Better life with steem || The Diary Game || 25th March, 2024 ||
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু, আশা করি সবাই ভালো আছেন, এবং সুস্থ আছেন, আমি আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
সেহেরি
রমজান মাসে ১৪ নম্বর সেহরি খেতে উঠলাম, প্রতিদিনের মতো বড় ভাইয়ের ডাকে ঘুম ভাঙলো,
তখন ঘড়িতে তিনটা দশ বাজে। আমি ফ্রেশ হয়ে সেহরি খেতে গেলাম, সেহরি শেষ করে আমি রুমে চলে আসি।
রুমে এসে একটা পোস্ট পড়ি, এবং আজান হয়ে যায় তারপর অজু করে আমি নামাজ পড়তে চলে যাই। নামাজ শেষ করে, রুমে এসে একটা নাটক দেখে ঘুমিয়ে যাই
সকাল বেলা
প্রতিদিনের মতো আজকে সকালেও এলার্ম শব্দে , আমার ঘুম ভাঙ্গে ।তারপর বিছানা গুছিয়ে ওয়াশরুমে চলে যাই ।গিয়ে গোসল করে অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়।
শরিফুল ও প্রস্তুত হয়ে আমার রুমের সামনে আসে। পরে দুজনে একসাথে অফিসে চলে তাই। গিয়ে দেখি বস চলে এসেছে ।তারপর সালাম দিয়ে রুমে ঢুকি,বস কিছু কথা বলে চলে যায়।
আমাদের কার্যক্রম শুরু হয় , কোন প্রডাক্টের শিপমেন্ট দেওয়ার আগে, ওই প্রোডাক্টের কোয়ালিটি চেক করার জন্য বায়ার দের কাছ থেকে একজন থার্ড পার্টি পাঠায়। ওই পার্টি কিছু কোয়ালিটির চেক করে।
যেমন কালার, একটা প্রোডাক্টের কতটুক তাপমাত্রা নিতে পারছে ,তা দেখেএবং এর হার্ডনেস থিকনেস ওজন এগুলো যাচাই করে।
এগুলো দেখার জন্য কিছু সরঞ্জাম আমি আর শরিফুল ডিসপ্লে রুমে রেখে আসি। পরে আমি আমার কাজে লেগে যায়। গত কালকের কিছু মালের স্যাম্পল হিসেবে দেখছিলাম সেগুলো আজকে কাজ কমপ্লিট করি।
তারপরে আমি লোকাল প্যাকিং যায়, যার পর ওইখানে কিছু কর্পোরেট প্রোডাক্ট প্যাকিং হচ্ছিল তার গুণগত মান দেখি। কি রকম প্যাকেট হচ্ছে, কিছু প্রডাক্ট চেক করে বাদ দেই। এবং ওয়ার্কারদের বলি ভালো করে মালগুলো প্যাকেট করতে।
ওইখানে কিছুক্ষণ থেকে তারপর আমি ডেকোরেশনে এসে, দেখি এক্সপোর্ট এবং কর্পোরেট প্রোডাক্ট এর কাজ হচ্ছে। তাই দেরি না করে চেক দেই, খারাপ মালগুলো দিতে মানা করি। এখানকার সুপারভাইজার বিষয়টা জানাই এবং আমি ওইখান থেকে চলে আসি।
দুপুর বেলা
তারপরে আমি যোহরের নামাজ পড়তে চলে যাই। এবং নামাজ পড়ে এসে রুমে কিছুক্ষণ বসে রেস্ট নেই। তারপর আবার ২:০৭ দিকে সাপ্তাহিক মিটিং শুরু হয় মিটিংয়ে জয়েন করি।
তারপর আরেকটি আরেকটি স্যাম্পল তৈরি করে এবং কিছু টেস্ট করি ।টেস্ট করার পরে সারাদিনের রিপোর্টগুলো আপডেট করি ।এবং সেগুলো বসের
সিগনেশন নিয়ে ফাইল রেখে আসি।
বিকাল বেলা
কিছুক্ষণ পরেই অফিস ছুটি হয়ে যাই ।তারপরে পাঞ্চ করে অফিস থেকে চলে আসি। এসে খুব ক্লান্ত অনুভব করি । তারপর বিছানায় ফ্রেশ না হয়েই, ঘুমিয়ে পড়ি।
ঘুম থেকে উঠি পাশের রুমের বাচ্চাদের চিল্লাচিল্লিতে, তারপর ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে যায় ।গোসল করি,কিছুক্ষণ পর ইফতার আজান হয়ে যায় ।ইফতার শেষ করে নামাজ পড়ে এসে,রুমে পোস্ট লিখতে বসে যাই।
সন্ধ্যাবেলা
প্রতিদিনের মতোই কিছু লিখতে ভাবি কল দেয়, রাত্রে খাওয়ার জন্য তারপর আমি রাত্রে খাওয়ার জন্য চলে যাই ।রাত্রে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে এসে পোস্ট লিখি বেশ কিছুটা লিখতে। এশার আজান শব্দ শুনতে পাই ,তারপর ওযু করে তারাবি নামাজ পড়তে চলে যায় ।নামাজ পড়ে এসে পোস্ট কমপ্লিট করি।
আমার এই সুন্দর জীবন থেকেই খুব সহজে একটি দিন চলে যায় 😥😥😥😥😥।
আপনার দিনের কার্যক্রম পড়ে অনেক ভালো লাগলো, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কার্যক্রমগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। দিনটি আপনি কর্মব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন। আপনার অফিসের সকল কাজের বিবরণ আমাদের দিয়েছেন। জিনিসগুলো আমার কাছে নতুন তারপরেও নতুন জিনিস জানতে ও শিখতে অনেক ভালই লাগে।
ভালো থাকবেন ভাই শুভকামনা রইল।
আজকের পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। রমজানে আমাদের কার্যক্রম সেহরির সময় থেকে শুরু হয়ে যায়। আমি যখন জব করতাম তখন আমাদের অফিসেও পাঞ্চ করে ঢুকতে হতো। তবে আমি বরাবরই দেরি করে যেতাম বলে বেশ বিপদে পড়তে হত।
হ্যাঁ ভাই বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল তাই কোম্পানি এখন ডিজিটাল।