Better Life With Steem || The Diary game || 05 April 2024

in Incredible India6 months ago (edited)

প্রথমেই জানতে চাইবো আমার প্রিয় বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি, প্রতিদিনের মতো আজ ও আপনাদের মাঝে আবার হাজির হলাম আমার আজকের দিনের কার্যক্রম নিয়ে।

আজ সেহরি খেতে উঠেছিলাম তিনটা বাজে ৫০ মিনিট উঠে হাতমুখ ধুয়ে খাবার গুলো একে একে সব গরম করে, সবাই মিলে একসাথে সেহরি খাওয়ার সম্পূর্ণ করলাম। সেহেরি খাওয়া শেষে ফজরের নামাজ আদায় করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

এরপরে আবার ঘুম থেকে উঠেছিলাম আট টা বাজে। ঘুম থেকে উঠে থালা বাসন ধুয়ে, ঘর গুছিয়ে, কিছু জামা কাপড় ধুয়ে রোদে শুকাতে দিয়েছিলাম। এরপরে, কিছুটা সময় ফোন হাতে নিয়ে কয়েক টা কমেন্ট করে ছিলাম। এর কমেন্ট করা শেষ করে কিছুটা সময় হাতের কাজ করি। গতকালকে আমি একটা ডিজাইন করে জামা তৈরি করেছিলাম, আর সেটা দেখে মেয়ে বায়না ধরেছে তারও এরকম একটি জামা দরকার, কি আর করার তার আবদার রাখার জন্য জামা তৈরি করছি।

এরপর, রান্না ঘরে যাই আজ ভাবছি দুপুরের আগে রান্নার সবকিছু গুছিয়ে রাখবো। তাই রান্না ঘরে চলে আসলাম। গতকাল কে আমার শশুর বাজার থেকে সজনে ডাটা কিনে এনেছিলো আমি এর আগে কখনো খাইনি, তবে আমার আমার সাহেব বেশ পছন্দ করে, এবং বললো আমাকে রান্না করার জন্য, কি যে মুশকিল!! এরপরে সাহেব ইউটিউব থেকে একটা রেসিপি দেখিয়ে দেন, সজনে ডটার আর ওটা কে ফলো করে প্রস্তুতি নিতে ছিলাম।

f5b717b5-a56e-4ffb-bd2f-b3b599970798.jpg

তবে হ্যাঁ, আমার এই রেসিপি পিছনে আমার সাহেবের অনেক বড় একটা ভূমিকা রয়েছে, কাটা থেকে শুরু করে ধুয়ে পর্যন্ত দিয়েছিলো, আমাকে বাকি রান্না টা আমি করেছিলাম। যাইহোক বাকি তরকারি এবং ইফতারি গুলো রেডি করে রেখে, আমি গোসল করে এসেছি। এরপরে যোহরের নামাজ আদায় করেছি। অন্যদিকে দেখলাম মেয়েকে শাশুড়ি আম্মা খাইয়ে দিয়েছে তাই, নামাজ শেষে বেশ কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম।

উদ্দেশ্য ছিলো কিছুটা সময় শুয়ে শুয়ে রেস্ট নিব তবে, শরীর টা এত বেশি ক্লান্ত ছিলো বেশ অনেক টা সময় ঘুমিয়ে নিয়েছি এবং উঠে দেখে প্রায় চার টা বেজে গিয়েছে, তাই রান্না এবং ইফতারি টা সম্পূর্ন করলাম, এবং রান্না করার ফাঁকে আসরের নামাজ আদায় করে নিয়েছিলাম। এরপর আমি এবং আমার সাহেব মিলে সবার জন্য টেবিলে ইফতারি গুলো গুছিয়ে নিলাম।

c07e1bea-0f99-4e2c-ad9a-bed655b913ea.jpg

এরপরে ইফতারের সময় হলো ও সবাই মিলে ইফতারি সম্পূর্ন করেছিলাম। এরপরে মাগরিবের নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষে মেয়ে পড়তে বসিয়ে ছিলাম, কিন্তুু মনটা ভীষণ খারাপ ছিলো, আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় আট বছর তবে, এই আট বছরে একটা বারও ঈদের দিন বাবার বাড়িতে যেতে পারে নি, ঈদের পরের দিন ছাড়া হয়তো শ্বশুর বাড়ির লোকজন ভালোবেসে তাই যেতে দেয়নি তবে, আমার ভিতর টা কিন্তুু খুব খারাপ লাগে এই ব্যাপার টা নিয়ে।

  • তাই মনটা খারাপ করে কিছুটা সময় বসে ছিলাম। মাঝে মাঝে চিন্তা করি যদি বিয়ের আগের দিনগুলো আবার ফিরে পেতাম!!

