প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দাও
প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী
পড়ন্ত বিকেল। ঠিক এই সময় যেন বাড়িতে বসে থাকতে আর ভালো লাগেনা। সারাদিন বাড়িতেই থাকতে হয় এবং বাড়ির কিছু কাজ থাকে সেগুলো পরিপূর্ণ করতে হয়।
পরিশেষে আসরের নামাজের সময় হয়ে যায়; তখন আসরের নামাজ আদায় করে আসি। এরপর বাড়িতে বসে থাকার মত মন মানসিকতা থাকে না; তাই একটু ঘোরাফেরা করতে যাই।
এই ব্যস্ত নগরীতে যেন মানুষের সময় হয় না একটু প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিস্তৃত করতে। কিভাবে হবে সারাদিন থাকে মানুষ ব্যস্ততার মাঝে। তাইতো সময় হয়না নিজেকে একটু শান্ত করতে।
এই প্রকৃতির ছবিটি বেশ দারুন লাগতেছে। মানুষ যখন একটু সময় পায় তখন যেন প্রকৃতির মাঝে নিজেকে আত্মসমর্পণ করে! কেননা প্রকৃতি কত সুন্দর তা বোঝার জন্য ঘরের মধ্যে বসে থাকলে হয় না; নিজেকে প্রকৃতির মাঝে নিয়ে যেতে হয় তবেই বোঝা যায়।
তাইতো চলে গেলাম পড়ন্ত বিকেলে মাঠের মধ্যে একটু বসে থেকে প্রকৃতির সাথে কলাব্রেশন করতে। যখন আমি মাঠের মধ্যে গিয়েছিলাম তখন সূর্য বেশ উপরেই ছিল; অর্থাৎ কিছুটা সময় পরেই সূর্য ডুবে যায়। আর তখনই এই ছবিগুলো ধারণ করি।
সাথে ছিল হাফিজুর ভাই। দুজনে মিলে মাঠের মধ্য প্রান্ত দিয়ে হাটি হাটি পা পা করে এগিয়ে যেতে লাগলাম। ততক্ষণে মাঠের মাঝ প্রান্তে পৌঁছে গেলাম। দেখতে পেলাম এখানে গরুর খড় চাষাবাদ হচ্ছে। এখন তো প্রায় সমস্ত জায়গায় এই ঘাস কিংবা খড় চাষাবাদ হয়ে থাকে।
বর্তমান সময়ের সবচাইতে জনপ্রিয় গরুর খাবার হচ্ছে এই ঘাস। কেননা এখন যারা এই গরু পালন করে তারা অধিকাংশই এই ঘাসগুলো চাষাবাদ করে কিংবা ক্রয় করে। হয়তোবা কিতাংশ গরুর মালিক যারা নিজেরাই মাঠে থেকে দুবলা ঘাস গরুর জন্য সংগ্রহ করে। এছাড়া ধানের খড় গরুর জন্য বেশ ভালো। গাভীর দুধ সুস্বাদু করতে বেশ সহায়তা করে এই ধানের খড়।
যেহেতু এখন ভুট্টা চাষ শেষ প্রান্তে; তাইতো সকল গেরস্থ তাদের ভুট্টা গাছ থেকে ভুট্টা সংরক্ষণ করেছে। এরপর বাকি রইল ভুট্টার গাছ জমিতে। এখন এই ভুট্টার গাছ অনেকেই বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য। যেমনটি ভাবে আমরা নিজেরাই ভুট্টার গাছ সংরক্ষণ করেছি এবং ভুট্টার ভিতরের কোইতা সংরক্ষণ করেছি যা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম।
অনেকের জমি থেকে এই ভুট্টার গাছ কেউ সংরক্ষণ করেনি; তাইতো জমিতে অবশিষ্ট রয়ে গেছে এই ভুট্টার গাছ গুলো। পরিশেষে জমিতে চাষাবাদ করার লক্ষ্যে এগুলো পরিষ্কার করতে হবে তাই তো এই ভুট্টার গাছ গুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে।
যখন প্রকৃতির মাঝে কেউ বিচরণ করবে তখন অনেক কিছুই সে অনুভব করতে পারবে দেখতে পারবে এবং বুঝতে পারবে। যেমনি ভাবে আমি এবং হাফিজুর ভাই প্রকৃতির সাথে বিচরণ করি। যেহেতু আমাদের বাড়ি গ্রাম অঞ্চলের তাই প্রকৃতিকে সব সময় অনুভব করি এবং অনেক বেশি ভালোবাসি।
Device | Name |
---|---|
Android | Tecno Spark 7 |
Camera | 16MP Dual camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @jakaria121 |
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1652850318672281600?t=ykabat74NzaEMDvrsA-YhA&s=19
বেশ ভালই প্রকৃতির ছবি তুলেছেন ৷ আসলে আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মনোমুগ্ধকর করে তোলে ৷ প্রকৃতিতে থাকা সব ধরনের জিনিস দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে ৷
যাই হোক ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
#miwcc
হ্যাঁ অবশ্যই আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর করে তোলে তবে প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো অনেক সুন্দর হয়ে থাকে যা আপনি বললেন এবং আমিও তুলেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ভাই প্রকৃতি সৌন্দর্য এমন একটি সৌন্দর্য যা একবার দেখলে মন জুড়ায় না বার বার দেখতে ইচ্ছে করে।এমন সৌন্দর্য শুধু মাত্র গ্রামের পরিবেশ বেসি দেখতে পাওয়া যায়।
গ্রামের পরিবেশ এত সুন্দর যা একজন প্রকৃতি প্রেমিক সৌন্দর্য বিষয় লিখে শেষ করতে পারবে না
আমি ও ঘুরাঘুরি করি সময় পেলে প্রকৃতি পরিবেশ,,,, প্রকৃতির মাঝে লুকিয়ে থাকা অনেক সৌন্দর্য রয়েছে যা আমরা দেখে মনমানসিকথা পরিবর্তন করে দেয়। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি প্রকৃতি নিয়ে পোস্ট করেছেন।
#miwcc
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই মন্তব্যের মাঝে আপনার সুন্দর একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য তুলে ধরেছেন যা বহন করে আপনার প্রকৃতিকে।
প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে প্রায় সকলেরই ভালো লাগে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য বেশিরভাগ গ্রাম অঞ্চলেই দেখা যায় যা আপনি বললেন।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য সহিত একটি প্রাকৃতিক দৃশ্য উপস্থাপনের জন্য।
প্রকৃতির মাঝে হাড়িয়ে যাওয়া ও আপনার প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো অনেক অসাধারন ছিলো। সব কিছু দেখে ও পড়ে বেশ ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ।