আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি দুশ্চিন্তা, হতাশা এবং বিরক্তির কারণে

in Incredible Indialast year

প্রিয় স্টিমিয়াম
আসলেই কি আমরা অনেক ক্লান্ত! চলুন দেখি আমরা কিভাবে ক্লান্ত হই!

pexels-photo-1134204.jpeg

source

TQ.png

ক্লান্ত হওয়ার সামান্য কয়েকটি কথা তুলে ধরবো

দুশ্চিন্তা

দুশ্চিন্তা এটা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। কেননা প্রায় প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে এই সমস্যা রয়েছে। শুধুমাত্র আমি আর আপনি এই দুশ্চিন্তায় নয় বরঞ্চ পৃথিবীর প্রায় সমস্ত মানসিক এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত তবে কম এবং বেশি।

তবে সব সময় মনে রাখতে হবে দুশ্চিন্তা যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন এটা রোগের মধ্যে গণনা করা হয়। এই দুশ্চিন্তা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি সামান্য দুশ্চিন্তা এবং অপরটি অধিক দূর চিন্তা।

যখন কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন না করে তখন সেটা হয় সামান্য দূর চিন্তা। দেখা যাচ্ছে কোন বিষয়ের উপর আপনি আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও প্রবল দৃঢ় বিশ্বাস নেই কিংবা নার্ভাস ফিল করেন অল্পতেই এটাও দুশ্চিন্তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

এই দুশ্চিন্তা উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে স্ট্রোকের মতো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যা আপনার জীবনের ওপর প্রতিফলিত করে।


TQ.png


হতাশা

বর্তমান সমাজে প্রায় প্রত্যেকটি মানুষ মনে হয় হতাশায় ভুগছে। কেননা যখন কোন ব্যক্তি কোন কাজ করবে কিংবা উদ্যোক্তা হচ্ছে তার মধ্যে হতাশার কাজ করে আদৌ আমি সফল হতে পারব কি পারব না?

কখনো ঈমানদার হতাশাগ্রস্থ হয় না। সব সময় মনে রাখবেন ঈমানদার ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর তাওয়াক্কুল করে থাকে এবং বিশ্বাস। অতীতে যা হয়ে গেছে বর্তমানে যা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে যা হবে সবই সৃষ্টিকর্তার নির্দেশই হবে সুতরাং হতাশার কারণ নেই চেষ্টা করে যান অবশ্যই সফলতা আসবে।

কোন কাজ শুরু করার পূর্বেই হতাশা নয় বরং সাহস নিয়ে সামনে অগ্রসর হও এবং দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে সততা নিয়ে কাজ করতে থাকো।


TQ.png


বিরক্তি

pexels-photo-1587014.jpeg

source

বিরক্তি অনেক ভাবে হয়ে থাকে। ধরুন আপনার সঙ্গী আপনার সাথে বসবাস করতেছে কিন্তু আপনার সঙ্গী আপনাকে বলছে এই কাজ করিও না সেই কাজটি কর। বাজারে যেওনা কিংবা আজকে আমরা সবাই মিলে একসাথে খাবার খাব কিন্তু যখন আপনি আপনার সঙ্গীর কথা না শুনবেন তখন তার কাছে এটি বিরক্তির কারণ হতে পারে।

আবার এমনও হতে পারে আপনার মোবাইল ফোনে ওয়াই ফাই চালু করা রয়েছে সব সময় মেসেঞ্জার থেকে টংটং আওয়াজ আসতেছে মেসেজের শব্দে। কিন্তু আপনি কখনোই ভাবতেছেন না যে আপনার পাশে কেউ আছে হতে পারে বন্ধুবান্ধব হতে পারে বাবা-মা কিংবা পরিবারের যে কেউ। আপনার এই টংটং শব্দে তাদের বিরক্তি হতে পারে।

আবার এমনও রয়েছে দেখা যায় এদিকে মসজিদে আজান হচ্ছে কিন্তু অনেকেই সাউন্ড বক্স দিয়ে গান বাজাচ্ছে নেই কোন তাদের বিবেকবোধ নেই কোন তাদের চিন্তা চেতনা ধর্মের প্রতি নেই কোন তাদের অনুসূচনা।

সুতরাং আমরা চাই না কেউ আমাদের প্রতি বিরক্ত হোক এজন্য আমাদের সর্বসময় সর্ব অবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখা আমি যেন অন্যের কাছে বিরক্তির পাত্র না হই। অল্প কথাতেই মানুষের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব এ যেন বুঝতে পারে আমার থেকে সে যেন বিরক্তি না হয়।

কেননা অতিরিক্ত কখনোই ভালো নয় সুতরাং সবসময় এগুলো মনে রাখা উচিত। যদিও একেকটি শব্দ খুবই ছোট তবে এর মাহাত্ম্য অনেক বিশাল।

TQ.png

20230308_075447_0000.png

Sort:  
 last year 

আপনি ঠিক কথাই বলেছেন বর্তমানে মানুষের টেনশন দুচিন্তা হতাশা নিয়ে প্রতিনিয়ত ভুগতেছে ৷ আবার অনেক এই শোকে আত্মহত্যার পথ ও বেছে নিতেছে ৷

আমি সবাই কে অনুরোধে করবো এসব সবাকই জীবনে আসে এগুলা আমাদের ধর্য্য ধরে যুদ্ধ করে চলতে হবে তাহলেই আমরা এসব থেকে মুক্তি পেতে পারবো ৷

আমরা অনেক সময় কাজ করে থাকি সেই কাজ গুলোর প্রতি আমরা নানা ভাবে বিরক্ত হয়ে থাকি ৷ বিরক্ত হলে আমরা আমাদের সফল কাজ সম্পন্ন করতে পারবো না ৷ হতাশা দুচিন্তা টেনশনে সারাজীবন ভূগতে হবে ৷

