বৃক্ষরোপণ করুন||এক ঢিলে দুই পাখি মারুন
প্রফেসর আব্দুল্লাহিল বাকী হায়দার তিনি একজন কলেজের প্রভাষক। নানার বাসায় ঘুরতে এসেছি। তিনি সম্পর্কে আমার নানা হন।
তিনি কলেজের প্রভাষক এরপর নিজে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তার নিজস্ব অর্থায়নে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করে এবং সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য অর্জনের লক্ষ্যে দিনের কাজ করে যাচ্ছে।
এমনকি তিনি একজন সমাজ সেবক কেননা পরিবেশের মধ্যে সবুজ গাছ অত্যন্ত প্রয়োজন। কেননা গাছ থেকে আমরা পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাই।
শুধু কি বৃক্ষরোপণ করে অক্সিজেন এই সীমাবদ্ধ! না কখনোই নয় কেননা আপনি যদি একটি ফল গাছ রোপন করেন তাহলে সেখান থেকে যেমন আপনি অক্সিজেন প্রাপ্ত হবেন তেমনি আপনি ফল ভক্ষণ করতে পারবেন।
তাহলে আপনার আর্থিক দিক থেকে সাশ্রয় অন্যদিকে ভেজাল মুক্ত অর্থাৎ রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া মুক্ত খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।
আমি এর আগেও এখানে এসেছিলাম কিন্তু সেগুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা হয়ে ওঠে নাই। আমি এবং আমার মামাতো ভাই ইব্রাহিম সহ নানার বাসায় যাওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নানা যেই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেছে সেই মাদ্রাসার ছাদের উপর উঠার পর দেখলাম সেখানে অনেকগুলো বৃক্ষরোপণ করেছে বিভিন্ন ফল ফলাদির গাছ।
এখানে দেখতে পারতেছেন আমগাছ রয়েছে এমনকি এই ছোট অবস্থাতেই মুকুল এসেছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে আমরা যদি বিভিন্ন সাদ অথবা বিভিন্ন আঙিনায় পড়ে থাকা জায়গাগুলো কাজে লাগাই তাহলে যেমন পরিবেশ রক্ষা পাবে তেমনি আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারব এমনকি পুষ্টিকর খাবার রাসায়নিক মুক্ত খাবার গ্রহণ করতে পারবো।
এই ছোট ছোট আম গাছেই এখন মুকুল এসেছে গতবারও বেশ ভালো ফল দিয়েছিল আশা করা যায় এবারও ভালো ফলন হবে।
তিন তালা ছাদ বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠান তার ছাদে উঠে বেশ কয়েকটি পিকচার তুললাম। উপর থেকে দেখা যাচ্ছে নিচে শুধু টিনের ঘর। যেহেতু গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তাই শুধু টিনের ঘর।
এখানে ডালিম গাছ রোপন করা হয়েছে। এর আগে যে সিজন ছিল তখন ২০ কয়েকটি ডালিম ফল ধরেছিল এবারও অনেক ফুল ধরেছে।
তাই এই ডালিম গাছের সাথে ইব্রাহিমের ফটোগ্রাফি এবং আমার। দুজন মিলে বিভিন্ন গাছের সাথে ছবি ফ্রেমবন্দি হয়ে গেলাম।
আমরা এখান থেকে চাইলে অনেক কিছুই নিজেদের মধ্যে প্রয়োগ করতে পারি উদাহরণস্বরূপ বিভিন্ন ফলের গাছ রোপন করা। যেগুলো থেকে আমরা সুস্থ ফল আহরণ করতে পারি।
রাসায়নিক মুক্ত ফলের স্বাদ ভিন্নরকম এবং রুচির সম্মত খাবার এর অন্তর্ভুক্ত। আসুন সবাই মিলে নিজেকে বাচাই নিজের পরিবারকে বাঁচাই দেশকে বাঁচাই।
কেননা অস্বস্তি কর পরিস্থিতির মধ্যে অনেক জটিলতা। সুস্থ থাকার জন্য রাসায়নিক মুক্ত খাবারের বিকল্প কোন পথ নেই। তাইতো নিজেদেরকেই এই উদ্যোগগুলো নিতে হবে।
পরিশেষে আর কিছু বলার নেই। অনেক কথাই বললাম। দেশের জন্য কাজ করুন নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো রাখুন। আর এটাই হল এক ঢিলে দুই পাখি মারেফেলা।
Device | Name |
---|---|
Android | Tecno Spark 7 |
Camera | 16M Dual camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @jakaria121 |
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই পোস্টটি আপনার মনোযোগ এবং সমর্থনের জন্য 💐।
আপনি আপনার নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন। যিনি কিনা একজন প্রভাষক তার সাথে তিনি একটা মাদ্রাসাও চালান। তার নিজের অর্থ দিয়ে তার সাথে তিনি একজন সমাজ সেবক, তিনি অনেক বৃক্ষ রোপন করেছেন।
আসলেই আপনি ঠিকই বলেছেন শুধু বৃক্ষরোপন করলে যে আমরা বৃক্ষ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি তা কিন্তু না। তার সাথে আমরা ফল ও ভক্ষণ করে থাকি। একটা সবজি গাছ যখন আমরা রোপন করি। সেখান থেকে কিন্তু আমরা সবজিও খাই তার সাথে অক্সিজেনও গ্রহণ করি। ঠিক তেমনি আমরা যখন একটা ফল গাছ রোপন করি। সেখান থেকে আমরা অক্সিজেন ও পাই তার সাথে ফল ভক্ষণ করে থাকি সম্পূর্ণ রাসায়নিক মুক্ত ফল।
আপনার পোস্ট পড়ে দেখলাম আপনারা প্রত্যেকটা গাছের সাথেই দুজনে মিলে ফটোগ্রাফিতে দুজনেই অংশগ্রহণ করেছেন।
আসলে আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা একদম বাস্তব কথা আমরা রাসায়নিক মুক্ত ফল তখনই পাবো যখন আমরা নিজের া রোপণ করব। আপনার সুন্দর মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার নানা একজন ভালো মানুষ ছিলেন। শুধু ভালো বললে হবে না তার অনেক কৃতিত্ব দেখলাম। একেতে তুমি একজন প্রভাষক ছিলেন। সবচেয়ে বড় কথা তিনি হলেন একজন মাদ্রাসার মালিক। তিনি একটা মাদ্রাসা নিয়ে অনেক বড় একটা কাজ করে ফেলছেন আখেরাতের জন্য।
ওই মাদ্রাসার যত ছাত্র কোরআন তেলাওয়াত করবে ওই মাদ্রাসার যত ছাত্র পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ওই মাদ্রাসার যত ভালো কাজ করবেন না আমলদারি করবেন। প্রত্যেকের সওয়াবের ভাগ আপনার না আপনার নানাও পাবেন। এত বড় একটা নেয়ামত। যাইহোক আরো অনেক কিছু শেয়ার করেছেন তারপরে খুব ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর আপনার নামের জন্য সব সময় দোয়া রইল এবং দোয়া করি যেন হায়াতে শেফায়ে আজেলা দান করেন আমিন।