Returning with a heavy heart || দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ফিরে আসা
How much people love their hobbies is understated. If that hobby is destroyed then the mind is broken just like the human mind. Only those whose heart is lost can realize the pain from life. At the same time one whose hobby is destroyed can also realize.
অনেক অপেক্ষার পর আমার এই কম্পিউটার মেরামত করার জন্য বাড়ি থেকেই নিয়ে আসলাম শেরপুর শহরে। দীর্ঘ কয়েকটি দিন বন্ধ ছিল নষ্ট অবস্থায়। এছাড়াও আমি যখন ইন্টার্ন করার জন্য গাজীপুরে গিয়েছিলাম, সেই একমাস আমার এই কম্পিউটার বন্ধ ছিল।
যাই হোক যেদিন আমি শেরপুর আসছি সেদিন তো রাত হয়ে গেছে ইতিমধ্য। তাইতো সেই দিন আর দোকানে যায়নি কম্পিউটার নিয়ে। পরের দিন এর অপেক্ষা। আমি এই কম্পিউটার গতকাল বিকেল বেলায় নিয়ে গিয়েছিলাম।
আমার সাথে ছোট ভাই ছিল তার কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেছে এই কারণে দুই ভাই মিলে কম্পিউটার মেরামত করার জন্য চলে গেলাম আন্ডার গ্রাউন্ডে। কেননা আমরা যেখান থেকে কম্পিউটার কিনেছিলাম সেটা আন্ডার গ্রাউন্ডেই ছিল। সেখানে নেটওয়ার্ক পায়না খুবই কম।
৩ঃ৩০ মিনিটে আমরা দোকানে গিয়েছি। যাওয়ার পরে দেখতে পেলাম ম্যানেজার সাহেব বসে আছে। এছাড়াও আরো একজন আছে দোকানে কিন্তু সে খাওয়া-দাওয়ার জন্য ব্যস্ত আছে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে তারপর আমাদের কম্পিউটার দেখবে।
এজন্য ম্যানেজার সাহেব বলল আপনারা বসুন, সুমন ভাই খাওয়া দাওয়া করে আপনাদের কম্পিউটার দেখবে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করলাম এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমাদের কম্পিউটার দেখবে। এজন্য বললাম আপনারা আপনাদের পিসি টেবিলের উপর রাখুন।
আমি তো মোটামুটি বেশ চিন্তিত কেননা আমার ধারণা ওয়ারেন্টি নেই। কেননা প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল আমার এই কম্পিউটারের বয়স। দেড় বছর পর যখন আমি কম্পিউটার নিয়ে এসেছি তাহলে তো ওয়ারেন্টি থাকার কথা না সাধারণত। তবে বিভিন্ন ডিভাইস রয়েছে যেগুলোর দুই বৎসর এমনকি তিন বৎসরের ওয়ারেন্টি পর্যন্ত আছে।
কোথায় আমি আমাদের এই পিসি তার কম্পিউটারের সাথে সেটআপ করল। দেখল মূলত অন হচ্ছে নাকি। তখন তিনি দেখতে পায়, মনিটরের সংযোগ আসে কিন্তু পিসির মধ্যে কি যেন একটি সমস্যা।
Ram খুলল এবং রাবার দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করল। পরিষ্কার করার পর আবারও ram সেই ঘাটে লাগালো। এর পর আবার অন করল কিন্তু মনিটরে আলো আসতেছে না শুধু ব্ল্যাক কালার হয়ে থাকতেছে। এজন্য তিনি ram এর অপর একটি স্লাইডে লাগিয়ে দিল কিন্তু তাও অন হচ্ছে না সেই একই সমস্যা।
এরপর তার গুলো লুস আছে কিনা পরীক্ষা করলো এবং আবারও অন করার চেষ্টা করল কিন্তু ওয়ান হচ্ছে না। আমিতো রীতিমুক্ত ভয়ের মধ্যে আছি কেননা যদি অনেক টাকার প্রয়োজন হয় তাহলে তো ঝামেলা।
ভাইকে বললাম আচ্ছা আমি তো মেমো সব হারিয়ে ফেলেছি আপনাদের এখানে তো ডকুমেন্ট থাকার কথা। তখন তিনি আমার নাম্বার লিখে সার্চ দিলেন সঙ্গে সঙ্গে ডকুমেন্ট চলে আসলো। এরপর তিনি দেখতে পায় শুধুমাত্র SSD কার্ড এবং ram এর মেয়াদ আছে বাকি কোন কিছুরই আর মেয়াদ নেই। ওই দুইটার শুধু তিন বছরের মেয়াদ আছে কিন্তু বাকিগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ৬ মাস পূর্বেই।
তিনি ব্যাটারি খুললেন, এমনকি তিনি তাদের একটি পাওয়ার সাপ্লাই এখানে সংযুক্ত করে দেখলেন এরপরেও ওয়ান হচ্ছে না তার মানে পাওয়ার সাপ্লাই যথাযথ ঠিক আছে। এরপর তাদের হার্ডডিক্স এর সাথে আমার পিসি কানেক্ট করল কিন্তু না সবই ঠিকঠাক আছে।
