তৈরি করব খুব আঠালো করে।।
তবে সেটা হয়নি কারণ দুনিয়া পাতাগুলো এড করতে মনে ছিল না, তাই আলাদা আলাদা করে করেছি খাওয়ার সময় শুধু মাখিয়ে খেলেই হবে। তবে এই টা আমার কাছে একদমই নতুন মনে হয়েছে। কিন্তু এত বেশি ভালো লেগেছে খেতে সেটা লিখে বোঝানো যাবে না।।।
জি আপু একদম ঠিকই বলেছেন কিন্তু আমার মেয়ে,,, আমি ধুয়ে দিলে হবে না তার নিজের ধুইতে হবে তাহলে নাকি বেশি খুশি হয় আর পুতুল।
এমনিতেও ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দিনের কিছু কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।