Do not remember the childhood memories? || মনে কি পড়ে না সেই ছোটবেলার স্মৃতি?
![]() |
---|
প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী,
মনে কি পড়ে সেই ছোটবেলার কথা! আমি যখন বাড়িতে থাকি বেশিরভাগ সময় ছোটদের সাথেই অতিবাহিত করার চেষ্টা করি। বিশেষ করে পাড়ার ছোট ভাইদের নিয়ে ক্রিকেট খেলাধুলা এবং ছোট ভাইবোনদের সাথে খেলাধুলা।
দেখতেই পারতেছেন ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করতেছে। ছোট ছোট খেলনা গাড়ি নিয়ে মাটি আনা নেওয়া করতেছে। ছোটবেলার খেলাধুলা এরকমই।
এখানে আপনারা দেখতে পারতেছেন মাটি নিয়ে খেলাধুলা করতেছে আবার বারান্দায় খেলাধুলা করতেছে কাঁঠালের পাতা বিভিন্ন গাছের পাতা আছে সেগুলো নিয়ে, এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের কাগজ অর্থাৎ চকলেট এবং বিভিন্ন ধরনের কাটুন এর প্যাকেট সংগ্রহ করে।
বগা গাড়ি দিয়ে মাটি কাটতেছে। আমরা যখন ছোটবেলায় খেলাধুলা করতাম তখন তো আর এইরকম গাড়ি ছিল না, ছিল তবে কেনার মত সিচুয়েশন ছিল না, বাসা থেকে কিনে দিত না।
আগে আমরা সাধারণত ঘর বানাইছি। আমি আমার কথাই বলতেছি, ঘর বানাইতাম কাগজ দিয়ে চতুর সাইড দিয়ে বেড়া দিতাম। উপরের দিতাম পলিথিন কাগজ যেন বৃষ্টিতে পানি না পড়ে। কত যত্ন নিতাম সেই ঘরগুলোর খুবই মনে পড়তেছে এবং চোখের সামনে ভেসে উঠতেছে।
সময় গুলো তো আর ফিরে পাওয়ার নয় শুধুই স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ভেসে ওঠে সেই ছোটবেলার কার্যকলাপ চলাফেরা খেলাধুলার সবকিছুই। মনে হয় যদি আবারও সেই ছোটবেলার স্মৃতিতে ফিরে যেতে পারতাম কিন্তু না, এখন শুধু ছোটদের খেলাধুলা দেখি আর নিজেদের কথা চিন্তা করি যে আমরাও তো আগে এমনই করতাম।
ছোটদের কোলে নিয়ে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে তবে একটু একটু ভয় করে যদি হিসু করে দেয় 😉। যাই হোক আমি কোলে নিয়েছি ছোট বোনকে পাশেই দেখতে পারতেছেন ছোট ভাই।
খুবই মিস করতেছি এখন। হঠাৎ করে মনে হল ছবি দেখে, তাই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতেছি। আসলে জীবনটা কোথাও যেন স্থির নয় হয়তো এই জায়গায় আছি আবার নেই হয়তো ওই জায়গায় আছি আবার নেই অর্থাৎ চলমান জীবন কোথাও অস্থির নয়।
আমাদেরকে এভাবে আবার চলে যেতে হবে এই পৃথিবী ছেড়ে। একদিন এই পৃথিবীতে ছিলাম না আবার আসছি আবার চলে যাব। জীবন এভাবেই চলমান কিন্তু স্থির হবে সেই জায়গায় যেখানে আপনি চলে যাবেন এই পৃথিবী ছেড়ে।
আমার দুই টুকটুকি ভাই বোনদের জন্য খুবই মন খারাপ হচ্ছে। যদি বাসায় থাকতাম তাহলে তাদের সাথে খেলাধুলা করতে পারতাম, কোলে নিয়ে থাকতে পারতাম। বাড়িতে আমি সিদ্দিকের সাথে ও খেলাধুলা করেছি বল নেই তো কি হয়েছে, কাগজ দিয়ে বল তৈরি করছি।
যে জায়গায় সিদ্দিক এবং ছোট বোন বসে আছে অর্থাৎ অটো গাড়িতে সেই অটো গাড়ি ফুফার। মাত্র এক থেকে দুই মাস হল এই অটো গাড়ি ক্রয় করেছে। ইতিপূর্বে তার অটো ভ্যান ছিল, সেই অটো ভ্যান বিক্রি করে এই অটো গাড়ি কিনেছে।
ছোট বোনকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম আবু বকর সিদ্দিক আমার সাথেই আছে। আবু বক্কর সিদ্দিক কে বললাম আমার দুই একটা ছবি তুলে দাও দেখি। পাশে দাঁড়িয়ে আছে ভাগ্নি। ছবি উঠতে চায় না কিন্তু খালি হাসবে।
বলতেছি তোমার ছবি তুলি এখানে আসো কিন্তু বলে না আমাকে ছবি তুলনা সিদ্দিক ছবি তুলছে আরো হাসাহাসি করে দিছে আমার ছবি তুললো কেন?
