ব্যর্থ জীবনের গল্প কেউই শুনতে চায় না, সবাই শুনতে চায় একটি সফল জীবনের গল্প।
সক্রিয় স্টিমিয়ান বন্ধুরা,
আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজকে পবিত্র জুমার দিন (শুক্রবার)। জুমার নামাজ আদায় করে ক্যান্টিনে খাওয়া-দাওয়া করে রুমে চলে আসলাম। এখন আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব সামান্য কিছু লেখা।
Design by Canva
ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন যে আজকের লেখনি কি হতে চলেছে! আসলে ব্যর্থ জীবনের গল্প কখনো বলা যায় না এবং কেউ শুনেও না। কিভাবে শুনবে যদি না বলে! আর ব্যর্থ জীবনের গল্প কখনো বুক ফুলে প্রকাশ করা যায় না।
যখন কোন ব্যক্তি স্কুল জীবনে পড়াশোনা করে তখন সকলেই কিন্তু মেধাবী হয় না এবং সকলেই আবার ব্যাক ব্রেঞ্চার হয় না। ভালো ছাত্র এবং কিছুটা দুর্বল ছাত্র নিয়েই প্রতিষ্ঠান অগ্রগামী। এর মধ্য থেকেই মেধাবী ছাত্র পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করে তাদের পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ছড়িয়ে দেয় সব জায়গায়।
অন্যদিকে কিছুটা দুর্বল ছাত্র ভালো রেজাল্ট করতে না পারায় তাদের খারাপ লাগে এবং প্রতিষ্ঠান আরও সুনাম অর্জন করতে পারে না। অর্থাৎ হাই রেংকিং এ উঠতে পারে না অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় যেগুলো আরো ভালো রেজাল্ট করে।
এভাবে শিক্ষাজীবন অতিবাহিত হওয়ার পর যখন সেই ভালো মেধাবী ছাত্র এবং কিছুটা দুর্বল ছাত্র তারা কর্মজীবনে পদার্পণ করে তখন তাদের বাস্তবতা দেখা যায় বোঝা যায় এবং অনুভব করা যায়।
কর্মজীবনে যে একটু ভালো পজিশনে থাকে এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে থাকে তখন তাদের জীবনের গল্প শোনায়। হ্যাঁ অবশ্যই তাদের কাছ থেকে মোটিভেশন নেওয়া উচিত কেননা তারা অবশ্যই সিনিয়র পারসন। তারা তাদের সময় অতিবাহিত করে এসেছে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে; যেগুলো আমরা হয়তো বা বর্তমানে অতিবাহিত করতেছি বা চলতেছি সেই সময়ের মধ্য দিয়ে।
এর মধ্য থেকে যে ভালো পজিশনে আছে তার ব্যর্থতার গল্প শোনায় এবং সে তার ব্যর্থতার গল্প বলে আত্ম তৃপ্তি অনুভব করে। এবং মানুষ সেই ব্যর্থতার গল্প এবং তার বিভিন্ন বিষয় যা কখনো অন্যের কাছে প্রকাশিত করে নাই। কারণ সে নিজেও জানে এই বিষয়গুলো উন্মোচিত হলো হলে আমার মান সম্মান থাকবে না। অথচ সেই বিষয়গুলোই যখন সে ভালো পজিশনে থাকে তখন এগুলো গর্ব করে বলতে থাকে যে আমি এগুলো করেছি সেগুলো করেছি বিভিন্ন বিষয়।
অথচ যে ভালো পজিশনে যেতে পারেনি সে যদি তার ব্যর্থতার গল্প কিংবা এমন কোন বিষয় বলে মান-সম্মান থাকবে না, চক্ষু লজ্জায় হিতাহিত জ্ঞান সবকিছুই যেন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
তাহলে বোঝা যায় যখন কোনো ব্যক্তি ভালো পজিশনে যায় এবং তার ব্যর্থতার গল্প বলে সেই ব্যর্থতার গল্প মানুষ খুব সুন্দর ভাবে নেয় এবং সেই ব্যর্থতার গল্প যেন তার জীবনে প্রতিফলিত করতে চায়।
অথচ একই গল্প যখন কোন ব্যক্তি পজিশন উচ্চ না হয়ে যদি কিছুটা নিচু পজিশন হয় তাহলে সেই ব্যর্থতার গল্প কেউ শুনবে না এবং যদি বলে তাহলে ছি ছি বলে আখ্যায়িত করে।
আমি মনে করি আমাদের নিজেদের উচিত সঠিক কে সঠিক ভাবে দেখা এবং মন্দকে ফেলে না দিয়ে তাকে কিভাবে ভালো বানানো যায় বা সঠিক পথ দেখানো যায় এবং চক্ষু লজ্জা হিতাহিত জ্ঞান কিভাবে বোঝানো যায় সেগুলো শিক্ষা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্ব।
আসলে এগুলো বলা যায় না! যেন চোখ লজ্জায় বাজে এবং বিবেক বোধ থেকে না করে। কেননা এগুলো সম্পূর্ণই পার্সোনালিটি। আমাদের সকলের বিবেকবোধ এবং চিন্তাধারা সঠিকভাবে বোঝার তৌফিক দান করুন আল্লাহ।
আমার এই লেখাটি সম্পূর্ণ অধ্যায়ন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
About phone
Camera:- 16MP Dual camera
Android:- Tecno Spark 7
Location:- Bangladesh
Short by:- jakaria121
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1669642132620197889?t=Ckq87XyqxXqDO6kcfzyUuQ&s=19