Better life with steem || The Diary Game || 26 jun 2024 ||
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,
আসসালামু আলাইকুম রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু কেমন আছেন বন্ধুরা ?আশা করি ভালো আছেন সুস্থ আছেন আমি আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ডায়েরি গেম হাজির হয়েছি ,তা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে এবং শেয়ার করতে চলে আসলাম।
সকাল বেলা
আজকে সকালটা শুরু হয় একটি মশা কামড় খেয়ে ।হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠে পরি। উঠে দেখি কারেন্ট চলে গেছে । ঘড়ি তে তাকিয়ে দেখি ভোর পাঁচটা কাছাকাছি তাই আমি না ঘুমিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থেকে সকালবেলা হাঁটতে বের হয়ে যায়।
১ ঘণ্টার মতো সকালবেলা হেঁটে বাসায় চলে আসি এবং কিছুক্ষণ বসে মোবাইল চাপি সাতটা বাজলে গোসল করার জন্য ওয়াশরুমে চলে যায়। গোসল শেষ করে অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। খালা সকালের খাবার আমার রুমে দিয়ে যায়।
খাবার শেষ করে আমি আর শরিফুল একসাথে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম একটু দূর আসতেই আকাশে অনেক মেঘ জমে আছে বৃষ্টি হবে আকাশ দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।
তাই তাড়াতাড়ি হেঁটে অফিসে চলে আসি কেননা বৃষ্টি পড়া শুরু করে দেবে। অফিসে আসতেই এক মিনিটের মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। আটটার দিকে বৃষ্টি শুরু হয় অনেকেই আটকে যাই। বৃষ্টি পড়ার আগে যে কয়জন আসছিল সেই আমরা বসে থেকে কাজ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে।
আমি রুমে থেকে বের হয়ে পড়ি প্রতিটা সেকশন ঘোরার উদ্দেশ্যে, আমাদের চাকরিটাই হলোই কোম্পানিতে ঘুরাঘুরি করা। তাই প্রতিটা সেকশন ঘুরে আসতে এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় লেগে যায়।
প্রতিদিন মতোই আজকেও ফায়ারিং হতে আয়রন টেস্ট ,আর কিছু স্যাম্পল নিয়ে আসি। এগুলো রুমে নিয়ে আসি, এবং এগুলো রিপোর্ট রেডি করি কোম্পানি কয়েকটি হেড গ্রুপে সাবমিট করি।
এগুলো কাজ শেষ করে আমি ডেকোরেশনে চলে আসি শরিফুলের সাথে কথা বলতে এবং কিছুক্ষণ বসে কথা বলার পর , হালকা ক্ষুদা লাগছে তাই কিছু খাওয়ার জন্য ক্যান্টিনে চলে আসি।
ক্যান্টিনে এসে দেখি রুটি আর খিচুড়ি দুনটাই শেষ হয়ে গেছে। তাই সিঙ্গারা আর পুরি ছিল সিঙ্গারা আমি একদমই পছন্দ করি না 😡পুড়ি আমার খুবই পছন্দ 😋তাই কয়েকটি পুড়ি নিয়ে কিছুক্ষণ বসে খাই।
খাওয়া শেষ করে চলে আসি রুমে ,কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে এবং সকালবেলা মিটিং এর সময় হয়ে আসে ।তাই মিটিং রুমে চলে আসি ,এসে দেখি জিএম স্যার বাদে সকল অফিসার চলে এসেছে।
তাই ৫থেকে ১০ মিনিটের মতন অপেক্ষা করি, জিএম স্যার আসার জন্য কিন্তু হেড অফিস থেকে লোক আসার জন্য ওইখানে স্যার ব্যস্ত হয়ে গেছে তাই আজকে মিটিং হবে না।
তাই মিটিং রুম থেকে বের হয়ে কিছু কাজ করি,গ্লেজ সেকশন এসে কাজের মধ্যে ছিল :ডেনসিটি, ডিস্কো সিটি ,ও থিকনেস চেক করা। এগুলো কাজ করে দুপুরের খাবারের টাইম হয়ে আছি আর এদিকে বৃষ্টি কমে গেলেও জিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে।
দুপুর বেলা
সকালবেলা ছাতা ☔ নিয়ে বের হই নাই তাই ঝিরঝিরি বৃষ্টিতে ভিজতে খুবই ভালো লাগছে কিন্তু অসুস্থ তার ভয়ে তাড়াতাড়ি হেঁটে বাসায় চলে আসি এবং ভালো করে মাথা মুছে তারপর দুপুরের খাবার আনতে ভাবীর রুমে চলে আসছি।
দুপুরে খাবার খেয়ে এখন রেস্ট নিয় এবং বৃষ্টি একদমই কমে গেছে তাই আর ছাতা নিতে মন চাইলো না তাই শরিফুল বৃষ্টির ভয়ে ছাতা নিয়ে অফিসে চলে আসি।
একটু আসতেই আবার বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।তাই আমিও শরিফুল একসাথে ছাতা দিয়ে অফিসে চলে আসি। রুমে এসে কিছুক্ষণ বসে রেস্ট নেই এবং ডেকোরেশনে চলে আসি ওখানে এসে প্রথমত ব্ল্যাক কালার একটু সমস্যা হয়েছিল সেই কালারটি ঠিক করে ডেকোরেশনকে বুঝিয়ে দেই।
