Better life with steem || The Diary Game || 20 September 2024 ||
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। কেমন আছেন বন্ধুরা আশা করি ভালো আছেন সুস্থ আছেন আমি আপনাদের দোয়ায় আল্লাহ তাআলার রহমতে এখনো মোটামুটি ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমি আপনাদের মাঝে নতুন ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি
সকাল বেলা |
---|
সকাল বেলা কারেন্ট যাওয়ার পর ঘুম থেকে উঠে যাই চার্জার ফ্যান অন করে আবার শুয়ে পড়ি ঘন্টা খানেক ঘুমাই তারপর আবার ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে। ডাক্তার খালি পেটে একটা ব্যায়াম দিয়েছে আধাঘন্টা করার জন্য তারপর ওই ব্যায়ামটা করে।
বাড়ির পেছনে ছোট বাগানে ঘাস তৈরি করি সামান্য কিছু সার প্রয়োগ করে ঘাস বড় বড় হয়ে ওঠে। এগুলো আমাদের এক কর্মচারী কেটে এনে দেয়। আমি তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেছি। মূলত আমাকে ডাক্তার নিষেধ দিয়েছে ঝুঁকে কোন ভারী কাজ করা যাবে না তাই।
এ কাজটি তো ভারী নয় তাই ওরা কেটে এনে দিলে আমি এগুলোকে আবার খড় আর ঘাস কেটে দেওয়া লাগে গরুকে তাই আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এগুলো কেটে দেই। কাটা শেষ হয়ে গেলে আমি ফ্রেশ হয়ে।
অনেকটা ঘেমে গেছি এখন একটু কাজ করলে শরীর থেকে কি পরিমাণ পানিতে পড়ে তা বলে বোঝানো যাবে না। তার ফ্যানের নিচে চলে আসে।
বেশ কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে থেকে সকালের নাস্তা খাওয়া-দাওয়া শেষ করি। রৌদ্রের তাপমাত্রা যত বেশি গরম এর চেয়েও বেশি। বাহিরের গাছের পাতা একদমই নড়ে না এখন গরমের কারণে।
বাহিরে বসে দেখতেছি আর গাছের পাতা গুলোকের দিকে তাকিয়ে আছি একটু নড়ে কিনা কিন্তু দুঃখজনক উপরের দিকে বাতাস বইতেছে কিন্তু নিচের দিকে একদমই বাতাস নাই।
দুপুর বেলা |
---|
যোহরের আযান পর্যন্ত বসে থাকি ওখানেই ঘরে আসলে আরো বেশি গরম লাগে তাই গাছের নিচে বসে থাকাটা অনেকটাই আরম লাগে বাতাস না থাকলেও। ১২:৩০ দিকে জুম্মার আযান দেয় আযান শুনে বাড়িতে এসে গোসল করার জন্য প্রস্তুতি নেই।
গোসলখানায় গিয়ে দেখি আমাদের এক ভাড়াটিয়াম ভাই গোসল করতেছে তাই তার গোসল শেষ হলে আমি গোসল করার জন্য গোসলখানায় ডুকে যাই
শেষ করে রেডি হয়ে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদের চলে আসি।
কারেন্ট না থাকাই সামনের লাইনের উপরে ফ্যানগুলো চলতেছিল আইপিএস দ্বারা পেছনের ফ্যানগুলো তো আইপিএস সংযোগ নাই তাই গরমের মধ্যে বসেই থাকি। আল্লাহর জন্য কাজ করতে আসছি গরম কি আর ঠান্ডা কি। এ কথা ভাবি বসে থাকি বয়ান শুনে শেষ প্রায় কারেন্ট দুই মিনিটের জন্য আসে আবার চলে যায়। ওর নামাজের শেষ আবার কারেন্ট আসে।
শুক্রবার মূলত আমাদের এখানে কারেন্ট একদমই যায় না এমনি তো কারেন্ট খুব কম যাই কারণ আমাদের এলাকা তো আবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেজন্য ইদানিং তিন চারদিন ধরে খুবই লোডশেডিং হচ্ছে।
বাড়িতে চলে আসি এসে ফেনীর নিচে শুয়ে থাকি ফ্যান উপরে চলতেছে কিন্তু তাও আমার শুরু থেকে গাম পানি বের হইতেছে। গরম বাতাস গায়ে একদম লাগতেছে না ঠান্ডা শরীর।
২:৩০ দিকে আবার কারেন্ট চলে যায় বাহিরে বের হয়ে দেখি কাকা একা একা বসে আছে তাই কাকা সাথে গল্প করি তিনটার দিকে আবার কারেন্ট আসে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ মোবাইল নিয়ে বসে থাকি।
বিকেল বেলা+সন্ধ্যাবেলা |
---|
আসরের আজান দিলে নামাজ পড়ে বাইরে হাঁটতে যাব তখনই দাদি ডাক দিয়ে উঠে আমাকে কয়েকটি গাছ রোপন করে দিয়ে যান তারপর তিন থেকে চারটা গাছ রোপন করে।
হাঁটতে বের হই মাগরিবের আজান দিয়ে দিলে নামাজ পড়ে বাড়িতে চলে আসি দুই মিনিট রুমে বসতে কারেন্ট চলে যাই আমি আর আম্মু কাকিদের বাড়িতে এসে আম্মু গল্প করে আমি বসে বসে মোবাইল গেম খেলি । ৭ঃ৪৫ এর দিকে এশার আযান দিয়ে দিলে নামাজ পড়ে বাড়িতে চলে আসি রাত্রের খাওয়া দাওয়া শেষ করতে।
আবার কারেন্ট চলে যায় বাহিরে বসে পোস্ট লিখতে শুরু করি। আজকে এই পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন। গরমকালে বেশি বেশি করে স্যালাইন খাবেন।
আমাদের এখানে কারেন্ট দেওয়ার প্রবাদটা অনেকটা কমে গেছে সকাল মুহূর্ত কারেন্ট থাকে আপনাদের ওখানে সকলে কারেন্ট গেছে জেনে খারাপ লাগলো কারণ যে গরম পড়েছে।। আর হ্যাঁ এই গরমে গাছের পাতা একদম নিস্তব্ধ হয়ে আছে বাতাসের কোন সম্ভাবনাই নেই।।
আমাদের এখানেও সকালবেলা কারেন্ট চলে গিয়েছিল। আমাদের এখানে প্রায় অনেক সময় কারেন্ট চলে যায় এবং খুবই বিরক্তিকর লাগে। তবে আপনার লেখাটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ অনেক ডিস্টার্ব করছে, প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকলে অনেক কষ্ট হয়, চার্জার ফ্যান থাকলে সেই কষ্টটা কিছুটা দূর হয়, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ।