শরীরকে সতেজ রাখার জন্য অন্যতম খাবার এর সাথে পরিচিত হই।
প্রিয় স্টিমিয়ান বন্ধুরা,
শরীরকে সতেজ রাখার জন্য আমাদের কিছু প্রচেষ্টা থাকা দরকার। আজকে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব বিগত কয়েকদিন আগে বাজারে গিয়ে দই খাওয়ার মুহূর্তটি। একই সাথে উপকার সম্পর্কে তুলে ধরব।
একদিন রুমের মধ্যে সন্ধ্যাবেলায় বসে রয়েছি। ঠিক সেই মুহূর্তে পাশের রুমমেট এক বন্ধু আমাদের রুমে চলে আসলো। বন্ধু বলতেছে কিরে লেখাপড়া কেমন চলছে? বললাম এইতো চলছে মোটামুটি ভালই।
আর কি অনেক রকমের গল্প হচ্ছে আমাদের, গল্প করতে করতে বলতেছে চল মাদলা বাজারে যাই। কেনরে মাদলায় যাবি? বলতেছে খাওয়া-দাওয়া করি ভালো লাগতেছে না।
আপনারা তো জানেন আমি আবার খাওয়া পাগল। খাওয়া-দাওয়ার কথা শুনলে আমার আবার ভালো লাগে না, শুধু খেতে ইচ্ছা করে। যেহেতু চিরঞ্জিত সাথে যাচ্ছে তাই বললাম, যাই কি আর করার আছে।
তাই সন্ধ্যার সময় দুইজন মিলে চলে গেলাম অটো গাড়িতে চড়ে। চারপাশ দিয়ে কত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য রাতের আলোতে ঝাপসা ঝাপসা দেখতে লাগলাম।
আরো বিভিন্ন গাড়ি যাতায়াত করতেছে সেই গাড়ির লাইট যেন জোনাকির মত জ্বলছে। এভাবে দেখতে দেখতে চলে আসলাম মাদলা বাজারে।
প্রথমেই সেই কাঙ্ক্ষিত দই এর দোকানের সাথে দেখা। কেননা স্ট্যান্ডের সাথেই দই দোকান। দোকানদারকে বললাম আচ্ছা এই দই-গুলো কত করে বিক্রি করেন?
রমজান মাসে এই বইগুলো ১৬০ টাকা ছিল। এখন ১০ টাকা দাম কমেছে। আরো একটি দই ছিল তার দাম ১৫০ টাকা। যেহেতু ১৬০ টাকা দামের দই দশ টাকা কমে ১৫০ টাকায় এসেছে তাই সেই ভালো দইটি ক্রয় করলাম।
যেহেতু এই দইগুলো আবার আমাদেরকে হোস্টেলে নিয়ে যেতে হবে তাই বললাম এগুলো রেখে দিন আমরা ওই বাজার থেকে ঘুরে আসি।
বাজারের মধ্যে গিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবার উফ্ কি যে মজা। খাবারগুলো দেখে আমি নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। ঝাল মুড়ি মাখা খাইলাম, পিয়াজু খাইলাম, আলুর চপ, বেগুনের চপ, ডিমের চপ, কলার চপ, রসুনের চপ আরব বিভিন্ন খাবার ছিল সেগুলো অল্প অল্প করে খাইলাম।
এভাবে বাজারের মধ্যে থেকে অনেক কিছু খাওয়া দাওয়া হল এবং ঘোরাফেরা হলো সেই সন্ধ্যায়। সেগুলোর ছবি তোলা হয়নি তাই শেয়ার করতে পারলাম না।
দুজন মিলে এখন চলে আসলাম আবার সেই দই এর দোকানে। কেননা দই খেতে হবে আমাদেরকে। চিরঞ্জিত রায় তার বাড়িতে এই দই নিয়ে যাবে। কেননা বগুড়ার দই বিখ্যাত।
পরিশেষে দুইটি দই বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রয় করল এবং আরো একটি খাওয়ার জন্য। দুজন মিলে দই খাইলাম উফ্ কি যে মজা।
প্রথমে ভাবলাম হয়তো অনায়াসেই খাওয়া যাবে কিন্তু যখন খাইতে বসলাম তখন দেখি কিছুটা দই খাওয়ার পর মুখ মেরে আসে। তবে দই আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার বলতে পারেন। তাই দুজন মিলে বসে পড়লাম এবং চামচ নিলাম দুইটি খাওয়ার জন্য।
খাওয়ার সময় দোকানদার মামাকে অনুরোধ করলাম আপনিও আমাদের সাথে দই খান। বলল না বাবা তোমরা খাও, আমরা প্রায় সময়ই দই খাই কেননা আমাদের দই নিয়েই ব্যবসা।
পরিশেষে দুই বন্ধু একটি বড় কাঁসা ভর্তি দই পুরোপুরি খেয়ে শেষ করে দিলাম। দই এর মধ্যে অনেক উপকারিতা আছে।
- দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে, একই সাথে পেটকে ঠান্ডা রাখে।
- দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় ও দাঁত এর জন্য উপকার।
- যে দুধ খেতে পারে না তার জন্য সবচাইতে ভালো দই খাওয়া। দই খাবার কে হজম করতে সহায়তা করে।
- এই দই এর মধ্যে অনেক রকমের উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যা ক্ষতিকর নয় বরং হজমের ক্ষেত্রে উপকারী। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ত্বককে মসৃণ করতে এবং রক্তচাপ কমাতে এই দই এর ভূমিকা অপরিসীম।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন রকমের উপকারিতা বর্ণিত রয়েছে; তবে সাধারণভাবে আপনাদের সামনে কিছু উপকারিতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
Device | Name |
---|---|
Android | Tecno Spark 7 |
Camera | 16MP Dual camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @jakaria121 |
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1655907885560504324?t=6a2kLmiZPBVcQ0yrcojh9A&s=19
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you so much for curating my post.
