বন্ধুদের সাথে বাদাম খাওয়ার আড্ডা।
আমি জাকারিয়া তালুকদার। লিখছি Bangladesh থেকে। |
---|
সময় টি ছিল বিকেল বেলা। তখন আমরা সবাই রুমের মধ্যে। কেউ মোবাইল scrolling করতেছে কেউবা শুয়ে রয়েছে।
হঠাৎ করেই চলে গেল কারেন্ট। তাই চলে গেলাম বাহিরে। বাইরে বসে থাকতে বেশ ভালই লাগতেছিল। কেননা অফুরন্ত মনোমুগ্ধকর বাতাস বইতে ছিল। যাহা রুমের মধ্যে বসে থেকে ইলেকট্রিক্যাল এর ফ্যান দ্বারা বাতাস কখনো মনোমুগ্ধকর হতে পারে না!
হঠাৎ করেই বাহিরে সকলেই গল্প করতে করতে বাদাম খেতে ইচ্ছে করলো। কোন একটি কথার প্রসঙ্গে কথা উঠলো এবং শরিফুল আর সজীব আমাকে বলতেছে জাকারিয়া আজকে বাদাম খাওয়াবে।
আমি বললাম এটা কিন্তু তোরা ঠিক করছিস না। অনেক কথা বলার পর তারা আমাকে ছাড়লোই না! খাওয়াতেই হবে বাদাম। অনেক জোরাজোরির পর বললাম ঠিক আছে চল তাহলে।
আমি এবং সজীব যাচ্ছিলাম বাদাম কিনতে। আমাদের রুম থেকে বের হলেই তিনটি দোকান রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোন দোকানেই বাদাম নেই।
এই দোকানগুলো ছেড়ে কলেজ গেটের সামনে আরো কয়েকটি দোকান রয়েছে সেখানে চলে গেলাম। অর্ধেক রাস্তা যেতে না যেতেই পিছন দিকে তাকিয়ে দেখি শরিফুল আর সালাম আসতেছে। ও মা তোরা কেন আসতেছিস? আমরা তো যাচ্ছি!
বলতেছে বিশ্বাস নাই তোরা যদি খাইতে খাইতে আসিস তাহলে তো অর্ধেক শেষ হয়ে যাবে! হাঁ হাঁ হাঁ। হারামি তোরা কি বললি একা। আচ্ছা যাই হোক তা অবশ্য ঠিকই বলেছিল। কারণ বাদাম অনেক লোভনীয় হাতে থাকলে খেতে ইচ্ছে করেই।
পরিশেষে দোকান থেকে ৫০ টাকার বাদাম কিনলাম। বাদাম নিয়ে হেটে আসতে ছিলাম আর সবাই কয়েকটি করে বাদাম খাচ্ছিলাম। রুমে তো আরো কয়েকজন আছে। যাই হোক পরিশেষে যখন রুমের কাছাকাছি আসলাম ওরা দেখি বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে।
ওরা বলতেছে কিরে আমাদের জন্য কি বাদাম রাখছিস নাকি সব হজম হয়ে গেছে। হাঁ হাঁ হাঁ। আরে না সবই আছে।
পরিশেষে সবাইকে হাতে হাতে দিয়ে দেওয়া হলো। কারণ যখন পলিথিনের মধ্যে বাদাম সবগুলো একত্রিত অবস্থায় থাকবে তখন কে কতটি করে নিবে বলা যায় না। সব গুলোই তো দুষ্ট পোলাপান। তাই আগেই সতর্ক হয়ে সবার হাতে দিয়ে হল এটাও একটা মজা।
আবার শরিফুল বলতেছে যে আগে খেয়ে শেষ করতে পারবে সে সবার কাছ থেকে ভাগ ধরবে। সজীব বলে আসিস তোকে সবগুলোই দিয়ে দেব! হুম তুই যে দিবি এটা আমার বিশ্বাস করতে হবে!