এদিকে আবার কর্পোরেট অর্ডারের মগ কাজ চলতেছিল। তাই ওইখানে শরিফুল থাকায় আর আমি ওই দিকে গেলাম না আমি এরপর কিছু টেস্ট করার জন্য ল্যাবরেটরীতে চলে আসি। টেস্টগুলো শেষ করে ফায়ারিং দিয়ে আমার রুমে চলে আসি ,রিপোর্টগুলো রেডি করার জন্য।
বিকেল বেলা
রিপোর্ট রেডি করতে অনেকটা সময় পার হয়ে যায় তাই ছুটি হওয়ার অল্প সময় বাকি আছে। তাই আমাদের রুমে আরো কয়েকজন অফিসার আসছিল তাদের সাথে গল্প করি।
পাঁচটা বাজার সাথে সাথেই বের হয়ে পড়ি বাইরে একটু কাজ ছিল শেষ করে আসতে দেখি রাস্তায় ঝাল মুড়ি দোকান পাই এবং দুজনে দুইটা ঝাল মুড়ি খেয়ে বাসায় চলে আসি।
আমি ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশ রুমে চলে যাই ।গোসল করে মোবাইল নিয়ে বসে পড়ি। কিছুক্ষণ পরেই আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে কারেন্ট চলে যায় তাই বাহিরে বসে মেঘলা আকাশ দেখি।
সন্ধ্যাবেলা+রাত্রিবেলা
এদিকে বৃষ্টি পরতেছে আর এদিকে কারেন্ট নাই খুবই খারাপ লাগতাছে আর একদিকে ভালো লাগতেছে বৃষ্টি পড়তেছে বৃষ্টি দেখতেছি।
ঘন্টাখানেক পরে কারেন্ট আসে এবং রুমে কিছুক্ষণ বসে মোবাইল চাপি এবং রাত্রে খাবার দিয়ে যাই রুমে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়। পোস্ট লিখতে শুরু করি
আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
বাংলাদেশে এখন কারেন্টের সমস্যা প্রায়ই অঞ্চলে বিশেষ করে আমাদের পল্লী বিদ্যুৎ তো আরো বেশি সমস্যা ১০ মিনিট কারণ আসলে বেশ মিনিট কারেন্ট থাকে না আবার চলে যায় আবার কিছু সময় আসে এভাবে করে গরমে মানুষ অনেকটাই সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে রাতে ভালোভাবে ঘুম হচ্ছে না।
কারেন্ট না থাকলে মশার কামড় ফরজ এটা আপনাকেই খেতেই হবে তারা আর কোথায় যাবে। যাইহোক খুব সুন্দর একটি দিন আপনি অতিবাহিত করছেন এবং সেগুলো আমাদের কাছে পর্যায়ক্রমে উপস্থাপনা করছেন আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন
রৌদ্রের তাপমাত্রা যতই বাড়ছে লোডশেডিং এর মাত্রা ততই আরো বাড়ছে, এখন এক ঘন্টা কারেন্ট থাকলে দুই ঘন্টা কারেন্ট থাকে না খুবই লোডশেডিং হয়।
ঠিক বলেছেন ভাই কারেন্ট চলে গেলে গা এটা খাওয়া ফরজ মানে এটা মশার কামড় খাইতেই হবে।
ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়াতে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
বাংলাদেশে বেশি অংশ পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ গুলো সমস্যা দেখা দেয় এছাড়াও অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে তেমন কোন সমস্যা নাই যেমন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রায় ২০ থেকে ২২ ঘন্টা পর্যন্ত কারেন্ট থাকে।
ঠিক বলেছেন, যার একটু শহরে থাকে তাদের কারেন্টের অভাব হয় না এতটা কারেন্ট লোডশেডিং দেখাও দেইনি যদিও কারেন্ট যায় তাহলে ৫ থেকে ১০ মিনিট সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের মতন কারেন্ট থাকে না।সব থেকে বেশি দেখা দেয় গ্রামাঞ্চলে গ্রামের মানুষজন লোডশেডিং এ প্যারাকলে পড়ে যায়। গ্রামের ১ ঘন্টা থাকে তিন ঘন্টা থাকে না।
বলার মতন কোনো ভাষা থাকে না।
বর্তমানে বাংলাদেশের যতই গরমের তাপমাত্রা বাড়ছে বিদ্যুতের সমস্যা বেড়েই চলছে। যাই হোক প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা হাটাহাটি করে ফ্রেশ হয়ে সকালে খাবার খেয়েছেন। এরপর অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
অফিসে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে বৃষ্টি এসেছিল। আমাদের এইদিকেও গতকালকে সকালবেলা হালকা ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছে।
সত্যি ভাই আপনাদের কোম্পানির বানানো ব্লাক কালারের মগটি দেখে একদম মায়ায় পড়ে গেছি।
সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