আপনারা দুই বন্ধু মিলে দই খাওয়ার আনন্দ খুবই ভালোভাবে উপভোগ করেছেন আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আপনি উল্লেখ করেছেন পাশাপাশি দই খেলে তার উপকার সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আপনি বলেছেন যেগুলো আমার আসলে অনেক অজানা ছিলো।
খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে এবং দেখে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার ভালো লাগলো আপনি দই সম্পর্কে জানতে পারলেন আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে। ধন্যবাদ জানাই পোস্ট পড়ার জন্য।
সন্ধ্যাবেলায় ঘুরতে গিয়ে,, দুই বন্ধু মিলে অনেক খাবার খেয়েছেন। সেই সাথে খেয়েছেন বগুড়ার দই।আসলে বগুড়ার দই বাংলাদেশের সবচাইতে বিখ্যাত।
আপনার বন্ধু দুইটা দই কিনে নিয়েছে,, বাড়িতে নেয়ার জন্য। এবং একটা দই আপনারা সেখানে খেয়েছেন ,,এবং দই সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। দইয়ের উপকারিতা আলোচনা করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সবসময় ভালো রাখুক সুস্থ রাখুক। ভালো থাকবে।
একদমই ঠিক কথা বলেছেন বাংলাদেশের মধ্যে বগুড়া জেলার বিখ্যাত খাবার দই। যা আমি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। আপনিও ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আহ ঠান্ডা ঠান্ডা ফ্রিজে রাখা দই খেতে কিন্তু বেশ মজা তাই না সেটা তো দেখতে পাচ্ছি আপনি যেভাবে মজা করে দই খাচ্ছেন সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
আমি আসলে দই খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি আমিও দই খেতে বসলে এক কেজির একটা দই আমি জায়গায় বসে খেতে পারি।
হ্যাঁ এটা আমাদের শরীরকে সতেজ সুন্দর রাখতে অনেকটা সহযোগিতা করে আর যেহেতু এখন বর্তমানে গরম পড়ছে তো গরমের মধ্যেও আসলে দই খেলে শরীরটা অনেকটা ঠান্ডা অনুভব করে ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর মুহূর্তটি দেখতে পেয়ে যে আপনি কি আনন্দ করে দই খাচ্ছেন আপনার বন্ধুদের সাথে।
একদমই তাই খুবই মজা করে এই দই খাওয়া হয়েছে। খাওয়ার সময় কি যে আত্মতৃপ্তি তা বলে বোঝানো অসম। বিশেষ করে গরমের সময় দুই খুবই উপকারী এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ভীষণ ভূমিকা পালন করে।
খুব ভালো লাগলো ভাইয়া, আপনার পোস্টটি পড়ে। দই সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা সম্ভব হলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই গরমের দিনে দই আসলেই শরীরের জন্য একটি উপকারী খাদ্য। দই এই গরমে শরীরকে রাখবে ঠান্ডা আর দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া হজমেও সাহায্য করে।
একদমই তাই দই এর মধ্যে অনেক উপকারী ব্যাকটেরিয়া সহ শরীরকে সতেজ রাখে।
Amigo se ve que la pasaste bien en esta salida al mercado con tu amigo, disfrutar un rico yogurt y compartir lo importante que es consumirlo para mantener nuestro cuerpo más fresco. Saludos y bendiciones.🤗