সবই যেন এখন স্মৃতি হয়ে আছে মনে পড়তেছে বারবার বিশেষ করে এই সময়। কেননা হঠাৎ করেই এই ছবিগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরতেছি আর নিজের অজান্তেই যেন কথাগুলো বেরিয়ে আসতেছে।
আজকের মত এ পর্যন্তই সমাপ্তি ঘোষনা করতেছি আমার লেখার। আগামী দিন ইনশাল্লাহ দেখা হবে সে পর্যন্ত সঙ্গেই থাকুন এবং ভালো থাকুন।
@meraindia
account
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1731293659407229267?t=mCqGrrd6dyC8Jqo_j8nVAQ&s=19
ছোটবেলার কথা বলতে গেলে হয়তো বলে শেষ করা যাবে না ৷ ছোটবেলার অনেক স্মৃতি রয়েছে যা এখনো মনে পরে ৷ আমাদের সামনে যদি কোন ছোট বাচ্চারা খেলা ধুলা করে তখন আমাদের সেই ছোটবেলার দিনগুলো মনে পরে যায় ৷ তারপর আপনি ছোট বাচ্চাদের কোলে নিতে খুবই ভালো বাসেন ৷ আবার ভয়ও করেন যদি হিসু করে দেয় ৷ আপনার দুই ভাই বোনের কথা খুব মনে পড়তেছে বাড়িতে থাকলে তাদের সাথে কিছু সময় কাটাইতেন ৷ যাই হোক বেশ ভালোই লাগলো আপনার আজকের লেখাটি ৷ আপনার পরবর্তী পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম ৷
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
ছোটবেলায় আমরা কত সহজ আর সাধারণ খেলা খেলতাম ।সেই খেলা গুলো খেলার জন্য খুব বেশি উপকরণের কোনো দরকারই ছিল না। বাজারেও খুব একটা যেতে হতো না কারণ আমরা প্রকৃতির উপাদান দিয়ে খেলাধুলা করতাম। সাত চাড়া,দাঁড়িয়াবান্দা,ডাংগুলি, ছোঁয়াছুয়ি বউচি ইত্যাদি খেলা খেলতে তেমন কিছুই লাগে না। দড়িলাফ খেলতে শুধু একটি দড়ির দরকার ছিল। সেটাও দশ ঘর মিলে একজনের থাকতো। আর সবাই ভাগ করে খেলতাম।
আজকালকার বাচ্চারা কেমন যেন হয়ে গেছে। এরপরেও গ্রামে গঞ্জে কিছুটা পুরনো দিনের আবহ রয়ে গেছে। আপনার লেখাটিতে শৈশবের স্মৃতি তাজা হয়ে গেল।
হে ভাইয়া ছোট বেলার কথা মনে থেকে মুছে ফেলার নয়। শৈশব স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলো আমাদের কে আনন্দ দেয়। হাজার হাজার স্মৃতি বিজড়িত শৈশব কে যদি ফিরে পাওয়া যেতো তবে কি ভালো হতো। আবার নিজের মতো করে
জীবন টাকে গড়তে পারতাম। জীবন মে ভুল গুলো ছিল তা সুদরীয়ে নিতে পারতাম।যাদের মনের ভুলে হারিয়ে ফেলেছি,তাদের আবার শক্ত হাতে ধরে রাখতাম।না না এর কিছু ই হবার নয়, শৈশব মানে স্মৃতি, শৈশব মানে দুরন্ত পানা। শৈশব থেকে শিক্ষার আছে অনেক কিছু। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। লিখার হাত পাকা।
