ছুটি শেষে, আবার নিজের ঠিকানায় ফেরা,,।
Photo edited by canva
Hello,
Everyone,
আনন্দের দিনগুলো খুব দ্রুত কেটে যায়, যা কল্পনার বাহিরে, এবারের ছুটি টা এত দ্রুত শেষ হয়ে গেল আমি তো বুঝতেই পারলাম না। আমার একদমই মন চায় ছিল না ঢাকায় ফিরতে। কিন্তুু পরিবেশ আর পরিস্থিতি আমাকে আবারো ও এই ঠিকানায় ফিরতে হয়েছে। তবে শুকরিয়া আদায় করছি।
সৃষ্টিকর্তা যেভাবে রেখেছেন তিনি অনেক ভালো রেখেছেন। অনেক বড় কিছু চাওয়ার বা পাওয়ার আশা আমি কখনোই করি, শুধু একটাই কথা আল্লার কাছে তিনি যেভাবেই রেখেছেন তিনি যেন সুস্থ রাখেন সবাইকে।
হাজবেন্ডের ছুটিতে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলাম, শশুর বাড়ি বাবার বাড়ি বেশ ভালো কেটেছে আমার এই কটা দিন। ছুটি শেষ করে আজ আমার ঢাকায় ফেরার পালা। কেন জানিনা এবার বাড়ি থেকে আসার সময় শুধু কান্না আসছিলো, কারণ মায়ার টানে, আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় আট বছর এ কটা বছর আমি আমার শ্বশুর বাড়ির আনাচে কানাচে কত মায়া এবং কত স্মৃতি লুকিয়ে আছে আমার।
এমন একটা সময় ছিলো, শ্বশুরবাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার পরে সারাদিন কাজ করে,যখন নিজের বিছানায় ঘুমাতে যেতাম আমার মনে হতো কয় এক সেকেন্ডের মধ্যেই আমার ঘুম চলে আসছে। কত ভালো লাগা মন্দ লাগার ছিলো,আজ সবকিছু ফেলে রেখে চলে যাচ্ছি।
সবকিছু অনেক বেশি মিস করছিলাম, আজ চলে যাব বলে শাশুড়ি আম্মা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে রান্না করলেন, এবং আমাদের জন্য খাবার দিয়েও দিলেন। তাদের এই ভালোবাসা গুলো অনেক বেশি মিস করছিলাম। তবুও কি আর করার সকাল সকাল রেডি হয়ে নিলাম।
কারণ আজকাল যখন তখন বৃষ্টি নেমে পড়ে,,আমার শ্বশুর আমাদের জন্য অটো গাড়ি ঠিক করে দিলেন। রেডি হয়ে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম, বাসায় সাথেই রাস্তা গাড়ি এসে দাঁড়িয়ে ছিল। তাই আমরা গাড়িতে উঠে পড়ি।
যাওয়ার সময় আমার মেয়ে কত গুলো শাপলার ফুল হাতে নিয়েছে তিনি এগুলো নিয়েই বাসা পর্যন্ত যাবে, নিষেধ করা পরেও একটাই কথা এগুলো হাতে থাকবে, তাই আমিও আর কিছু বলিনি ছোট বাচ্চা মানুষ।। ছোট সময় বাচ্চারা তো কত বায়না এই করে।।।
এরপরে, আমরা কাউন্টারের কাছে চলে আসি, এবং সেখান থেকে দুই টা টিকিট নিয়ে আমরা চলে আসছি গাড়ির ভিতরে। গাড়িতে এসে কিছুটা সময় বসার পরে গাড়ি টা ছেড়ে দিয়েছে।গাড়িতে উঠলেই আমার একটা ভয় কাজ করে সে এটা হলো আমার মেয়েকে নিয়ে কারণ ও গাড়িতে উঠলে বমি করে দেয়। তবে আল্লাহর রহমতে আজ আর এমন টা হয়নি, গাড়িতে ওঠার পরেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলো।
খুব ভালো ভাবেই চলতেছিলো,আমরা পদ্মা সেতু পার করলাম এরপরে ছোট একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিলো, অন্য একটা ট্রাক হঠাৎ করে এসে আমাদের গাড়িটা কে একদম সামনে থেকে লাগিয়ে দিয়েছে, কি যে একটা অবস্থা সব মানুষ গুলো সামনে এসে ছিটকে পড়েছিলো,,,।
আমি ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, বর্তমানে অবস্থার কি আর বলবো এমন কিছু নেশাখোর ড্রাইভার রাস্তায় গাড়ি চালায়,মন যে কোন দিক থাকে সামনে কিছু আছে কিনা খেয়াল করে না। মনে হয় যেন রকেটের গতিতে সবকিছু ভেঙ্গে চুড়ে সবার আগে যাবে, তবে আল্লার রহমত ছিলো। তাই তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি কিন্তুু একটা ছোট্ট বাচ্চা হাতে ভীষণ ব্যথা পেয়ে ছিলো।
এরপরে আমরা দীর্ঘ চার ঘন্টার অতিক্রম করার পরে বাসায় এসে পৌঁছে ছিলাম।আজকে থেকে আবার শুরু হলো আমার সাংসারিক কাজকর্ম। তবে সাথে আপনারাও থাকবেন। পরবর্তীতে আবার হাজির হবো কোন পোষ্টের মাধ্যমে ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।।।
খুশির খবর কবে পাবো সেই অপেক্ষায় রইলাম। সংসার জীবনে নাম লিখিয়ে ফেললে বেশিদিন দায়িত্ব এড়ানো সম্ভব নয়।
ভালো থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন সবসময়।
🫣😃😁 বেশি না একটু লজ্জা পাইছি।
ইনশাআল্লাহ্, মনে মনে ধরে নেন খবর টা পেয়ে এই গেছেন।
দিদি দোয়া করবেন আমার জন্য, যেন সুস্থ থাকি আপনাদের মাঝে।
একদম ঠিক কথা, সংসার জীবনে একবার নাম লিখিয়ে ফেললে আর কোন ভাবে দায়িত্ব এড়ানো সম্ভব নয়,,,
মাঝে মাঝে মনে হয় এমন ভুল আর জীবনে করবো না, 😁😁
ধন্যবাদ দিদি,,,।