The Diary Game || 17 January 2024 || There is a lot of work pressure now
প্রিয় বন্ধুরা,
আশা করি সকলে ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। উপস্থিত হয়েছি আমি নতুন একটি দিনের কার্যাবলী নিয়ে।
আজকে আমি অফিসে গিয়েছি সেই সকাল ৫:৫০ মিনিটে। কেননা আজকে আমার মর্নিং অফিস ছিল। প্রচন্ড পরিমাণে ঠান্ডা উঠতে ইচ্ছে করছে না তার পরেও যেতে হচ্ছে।
বাহিরে কুয়াশায় ঘিরে রেখেছে চতুরপাশ। মনে হচ্ছে বৃষ্টি পড়ছে হালকা হালকা করে। কিন্তু বৃষ্টি নয় উহা কুয়াশাচ্ছন্ন। তারপরেও ঘুম থেকে উঠে এই দ্রুত রেডি হলাম এবং চলে গেলাম অফিসে।
অফিসে যাওয়ার পরেই শুরু হয়ে গেল কাজের চাপ। যাওয়ার পরেই একটা গ্লেজ নাম হলো STG-1B এই গ্লেজ এর ডেনসিটি ভিস্কোসিটি এডজাস্ট করে দিতে হবে।
যে ছবিটি দেখতে পারতেছেন ইহা হলো টেস্টিং রিপোর্ট। বডি তৈরি করে গ্লেজ দেওয়া হয়েছে এবং এর উজ্জ্বলতা কতটা বৃদ্ধি পায়, কালার এডজাস্ট হয়েছে কিনা যথাযথ কালার আসছে কিনা, এছাড়াও পিনহোল কিংবা ক্রাকিং বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে কিনা। এগুলো দেখা হয় কিন্তু যথাযথ ছিল এইচ স্যাম্পল এবং অনেক সুন্দর।
এরপর আরো একটি বডি নিয়ে আসা হয় এই মগ টির নাম বলা হয় 20 CL মগ। এই মগটি নিয়ে আসা হলো এবং যেই গ্লেজ আনলোড হয়েছে সেই গ্লেজ এর কালার কেমন আসে যথাযথ কালার আছে কিনা পূর্বের কালারের সাথে ম্যাচিং করার জন্য দেখা হবে।
LTG-1B এই গ্লেজ দিয়ে ডিপিং করা হলো। প্রথমে ভালোভাবে স্পন্স দিয়ে মুছে নেওয়া হলো এই গ্লাস। মুছে নেওয়ার পর ডিপিং করা হলো। ডিপিং করার পর ফায়ারিং এ নিয়ে যাওয়া হলো।
Glaze Name | Density | Viscosity | Temperature |
---|---|---|---|
LTG-1B | 1.45 gm | 12 sec | 1200 deg |
কিছু সময় পর বালা স্যার চলে আসছে। আসার পরে স্যাম্পল গুলো দেখতেছে সাথে স্টিকার লাগানো ছিল সেগুলোতে যথাযথভাবে স্টিকারে লেখা হয়নি অর্থাৎ স্যার যেগুলো দেখে দিয়েছিল তার মধ্যে থেকে কয়েকটি লেখা মিসটেক হয়ে গেছে।
লিখতে বলেছে যে গ্লেজ ব্যবহার করা হয়েছে তার নাম। টেম্পারেচার, সার্কেল টাইম, ডেট এবং গ্লেজ কত পারসেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এই ছবিটি আজকেই তোলা হয়েছে কিন্তু গতকালকে দেখিয়ে দিয়েছিল। আমার সুবিধার জন্য আমি ছবি তুলে রেখেছি যেন পরবর্তী কোন সময় যখন লিখতে হয় তখন যেন বুঝতে পারি ভালোভাবে মিষ্টেক যেন না হয়।
স্যার পরে আবার চলে এসে বিস্তারিত বলে দিল এবং এগুলো যেন মিসটেক না হয় কেন নাম বর্তমানে প্রোডাকশন প্রচন্ড পরিমাণে ঝামেলা হচ্ছে যথাযথ প্রোডাকশন আসতেছে না। দ্রব্যের গুণগত মান বজায় থাকতেছে না এজন্য বডি সেকশনে চাপ দিচ্ছে, ল্যাবে প্রচন্ড চাপ দিচ্ছে।
সকালবেলায় চাপের কারণে খাওয়ার সময় পর্যন্ত পাইনি তারপরেও গিয়েছিলাম। আমাদের সহকর্মী এক ভাই বাসা থেকে তেলে পিঠা এবং কুশলী পিঠা নিয়ে আসছিল তাই স্যার কে দেওয়া হলো এবং আমরা সবাই মিলে খাইলাম।
আজকে আমাদের সাথে আরো একজনের অফিস ছিল কিন্তু সে আসে নাই তাই আমাদের আরো একটু চাপ পড়ে যায়।
আজকে গোডাউনে বেশ কিছু ম্যাটেরিয়াল এসেছে, তার মধ্যে অন্যতম কাওলিন ম্যাটেরিয়ালস। এই ম্যাটেরিয়ালস এর প্লেট টেস্ট এবং এলওয়াই টেস্ট দেওয়া হয়।
