চা বাগানে আমার কিছু ফটোগ্রাফি
![]() |
---|
বন্ধুরা চলে এসেছি আমি আপনাদের মাঝে সিলেট শহরে কিছু সময় চা বাগানে হাঁটাহাঁটি ও ফটোগ্রাফি নিয়ে। দিনটি ছিল শনিবার বিকেল বেলায়।
দুপুরের দিকে আমি এবং আকাশ দুজনে অফিসে গিয়ে এডমিন ম্যাডামের সাথে দেখা করলাম। ১৮ তারিখে আমাদের জয়েন করার কথা ছিল যেহেতু আমরা সারারাত জার্নি করে এসেছি তাই সেই দিন আর জয়েন করতে পারি নাই ম্যাডামের সাথে কথা বলেছিলাম।
B shirt এ এডমিন অফিসে গিয়ে ম্যাডামের সাথে কথা বললাম কখন আমরা জয়েন করব এবং আরো আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা।
বিকেল চারটার দিকে বের হলাম আমরা ৫ জন। আমরা এই পাঁচজন star porcelain ceramic এ কর্মরত আছি। তবে আমি এবং আকাশ দুজনেই নতুন। বাকি সবাই সিনিয়র পারসন। আমি এক পাশে এবং আকাশ অপোজিট পাশে দুজন দুই কর্ণারে। মাঝখানে যে তিনজনকে দেখতে পাচ্ছেন তারা আমাদের সিনিয়র।
আমরা শাহপুর নতুন বাজার থেকে চলে গেলাম রতনপুর পার হয়ে অপর একটি চা বাগানে। চা বাগানটি পরিদর্শন করেছিলাম যখন আমরা ভাইভা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এসেছিলাম তখন।
তুমি আজকে আমরা হাঁটাহাঁটি করে পরিপূর্ণভাবে দেখার চেষ্টা করেছি এবং ছবি উঠেছি এমনকি ভিডিও করেছি খুবই সুন্দর এবং আকর্ষণীয় সময় ছিল। চারদিকেই সবুজ শ্যামল চা বাগান।
১৫ টাকা করে ভারা দিয়ে যেতে হয় একেকজনের। এরপর আমরা হেঁটে হেঁটে চা বাগান পরিদর্শন করি। বড় ভাইদের কে ছবি তুলে দিলাম এবং সহপাঠীকে কেউ ছবি তুলে দেই।
চমৎকারভাবে ছবি তুলে দিয়েছে আকাশ। পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ড খুবই সুন্দর ছিল। চারিদিকে শুধু চা বাগান উঁচু নিচু। তবে রতনপুরের চা বাগান আরো উঁচু-নিচু এবং খুবই সবুজ শ্যামল তরুতাজা বাগান।
যাইহোক যেহেতু রতনপুরের চা বাগানে যাওয়া হয়নি আশা করি এর পরবর্তীতে যখন ঘুরবো তখন সেই রতনপুরের চা বাগান ঘুরে দেখাবো আপনাদের। এই ছবিগুলো তোলা হয়েছে চা বাগানের মাঝামাঝি দিকে গিয়ে।
সেখানে একটি ব্রিজ ছিল ছোট্ট এবং রাখাল গরু চরাচ্ছিল সন্ধ্যার দিকে তারা গরুগুলো নিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় তাদের হাতে মোবাইল দিয়ে তাদেরকে বলা হয়েছিল আমাদের একটি গ্রুপ ছবি তুলে দেওয়ার জন্য।
একদম মাগরিবের আজানের দিকে আমরা চা বাগান ত্যাগ করি। ও আচ্ছা আরেকটি ঘটনা সেটা হল আমরা যখন চা বাগানের দিকে ঢুকি তখন আমাদেরকে মানা করে দিচ্ছে এখন আর ঢোকা যাবে না।
পরে তাদের কি রিকুয়েস্ট করি আমরা চা বাগানের ভিতর যখন ঢুকলাম হয়তোবা সে আমাদের পিছনে পিছনে আসতে ছিল আমরা বুঝতে পারি নাই।
আমরা যখন অনেকগুলো ছবি উঠলাম এবং আরো ভেতরে প্রবেশ করলাম তখন আমরা দেখতে পারলাম সে আমাদের ফলো করতেছে। তখন তার সাথে আমরা কথা বললাম এবং পরিচিত হলাম। যেহেতু আমাদের সাথে অনেক সিনিয়র ভাইরা আছে তারা চিনতে পেরেছে। যে আমাদেরকে ফলো করতেছে তার পরিচিত অনেকেই রয়েছে যারা কোম্পানিতে জব করে।
যাইহোক তার সাথে কৌশল বিনিময় করার মাধ্যমে আমরা অনেক তথ্য নেই। যেমনটি পাবে তারা মূলত এই জায়গায় কিভাবে কাজ করে। তাদের একেকজনের দায়িত্ব রয়েছে প্রত্যেকটা এরিয়া পরিদর্শন করার জন্য।
আমরা আট নাম্বার এরিয়ার মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম তাই সে আমাদের অনুসরণ করতেছিল আমরা কোথায় যাই কি করি।
শেষ পর্যন্ত আমরা চা বাগানে অনেক সময় অতিবাহিত করার পর সূর্যাস্তের সময় আমরা চা বাগান ত্যাগ করতে শুরু করি। আজকের মত এ পর্যন্তই সমাপ্তি করতে চলেছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো আকর্ষণীয় লেখা নিয়ে সে পর্যন্ত সময় থাকুন।