এরপর তিনি তাদের আরো একজন কর্মকর্তাকে ডাক দিল তাকে দিয়ে মাদারবোর্ড পরিষ্কার করিয়ে নিল এর ফাঁকে জুবায়ের এর কম্পিউটার দেখল।
জুবায়েরের কম্পিউটারের একটিমাত্র ram এর স্লাইড নষ্ট এ কারণে সমস্যা হয়েছিল। শুধুমাত্র একটি স্লাইড ঠিক আছে ওই একটি স্লাইট দিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে হবে অন্যথায় মাদারবোর্ড পরিবর্তন করতে হবে।
এরপর আমার পিসি এর মাদারবোর্ড পরিষ্কার করে নিয়ে আসলো এবং আবার তিনি পুনরায় অন করার চেষ্টা করলে কিন্তু অন হচ্ছে না সেই একটাই সমস্যা বারবার দেখা দিচ্ছে। তখন বুঝতে পেল মাদারবোর্ড পরিবর্তন করতে হবে তাছাড়া উপায় নাই।
এটাই হচ্ছে সেই মাদারবোর্ড। তিনি দুটি মাদারবোর্ডের কথা বললেন একটি হচ্ছে তিন বছরের ওয়ারেন্টি আরেকটি হচ্ছে এক বছরের ওয়ারেন্টি। আমাকে যেই মাদারবোর্ড দিয়েছিল এইটার ওয়ারেন্টি এক বছর। আরো একটি মাদারবোর্ড আছে যে মাদারবোর্ডের ওয়ারেন্টি তিন বছর।
এখন মাদারবোর্ড মেরামত করতে প্রচুর টাকার দরকার কিন্তু আমার কাছে তো টাকা নেই। ও আচ্ছা তাহলে আপনাদের মাঝে আগে প্রাইস তুলে ধরি তাহলে বুঝতে পারবেন।
Device | BDT | Steem price | Warranty |
---|---|---|---|
Motherboard-150 | 4,500 Taka | 160 STEEM | One years |
Motherboard-110 | 9,000 Taka | 321 STEEM | Three years |
বাড়ি থেকে মাত্র পনেরশো টাকা দিয়ে দিয়েছে। এরমধ্যে যাতায়াত খরচ সহ সম্পৃক্ত। আমার কাছেও টাকা নেই, যে কারণে মাদারবোর্ড পরিবর্তন করে নিয়ে যাব। বাড়িতে ফোন দিলাম বলতেছে টাকাই তো নাই কেমনে কি করি।
বললাম তাহলে এখন পরিবর্তন করার দরকার নেই যখন চাকরি করব তখন পরিবর্তন করে নিবো নি তাহলে আপাতত বাড়িতেই রেখে দেই এই অবস্থায়। তো কি আর করার আছে, ভেবেছিলাম শেরপুর নিয়ে এসে কম্পিউটার ঠিক করে নিয়ে যাবে কিন্তু তা আর হলো না।
@meraindia
account
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1724691677217272175?t=m1USMfreZDT098cGUIypng&s=19
কম্পিউটার ঠিক করতে আপনার অনেক গুলো টাকা খরচ হতো, এত টাকা দিয়ে আমি হলেঅ আর ঠিক করাতাম না। আসলে এসব জিনিস ঠিক করালে আগের মত আর হয় না। তাই সম্ভব হলে নতুন কেনাই ভালো
ইলেকট্রনিক্স জিনিস এক বার নস্ট হলে আর আগের মতো হয় না।আপনি ও আপনার ছোট এক ভাই মিলে শেরপুর শহরে কম্পিউটার ঠিক করতে নিয়ে গেছেন কিন্তু কম্পিউটার ঠিক হয়নি ।তাই ভারাক্রান্ত মনে বাসায় ফিরে আসছেন। আসলেই খুব দুঃখজনক। দোয়া করি যেন একটি কম্পিউটার এর ব্যবস্থা হয়ে যায়। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ইনশাআল্লাহ
ইনশাআল্লাহ।
এই হচ্ছে একটা সমস্যা ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি একবার নষ্ট হলে। তা আবার ঠিক করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়। আপনি অবশ্য সেদিন আমার সাথে কম্পিউটার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন। আমি ভেবেছিলাম হয়তোবা অন্য কোন সমস্যা। কিন্তু মাদারবোর্ডের সমস্যা হয়েছে এটা জানতে পেরে খুব খারাপ লাগলো। কেননা বর্তমানে মাদারবোর্ডের দাম অনেক।
আপনি অনেক আশা নিয়ে শেরপুর গিয়েছিলেন আপনার কম্পিউটার ঠিক করার জন্য। কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হল না। অনেক টাকার প্রয়োজন তাই আপনি ঠিক করতে পারেননি। কারণ আপনার কাছে টাকা ছিল না। আশা করি পরবর্তীতে টাকা হলে ঠিক করে নেবেন। মন খারাপ করবেন না। ইনশাল্লাহ সব কিছু ঠিক হবে ভালো থাকবেন।
এখন কি আর করার আছে আল্লাহ ভরসা, হয়তো পরবর্তীতে ঠিক করব যখন টাকা হবে।