আমাদের ছোটবেলা অনেক রঙিন ছিল। আপনার মত আমরা ছোট ঘর বানাইতাম তবে তা খেজুর পাতা দিয়ে। মাটি নিয়ে কত খেলেছি। তবে হ্যা আমরা এখনকার বাচ্চাদের মত খেলনা পেতাম না। আপনার পোস্ট পড়ার সময় ছোট বেলায় হারিয়ে গিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
এই সব কিছুই হচ্ছে ছোটবেলার স্মৃতি কেননা এখন আমরা বড় হয়ে গেছি সেই সময়ের প্রেক্ষিতে।
ছোট বাচচাদের জগৎ আসলেই অন্য রকম আর অনেক রঙিন। তাদের কল্পনার জগতটাও খুব সুন্দর। আপনার ছবিতে মাটি দিয়ে খেলতে দেখে মনে পরলো আমিও মাটি দিয়ে খেলতাম।মাটি দিয়ে পিঠা বানিয়ে রোদে শুকাতাম। শুধু তাই না সেগুলো খেতামও।একদিন মায়ের কাছে ধরা খাওয়ার পরে বন্ধ হয়েছিল মাটির পিঠা খাওয়া।
এখনকার শহরের বাচ্চাগুলোকে দেখলে খারাপ লাগে।বেশিরভাগ বাচচাই ফার্মের মুরগীর মতো বড় হচ্ছে।
আমিও আপনার মতোই বাচচাদের কোলে নিতে ভয় পাই হিসু করে দেয়ার ভয়ে।
চমৎকার এই লেখাটার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ও আচ্ছা এটা তো ভুলেই গিয়েছিলাম ছোটবেলায় তো মাটি দিয়ে কত খাবার তৈরি করতাম এবং বিক্রিও করতাম কাঁঠালের পাতা দিয়ে।
বন্ধু তুমি দেখি ছোটবেলার স্মৃতিতে চলে গেছো। ছোটবেলার সময়টা ছিল অনেক রঙিন। ছিল না কোন টেনশন, ছিল না কোন টাকা ইনকামের চিন্তা।
ছোটদের বিভিন্ন খেলাধুলা দেখলে অনেক ভালোই লাগে। মনে মনে ভাবি আমিও তো এইরকম করে ছোটবেলায় খেলাধুলা করতাম।
স্মৃতিময় পোস্ট করার জন্য তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এখন তো আরো বেশি মনে পড়বে, কেননা ছাত্র জীবনের শেষ এখন আগামীতে আরো কত কি যে মনে পড়বে সময়ের প্রেক্ষিতে ..... বিয়া কর বন্ধু আরো বেশি মনে পড়বে 😜
আর কিছুদিন পরেই বিয়ে করতেছি বন্ধু। তোমার অগ্রিম দাওয়াত রইল।
কর কর তারাতাড়ি, 😉
সত্যি আপনার পোস্টটি পড়ে ঠিক ছোট বেলাতে ফিরে যেতে হলো,
মাঝে মাঝে মনে হয়, বড় কেনো কেন হলাম ছোট থাকলেই তো ভালো হতো 😀
কত ধরনের খেলা যে খেলেছি স্কুলে গিয়ে বান্ধবীদের সাথে,,, মাঝে মাঝে একা একা বসে মিস করা ছাড়া এখন আর কোন উপায় নেই তবে, এই স্মৃতিগুলো মনে পড়লেও খুব ভালো লাগে।
মাঝে মধ্যে মনে হয় সেই দিনগুলো যদি আবার ফিরে পাওয়া যেত,,, যাই হোক ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন খুব সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
সময় তো আর স্থির নয়, তাই তো সময়ের মতো সময় চলে যাচ্ছে কমে যাচ্ছে আমাদের সেই আনন্দ হাসি মুখ। এভাবেই একদিন বৃদ্ধ হয়ে যাব তখন আরো মনে পড়বে যুবক বয়সের কথা।
জ্বী ভাই আপনি ঠিক কথাই বলছেন।