Better life with steem || The Diary Game || 25 May 2024 ||
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ,কেমন আছেন বন্ধুরা ?আশা করি ভালো আছেন সুস্থ আছেন আমি আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হতে পেয়ে নিজেকে অনেক লাকি মনে করছে।
সকাল বেলা
প্রতিদিন মতোই আজকে সকালবেলা শুরু হয় এলামে এর শব্দে শুনে তাই তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে বিছানা থেকে নেমে গুছিয়ে ওয়াশরুমে চলে আসি গোসল করে নেই। গোসল শেষ করে অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়।
প্রতিদিনের মতোই সকালবেলার খাবার খেতে ভাবি রুমে চলে যায়, কিছুক্ষণ বসে থাকি ভাবি সকালের খাওয়ার ছিল বিরিয়ানির চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করছিল ,খেতে অনেক ভালো লাগছিল। খাওয়ার সময় খিচুড়ি থেকে অন্যরকম মজা পাইতেছিলাম খাওয়া-দাওয়া শেষ করে।
আমার রুমে এসে অফিসের সরঞ্জাম নিয়ে অফিসের দিকে অগ্রসর হয় , এবং পাঁচ মিনিট পর অফিসের পৌঁছায় এবং রুমে বসে থাকি। একে একে সবাই আসলে এবং কিছুক্ষণ পরেও বস্ চলে আসে।
গতকালকের কাজের বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করে এবং আজকের কিছু কাজের বিষয় নিয়ে আলোচনা শেষ করে যার যার কাজে চলে যায়।
আমি প্রথমত ফায়ারিং চলে যায় এবং টেস্টের মালগুলো নিয়ে আমার রুমে চলে আসি ।এগুলো আবার আরেক ভাইকে বুঝিয়ে আমি ডেকোরেশনে চলে আসি।
ডেকোরেশনের আসার কারণ হচ্ছে কিছুদিন ধরে আমাদের সি ও ম্যাম প্রোডাক্ট চলতেছিল সেগুলোর কিছু ডিফেক্ট ধরা পড়েছে সেগুলো নিয়েই কথা বলতে ডেকোরেশনে চলে আসি।
তাদের সাথে কথা বলে আমি লোকাল প্যাকিং চলে আসি ওইখানে ম্যাডামের মাল প্যাকেট করা হচ্ছে সেগুলো দিকনির্দেশনা দিই। কারণ স্পেশালি আমার উপর দায়িত্ব এগুলোর দিকনির্দেশনা দেওয়া।
তাই আমি কোম্পানি কর্তৃপক্ষদের কথামতোই তাদেরকে দিকনির্দেশনা কিছু কিছু ডিফেক্ট মাল নিয়ে বসকে দেখায় এবং তার সাথে জিএম কে দেখায়।
খারাপ মাল গুলো দেখে যে রেগে যায় এবং ডেকোরেশনের ম্যানেজার ইনচার্জ কে ডাক দেয় তারপর কিছু কথা বলে ছেড়ে দেয়। আমাকে নির্দেশ দেয় কোন প্রকার খারাপ মাল যাতে প্যাকেট না হয়।
এই কথাগুলো আমি আবার লোকাল প্যাকিং এর সুপারভাইজার এবং ওয়ার্কারদের বলি এবং তারা সতর্ক হয়ে পড়ে, প্রতিটা প্রোডাক্ট ভালো করে চেক করে প্যাকিং করে।
ওদেরকে বুঝিয়ে আমি ডেকোরেশনে চলে আসি ওইখানে আবার ম্যাডামের প্রোডাক্ট লাগানো শুরু করে দিয়েছে এবং সেগুলো দিকনির্দেশনা দিতে আমি ডেকোরেশনের চলে আসি, এবং ওয়ার্কারদের নির্দেশনা দেই তারাও সতর্ক ভাবে প্রোডাক্ট এর উপর ডেকোরেশন করে এবং ডিফেক্ট মালগুলো বাদ দিয়ে দেয়।
দুপুর বেলা
