Better life with steem || The Diary Game || 17 July 2024 ||
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, কেমন আছেন বন্ধুরা আশা করি ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আপনাদের মাঝে চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আজকের বিষয়টি হলো ডাইরি গেম ব্যস্ততম দিনটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসলাম।
সকাল বেলা
প্রতিদিন মতই এনামের শব্দে ঘুম থেকে উঠি প্রতিদিনের মতোই ফ্রেশ হয়ে সকালবেলা হাঁটতে বের হই। হাটাহাটি শেষ করে বাসায় চলে আসি। অফিসে যাওয়ার জন্য ওয়াশরুমে চলে আসি গোসল শেষ করে।
রেডি হওয়ার যখন শেষ তখন রুমে খাবার দিয়ে যায়। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাহিরে বের হয়ে দেখি প্রচন্ড রোদ ,রোদের তাপ অনেক ছাতা মাথায় দিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। ৫ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যেই অফিসে পৌঁছায়।
রুমে ঢুকে দেখি দুইজন বড় ভাই আসছে , একে একে সবাই আসলে কাজের বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলে।
কাজের বিষয়ে কথা বলা শেষ হলে, যার যার কাজে লেগে পড়ি। প্রতিদিনের কোম্পানির প্রতিটা সেকশন ঘুরে আসা আমাদের প্রথম কাজ।
তাই প্রতিটা সেকশনে আমি ঘুরে আসি ঘুরে আসতে তো সময় খুব কম লাগে আমাদের কোম্পানিটা প্রতিটা সেকশন ঘুরলে১ ঘন্টা উপরে সময় লাগে।
যদি হয় প্রতিটা সেকশনে গিয়ে ডিফেক্ট গুলো শনাক্ত করা তাহলে তো কথাই না। ডাবল সময় লেগে যায় আর যদি কোন সেকশনে ক্রিটিকাল ডিফেক্ট বের হয় তারপর কোন সময়ের কথা বলাই যায় না।
প্রতিটা সেকশন ঘুরে ফায়ারিং থেকে স্যাম্পল এবং টেস্ট গুলো নিয়ে আসি ।এগুলো দেখে রেজাল্ট দেয় এবং এগুলোর উপর একটি রিপোর্ট তৈরি করে এবং তা প্রতিদিন মত হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করি।
কাজগুলো শেষ করে এসিস্ট্যান্ট কে সাথে নিয়ে জিএম স্যার ,আমার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ডিকেলস পেপার পাঠিয়ে দেয়। এগুলো প্রোডাকশনে ডেকোরেশন করে ফায়ারিং দিয়ে কি অবস্থায় আসে তা জিএম স্যার দেখবে ।তাই ডিকেলস থেকে পেপার নিয়ে এসে ডেকোরেশনের সুপারভাইজারদেরকে জি এম স্যারের কথাগুলো বলি ।
বলার সাথে সাথেই পেপারগুলো কেটে কয়েকটা প্রোডাকশন নিয়ে এসে দক্ষ ওয়ার্কার দ্বারা লাগানো হয়। শেষ করে জিএম স্যারকে ফায়ারিং করার আগে একটি ছবি পাঠিয়ে দেয়।
ফারিং দিয়ে লোকাল প্যাকিং এ চলে আসি কিছু কর্পোরেট মাল চলতেছিল সেগুলো দেখাশোনা করার জন্য। এবং পরবর্তীতে আমি না থাকা অবস্থায় আমার সহযোগী কাজগুলো গুছিয়ে করতে পারে সেজন্যই তাকে ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে প্রশিক্ষণ দেই।
তাহাকে ওখানে দাঁড়িয়ে রেখে আমি সকাল বেলার মিটিংয়ে জয়েন করি। এবং মিটিং শেষ করে আবার তার সাথে দেখা করি। তাহাকে জিজ্ঞেস করি এই ৩০ মিনিট উপরে আমি না থাকাই এখানে কি কি ডিফেক্ট ধরতে পারছে।
তার ছোটখাটো একটি পরীক্ষা নেই, মোটামুটি ভালোই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে ।এবং তাকে নিয়ে আমি ওইখানেই দাঁড়িয়ে থাকি ওইখানে থাকা অবস্থায় বসে ফোন দেই কর্পোরেটের কি অবস্থা তা জানার জন্য আমি কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে তার সাথে দেখা করি।
দুপুরবেলা
তার সাথে প্রায় দশ মিনিটের মতো কথা বলি এবং দুপুরের খাবারের কিছু টাইম বাকি থাকাই তাই ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে দেখি ।গড়িতে ১২:৫৩ বাজে তাই ৭ মিনিট বাকি থাকায় বসে থাকি এবং বড় ভাইদের সাথে বন্ধুদের সাথে ছোট ভাইদের সাথে গল্প করি।
গল্প করতে সময় কিভাবে পার হয়ে গেছে, তা খেয়াল করি নাই ।তাই তাড়াতাড়ি করে বাহিরে বের হয়ে দেখি রৌদ্রের তাপ প্রচন্ড। আমি আর শরিফুল একই ছাতা দিয়ে বাসা পর্যন্ত চলে আসি। পাশ থেকে ৭ মিনিটের রাস্তা আসতে শরীর থেকে ঝর্নার মতন ঘাম পড়ছে এই ঘাম পড়ার কারণে শরীরের কাপড়টা ৮০% ভিজে যায়।
রুমের এসে ফ্রেশ হয়ে নেই, আমি অফিস থেকে আসা মাত্রই খাবার রুমে দিয়ে যায়। খাবার খাওয়া শেষ করি এবং কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি এদিক দিয়ে অফিসের টাইম হয়ে যাওয়ায় বাহিরে বের হই রোদ্রের কারণে বাহিরে বের হতে একদম ইচ্ছা করলো না। তাই আর কি করার অফিসে যাওয়াই লাগবে আবার রোদ দিয়ে অফিসে পৌঁছে।
এখন আসাই একই অবস্থা শরীর ঘামে গোসল হয়ে গেছে এরকম অবস্থা। তাই রুমে কিছুক্ষণ বসে থেকে শরীরটা ঠান্ডা করে কাজে লেগে পড়ি গরমের তাপমাত্রা বাড়ায় কাজের ততটা ভালো লাগলো না গরমের কারণে কাজ করে একদমই আরাম পাচ্ছি না।
গ্লেজ কিছু কাজ করি যেমন ডেনসিটি দেখি বিস্কুটে দেখি ফিটনেস দেখি এগুলো দেখতে প্রায় ঘন্টা খানিকের কাছাকাছি লেগে যায় তারপর আমি প্রতিদিনের মতোই স্যাম্পল, টেস্ট দেই।
বিকেল বেলা
এগুলা শেষ করে তাড়াতাড়ি করে রুমে এসে রিপোর্ট করি ।এবং বসে সিগনেচার নিতে যাই,আজকে একটু ভুল হয় ।তাই অনেকগুলো কথা শুনতে হয়েছিল সেজন্য আসার পর থেকে প্রচন্ড মন খারাপ।
অফিস ছুটি হয়ে গেলে বাহিরের রোদ্রের তাপমাত্রা এখনও কমে নাই ।তাই বাসায় এসে শুয়ে পড়ি। আমার যদি মন খারাপ হয় তাহলে মন ভালো রাখার জন্য কার্টুন দেখি,বা হাসি কোন ভিডিও দেখি।
এমনি আমার মন ভালো হয়ে যায়, তাই শুয়ে শুয়ে কাটুন দেখি। মন ভালো হয়ে গেলে ওয়াশরুমে চলে যায় গোসল করার জন্য । ওয়াস রুম থেকে বেরিয়ে দরজার লক করে বাজারে চলে আসি কিছু খাবারের জন্য।
সন্ধ্যা আর রাত্রিবেলা
বাজারে এসে কিছু খাবার খেয়ে বাসায় এসে দেখি কারেন্ট চলে গেছে । কারেন্ট সমস্যা হয় না কেননা চার্জার ফ্যান থাকায়। বাহিরে বসে থাকি কারেন্টের অপেক্ষা করার জন্য।, ৮:৩০ এর দিকে কারেন্ট আসে এবং আমি কারণ আসা মাত্রই ভাবীর রুমে খাবার খেতে চলে যায় খাবার খাওয়া শেষ করে রুমে চলে এসেছি।
প্রচন্ড গরম লাগাই শরীরের একটু খারাপ লাগে তাই কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি। তারপর পোস্ট লেখা শুরু করি।
আজ এই পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন।
আপনার প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠা এবং সকালে হাঁটার অভ্যাসটা খুবই ভালো, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, আপনি সুন্দরভাবে সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, ধন্যবাদ সুন্দরভাবে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সারাদিনে কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। রোজকার মত আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করেছেন ।সকালবেলায় হাটাহাটি করা সত্যিই খুব ভালো। আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো সত্যিই খুব সুন্দর। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।