মুড়ি মাখার আয়োজন।
আমি জাকারিয়া তালুকদার। লিখছি Bangladesh থেকে। |
---|
![]() |
---|
ব্যাচেলর হোস্টেল জীবন এর আনন্দ মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি। আমরা প্রায় দিন গুলোতেই অর্থাৎ কয়েকদিন পরপরই আমরা মুড়ি পার্টি দিয়ে থাকি।
এই মুড়ি মাখা যে কত মজার হয়ে থাকে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে সকলেই একত্রিত হয়ে খাবারের আয়োজন অফ বলতেই যেন আবার খেতে ইচ্ছে করছে।
মাঝে মাঝে এমন আনন্দময় মুহূর্তগুলো সত্যিই অনেক ভালো লাগে। পাশের রুমে আমাদের আরো বন্ধু রয়েছে তারাও আসে।
মুড়ি খাওয়ার জন্য সকলের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হয়। যে কয়জন মুড়ি খাই সকলেই মিলে টাকা দিয়ে মুড়ি কিনতে যাই। দেখলাম রুমে মাত্র সাত জন। তাহলে ১৫ টাকা করে তুললে মোটামুটি ভালো খাবারই পাওয়া যাবে।
আমাদের রুমে সকলের টাকা দিল এবং বন্ধুরা মিলে আমাদের হোস্টেলের পাশেই বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে সেখানে গিয়ে দোকানদারের কাছ থেকে মুড়ি কিনে নিল ৩০ টাকার। চানাচুর কিনলো ৫০ টাকার চানাচুর কেনা হল। এই দুটি আমাদের মেইন তাই এখানেই ৮০ টাকা চলে গেল।
বাকি থাকলো পিয়াজ মরিচ তেল আচার এবং টেস্টি সল্ট। বাকি যে কয় টাকা ছিল এর মধ্যেই মেকআপ করলাম। তবে মরিচের পরিমাণ অতি সামান্য পিয়াজের পরিমাণ অতি সামান্য ছিল কেননা টাকার স্বল্পতা।
পাশেই আমাদের যারা ছোট ভাইয়েরা ছিল তারা আমাদের রুম থেকে সেই গামলা বা ড্ডিস নিয়ে গেছে। তারাও মরি মাখা খাবে বলে। ইতিমধ্যে আমরাও আয়োজন করে ফেললাম শরিফুল কে দিয়ে পাঠালাম ছোটদের কাছ থেকে গামলা নিয়ে আসার জন্য।
গিয়ে দেখি ছোটরা এখনো আয়োজন করেনি। তাই ওদের কাছ থেকে গামলাটি নিয়ে আসলাম এবং আমরা আমাদের কাজকর্ম শুরু করে দিলাম।
সজীব পিঁয়াজ মরিচ কাটতেছে। এদিকে সব বন্ধুরা ঘেরাও দিয়ে বসে রয়েছি গল্প করতেছি। এভাবে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে এটিকে মুড়ি মাখানো তৈরি হয়ে গিয়েছে।
সবাই মিলে বসে পড়লাম মুড়ি খাওয়ার জন্য সেখানেই। কার আগে কে খায় ওরে বাবারে! এদিকে বাদাম আমার অনেক পছন্দ। যেখানেই দেখতে পাই বাদাম সেখানেই হাত দিয়ে নিয়ে নেই।
বাকিরা সবাই চা থেকে দেখে। কিরে তুই এটা কি করতেছিস বাদাম নিস কেন! সমস্যা নাই তোরাও খা খা। একেকজন খুঁজছে চানাচুর। চানাচুর গুলো মোটামুটি নিচে থাকে। কেউ কেউ চালাকি করে নিচে থেকে চানাচুর সহ মুড়ি নিয়ে নেয়।
যদিও সবকিছুই উলটপালট করে ভালোভাবে মেখে নেওয়া হয়েছে তারপরেও। এগুলো একটি মজা।
যাইহোক পরিশেষে মুড়ি মাখা সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেল ওদিক থেকে আবার ছোট ভাইয়েরা চলে এসেছে গামলা নেওয়ার জন্য। পরে তাদেরকে গামলাটি দিয়ে দেওয়া হলো তারাও এভাবে হয়তো আনন্দ করে মুড়ি মাথা খেয়েছে।
ধন্যবাদ জানাই আমার এই লেখাটির সম্পূর্ণ অনুধাবন করার জন্য। যদি আপনারাও হোস্টেলে কিংবা ম্যাচে উঠে থাকেন হয়তো আপনাদের এমন আনন্দ হয়েছে।
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1685999875710955520?t=SDbknzqBSMijhGO_vDeNeA&s=19
ব্যাচেলর লাইফ মানেই মজা,,, ব্যাচেলার লাইফে আপনি আপনার ইচ্ছা মত চলাফেরা খাওয়া-দাওয়া সব কিছু করতে পারবেন! যখনই ব্যাচেলর লাইফ শেষ হয়ে যাবে! তখনই মনে করবেন জীবনটা অনেক কষ্টের।
