বৃষ্টিতে ভেজা এক ছোটবেলার স্মৃতি।
আমি জাকারিয়া তালুকদার। লিখছি Bangladesh থেকে। |
---|
সকালবেলা তেমন বৃষ্টি ছিল না। ধরা যায় আবহাওয়া টা মনোরম ছিল। বাহিরে বের হয়ে ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বললাম, আবার শাজাহান কাকার সাথে কথা বললাম, কাকার সাথে দেখি ছোট ভাই বোন মজার সাথে লেখাপড়া করতেছে একদম পিচ্চি বাচ্চা।
ছোট ভাইদের সাথে অনেক কথা বললাম। ছোট ভাইটি ওর আব্বুর সাথে এসেছিল, আমাদের যখন বিদায় অনুষ্ঠান হয় তখন। শুধু বলে ভাইয়া তুমি কি বগুড়ায়। আমি গেছিলাম আব্বুর সাথে বগুড়ায়। ওর মুখে কি কথা অনেক অনেক।
কথা বলতে বলতে বসে রইলাম যেখানে খাওয়া দাওয়ার পরে এবং বিকেল বেলায় আমরা সচরাচর বসে থাকি সেই জায়গায়।
কিছুক্ষণ পরেই দেখলাম বৃষ্টি পরতে শুরু করল। তখন বৃষ্টি এত তীব্র ছিল না। যখন বারোটা বাজে তখন দেখা যায় বৃষ্টির পরিমাণ যেন আরো বেশি হচ্ছে একাধারে অনর্গল বৃষ্টি হচ্ছে।
খাওয়া-দাওয়া করতে যেতে হবে কিন্তু সেই সময় অনেক অনেক মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। তখন আমাদের খাবার সময় হয়ে গেছে। যেতে পারতেছি না খাওয়া দাওয়া করার জন্য। কি আর করার আছে, সবাই নিজ নিজ গামছা হাতে করে নিয়ে মাথায় দিয়ে ক্যান্টিনে চলে গেল। আমিও এর ব্যতিক্রম নয়। আমার কাছে ছাতা রয়েছে তবে ভেঙে শেষ।
ক্যান্টিনে গিয়ে দেখি প্রায় সকলেই এই অবস্থায় এসেছে। কেননা কারো কাছেই তো ছাতা নেই! হয়তো বা দুই চার জনের কাছে রয়েছে। দুপুরের খাওয়ার পর বেশ কিছু সময় ক্যান্টিনে অপেক্ষা করলাম বৃষ্টি কখন শেষ হবে বা কমবে।
মনে পড়ে গেল ক্যান্টিন থেকে আসার সময় একটি মজার ঘটনা। আসার সময় দেখতে পেলাম ছোট যারা রয়েছে অর্থাৎ ফাস্ট সেমিস্টার থার্ড সেমিস্টার পঞ্চম সেমিস্টার এরা সকলেই বৃষ্টিতে ভিজতেছে। যেখানে আমরা ক্রিকেট খেলতেছিলাম সেখানে।
ও মাই কি আনন্দ! আহা! আহা! আমরাও তো যখন পঞ্চম সেমিস্টারে ছিলাম তখন এমন করেছি। ফুটবল নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে নেমেছি। মাঠ ঘাট যেন সব জায়গায় পানিতে ভরপুর। তখন আমরা সেই মাঠের মধ্যে ফুটবল সট খেলতেছি।
ছোটবেলার কথাও মনে পড়ে যায়। যখন বৃষ্টি হত তখন পারার সকল ছেলে পেলে বৃষ্টিতে ভিজতাম, দৌড় দিতাম পিছলে খেলার জন্য। পড়ে গিয়ে ব্যথা ও পাইতাম তারপরেও খেলতে যেতাম।
আমার জানামতে এমন স্মৃতি সকলেরই কিছু না কিছু রয়েছে। কেননা ছোটবেলায় বৃষ্টিতে ভিজে নাই এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বাড়ি থেকে বকাবকি করতো তারপরেও মন মানে না সবাই মিলে যাই উপরে গোসল করতে বিশেষ করে এই বৃষ্টির সময়।
যাই হোক হঠাৎ করেই মনে পড়ল তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। স্মৃতিময় দিনগুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এই স্মৃতিময় দিনগুলো আজ বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1688612759146213379?t=SuHCPaz8NibpF8Lq4WWdjg&s=19
আসসালামু আলাইকুম ভাই,
কিছুক্ষণের জন্য ছোটবেলা সেই সময় গুলো চোখের সামনে ভেসে আসলো! আহ! কি দিন না ছিল সেদিন গুলো!
