Better Life With Steem | The Diary game | 04 - Nov - 2023 | I am going to meet my sister after a long time
প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। এই ব্যস্তময় জীবনের একটি দিন আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আজকের এই লেখা। চলুন তাহলে উপভোগ করি আজকের দিন 👇
আমাকে গতকালকেই বাবা বলেছে সিরাজগঞ্জে যাওয়ার জন্য। শনিবার সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠলাম, সকালে আমার জন্য মা ডিম সিদ্ধ করে নিয়ে এসেছে। সকালবেলা খাওয়ার পর নিজের কাজ করলাম।
কিছুক্ষণ পর বাবা আসলো বাড়িতে। আমাকে ডাক দিয়ে বলতেছে, তাহলে সিরাজগঞ্জ কখন যাইবা? তোমার দুই বোনের জন্য কিছু খাবার এবং শীতের পোশাক নিয়ে যাও। সাথে নিয়ে যাও মাদ্রাসার বেতন এবং পরীক্ষার ফি ও কিছু টাকা হাত খরচের জন্য।
সকাল বের হতে চেয়েছিলাম কিন্তু সম্ভব হয়নি, কেননা রান্না করতে একটু সময় লেগেছে এবং খাবার খাওয়া হইল। খাবার খাওয়ার পর আমি প্রস্তুতি নিলাম শহরে যাওয়ার জন্য। মা ছোট বোন দুজন মেয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ব্যাগের মধ্যে তুলে দিল এবং আমি রওনা দিলাম।
আমি আপনাদের মাঝে আমাদের বাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জ শহরে যাওয়ার সম্পূর্ণ মানচিত্র তুলে ধরতে চাই লেখার মাধ্যমে 👇
প্রথমত আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে অটো গাড়িতে চড়ে নৌকা ঘাটে চলে গেলাম। ১০ থেকে ১২ মিনিট কম বেশি সময়ের মধ্যে নৌকা ঘাটে পৌঁছে যায়। বর্তমানে নদীতে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই অনেক সময়ের প্রয়োজন নৌকা পার হইতে।
নৌকা ঘাটে যাওয়ার পর টিকিট কেটে নৌকায় উঠতে হয়েছে। নৌকাতে প্রায় অনেক সময় অতিবাহিত করলাম, সময়ের কথা উল্লেখ করতে হলে আনুমানিক এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। নৌকা অনেক ধীরগতিতে যাওয়ার কারণে সময় আরো বেশি লেগেছে। সকাল বেলায় তখনো বেশ তীব্র রোদ উঠেছে। অতিরিক্ত আমাদের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
নৌকা ঘাট থেকে সিএনজি স্ট্যান্ডে চলে গেলাম হেঁটে হেঁটে। এরপর সিএনজি ভাড়া দিয়ে সিরাজগঞ্জ - কাঠেরপুল চলে গেলাম। সেখানেই ছোট বোন থাকে। দুইজনের মাদ্রাসার দূরত্ব ১০ টাকা ভাড়া দিলেই চলে। প্রথমে দুই বোন একই মাদ্রাসায় অর্থাৎ একই শাখায় থাকতো।
যখন বড় বোন উপর ক্লাসে উঠেছে তখন শাখা পরিবর্তন করতে হচ্ছে, এজন্য একই মাদ্রাসায় ভিন্ন শাখায় সে অবস্থান করতেছে। কতদিন হল দেখিনা দুই ছোট বোনকে। যাওয়ার সাথে সাথে মন খুলে হেসে বলতেছে ভাইয়া কেমন আছো?
অনেকদিন পর দেখা হল, বলতেছি তুমি কবে চলে যাইবা আবার? বললাম দেরি আছে আমার ডিসেম্বরের শেষের দিকে পরীক্ষা শুধু ভাইভা পরীক্ষা একদিন কিংবা দুই দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। বেশ লম্বা ছুটি বাসায় থাকছি। দুই বোনের ছুটি হবে এই মাসেই ১৫ তারিখের মধ্যেই সম্ভাবনা বেশি।
এরপর ফিরে আসার সময় এই প্রতিষ্ঠানের দেখা মিলল। যখন আমি অষ্টম শ্রেণীতে পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম সিংড়া বাড়ি মাদ্রাসায় এবং দশম শ্রেণীতে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম তখন এই প্রতিষ্ঠান দেখেছিলাম। তখন এই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মাণ কাজ শুরু করে।
আমাদের চোখের সামনে এই প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছে আমরা নিজের চোখে দেখেছি এবং এই প্রতিষ্ঠান যখন নির্মাণ স্থান চলমান তখন আমরা ছাদের উপর দিয়ে গল্প করেছি অনেক ভিডিও তৈরি করেছিলাম মনে পড়ছে। যখন আমি সিএনজিতে যাচ্ছি তখন এই দৃশ্যগুলো আবারও মনে পড়ে গেল প্রতিষ্ঠানটি দেখে।
দুপুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে রোদ, হ্যাঁ অবশ্যই সকালের চাইতেও বেশি। সিরাজগঞ্জ শহর থেকে আসার পথে বাসে আসার চিন্তাভাবনা করলাম। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর বাস আসলো এবং বাসে উঠে চলে আসলাম। পেপুলবাড়িয়া নেমেছিল অথচ যাওয়ার কথা ছিল মেঘাই।
কি আর করব সেখান থেকে আবার সিএনজিতে উঠে আসলাম লেখায় পর্যন্ত। দুপুরে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করলাম। নামাজ আদায় করার পর দোকানে এসে পাউরুটি এবং কলা খাইলাম।
পর্যাপ্ত পরিমাণ রোদের মধ্যে অধিক সময় অর্থাৎ এক ঘন্টার অধিক সময় নৌকার মধ্যে অতিবাহিত করতে হয়েছে। দুপুরে প্রচুর পরিমাণে ঘুম ধরেছিল। নৌকার মধ্যে ঘুমানোর একটি ঘটনা রয়েছে আমি আপনাদের মাঝে পরবর্তীতে তুলে ধরবো।
বিকেল বেলায় ওবায়দুল মামার কাছে চলে গেলাম আমার কম্পিউটার এর সমস্যা হয়েছিল তাই মামার কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম আসলে কি সমস্যা হয়েছে বিষয়টি যাচাই করার জন্য। যখন আমি বাসায় নিয়ে আসছি মোটামুটি দুই দিন ভালো ছিল কিন্তু তারপরে হঠাৎ করে মনিটরে সঠিকভাবে সংযোগ আসতেছে না।
মামার কাছে নিয়ে গেলাম এবং এক দিন রেখে দিয়েছিলাম কিন্তু তাও ভালোভাবে বুঝতে পারল না। বলতেছেন যে জায়গা থেকে কিনেছো সেই জায়গায় নিয়ে যাও তাহলে ভালো হবে।
যাই হোক মামার কাছ থেকে PC বাড়িতে নিয়ে আসলাম। বাড়িতে নিয়ে আসার পরে অন করলাম। প্রবলেম কখনো কখনো ডিসপ্লে তে আলো আসে কিন্তু প্রপারলি নয়! এমনকি খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে এবং মানসিক প্রেসার এর মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছি।
আজকের মত এ পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোনো লেখা নিয়ে এসে পর্যন্ত সঙ্গে থাকুন। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
@meraindia
account
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1721568271177323005?t=GMyB2_jih2qF0hC1EKUb4Q&s=19