The Diary Game || 28 December 2023 || Another chapter from education life ends.
প্রিয় পাঠক বৃন্দ,
উপস্থিত হয়েছি আমি নতুন একটি দিনের কার্যক্রম নিয়ে। আজকে আমাদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর শেষ পরীক্ষা। এই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য হবিগঞ্জ থেকে বগুড়ায় চলে এসেছি অফিস করে।
সারারাত জার্নির পর ভোর চারটার দিকে বাস থেকে নামিয়ে দিল। হোস্টেলে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম দুই ঘন্টা ঘুমানোর পর অ্যাসাইনমেন্ট কিছু বাকি ছিল সেগুলো সম্পূর্ণ করলাম। এমনিতেই আমি জব করে এসে কিছু কিছু করে অ্যাসাইনমেন্ট লিখেছি।
সকালে ফ্রেস হয়ে ক্যান্টিনে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করলাম। অনেকদিন পর প্রতিষ্ঠানে এসে ছোট ভাইদের সাথে দেখা এবং বন্ধুদের সাথে দেখা খুবই ভালো লাগলো। অনেকেই এখন কর্মজীবনে পদার্পণ করেছে তাইতো আমি যেদিন এসেছি তারা হয়তো বা কেউ কেউ তার আগের দিনও এসেছে আবার কেউ সেই দিনও এসেছে।
যাই হোক সকালবেলা তখন নয়টা বাজে। স্যার ফোন দিল দ্রুত অফিসে আসো তোমার কিছু কাগজপত্র রয়েছে সেগুলো আমার কাছে আছে সেগুলো নিয়ে যাও।
আমি দ্রুত রেডি হলাম। কামরুল এসেছে। আমি কামরুল এবং শরিফুল তিনজন মিলে অফিসের দিকে যাচ্ছিলাম। যখন আমরা ক্যান্টিনের সম্মুখে তখন দেখি সজীব ডাক দিচ্ছে, ঐ জাকারিয়া!
যেদিন পরীক্ষার সেই দিনই সজীব নয়টার দিকে কলেজে এসেছে। কেননা ওর বাসা থেকে কলেজে আসতে মাত্র এক ঘন্টা লাগে। আচ্ছা এরপর সজিবের সাথে এবং তাফসিন এর সাথে দেখা করলাম।
ইতিমধ্যে করা এডমিট কার্ড তুলে নিয়েছে এরপর ওরা দোকানে এসেছে। বললাম তাহলে তোরা কলেজের দিকে আয় আমি অফিসে যাচ্ছি এডমিট তুলে নিয়ে আসি।
আমি এবং কামরুল দ্রুত স্যারের কাছে চলে গেলাম এবং এডমিট কার্ড তুললাম। স্যার বলতেছে শরিফুল কোথায় ওকে আসতে বল। শরিফুলকে ফোন দেওয়ার সাথে সাথে সবাই চলে আসলো দেখা করলো স্যারের সাথে কথা হল।
স্যার বলল তাহলে তোমরা পরীক্ষার হলের দিকে চলে যাও আমি একটু পরে আসতেছি। আমরা বাহিরে বের হলাম যখনই রাস্তা পার হব তখনই দেখলাম স্যারও আসতেছে। পরে স্যারকে সাথে নিয়ে অটো গাড়িতে চড়ে বগুড়া পলিটেকনিকে চলে গেলাম পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
সবাই আমরা উপস্থিত। আমাদের পরীক্ষা মূলত সিভিল ডিপার্টমেন্টের স্যারদের সাথেই হবে। কেননা এই প্রতিষ্ঠানে সিরামিক ডিপার্টমেন্ট নাই। এমনকি সারা বাংলাদেশে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান এই একটি। এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানও একটি।
সিভিলদের ভাইভা পরীক্ষা নিচ্ছে কয়েকজন কে ডেকে নিয়ে অর্থাৎ রোল অনুযায়ী ডাকতেছে এবং ভাইভা পরীক্ষা নিচ্ছে। সিভিল শিক্ষার্থীদের যখন ভাইভা পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল তখন আমাদের স্যার সিভিল ডিপার্টমেন্টের স্যারের সাথে কথা বলল এবং আমাদের সকলকে ডাকলো।