এখন মাঝে মাঝে মনে হয় আবার যদি ফিরে পেতাম সেই দিনগুলো আহ কি মধুর সময় না ছিল?
এই বৃষ্টি ও ফুটবল নিয়ে ,আমার একটি স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল! আমরা সব বন্ধুরা মিলে ফুটবল খেলছিলাম মাঠে, সকাল সকাল গিয়েছিলাম অনেক আর মাঠে খেলা করছিলাম কখন যে দুপুর হয়ে গেছে মনেই ছিল না, আর তো আমার মা মাঠে গিয়ে আমারে মারতে মারতে নিয়ে আসছিল, আর তখন আমার সব বন্ধুরা হাসতেছিল। মায়ের হাতে মাইর খেতে খুব ইচ্ছে করছে রে ভাই আজ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পুরনো স্মৃতিতে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল
হ্যাঁ ছোটবেলায় প্রায় এমন স্মৃতি সকলেরই রয়েছে। দেখা যাচ্ছে মাঠে-ঘাটে যেখানে খেলতে যেতাম মা বকাবকি করে নিয়ে আসতো। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। ধন্যবাদ জানাই মন্তব্য করার জন্য।
বৃষ্টির দিনের কথা বললেই মনে হয় স্কুলের সেই দিনগুলোর কথা, স্কুলে থাকাকালীন বৃষ্টি হতো ,তখন আমরা বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলতাম, কতই না মজা হতো, সেই সময় গুলো এখন খুব মিস করি।
আপনার পোস্টটি পড়ে সেই পুরাতন দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়তে ছিল। খুব ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে, আর আপনি বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ক্যান্টিনের খাবার খাওয়ার একটি আনন্দের মুহূর্ত ছিল সবাই মিলে একসাথে।
একদমই তাই ছোটবেলায় ফুটবল খেলতাম স্কুলেও যেতাম মাঝে মাঝে ভিজে ভিজে। দিনগুলো খুবই মনে পড়ে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন। আমাদের সবার বৃষ্টির সাথে অনেক স্মৃতি রয়েছে। যখন আমি স্কুলে পড়তাম তখন বৃষ্টি হলেই বাহিরে বের হয়ে বৃষ্টিতে ফুটবল খেলতাম। বন্ধুদের সাথে সেই দিনগুলো আমি খুব মিস করি। তাছাড়া বৃষ্টির সময় বন্ধুদের নিয়ে ঘরে বসে বিভিন্ন খেলাধুলা করতাম। মাঝে মধ্যে মার কাছ থেকে বকুনিও খেতাম। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলেই অনেক স্মৃতিময় সময় গুলো কাটিয়েছি ছোটবেলায়। ধন্যবাদ জানাই আপনার মূল্যবান মন্তব্য তুলে ধরার জন্য।
আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে এখন এই বৃষ্টিটা অনেক বেশি ভয়ানক অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। আমরা এখন ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে বেশ খারাপ সময় পার করছি।আর এই বৃষ্টির জল যেখানে সেখানে জমে ডেঙ্গুর লার্ভা আরও বাড়বে।সবার এখন সচেতনতা জরুরি।