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷

#miwcc

 last year 

একেবারে সত্য এটাই কেননা প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে দুশ্চিন্তা হতাশা এগুলো থাকবে এবং এগুলোকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করাই হচ্ছে মুখ্য বিষয়

 last year 

তবে সব সময় মনে রাখতে হবে দুশ্চিন্তা যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন এটা রোগের মধ্যে গণনা করা হয়। এই দুশ্চিন্তা সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি সামান্য দুশ্চিন্তা এবং অপরটি অধিক দূর চিন্তা।

দুশ্চিন্তা খুবই মারাত্মক একটা জিনিস। সেটা আমি আর আপনি না বুঝলেও। আমরা যখন প্রতিনিয়ত এই দুশ্চিন্তায় অন্তর্ভুক্ত হই, ধীরে ধীরে দেখা যায় আমাদের মন মানসিকতার মধ্যে অনেক পরিবর্তন।

আমরা যত দুশ্চিন্তা করতে থাকি। আমাদের শরীরের অবস্থা তত দিন দিন খারাপ হতে থাকে। একটা কথার মাথায় রাখবেন। দুশ্চিন্তা কখনোই আপনার জীবনের সকল সমস্যা কেড়ে নেবে না। বরং সে আপনার জীবন থেকে সুখ শান্তি, এসব কিছু কেড়ে নিয়ে চলে যাবে।

কোন কাজ শুরু করার পূর্বেই হতাশা নয় বরং সাহস নিয়ে সামনে অগ্রসর হও এবং দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে সততা নিয়ে কাজ করতে থাকো।

আসলে আমরা কোন কাজ করার সময়, এই হতাশার কারণে আমাদের কাজটাকে ভালোভাবে সম্পূর্ণ করতে পারি না। আমাদেরকে কোন কাজ শুরু করার আগে, অবশ্যই মনটাকে স্থির করতে হবে। আমাকে ভাবতে হবে, আমি আমার সততা এবং কঠোর পরিশ্রম দিয়ে, সেই কাজকে সম্পূর্ণ করব। আমি অবশ্যই কাজটা কে ভালোবাসবো তবেই কিন্তু আমি সেই কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারব। হতাশা নিয়ে কখনোই কোনো কাজে অংশগ্রহণ করা উচিত নয়। এতে আপনার বিপরীত হতে পারে আপনার ক্ষতি হতে পারে।

আবার এমনও রয়েছে দেখা যায় এদিকে মসজিদে আজান হচ্ছে কিন্তু অনেকেই সাউন্ড বক্স দিয়ে গান বাজাচ্ছে নেই কোন তাদের বিবেকবোধ নেই কোন তাদের চিন্তা চেতনা ধর্মের প্রতি নেই কোন তাদের অনুসূচনা।

এটা খুবই মূল্যবান একটা কথা বলেছেন। বর্তমান সময়ে আমি বা আপনি আমাদের একটু চিন্তা করা উচিত। আমাদের বিবেক টা কোথায়, মসজিদে আজান হচ্ছে। আমরা কানের মধ্যে হেডফোন গুঁজে গান শুনছি। হয়তোবা বড় বড় বক্স চালিয়ে সেখানে ডিজে গান বাজিয়ে রেখেছে। আসলে এগুলো করা কি আমাদেরকে আদৌ উচিত কিনা, নিজে থেকে যদি একটু চিন্তা করি। তাহলে কিন্তু বিষয়গুলো আমাদের কাছে অনেকটাই ক্লিয়ার হয়ে যায়।

আর যদি অনুশোচনা কথা বলি, তাহলে আমাদের বর্তমান সমাজের মানুষগুলোর অনুশোচনা বলতে কোন কিছুই নেই। তারা দুনিয়া নিয়ে পাগল, পরকালে যে তাদের যেতে হবে। এই কথাটা তারা কখনো চিন্তাও করে না।

পরিশেষে একটা কথাই বলব, আপনার পোষ্টের প্রত্যেকটা ওয়ার্ড এর মূল্য অনেক বেশি। যদি গভীরভাবে আপনার পোস্টকে নিজের মনের মধ্যে গেঁথে নেয়া যায়। তাহলে জীবনটাকে কিছুটা হলেও পরিশুদ্ধ করা সম্ভব।

অসংখ্য ধন্যবাদ, আপনাকে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন।

#miwcc

 last year 

একদম তাই বর্তমানে আমাদের মধ্যে এবং আমাদের সমাজের মধ্যে অনুশোচনা বলতে কোন শব্দ তাদের মধ্যে চিন্তা কাজ করে না।

 last year 

হতাশা,দুশ্চিন্তা, বিরক্তি মানুষের জীবনে এগুলো নিত্যদিনের ঘটনা। এগুলোকে সাথে নিয়েই টিকে থাকতে হয়৷

#miwcc

 last year 

একদমই তাই এগুলো আমাদের নিত্যদিনের ঘটনা।

Loading...

"কখনো ঈমানদার হতাশাগ্রস্থ হয় না।"

আগে মানুষ কম হতাশ হতো কারণ মানুষের সৃষ্টিকর্তার উপর আস্থা ছিল বেশি। এখন সেই ঈমান নেই বলে চারিদিকে হতাশা। তবে এটি একটি রোগ। যদি কাছের কেউ এ রোগে আক্রান্ত হয় আমাদের তাকে চিকিৎসা করাতে হবে।
#miwcc

Coin Marketplace

STEEM 0.22
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 66524.25
ETH 3616.53
USDT 1.00
SBD 2.81