তখন আমরা সবাই মিলে রুমে চলে গেলাম এবং রোল অনুযায়ী সকলকে ভাইবা ধরতে শুরু করলো। আলহামদুলিল্লাহ ভালো পরীক্ষা বেশ ভালো হয়েছে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সবাই মিলে একটি গ্রুপ ছবি উঠলাম। আমাদের বিদ্যুৎ বর্মন শিক্ষকসহ রুমা ম্যাডাম সাথে আছি আমরা সকল শিক্ষার্থী সিরামিক ডিপার্টমেন্টের প্রথম ব্যাচ।
আমাদের ডিপার্টমেন্টে প্রথমে ভর্তি হয়েছিল 26 জন ধীরে ধীরে ঝরে যায় শেষ পর্যন্ত আমরা ছয় জন সিরামিক ডিপার্টমেন্ট থেকে ডিপ্লোমা শেষ করি আলহামদুলিল্লাহ।
স্যার আমাদেরকে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিল এবং কর্মজীবনের জন্য বেশ কিছু তথ্য প্রদান করলো আমাদের কর্মজীবনে আরও বেশ ভালো কাজে দিবে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, তাৎক্ষণিকভাবে রিয়েক্ট না করা। বস তোমাকে বকাবকি করবে কাজের তাগিদে সবকিছুই মানিয়ে নিতে হবে।
এছাড়াও দেশ দিকনির্দেশনা প্রদান করল এরপর আমরা সবাই চলে যাই। এদিকে সজীব সহ সকল বন্ধুরা বাহিরে অপেক্ষা করতেছে আমাদের জন্য।
এদিকে ম্যামকে সাথে নিয়ে আমরা ক্যান্টিনে চলে গেলাম। খাওয়া দাওয়া করলাম প্লিজ হাসিখুশি ম্যাম। তিনটি ব্ল্যাক কফি এবং চারটি কেক খাওয়া দাওয়া হল।
নাম কি বললাম কফি খাওয়ার জন্য কিন্তু কফি খাবে না এখন। যাই হোক খাওয়া দাওয়া করার পর স্যার এবং ম্যামের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা চলে গেলাম। বাহিরে বন্ধুরা অপেক্ষা করতেছে দ্রুত চলে গেলাম।
সবাই মিলে বগুড়া সাতমাথা এর উদ্দেশ্যে একটি অটো নিয়ে চলে গেলাম। একটি পার্কের মধ্যে ঢুকলাম সবাই মিলে। খাওয়া দাওয়া হল সবার। বেশ কিছু ছবি উঠেছি সবাই মিলে।
সেখান থেকে চলে আসলাম কলেজে থাকার চিন্তা ভাবনা করলাম। ভেবেছিলাম আজকে ডরমেটরিতে থাকবো এবং পিকনিকের আয়োজন করব কিন্তু হলো না প্রথমে অবশ্য সবাই রাজি ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
সজীব আশিক মশিউর এদের ছুটি নেই। আজকে বাসায় যাবে কালকে সন্ধ্যাবেলায় চলে যেতে হবে কর্মস্থলে। সুতরাং বাসায় সময় দেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আর হলো না।
আমিও চলে আসলাম বাসায়। আসার পথে এই দুটি ছবি তুলেছিলাম। আশার সাথে সাথেই বাস পেয়ে গেছি বাস থেকে নামার সাথে সাথেই আবার সিএনজি পেয়ে গেলাম। বলা যায় যথাযথ সময়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা যথাযথ ছিল।
যমুনা নদী পাড়ি দিয়ে আমাদের বাসায় যেতে হয়। যাওয়ার পথে একদম সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। সূর্যের আলো ডুবে যাচ্ছে, রাতের আঁধার ঘনিয়ে আসতেছে।
নৌকা থেকে নামলাম তখন মাগরিবের আজান এর অনেকক্ষণ পর। সময় ধরতে গেলে তখন ছয়টা বাজে। এরপর বাড়িতে চলে গেলাম অটো গাড়িতে চড়ে।
@meraindia
account @null
account for price increase.