আপনারা এই যে বন্ধুদের সাথে আনন্দ করছেন মুড়ি মাখিয়ে খাচ্ছেন! কিছুদিন পরে হয়তো বা এই আনন্দের সময় টুকুকে অনেক মিস করবেন! একজন একেক জায়গায় থাকবেন,,, হয়তোবা ছবিগুলো দেখে আফসোস করতে পারবেন! কিন্তু এই মুহূর্তগুলো আর কখনো ফিরে পাবেন না।
অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধুদের সাথে মুড়ি মাখিয়ে পার্টি করার আনন্দঘন মুহূর্তটা,,,, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
একদমই ঠিক কথা বলেছেন এই সময় গুলো অনেক মিস করবো তখন ছবিগুলো দেখতে হবে এবং তখন স্মৃতিগুলো শুধু ভেসে উঠবে। ধন্যবাদ জানাই মন্তব্যের জন্য।
সবাই মিলে একসাথে মুড়ি মাখা খেতে খুবই ভালো লাগে। আমরা ও বাড়িতে সবাই মিলে একসাথে মজা করে মুড়ি মাখা খেতে ভালবাসি। তবে আপনি যেটা বললেন যে অনেকেই মুড়ির তলা থেকে চানাচুর গুলো সহ মুড়ি খাচ্ছে। আমিও ঠিক এটাই করি মুড়ি মাখালে তলার চানাচুর গুলো সহ আমি মুড়ি মাখা খাই।
তবে ব্যাচেলার জীবনে এই মুহূর্তটা হয়তো আর ফিরে নাও আসতে পারে। কারণ একটা সময় পরে সবাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় চলে যাবেন। তবে এই মুহূর্তটা সারা জীবন স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের মুড়ি মাখা আয়োজনের আনন্দ ঘন মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাই দেখি যখন মুদি মাথায় তখন মুড়ির নিচ থেকে খাওয়ার চেষ্টা করে। কেননা সাধে বেশি হোক অল্প। ব্যাচেলর লাইফ খুবই আনন্দের স্মৃতিগুলো খুবই মনে হবে, যখন সবাই কর্মজীবনের তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে।
সত্যি কথা বলতে বেচেলর মানুষগুলো মুড়ির পার্টি বেশি দিয়ে থাকে আর হোস্টেলে থাকার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ আছে সবাই মিলে একসাথে থাকা একসাথে খাওয়া দাওয়া করা এটার মধ্যে অনেক আনন্দ।
কোন এক সময় আপনাদের মত আমিও মড়ি পার্টি দিয়েছি খুব মিস করি সময়টা।
আপনার বন্ধুদের সাথে মড়ির পার্টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
একদমই ব্যাচেলর মানুষ প্রায়ই মূল পার্টি দিয়ে থাকে। স্বল্পদামে অত্যাধিক খাবার অনেক সময় ধরে খাওয়া যায়। আপনারাও একসময় এভাবে খাবার খেয়েছেন যা এখন শুধুই স্মৃতি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মুড়ি মাখা আসলেই একটি মুখরোচক খাবার ইচ্চে হলেই খেতে ইচ্চে করে ৷ মুড়ি চানাচুর কাচা পেয়াজ কাচা মরিচ সরষের তৈল দিয়ে যদি একসাথে মেশানো হয় তাহলে সেই মুড়িমাখাটি আসলেই অনেক চেষ্টা হবে ৷ যেমনটা আপনারা তৈরি করেছেন ৷
যাই হোক ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
হ্যাঁ মুড়ি এক প্রকার মুখরোচক খাবার বললেই চলে। কেননা এতে চানাচুর কাঁচা পেঁয়াজ মরিচ তিল একসাথে মিশিয়ে অনেক সুস্বাদু ভাবে খাওয়া যায় এবং সাথে যদি সকলেই একসাথে থাকি তাহলে তো আরো মজা। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে ম্যাচ লাইফ এ মুড়ি পার্টি বেশি আয়োজন করা হয়ে থাকে। কারন ম্যাচে বা হোস্টেলে থাকার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ ও মজা লাগে সবাই মিলে একসাথে থাকা একসাথে খাওয়া দাওয়া করার অনুভূতি গুলো দারুণ লাগে। কোন এক সময় আমিও তোমাদের মত মুড়ি পার্টি দিয়েছি খুব মিস ম্যাচ লাইফের সময়টা।তাই পরিশেষে তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করে সেই ম্যাচ লাইফের কথা মনে করে দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবে ছোট ভাই