We think more about others than ourselves
আমরা নিজেকে নয় অন্যকে নিয়ে খুবই বেশি ব্যস্ত। তাহলে ভাবতেছেন জাকারিয়া এ সমস্ত কি কথা বলতেছে? হ্যাঁ এটাই হচ্ছে বর্তমান অবস্থা।
আপনাদেরকে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলি। এটি একটি শিক্ষনীয় ঘটনা খুবই মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হইল।
কোন এক ব্যক্তি অনেক গরিব। অবস্থা খুবই খারাপ নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমন একটি অবস্থা। দিনে যা রোজগার করে সেই দিনে সেই রোজগারের টাকা দিয়ে চলে যায় পরের দিন আবার রোজগারের জন্য মাঠে নেমে যেতে হয়।
যদি কোন একদিন কোন কারণবশত মাঠে না নামে রোজগার করতে তাহলে তার পরের দিন তার উপবাস থাকতে হয় এমন একটি অবস্থা।
সেই বৃদ্ধ লোক প্রত্যেকদিন তার এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার এর কাছে যায় যেন তাকে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়। এমন করতে করতে চেয়ারম্যান একদিন তাকে সুবর্ণ সুযোগ দিয়েছে।
চেয়ারম্যান সেই লোকটিকে বলল তুমি এমন দিন আমার সাথে দেখা করিও তোমার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। লোকটি বলল ঠিক আছে তাহলে আসবো সেইদিন।
লোকটি চেয়ারম্যানের সেই দিন এর জন্য প্রতীক্ষায় বসে রয়েছে। কখন আসবে সেই দিন যেদিন চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে যাওয়ার পরে একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
লোকটি সেই কাঙ্খিত দিন চেয়ারম্যানের কাছে চলে গেল। চেয়ারম্যান বলল আমি তোমাকে সবকিছুই দেবো তুমি শুধু তোমার ইচ্ছা পোষণ করো। তবে আমার একটি শর্ত আছে সেই শর্ত তোমাকে মানতে হবে।
লোকটি বলল ঠিক আছে আমি সব শর্তে রাজি আপনি আপনার শর্ত বলুন। চেয়ারম্যান সাহেব বলল শর্তটি হচ্ছে তুমি যা চাইবে তার দ্বিগুণ তোমার প্রতিবেশী পাইবে।
চেয়ারম্যান সাহেব বলল ঠিক আছে তুমি যখন সব শর্তে রাজি আমি তাহলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তুমি বলো কি চাও।
লোকটির প্রথম চাওয়া:- আমাকে একটি স্বর্ণের ঘড়ি দেন। বলল এই নাও তোমার স্বর্ণের ঘড়ি। আমার শর্ত অনুযায়ী তোমার প্রতিবেশী পাবে দুটি স্বর্ণের ঘড়ি।
লোকটির দ্বিতীয় চাওয়া:- আমাকে সুন্দর একটি দোতলার বিল্ডিং বানিয়ে দাও। চেয়ারম্যান সাহেব বলল এই নাও তোমার দোতালা বিল্ডিং এবং আমার শর্ত অনুযায়ী তোমার প্রতিবেশী পাবে দুটি বিল্ডিং।
লোকটির তিতীয় চাওয়া:- আমার একটি চোক্ষু নষ্ট করে দাও। তাহলে আপনার শর্ত অনুযায়ী প্রতিবেশী কেও দুই চক্ষু নষ্ট করে দাও।
এটাই আপনাদেরকে বোঝানো হয়েছে যে মানুষ যা পায় এতেই সন্তুষ্ট নয় বরং অন্যদের দেখে হিংসায় জলে। নিজের ক্ষতি করে হলেও অন্যকে অগ্রসর হতে দেবে না এইতো হল বর্তমান অবস্থা।