আপনার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর শেষ ভাইভা পরীক্ষাটা বেশ ভালোভাবেই হয়েছে জেনে খুব খুশি হলাম। আপনারা ৬ জন ধৈর্য ধরে পড়াশোনা চালিয়ে গেছিলেন বলে শেষ পর্যন্ত সিরামিক ডিপার্টমেন্ট থেকে ডিপ্লোমাটা সম্পূর্ণ করতে পারলেন। আপনি যমুনা নদীর পাড়ে সূর্যাস্তের ছবিটা জাস্ট অসাধারণ তুলেছেন। ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইভা পরীক্ষা দিতে এসে বন্ধুদের সাথে খুবই সুন্দর একটা দিন পার করেছেন। পরীক্ষা দেয়ার পাশাপাশি আনন্দ করেছেন আসলে অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে, আপনার অনেক বেশি ভালো লাগার কাজ করছিল। এরপর ম্যামের সাথে গিয়ে আবার সময় কাটিয়েছেন। আবার পার্কের মধ্যে ঘুরাঘুরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার আনন্দ মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
Thank you so much 😊
উপস্থিত হয়েছেন আপনার নতুন একটি দিনের কার্যক্রম নিয়ে।আজকে আপনার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা শেষ হল। সবাই মিলে সুন্দর একটা মুহূর্ত পার করলেন বন্ধুদের সাথে ছবি তোলা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।ভাইবা পরীক্ষা দিলেন। বন্ধুরা মিলে ক্যান্টিনে সবাই একটু হালকা নাস্তা করলেন। চিন্তাভাবনা করলেন পিকনিকের আয়োজন করবেন কিন্তু সেটা হলো না। যমুনার পাহাড়ের সূর্য অস্ত্র পিকটা অসাধারণ হয়েছে যমুনা পারে আপনাদের বাড়ি জো ডুবে যাওয়ার মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল অসংখ্য ধন্যবাদ
ভাই আপনার দিনলিপিটি সম্পূর্ণ পড়লাম। দিনটি আপনার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিলো। এদিন আপনার ছাত্রজীবনের শেষ ভাইবা ছিলো। শুনে ভালো লাগলো যে ভাইবা ভালো হয়েছে। সিরামিক ডিপার্টমেন্টের ছাত্র ঝরে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। তাই হয়তো আপনারার শেষমেস ছয়জন কমপ্লিট করতে সক্ষম হয়েছেন।
যাইহোক ভাই আপনার আগামী চাকুরিরত জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই এবং আপনার ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করি। ভালো থাকবেন।
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1741302085503893620?t=4dYT_MWsK26fCVQiaAjAcQ&s=19
আমি পূর্বে অবগত ছিলাম আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং করছেন। সিরামিকের উপর ডিপ্লোমা করছেন আপনি। পরীক্ষার সুবাদেই বগুড়া গেছেন। সবাই মিলে আনন্দঘন একটি পরিবেশ তৈরি হলো যা ছবি দেখেই বুঝা যাচ্ছে। যেহেতু নতুন চাকরি তাই ইচ্ছে করলে ই সব সম্ভব হয় না ।তাই পিকনিক তো আর করা হলো না কারণ আপনি ছুটি নিয়ে গিয়েছেন ভাইভা পরীক্ষা
দেওয়ার জন্য। তাছাড়া নতুন চাকরি হুট করে ছুটি নেওয়া যায় না। চাকরির একটি রুলস এন্ড রেগুলেশন রয়েছে তা মেনেই চাকরি করতে হয় আমাদের। সবার সাথে ছবিগুলো খুব ভালো লাগলো স্মৃতির মনিকোঠায় থাকবে আজীবন।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পোস্টটা পড়ে জানতে পারলাম আপনারা আজ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার আজ ছিল শেষ দিন,
বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ম্যামকে কফি খাইয়েছেন এবং তাদের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। মোটামুটি সারাদিন অনেক জার্নি আপনি করেছেন এছাড়া তো গতকাল সারারাত জার্নি করে এসে আজ পরীক্ষা দিলাম আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
আপনার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর শেষ পরীক্ষাটি আপনি সফলভাবেই সম্পন্ন করলেন। এজন্য আপনি বগুড়ায় ছিলেন। আপনি যথেষ্ট পরিশ্রমী এটি আমি নিয়মিত লক্ষ্য করি।
সাতমাথায় গিয়েছিলেন এবং একটি পার্কে ঢুকে খাওয়া দাওয়া করলেন। আপনারা ২৬ জন ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র ছয় জন পরীক্ষা দিয়েছেন। আসলে ছাত্র জীবনে অনেকেই বিভিন্ন কারণে ঝরে পড়ে। তবে আপনার যমুনাপাড়ের ফটোগ্রাফিটি অসাধারণ
হয়েছে। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।