ঠিক বলেছেন ভাই, বাংলাদেশে যত তাপমাত্রা বাড়ছে এবং কারেন্টের লোডশেডিং ততটাই, যাদের বাসায় আইপিএস অথবা চার্জার ফ্যান আছে তারা মোটামুটি ভালো করেই চলতে পারে।
এদিকে সকাল থেকে অনেক ভারী বর্ষণের হয় এবং দুপুরের দিকে ঝিজির বৃষ্টি সারাদিন ঠান্ডা গেছিল দিনটা কিন্তু রাত হয়ে গেল আবার গরম শুরু।
আমাদের কোম্পানিতে হাজার হাজার কালারের জিনিসপত্র আছে এই কালার গুলো মূলত কর্পোরেট যাবে রেব কাছে।
ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এবং আপনি এই পোস্টের ভিতরে কিছু ছবি শেয়ার করেছেন যেগুলো অনেক সুন্দর ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু মুহূর্তের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়াতে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য
প্রথমেই বলি কালো রং এর মগগুলি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে। আমার বাড়িতেও কালো রংয়ের এরকম একটি কফিমগ আছে, হয়তো আমার পোস্টে কখনো দেখে থাকবেন। আপনাদের অফিসের কার্যক্রম গুলো আমার খুব ভালোই লাগে। কত নতুন ধরনের ডিজাইন, কত নতুন ধরনের কাপ প্লেট দেখার সুযোগ হয় আপনাদের। শুধু দেখার সুযোগ হয় এমন নয়, সেগুলো নিজেদের হাতে তৈরি করে থাকেন। এটা একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা। সারাদিন কর্ম ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন ঠিকই, তবে তার মধ্যেও ক্যান্টিনে গিয়ে নিজের পছন্দের পুরিও খেয়েছেন, যার ছবি দেখে আমার নিজেরও এখন পুরি খেতে ইচ্ছে করছে। গতকাল থেকে আমাদের এদিকেও মেঘলা আকাশ, মাঝেমধ্যে কয়েক ফোঁটা বৃষ্টিও হচ্ছে। বর্তমানে আপনাদের ওখানকার ওয়েদারের সাথে বেশ কিছুটা মিল রয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ নিজের সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমাদেরই কোম্পানিতে নানান রকম নানান রংয়ের মগ আছে। ওই কালো মুখ গুলো মূলত আমাদের বাংলাদেশের রেব বাহিনীর জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছে তাই এগুলো কাজ চলতেছিল দেখাশোনা করি এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আমাদেরই কোম্পানিতে হাজার রকমের প্রোডাক্ট আছে সেগুলো দেখতে আরো সুন্দর, এইগুলো নেওয়ার জন্য মানুষরা অনেক আশা করে কিন্তু আমাদের এই কোম্পানি থেকে বাহিরে প্রোডাক্ট বিক্রি করা একদমই যায় না।
ধন্যবাদ দিদি আমার পোস্টটি এত সুন্দর ভাবে পড়েছেন এবং চমৎকার একটি কমেন্ট করেছেন সেজন্য আপনি অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন
যাহ, বাবা! মশা ও দেখছি আপনাকে অনেক পছন্দ করে। সকাল সকাল বেশ ভালোই আপ্যায়ন করেছিল দেখছি মশা। আমার রীতিমতো মনের অজান্তেই হাঁসি পেয়েছে, আপনার লেখায় উল্লেখিত এই অংশটুকু দেখে।
এছাড়াও আপনার সম্পূর্ণ দিনের কার্যক্রম সম্পর্কে জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি দিনলিপি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
মশার কামড়ে ঘুম ভেঙ্গে গেছে শুনে ভালো লাগলো।। তারপর রেডি হয়ে প্রতিদিনের মতোই অফিসে চলে যান।। আজ ক্যান্টিনে, রুটি ও খিচুড়ি দুনোটাই শেষ তাই পরোটা নিয়ে বসে গেলেন।। শুনে ভালো লাগলো পরোটা আপনার পছন্দ।।
সকালবেলা কারেন্ট না থাকাই মশার অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল সেজন্য মশার কামড়েই ঘুম থেকে উঠলাম। সকালবেলা অনেক কাজ থাকাই একটু দেরি করে ক্যান্টিনে যাওয়াতে খিচুড়ি প্লাস ডিম একটু পাওয়া যায় নাই সেজন্য রুটি দিয়ে সকালে নাস্তা শেষ করলাম।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে একটি সুন্দর চমৎকার কমেন্ট করেছেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
হাই মশারি লাগিয়ে ঘুমাবেন তাহলে মশার কামড় আর খেতে হবে না ঘুমও ভাঙবে না।। দুপুরের খাবারটা যদি পেট ভরে না খাওয়া যায় তাহলে একটু সমস্যায় হয় কারণ পেট শান্তি দুনিয়া শান্তি।।