তাইতো বলা হয়েছে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত নয় বরঞ্চ অন্যকে নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে জীবনকে অতিবাহিত করে দিচ্ছি। নিজে কতটুকু অগ্রসর হতে পারলাম কিংবা কি করতে পারতেছি এটা নিয়ে নয় বরং অন্য ব্যক্তিবর্গ কোথায় গিয়েছে কি করতেছে তার পেছনে আমরা লেগে রয়েছি এবং তাকে কিভাবে হেনস্থা করা যায় সেদিকে মনে হয় আমাদের নজর কাটি বেশি।
সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালা আমাদের সকলকে বোঝার তৌফিক দান করুন এবং সঠিকভাবে সামনে অগ্রসর হওয়ার তৌফিক দান করুন। অন্যের ভালো দিন দেখে নিজেকে শুধরানো।
Device | Name |
---|---|
Android | Tecno Spark 7 |
Camera | 16M Dual camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @jakaria121 |
জি ভাই আপনার গল্পটি গল্প নয়, এটা একটা বাস্তব গল্পই ধরা যায়, বর্তমান পরিস্থিতি টাই এমন। নিজের অবস্থান দেখার আগে অন্যের অবস্থান নিয়ে দিধায় পড়ে যায়। বিশেষ করে আমি যেখানে চাকরী করি। এখানকার কর্মকর্তাদেরও একই অবস্থা। অন্য কে কী করলো না করলে সেটা নিয়ে সবার মাথা ব্যথা। নিজেরটার কোন খোজ নাই৷ এটাই বর্তমান সময়ের পরিস্থিতি। ভালো থাকবেন ভাই। আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য এবং বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য মন্তব্যের মাধ্যমে। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন (আমিন)।
বর্তমান সমাজে আমি দেখেছি মানুষের অহংকার অনেক বেশি। মানুষ যা পায় তাতে কখনোই সন্তুষ্ট থাকে না। যদি অন্য কারোর কোন জিনিস একটু পরিমাণেও বেশি থাকে। সেই জিনিসটা পাওয়ার লোভ লালসা তাদের মধ্যে থেকেই যায়।
আমাদের জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়েও, আমাদের আরো চাই। কিন্তু আমরা এটা ভুলে যাই যে আমাদের জীবন যখন শেষ হয়ে যাবে। তখন এত ধন সম্পদ টাকা-পয়সা দিয়ে কি হবে। আপনি যে বাড়িটা দোতলা বানিয়েছেন। আপনি সকালে মারা গেলে বিকেলে কিন্তু আপনাকে সবাই মাটি দিয়ে চলে আসবে। আপনার বাড়িতে আপনাকে রাখা হবে না। আপনি যে অফিসে কাজ করছেন, সেই অফিস কিন্তু তার নিয়ম অনুযায়ী চলতেই থাকবে না।
আমি ঠিক জানিনা কার মন মানসিকতা কেমন, তবে আমি সর্বদাই চেষ্টা করি আমার যা আছে তাতে আলহামদুলিল্লাহ। আমি যদি পারি কোন মানুষকে সাহায্য করি। আর না পারলে চুপ থাকি। আমার যা আছে তাতেই আমি সন্তুষ্ট। আপনার পোস্ট পড়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদেরকে এত সুন্দর একটা পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনিও যথাযথ সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আসলেই আমরা কোন কিছুতেই সন্তুষ্ট নয় বরঞ্চ লোভ লালসায় জর্জরিত। মারা গেলে সবকিছুই শেষ হয়ে যাবে নিয়ে যেতে পারবো না আমাদের সেই বিল্ডিং কিংবা কোন কিছু অফিসের মত অফিস চলতেই থাকবে মাঝখান থেকে আমাদের চলে যেতে হবে। তাহলে কেনই বা আমরা এমন মায়ায় জড়িয়ে নিজের ক্ষতি করে হলেও অন্যকে আরো ক্ষতিগ্রস্ত করি।
দোয়া রইল আপু আপনার জন্য এবং আমার পোস্ট এভাবে করে মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।