প্রথমে ম্যাটেরিয়ালস এর ময়েশ্চার দেখা হয়েছে। ময়েশ্চার দূরীভূত করার পরে এল ও আই টেস্ট দেওয়া হয় এজন্য উপযুক্ত হয়। ৫০ গ্রাম ম্যাটরিয়াল নেওয়ার পর ফায়ারিং দিতে হয়।
অফিস থেকে ফিরে যাই দুজন দিকে। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করলাম হোটেলে ডিম ও ডিমের ঝোল দিয়ে। সাথে সবজি এবং লেবু ছিল।
এরপর বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে থাকলাম। প্রচন্ড টায়ার্ড লাগতেছিল ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম থেকে উঠতে উঠতে প্রায় মাগরিবের আজান দেয়।
দৈনন্দিন জীবনে এর আজকের এই পার্টি এভাবেই সমাপ্তি হল। পরবর্তী লেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করুন এবং সঙ্গেই থাকুন।
@meraindia
account @null
account for price increase.
শীতের দিনে সকাল ছয়টার আগে অফিস যাওয়া, আমি তো ভাবতেও পারি না। তেলে পিঠা তো বুঝলাম কিন্তু কুশলী পিঠাটা কি এটা ঠিক বুঝলাম না। অফিসে একজন কামাই করলে সত্যিই কাজের চাপ অনেকটা বেড়ে যায়। তখন তার কাজটাও অফিসে উপস্থিত সকলকে মিলে করতে হয়।
আমাদের অঞ্চলে এই পিঠাকে কুশুলী পিঠা নামে সকলেই চেনে। হয়তোবা স্থান ভেদে নামের পরিবর্তন।
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1747845707527229782?t=6lNkT4tF-PQr2px8MveAog&s=19
এত সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতেই আমাদের বর্তমান সময়ে অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার ওপরে আপনাকে এত সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অফিস করতে হচ্ছে। এটা সত্যিই অনেক বেশি কষ্টকর। একজন যদি অফিসে না থাকে তার কাজ সবাইকে ভাগ করে নিতে হয়। এবং এটা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। কারণ নিজেদের কাজ নিজেদের ভাগ করা থাকে। তার মধ্যে যদি বাড়তি কোন কাজ আসে সেটা তো অনেক কষ্টের ব্যাপার।
আপনাদের অফিসের একজন বাড়ি থেকে আসার সময় পিঠা নিয়ে এসেছিল। সকালবেলা নাস্তা করা হয়নি বলে আপনারা ওখান থেকে কিছু পিঠা খেয়ে নিয়েছেন। যাইহোক অবশেষে নিশ্চয়ই একটুও প্রশান্তি পেয়েছেন।
আপনার অফিস শেষ করে যখন বাসায় এসেছেন ।তখন আপনার অবস্থায় একেবারেই খারাপ ।আসলে এত সকালে ঘুম থেকে উঠলে সন্ধ্যায় এমনিতেই ঘুম চলে আসে। তাই আপনি অফিস থেকে এসেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। কখন ঘুমিয়েছেন আপনি নিজেও জানেন। না এরপর রাতে এসে হাংআউট জয়েন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
প্রিয় ভাই আপনাকে দেখে মাঝে মধ্যে আমি অবাক হই যে মর্নিং শিফটের ডিউটি এই ঠান্ডায় কিভাবে করেন। ভোরে উঠে অফিস যাওয়া বেশ চ্যলেঞ্জিং একটি বিষয়। আমি হলে হয়ত পারতাম না। তবে আপনার কাছ থেকে আমাদের অনেকের অনেক কিছুই শেখার আছে।
আপনার জন্য দোয়া রইলো ভাই। আপনার ভবিষ্যৎ জীবন সাফল্যমন্ডিত হোক।
প্রতিদিনের থেকে আপনি খুব সকালে সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে অফিসে গিয়েছেন। আসলেই শীতের দিনে এত সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাওয়া খুব কষ্টকর। কিন্তু জীবনে কিছু করতে গেলে কষ্ট তো করতে হবেই। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি কার্য লিপি শেয়ার করার জন্য।