কঠিন সময়, কঠিন মানুষ তৈরি করে।
প্রিয় স্টিমিয়ান বন্ধুরা,
মানুষ সব সময় নিজেকে সরল পথে এবং সহজভাবে পরিচালিত করতে চায়। কিন্তু সহজভাবে কতজন পরিচালিত হতে পারে?
![]() |
---|
মানুষের সময় কখনো একই সময় যায় না! গাড়ি যেমন চলতে থাকে তার বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে। মানুষের জীবন ঠিক একই রকম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাকে সম্মুখীন হতে হয়।
কখনো সহজ পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় যা সহজ ভাবে পাড়ি দিয়ে যাওয়া সম্ভব। কখন আপনার জন্য সহজ আর কখন আপনার জন্য কঠিন সেই বিষয়টা আপনাকে বুঝতে হবে।
ধরুন আপনি চাকরি করবেন, তাহলে আপনি যদি কোন পরিশ্রম ছাড়াই অর্থাৎ জ্ঞান অন্বেষণ ব্যতীত সেই জব সেক্টরে ভাইবা দিতে যান কিংবা লিখিত পরীক্ষা। সে ক্ষেত্রে আপনার সাধারণ জ্ঞান এবং পুঁথিগত বিদ্যা সবকিছুরই প্রয়োজন রয়েছে।
আর যদি আপনি এই জ্ঞান গুলো না অন্বেষণ করেন তাহলে আপনার জন্য কখনোই সেই কাঙ্ক্ষিত চাকরি পাওয়ার সম্ভব নয়। যে ব্যক্তি কঠোর পরিশ্রম করেছে, তার দ্বারাই সম্ভব সেই ভাইভা কিংবা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া।
আপনার পারিবারিক প্রেসার রয়েছে, আপনি অনেক বড় হয়ে গিয়েছেন। বাড়ি থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য প্রেশার দিচ্ছে। কিন্তু আপনি অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করতেছেন। শেষ মুহূর্তে এসে আপনার পরিবার থেকে যখন প্রেসার ক্রিয়েট করে তখন আপনি যদি এই শেষ মুহূর্তটি বা কঠিন এই মুহূর্তকে ধরে রাখতে না পারেন তাহলে কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছানো অসম্ভব।
![]() |
---|
এই সময় নিজেকে কঠিন মানুষ তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ শক্তভাবে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে এবং পরিবারকে বোঝাতে হবে। আর কিছুদিন একটু ধৈর্য ধরো আমার লেখাপড়া শেষ হোক। কঠিন সময় মানুষের জীবনে না আসলে সে বুঝতে পারেনা তার সময় কেমন যাচ্ছে!
যে ব্যক্তি এমন পরিস্থিতির মধ্যে পরে একমাত্র সে ব্যক্তি বুঝতে পারে যে তার প্রেসার এবং মানসিক অবস্থান কেমন অতিবাহিত হয়।
তাই নিজেকে এমন ভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন কঠিন মুহূর্ত গুলোকে সঠিকভাবে পরিচালিত করে সামনে অগ্রসর হওয়া যায়। আর সেই কঠিন মানুষ তৈরি করে সেই কঠিন মুহূর্ত আসলেই।
আর এই মুহূর্তে যদি বলি, পরিবার থেকে বলতেছে তাহলে ছেড়ে দেই, আর আর লেখাপড়া করব না। মনে মনে অনেক খুশি হচ্ছি এখন। কিন্তু কতদিন এই প্রফুল্ল মনে পরিচালিত হবে কখনো চিন্তা করি না।
যখন পরিবারের হাল ধরতে হবে তখন বুঝবে কেমন যাচ্ছে দিনকাল। তখন শুধু আফসোস করতে হবে, যদি ওই সময় আমি শক্তভাবে ধরে রাখতাম লেখাপড়ার সেই ধারাটি। তাহলে আজ হয়তো এত কঠোর পরিশ্রম করে জীবন পরিচালিত করতে হতো না।
তখন মনে হবে যে ওই সময় কতই না খুশি হয়েছিলাম যখন পড়ালেখা করতে না করেছিল! কিন্তু সেই আফসোস এখন করতে হচ্ছে যে তখন যদি ধরে রাখতাম সেই অবস্থান তাহলে হয়তো আর এই পরিস্থিতি হতো না।
পরিশেষে একটাই কথা বলব, যত কঠিন মুহূর্তই আসুক না কেন সেই কঠিন সময় কে কাজে লাগাতে পারলে কঠিন মানুষে পরিণত হওয়া সম্ভব অর্থাৎ যেকোনো পরিস্থিতিকে মেনে নেওয়া সম্ভব হবে তোমার জন্য।
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1662811737152978944?t=R_j9WrG2kMhlUWrRvSrkkQ&s=19
মানুষ বলতেই পরিবর্তন মানুষ এখন এক সময় চলছে সে আস্তে আস্তে পরিবর্তন হতে থাকে এবং কঠিন থেকে কঠিন হয়ে যায়,এবং নিজেকে সেভাবে তৈরি করে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
একদমই ঠিক বলেছেন,,, বর্তমান সময়ে একটা পরিবার চালানোর ক্ষেত্রে,, কতটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়! সেটা একমাত্র সেই বুঝতে পারে! যে পরিবার পরিচালনা করে।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত! আমাদের কঠিন সময়ে নিজেদেরকে অনেক কঠোর করে পরিচালনা করা! কারণ আমরা যখন কঠিন সময়ের মোকাবেলা করতে পারব! তখন আমরা সামনের দিকের,,, আমাদের ভবিষ্যতের পথ উজ্জ্বল করতে পারব।
আপনি অসম্ভব সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন! যেটা আমাদের বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে আসে! অসংখ্য ধন্যবাদ! ভাল থাকবেন।
একদম ঠিক বলেছেন যে পরিবার চালায় সেই বুঝে পরিবার চালানো কত কষ্ট। কঠিন এই মুহূর্তগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করাই হচ্ছে মুখ্য বিষয়। ধন্যবাদ।
ভাই জীবন কিন্তু বড়ই কঠিন। আমরা যতই সহজভাবে সবকিছু উপলব্ধি করতে চাই না কেন শেষমেস আমাদের কঠিন স্থানেই পৌঁছাতে হয়। তাই জীবনের এসব কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের মনকেও কঠিন করতে হয়। বাস্তবতার সাথে লড়াই করতে হয়।
আপনি আপনার লেখায় এ বিষয়ে চমৎকার একটি উদাহরণ দিয়েছেন। আমরা যারা লেখা পড়া করছি বা করা শেষ করেছি তাদের প্রত্যেককেই এই বিষয়টার মোকাবেলা করতে হয়। পারিবারিক চাপ থাকবেই। কিন্তু সবকিছুকে মোকাবেলা করে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ সামনেই রয়েছে সাফলতা। ধন্যবাদ ভাই।
হ্যাঁ আমরা সহজ ভাবে উপলব্ধি করি তবে সেই কাজ সহজভাবে করা যায় না কঠিন পর্যায়ে চলে যায় একসময়। এগুলো আমাদেরকে সহ্য করার ক্ষমতা এবং মেন্টালিটি ঠিক করা মেনে নেওয়া এবং চেষ্টা করা। তাহলে দেখবেন সামনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। ধন্যবাদ।