দুর্গা ঠাকুরের মুখের ড্রইং
আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই। আজ মহালয়া। কিন্তু আমি সকালবেলায় উঠে মহালয়া শুনিনি। আমার ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরি হয়েছে। যেহেতু আজকে ছুটি ছিল স্কুল। এর সাথে যেহেতু গান্ধী জয়ন্তী বলে স্কুল ছুটি দিয়েছে। তাই আমি অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলাম।
মহালয়া কখন হয়েছে আমি তাও জানিনা। তারপরে আমি দিদির সাথে আজকে সকাল বেলায় প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম। স্নান খাওয়া দাওয়া করে আমি দিদির প্রোগ্রামে গিয়ে দিদির গান শুনলাম।। প্রোগ্রামে খুব ভালো লেগেছে কারণ সেখানে গরিব মানুষদের জামা কাপড় দেয়া হচ্ছিল। ওখানে অনেক কাকু জেঠুরা ছিল। অনেক বড় বড় ডাক্তার ছিল।
প্রথমে বাবা আর দিদি আমাকে নিয়ে যেতে চাইছিল না। কিন্তু আমি জেদ করে গিয়েছি। তারপর আসার সময় আমাদের আবার টিফিন দিয়েছিল। বাড়িতে এসে সেই টিফিন খুলে দেখি, তাতে কচুরি আর তরকারি আছে। আর একটা ভালো মিষ্টি ও ছিল। আমি এবং সবাই মিলে সেই টিফিন খেলাম বাড়িতে এসে। তারপরে আমি পাশের বাড়ি দাদার কাছে চলে গিয়েছিলাম দাবা খেলতে।
আসলে দাদা প্রত্যেক সপ্তাহের রোববারে থাকে। তাই দাদার সাথে রোববার করেই দেখা হয়। এদিকে আমার স্কুলে দাবার কম্পিটিশন আছে। আমি নাম দিয়েছি। তাই দাদার সাথে আমার দাবা খেলতে ভালো লাগে। দাদা বলতে মৌসুমী বৌদির বর। আমি দাদা বলে ডাকি। দাদা আমাকে খুব ভালোবাসে। আমি বিকেল বেলাতেও দাদার সাথে খেলছিলাম। সারাদিন আজকে ছবি আঁকিনি বলে দিদি খুব রাগ করে আছে।
লিংক
একটু আগে ছবি এঁকে দিদিকে যখন ভিডিও এডিট করতে বললাম , দিদি খুব রেগে গিয়েছিল। তাড়াহুড়ো করে আমি ছবি এঁকেছি। হয়তো সময় নিয়ে আঁকলে আরো ভালো ছবি আঁকতাম।
প্রত্যেক দিনের মতো ভিডিও আমার চ্যানেল থেকে আমি এখানে শেয়ার করলাম।
প্রথম ধাপ
প্রথম ধাপে আমি মা দুর্গার মুখের আকৃতি বানানোর চেষ্টা করছি। স্কেলের সাহায্যে আমি মুখের মাথার অংশটুকু দাগ কাটলাম। তারপর মুখের গোল অংশটুকু হাত দিয়ে আঁকছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার আমি দুর্গা ঠাকুরের মুকুটের অংশটুকু আঁকার চেষ্টা করছি। কানের সাজের জায়গাটা এঁকে নিচ্ছি।
তৃতীয় ধাপ
চোখ আঁকার জন্য আমি স্কেল দিয়ে আবার দাগ কেটেছি। তারপর চোখগুলোকে এঁকে নিয়েছি। এর সাথেই লম্বা দাগ কেটে ঠোঁট এবং নাকের জায়গায় একে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
চতুর্থ ধাপে আমি সমস্ত রকম পেন্সিলের কাজ শেষ করেছি। সাজের জায়গাগুলো আরো ডিটেইল করার চেষ্টা করেছি।
পঞ্চম ধাপ
এই জায়গা থেকে আমার রং করা শুরু হয়েছে। প্রথমেই আমি হলুদ রঙের ব্রাশ পেন ব্যবহার করে মা দুর্গার পুরো মুখটাকে রং করে নিচ্ছি। তারপর ঠোট এবং টিপের রং লাল করে নিলাম। এবার চুলের রং শুরু করব।
ষষ্ঠ ধাপ
চুলের রং আমার আঁকা হয়ে গেছে। এবার আমি সাজের রং শুরু করব। এর সাথেই আমি চোখের মনি রং বাদামী ব্রাশ পেন দিয়ে করেছি। সাথে চোখের বর্ডার কালো স্কেচ পেন দিয়ে করেছি।
সপ্তম ধাপ
আমি এখানে কমলা এবং সবুজ রং আর সাথেই রানী রঙের ব্রাশ ফ্রেন্ড ব্যবহার করে আমার মন মতো করে দুর্গা ঠাকুরের সাজের রং করছি।
অষ্টম ধাপ
কিছু কিছু জায়গায় ফাইনাল টাচ দেওয়ার পর আমার আঁকা দুর্গা ঠাকুর তৈরি হয়ে গেছে।
ফাইনাল
খাতা অনুযায়ী দুর্গা ঠাকুরের মুখটা আমার কাছে একটু বড় লাগছে। কিন্তু তাও আমার কাছে এটা ভালো লাগছে।
আজকে মহালয়া। তাই আমি দুর্গা ঠাকুরের মুখ আঁকবো এটাই ভেবে রেখেছিলাম।
আমি ভালো ছবি আঁকতে পারি না তবে আপনার আর্ট দেখে মনে হয় যে আপনি একদিন অনেক বড় আর্টিস্ট হবেন। এর আগেও আপনার আঁকা অনেক ছবি আমি দেখেছি আজকেও দেখলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দুর্গা ঠাকুরের মুখের আকৃতি অঙ্কন করার জন্য ভালো থাকবেন।
সামনেই আসছে দুর্গাপূজা। তোমার ড্রয়িং টা খুব সুন্দর হয়েছে। শুধু মা দুর্গাকে আঁকলে হবে না সাথে মা দুর্গার ছেলেমেয়েরা কোথায় গেল। এইভাবেই প্রত্যেক দিন নতুন নতুন ছবি আঁকতে থাকো।খুব ভালো লাগছে ছবি আঁকা গুলো দেখতে।
Great drawing! Join some contests and show your face.