পরিশেষে সবাই মিলে অনেক মজা করতেছি এবং খাচ্ছি। এদিকে শরিফের সবার আগে খাওয়া শেষ হয়ে গেল। সজীব কে পাকড়াও করেছে তার কাছ থেকে বাদাম নেওয়ার জন্য।
এদিকে সবার খাওয়া শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সালাম মহোদয়ের খাওয়া শেষ হচ্ছে না। কিরে শালা তুই কি সারাদিন ধরে খাইবি নাকি বাদাম।
যাই হোক অনেক সময় ধরে বন্ধুরা মিলে বাদাম খাওয়ার আড্ডা শেষ করলাম এবং কিছুক্ষণ পর রুমে কারেন্ট চলে এসেছে তাই আমরাও রুমে চলে আসলাম এবং মাগরিবের আজান দিচ্ছে প্রায়।
যাইহোক আজকের মত এ পর্যন্তই। দেখা হবে ভিন্ন কোন লেখাতে। সে পর্যন্ত সাথেই থাকুন ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আড্ডায় বাদাম খাওয়া বাংলাদেশের ঐতিহ্য বলা যেতে পারে। কারণ শহর কিংবা গ্রামে, পরিবার বা বন্ধু মহলের কিংবা প্রিয়জনের সাথে আড্ডাটা বাদাম ছাড়া ঠিক জমে ওঠে না। আপনি বন্ধুদের সাথে সুন্দর একটি বিকাল পার করেছেন এই সুন্দর বিকাল কে আরো সুন্দরতম করেছে আপনাদের বাদাম খাওয়ার মুহূর্তগুলো।
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1686753786075684864?t=9neY9ls3pOL0OX3k7YWWSA&s=19
ভাই বিকাল বেলার বাতাস টা মন ছুঁয়ে যায়।আর বন্ধুরা থাকলে তো আনন্দের সীমা থাকে না। আর আপনার বন্ধুদের মতই আমার বন্ধুরা এরকমের বলে যে আজকে তুই খাওয়াবি আবার আমি বলি কালকে তুই খাওয়াবি এরকম হয় বন্ধুত্ব।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
হাঁ হাঁ হাঁ, বন্ধুরা মানেই এইরকম ধোঁকা। তবে যাই হোক ধোকা বলি আর যাই বলি এগুলো একটু মজা। এইভাবে কত আমার কাছ থেকে খাইলো ওরা এবং আমরাও একেক জনের কাছ থেকে খাইতাম এভাবে। ধন্যবাদ জানাই মন্তব্য করার জন্য।
জি ভাই বন্ধুত্ব মানে ধোঁকা।তার পরে ও আমরা এই ধোঁকা সব সময় খেতে রাজি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হাঁ হাঁ হাঁ, অনেক মজার কথা বলেছেন ভাই।
আমার যেনে খুবই ভালো ভালো লাগলো যে আমার কথা আপনার কাছে ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সত্যি বলতে এই অপূর্ব সুন্দর সময়গুলোর মূল্য বন্ধুদের উপস্থিতিতে বুঝতে পারা যায় না তারা সবাই নিজের মতো ব্যস্ত হয়ে যাওয়ার পর স্মৃতি চারণে এই সোনালী সময়গুলো আপনার মুখে হাসি ফোটাবে। হোস্টেল লাইফ অতিষ্ঠ লাগলেও বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহুর্ত আনন্দের।আপনার এবং আপনার বন্ধুদের বাদাম খাওয়ার মজার ঘটনা পড়ে আমার হোস্টেল লাইফের কথা মনে পড়ে গেল সবাই একসাথে খাওয়ার জন্য কিছু কিনতে গেলে বাকিদের পাহারা দেওয়ার নাম করে সাথে যাওয়া আসলেই সময়গুলো দারুণ। আপনার এবং আপনার বন্ধুদের জন্য শুভকামনা ভালো কাটুক আপনাদের সোনালি সময় এগিয়ে চলুন সুন্দর ভবিষ্যৎ পথে
একদমই সঠিক হোস্টেল লাইফ খুবই মনে পড়বে যখন সবাই কর্মজীবনে পদার্পণ করবে। ধন্যবাদ জানাই সম্পূর্ণ লেখা পড়ে দারুন একটি মন্তব্য করেছেন একই সাথে শুভকামনা করেছেন এজন্য আবারও ধন্যবাদ জানাই।
বাদাম অনেক প্রকার তার মধ্যে এরকম জাতের বাদাম তিন ধরনের হয় ছবিতে যেটি দেখাচ্ছে সেটা চিনা বাদাম ( খোলা সমেত ভাজা হয়) । যেহেতু এটা ছুলে খেতে হয় অবসর বিনোদনের জন্য একটি উপাদেয় খাদ্য। আমি কিন্তু বাদামের দাম শুনে একটু অবাক হলাম। আমাদের শৈশবে ১আনার বাদাম আজ পঞ্চাশ টাকা ছুঁয়েছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এরকম একটা বন্ধুত্বের গল্প লেখার জন্য।
এখন বাদামের যে দাম অনেক। সবকিছুর দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় দিন দিন নাজেহাল অবস্থা হয়ে পড়ছে মানুষ। আগে যখন চকলেট কিনতাম এক টাকা দিয়ে ৮ টি পেতাম। এখন এক টাকা দিয়ে একটা চকলেট কেনাও মুশকিল। ধন্যবাদ জানাই আপনার মূল্যবান মন্তব্য তুলে ধরার জন্য।
অনেক দিন হল বন্ধুদের সাথে এ রকম আড্ডা দেওয়া হয় না। অটুট থাকুক আপনাদের এই বন্ধুত্ব। বাদাম আসলেই অনেক লোভনীয় আবার একা একা বাদাম খাওয়ার চেয়েও বন্ধুরা মিলে বাদাম খেলে বাদামের স্বাদ অনেক গুন বেড়ে যায়
আসলে বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো অনেক বেশি সুন্দর এবং মধুময় হয়ে থাকে। সেই মধুময় মুহূর্তগুলো খুব তাড়াতাড়ি আমাদের জীবন থেকে পার হয়ে যায়। কিন্তু সেই মুহূর্তগুলো আমাদের সারা জীবন মনে থাকে।
আজকে আপনার বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আপনি হয়তো বা কিছুদিন পরে গিয়ে অনেক মিস করবেন। সবাই মিলে বাদাম খেয়েছেন মজা করেছেন। আড্ডা দিয়েছেন। এ বিষয়গুলো না আমাদের অনেক বেশি মূল্যবান হয়ে থাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, আপনার বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।