Better Life with Steem|| The Diary Game||1 February 2024
প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। নতুন একটি ভোরের আলো দেখতে পেয়ে। এবং পরিবার-পরিজন কে নিয়ে খুব সুন্দর একটি দিন কাটাতে পেরে। এবং আমি বেশ আনন্দিত আপনাদের মাঝে আবার আসতে পেরে।
- আনন্দিত মনে আজকের সকাল বেলা কাটানো
অন্য দিনের তুলনায় আজ একটু ভোরেই ঘুমটা ভেঙেছে। ঘুম থেকে উঠে জলদি করে ফ্রেশ হয়ে সকালে নাস্তা বানানোর জন্য রান্না ঘরের দিকে যাই। যদিও আজকে সকালের নাস্তা আমার শাশুড়ি আমায় বানিয়েছে। তবে তার কাজে বেশ খানিক টা সাহায্য করেছি। এবং সবাই মিলে সকালের নাস্তাটা করে ফেলি। সকালের নাস্তা ছিল গরম ভাত, ডাল আলু, ভর্তা মিশিয়ে এবং ডিম। মূলত আজ আমি একটু আনন্দিত কারণ, গতকাল রাতে ঠিক করেছি আজ আমরা আমার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাবো, আর সেই কারণে একটু নিজের মনের ভিতর আনন্দ কাজ করছিলো।
- বাবার বাড়ি যাওয়ার সময় আমাদের কিছু ফটোগ্রাফি
সকালে নাস্তা শেষে গোসল শেষে,মেয়ে কে সহ নিজেও রেডি হয়ে নিলাম, তখন প্রায় এগারো টা বাজে , আমরা বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েছি, এবং হাঁটছিলাম গাড়ি হয়তো কিছুক্ষণের ভিতরে গাড়ি এসে যাবে একথা ভেবে কিছু ফটোগ্রাফি করলাম আমরা তিনজনে মিলে , এরপরে গাড়ি আসলো আমরা আমাদের বাজারে চলে আসি। এবং এখান থেকে আমার সাহেব একটু কেনাকাটা করল শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার জন্য, এরপরে আমরা গাড়িতে উঠে পড়ি ও আমার বাবার বাড়িতে এসে পৌঁছে যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই।
- মধ্য দুপুর বেলা আমাদের কে নাস্তা দেওয়ার সময়
বাবার বাড়ি এসে প্রথমে সবার সাথে কথা বললাম, সবার খবর নিলাম, এরপরে ফ্রেশ হয়ে আসলাম আম্মু আমাদের জন্য রাস্তা রেডি করলো, মিষ্টি, আপেল ,কমলা, এই পিঠা, আমার পছন্দের আইসক্রিম। যদিও এখন শীতকাল তবে একটু হেটেছি গরম লেগে গিয়েছে তাই আইসক্রিম টা কিছুটা খেয়ে নিজেকে ঠান্ডা করলাম ভীষণ মজার ছিলো।
- দুপুর বেলা খাওয়া দাওয়ার সময়
আমার আম্মু দুপুর বেলা বিরিয়ানি রান্না করেছেন, আমরা আসবো বলে কারণ আম্মু জানে আমি বিরিয়ানি অনেক পছন্দ করি। পরে সবাই মিলে ডিম এবং বিরিয়ানি খেলাম। খাওয়া শেষ আম্মু সাথে বেশ খানিক টা সময় গল্প করি এবং একটু ঘুমিয়ে ছিলাম। বেশ অনেক দিন পরে মনে হয় একটা ভালো ঘুম দিলাম।
- বিকেল বেলা ওসমান সিরিজ দেখার সময়
বিকেল বেলা আমি এবং আমার ভাই মিলে ওসমান সিরিজ দেখতে ছিলাম, এই সিরিজটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে, ৩২ পর্ব পর্যন্ত দেখেছি, এবং সাথে ছিলো গরম গরম বাদাম ভাজা খুব সুন্দর ভাবে বিকাল টা কেটেছে আমার, শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কোন চিন্তা নেই কারণ শাশুড়ির কাছে বলেই এসেছে, দুই দিন থাকবো বলে।
আমার কাছে মনে হয় বাবার বাড়ি এমন একটা জায়গা, আসলে আর যেতেই মন চায় না। তবুও আমাদের নিজেদের কে বেঁধে রাখার কোন সুযোগ নেই, পরের বাড়ি পরের ঘর সবকিছুই নিজের করে নিয়ে সুন্দর ভাবে দিন কাটাতে হয়। আপন কে পর এবং পর কে আপন করে খুব সুন্দর ভাবে সংসার গোছাতে হয়। আর একটা নারী যখন এইসব খুব সুন্দর ভাবেই মেনে নিতে পারে তখন এই, কোন একটা বাড়ির মেয়ে অন্য কোন একটা বাড়ির বউ হতে পারে।
যাইহোক, আজ আর লিখব না, সবাই ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন, সবার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাদের বাপের বাড়িতে যাওয়ার পোস্টগুলো যখন পড়ি, মনটা এমনিতেই কেমন খারাপ হয়ে যায়।কারণ আমি বিয়ের পর থেকে মা না থাকার কারণে বাপের বাড়ি যাওয়ার আনন্দটা সেই ভাবে অনুভব করতে পারেনি। তবে আগেও বলেছি,আমি মামা বাড়িতে যখন যাই আমি খুব আনন্দে কাটাই। ভালো লাগলো সকলকে সাথে নিয়ে বাবার বাড়িতে কাটানো দিনের গল্প পড়তে। শীতের মধ্যে আইসক্রিম খেতে খুব বেশি খারাপ লাগে না, তবে ঠান্ডা লাগার একটা চান্স থাকে, তাই একটু ভয় লাগে এই আর কি। ধন্যবাদ আপনাকে সারাদিনের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
দিদি আপনার কমেন্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। বিয়ের পরে ও ভাবে বাবার বাড়িতে যেতে পারে না।। তবে, শুনে বেশ ভালো লাগলো মামার বাড়িতে গিয়ে খুব আনন্দ করা হয়।
একদম তাই শীতের সময় আইসক্রিম খেতে খুব একটা মন্দ লাগে না তবে, ঠান্ডা লাগার একটা চান্স থাকে। ধন্যবাদ দিদি খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
আপনার আজকে সকাল বেলা নাস্তাটা খুব ভালো ছিল এবং লোভনীয় গরম মতের সাথে ভর্তা ডিম ভাজা। বাবা বাড়িতে যাচ্ছেন বলে খুব আনন্দসহকারে রেডি হয় রওনা দিলেন হাজবেন্ড এবং মেয়েকে নিয়ে। আপনার সাহেব মনে হয় মেলাদিন ছুটি এনেছে কারণ প্রত্যেকবারে এসে দুই একদিন থাকে এবার তো দেখলাম অনেক দিনই
আছে। বাবা বাড়িতে গেলেন অনেক কিছু খেতে দিয়েছে দেখে বোঝা যাচ্ছে।
থ্যাংক ইউ আপনার সারাদিনের ডাইরি গেম খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা শুনে মনের মধ্যে একটা আনন্দ কাজ করে। ধন্যবাদ সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি দিনে কাটিয়েছি।
বাপের বাড়ি মেয়েদের কাছে অনেকটা বেহেশতের মতো। বাপের বাড়ি ঢ়াওয়ার কথা মনে হলেই একরকমের শান্তিতে মন শীতল হয়ে যায়।
শীতের মধ্যে আইসক্রিম খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে আর,এখন চীত অনেকটাই কমে গিয়েছে। আপনার আম্মু আপনাদের জন্য বিরিয়ানি রান্না করেছেন যা আপনার অনেক পছন্দের। আর দেখতেও অনেক লোভনীয় লাগছে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার মায়ের বাড়ি যাওয়ার নিয়ে লেখা পড়তে ছিলাম আর আমার নিজের মনটা খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছিল এটা ভেবে যে কতদিন এভাবে আমার মায়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া হয় না।
অবশ্য ভাইদের বাড়ি কাছেই আছে কিন্তু সেখানে যেয়ে থাকা হয় না কখনোই। থাকতে বলে না যে এমন না, কিন্তু বাসার এত কাছে যে আর থাকা হয় না।
বাবার বাড়িতে যাওয়া মানে খাওয়া আর খাওয়া। একটা মা অল্প সময়ের ভেতর যতটুকু পারে সেটুকু মেয়েকে খাওয়ানোর চেষ্টা করে।
ভালো লাগলো আপনার জন্য লেখা পড়ে
পরিবারের সাথে আনন্দে সময় কাটান।
আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝলাম যে আপনি বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছেন।এটা প্রত্যেক মেয়ের জন্যেই খুশির খবর। ভালো থাকবেন সবাইকে সাথে নিয়ে।
আজ বাবার বাড়ি যাবেন সেজন্য একটু বেশি আনন্দিত।। আর হ্যাঁ ভাইয়া শ্বশুর বাড়িতে যাবে তাই ভাইয়া হয়তো অনেক আনন্দিত।। আর শ্বশুর বাড়িতে যাবে কিছু নেবে না তা কি আর হয়।। আর বিরিয়ানি টা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে।।
ধন্যবাদ আপু আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।।
আপনি আপনার বাবার বাড়িতে গিয়ে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। যাবার পথে আপনার সেলফিটি দারুণ হয়েছে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি দিন পার করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের ঐতিহ্য একা একা মেঠো পথ তার উপরে ইটের সলিং দেখতে অন্যরকম লাগে। আমাদের বাড়ির সামনেও এমন ইটের সলিং দেওয়া হয়েছে।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম গুছিয়ে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।