এই কাজগুলো করতে করতে দুপুরের খাবারের টাইম হয়ে আসে। প্রতিদিনের মতোই আমি আর শরিফুল খাবার খেতে বাসায় চলে আসি। প্রচন্ড গরম থাকাই আমার খুব পাগল পাগল লাগছিল ,তাই প্রথমে এসে ওয়াশরুমের ঢুকে গোসল করি।
১০ মিনিটের মত করার পরে কিছু আরাম লাগে বের হয়ে দুপুরে খাবার নিয়ে আসি খাবার শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই। একটা ৫৮ দিকে অফিসে আমি আর শরিফুল চলে আসি।
বাহিরে প্রচন্ড রোদ ও প্রচন্ড গরম থাকায় আমাদের রুমে এসে খুব আরাম লাগে। ওইখানে কিছুক্ষণ বসে থেকে প্রথমে লোকাল প্যাকিং এর চলে আসি। কেননা ম্যাডামের প্রোডাক্ট কাজ চলতেছিল এসে দেখি অনেক ডিফেক্ট জমা হয়ে আছে ।আমাকে দেখানোর জন্য আমি দেখি এবং বসকে দেখাই বস আমাকে বলে জিএম স্যারকে দেখাতে বলে।
জিএম স্যার দেখানোর পর সে অনেক রেগে যায় এবং এর সাথে জড়িত যারা সুপার বাজার থেকে শুরু করে ম্যানেজার পর্যন্ত ডাক দেয় আসার পর কিছু ঝাড়ি দেয়। এবং আমাকে বলে ম্যাডামের প্রোডাক্টগুলো সকলগুলো চেক করতে। তাই বসকে জানাই বস সবাইকে আমার সাথে যেতে বলে।
সবাই আমার সাথে লোকাল প্যাকিং এ চলে আসে।কিন্তু বাহিরে প্রচন্ড গরম থাকায় লোকাল পাকিং এর সুপারভাইজার কে আমাদের রুমে নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানাই।
বিকাল বেলা
উনি রাজি হয়ে আমাদের রুমে দিয়ে আসে এগুলো আমরা সবাই মিলে চেক করি ডিফেক্ট প্রডাক্ট রুমে রেখে দেই আর ভালো মালগুলো লোকাল প্যাকিংয়ে নিয়ে চলে আসে।
এক কালার আইটেম শেষ করতেই পাঁচটা বেজে যায় তাই বসকে বলি কালকে সকালে বাকিগুলো শেষ করব তাই বস রাজি হয়ে যাই ।
এবং কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে বাসার চলে আসছি এসে দেখি কারেন্ট নাই তাই কারেন্টের উপরে প্রচন্ড রাগ দেখায় ভাবি কিছু সান্ত্বনা দেয়।
আমার গায়ের ঘাম দেখে ভাবি ডাক দেয় এবং তাই আমি কথামতোই ভাবির সাথে চলে যাই গিয়ে দেখি ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি ,এবং পাকা আম কেটে দিচ্ছে তাই ঠান্ডা পানি ও আম খেয়ে রুমে চলে আসি ।
পরে এসে আমার চার্জার ফ্যান অন করে বসে থাকি দুই মিনিটের মধ্যেই আকাশে বিদ্যুৎ চমকানি শব্দ শুনতে পাই এবং মনে মনে অনেক খুশি হই।
সন্ধ্যাবেলা+রাত্রিবেলা
তার কিছুক্ষণ পরে বাতাস শুরু হয় এবং সাথে সাথে বৃষ্টি শুরু হয় কিছুক্ষণ দেখে শরিফুলকে বলি বৃষ্টিতে ভিজবে কিনা উনি রাজি হয়ে যায় ।এবং দুজনে মিলে বেশ কিছুক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজতে এবং হাটাহাটি করি হাঁটাহাঁটি করতে অনেক ভালো লাগে।
কিছুক্ষণ ভিজতেই শরীরে অনেক ঠান্ডা লাগে তাই আর না ভিজে বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে পুকুর পাড়ে গিয়ে শরীরের কাদাগুলো পরিষ্কার করে আসি ।
হঠাৎ করে অনেক জোরে বিদ্যুৎ চমকায় তাই আমি আর শরিফুল তাড়াহুড়ো করে বারান্দায় চলে আসি।