যাইহোক, এসব চিন্তা করতে করতে অনেক টা সময় পার হয়ে গিয়েছিলো।এরপরে এশার নামাজ আদায় করে রাতের খাবার খেয়ে ছিলাম। এরপরে আজকের দিনের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করে, ঘুমাতে গিয়েছিলাম।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন,ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।

Sort:  
Loading...
 6 months ago (edited)

এত সুন্দর সারাদিনে কার্যলিপি তুলে ধরার জন্য, আপনাকে ধন্যবাদ সজনে ডাটা আসলে খুব খেতে মজা ,এর ভাজি বা ডালের সাথে খেলে দেখতে ভালো এবং এতে সুস্বাদু

 6 months ago (edited)
  • বিয়ের পর মেয়েদের স্বাধীনতা বলতে তেমন একটা থাকে না। সত্যিই অনেক কষ্টের, আট বছরে একবারও মায়ের সাথে ঈদ করতে পারেননি। এটা আসলে আমরা যেভাবে ভাবি শ্বশুর বাড়ির লোকজন সেভাবে ভাবে না। তাই ওরা বিষয়টিকে হালকা ভাবে। মন খারাপ করবেন না আপু আমার ক্ষেত্রেও তাই। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
 6 months ago 

একদম তাই বিয়ের পরে মেয়েদের কোন স্বাধীনতাই থাকে না সবকিছু অন্যের অধীনে।
যখন থেকে বুঝতে শিখেছি মন খারাপ করেও কোন লাভ নেই এবার মন খারাপ করে শুধু নিজেকে কষ্ট দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নাই,।

তাই ভাবছি শুধু শুধু মন খারাপ করে নিজেকে কষ্ট কেন দিব তবে, একটা জায়গা থেকে কিন্তু একটু খারাপ লাগা কাজ করেই।।।

 6 months ago 
  • একদম সঠিক কথা বলেছেন, মন খারাপ করে কোন সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাস্তবতা মেনে নেওয়া উত্তম। তবে মনের অজান্তে মাঝে মাঝে মন খারাপ হয়ে যায় কোন বিষয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে গুছিয়ে রিপ্লাই দেওয়া জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

এই যে আমরা বাপের বাড়ি, শশুর বাড়ি বলি আসলে এই কথাটি বলাই ঠিক না। এভাবে শুধু নিজের মনে কষ্টই বাড়ে। আপনার মত একই
অভিজ্ঞতা এদেশে লাখো নারীর জীবনে আছে।
তাই মন খারাপ করবেন না। মেয়েকে সুন্দর ডিজাইনের জামা বানিয়ে দিয়েছেন আবার স্বামীর পছন্দমত সাজনা ডাটা রান্না করেছেন। যেহেতু আপনার স্বামী ছুটিতে বাড়িতে আছে তাই সব মিলিয়ে আপনার সময়টা চমৎকার কাটছে বলে মনে হচ্ছে। আপনার প্রতিটি দিন সুন্দর হোক এই কামনাই করছি।

 6 months ago (edited)

আমি সজনে ডাটা কোন সময় খাইনি কিন্তু এর অনেক উপকারীর দিক শুনেছি। কোন সময় খাইনি যখন একদিন খেয়ে দেখবো এই স্বাদটা কি রকম।

আসলে বিয়ের পর সব মেয়েদের এরকমই হয় তার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ কাটাতে হয়। এটা নিয়ে মন খারাপ করতে নেই,, আর এটা ভেবে কখনো মন খারাপ করবেন না।

মেয়ের আবদার পূরণ করার জন্য নতুন ডিজাইনের জামা বানিয়ে দিতে হবে, যেহেতু আপনি নিজেই একজন টেইলার্স। আপনার স্বামী ছুটিতে বাড়িতে এসেছে এবং আপনার সব কাজে হেল্প করছে জেনে খুব ভালো লাগেছে। সবকিছু মিলে আপনার পুরো দিনটি খুব সুন্দর ভাবেই কেটেছে থ্যাঙ্ক ইউ।

 6 months ago 

আপনার সাহেবের মত আমারও সহজ না অনেক পছন্দ। সজনে ডাটা রান্না করার উপকারিতা সহ খুব বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছেন।মেয়েরা সব সময় মায়ের কাছে বেশি আবদার করে। আর মায়েরা মেয়েরা আবদার কখনো কি ফেলতে পারে এমনটা কখনোই হয় না।

সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 6 months ago 

প্রতিদিনের মতো আজকেও সেহেরীতে সঠিক সময় উঠেছেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছেন।। আর হ্যাঁ এরকম ডাটা আমি এর আগে খেয়েছি খুব বেশি খারাপ লাগে না।।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 62555.95
ETH 2435.55
USDT 1.00
SBD 2.64