এরমধ্যে ভিডিও রয়েছে আপনারা চাইলে দেখতে পারেন। সম্পূর্ণই আমার ইউটিউব চ্যানেলে পেয়ে যাবেন এবং এই জায়গা থেকেও দেখতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
@meraindia
account
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1726656124542443562?t=DoTBJNVo7D4P5H8kx-tTkQ&s=19
অনেক দিনের ইচ্ছে চা বাগানের বেড়াতে যাবো। এখনো সময় হয়ে উঠে নি। পরিচিতদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি খুব সুন্দর করে চা বাগানের ঘুরার বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
চলে আসো এখন তো শীতের সময় চা বাগান দেখতে ভালো লাগবে
যদিও অনেকবার চা বাগান সম্পর্কে শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেখা হয়নি। আপনার চাকরি হয়েছে সেখানে সেই সুবাদে আপনি চা বাগান বেশ সুন্দরভাবেই পরিদর্শন করেছেন। আসলে আপনার ফটোগ্রাফি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড এর যে, পরিবেশ রয়েছে সেটা অসাধারণ।
সারা রাত জার্নি করার ফলে আপনারা ১৮ তারিখে জয়েন করতে পারেননি। সে জন্য ম্যামের সাথে কথা বলে নিয়েছেন। এটা খুবই ভালো একটা কাজ। আপনারা বিকেলের সময়টা চা বাগানে পার করেছেন। এবং মাগরিবের কিছু সময় আগে ওখান থেকে বের হয়েছেন। বন্ধুদের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
এত বাড়িতে থেকে কি হবে মাঝে মাঝে একটু ঘুরবেন ভালো লাগবে।
সবুজের কাছে গেলে মন এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। সবুজ আর নীল।দুয়ে মিলে এক অসাধারণ সুন্দোর্য বিরাজ করছে। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।
হ্যাঁ সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়
আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রায়ই চাবাগান দেখতে পাই। অনেক দিন পর আবারো চা বাগান চোখের সামনে এলো, এবং তা ভিডিও সহ। ধন্যবাদ ভাই
ভিডিওটি দেখবেন অনেক ভালো লাগবে। হ্যাঁ এর আগেও অবশ্য শেয়ার করেছিলাম চা বাগান তখন আমি ভাইবা দেওয়ার জন্য এসেছিলাম। ইনশাল্লাহ আগামীতেও দেখতে পাবেন। দোয়া রইল আপনার জন্য ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সিলেটে থাকবেন, অথচ চা বাগান পরিদর্শন করবেন না, এটা তো হতেই পারে না। ভাইভা পরীক্ষা দিতে গিয়েই আপনি একবার দর্শন করেছিলেন, আর এখন তো সেখানে চাকরি করতে গিয়েছেন। সুতরাং মাঝেমধ্যেই চা বাগানের ছবি আপনার পোস্টে দেখা যাবে এমনটা আমার বিশ্বাস।
অফিসে সিনিয়রদের সাথে ইতিমধ্যেই আপনাদের ভালো বন্ডিং হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আশা করছি এই নতুন পথ চলা আপনি উপভোগ করছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ নতুন চাকরি জীবনের প্রবেশ করে, সিনিয়রদের সাথে চা বাগানে কাটানো কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
হ্যাঁ যেদিন আসছি সেই দিনই পরিচয় হয়েছে বড় ভাইদের সাথে। বিকেল বেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম তাদের সাথে সুন্দর একটি সময় উপভোগ করলাম চা বাগানে।
আমাদের জাকারিয়া ভাই দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেল, এখন ছেলেটা চা বাগানে ঘুরতে যায়,😆😆
সুন্দর একটি দিন উপভোগ করেছেন চা বাগানে সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।। আমি এখনো চা বাগানে যাইনি কিন্তু সুযোগ পেলে ইনশাআল্লাহ যাব।।
আপনি তো ছেলের বাপ হয়ে গেছেন এখন কিন্তু বিয়ে করতেছেন না 😉। বিষয়টা বাসায় জানাতে হবে।
কিছু বোঝার আগেই ছেলের বাপ এত বড় সৌভাগ্য আমার নেই 😆