তারপর ফ্রেশ হয়ে কারেন্ট না আসা পর্যন্ত আমার ফ্যানের নিচে বসে থাকি এই সুযোগে পোস্ট লিখতে বসে যাই। আজকের পোস্ট এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবে সুস্থ থাকবেন
*** আল্লাহ হাফেজ ***
বিরিয়ানির চাল দিয়ে রান্না করা খিচুড়ির স্বাদ গ্রহণ করার সৌভাগ্য আজ পর্যন্ত আমার হয়ে ওঠেনি। বিরিয়ানির চাল দিয়ে আমি বেশিরভাগ সময় শুধু বিরিয়ানি খেয়েছি আর মাঝেমধ্যে ভাত খেয়েছি তাও অনুষ্ঠান বাড়িতে। আমি ভাবছি যে একদিন বিরিয়ানির চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাবো।
আমি আশা করব আপনি শীঘ্রই বিরানি চাল দিয়ে খিচুড়ি খাবে এবং ছবি তুলে আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। আমি কখনো বিরানি চাল দিয়ে ভাত খাই নাই এটা আমারও ট্রাই করা লাগবে এটা খেতে মনে হয় আরো ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
চাকরি হলো এমন একটা বিষয় যেখানে একই কাজ বার বার করলেও কখনও বিরক্ত হওয়া যাবে না৷ প্রতিদিনের মতো আজও সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খিচুড়ি দিয়ে সকালের খাবার খেলেন। যতটুকু বুঝলাম খিচুড়িটা আপনার খুব ভালো লেগেছিলো। গরমের দিনে সবারই একটা চার্জিং ফ্যান রাখা দরকার। বিদ্যুৎ চমকালে আমার তো ভীষণ ভয় লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বিরক্ত তো কিছু লাগেই ভাই কিন্তু মাসের শেষে এর পারিশ্রমিক হাতে পেলে ওই বিরক্তটা পানি হয়ে যায়। কিছু এটা মোটামুটি ভালোই ছিল কেননা অনেকদিন পরে খেলাম তো তাই অনেক ভালো লাগিছিল। বিদ্যুৎ চমকালে আমার আরো প্রচন্ড বেশি ভয় লাগে ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য
সারা মাসের কষ্ট আর এক ঘেয়েমি টা হয়ত মাস শেষে বেতন হাতে পেলে সব দুর হয়ে যায়।বিদ্যুৎ চমকালে আমার তো কিন্তু খুব ভয় করে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য।
প্রতিদিন মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা খেয়ে অফিসে গিয়েছেন। সকালবেলা বিরিয়ানি খেয়েছেন। বিরায়ানি সত্যি খুব স্বাদের একটি খাবার সত্যি দিন দিন যতই দেখতেছি আপনার কোম্পানির তৈরি সিরামিক গুলো দেখে খুব কিনতে ইচ্ছে করে।
সত্যিই এই গরমে কারেন্ট না থাকলে ঘরে থাকা একদম কষ্টকর হয়ে যায়।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দুঃখিত ভাই, সকাল বেলা বিরানি চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করছিল।। আপনি ভুল করে বিরানি লিখে ফেলেছেন। হ্যাঁ ভাই বিরানি চাল দিয়ে খিচুড়ি টা অনেক সুস্বাদু ছিল। কিনতে যদি ইচ্ছা করে তাহলে চলে আসেন সিলেটে। এই কষ্ট দেখে বাঁচতেই চার্জার ফ্যান ক্রয় করে নিয়েছি। ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।