Better life with steem || The Diary Game || 10 jun 2024 ||
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। কেমন আছেন বন্ধুরা আশা করি ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ
সকাল বেলা
আজকে সকাল বেলা ঘুম ভাঙে আকাশে বিদ্যুৎ চমকানি শব্দ।সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ বসে থাকি ,তারপর জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি আকাশ খুব অন্ধকার বৃষ্টি আসবে।
তাই বড় বড় করে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, তাই আর ঘুম হলো না কিছুক্ষণ শুয়ে শুয়ে মোবাইল চালাই, কারেন্ট চলে গেছে , সাতটার দিকে উঠে বিছানা গুছিয়ে আমি গোসল করার জন্য ওয়াশরুমে চলে যাই।
গোসল শেষ করে রুমে চলে আসি ,বাইরে তাকিয়ে দেখি। এখনো বৃষ্টি পড়ছে, তাই রেডি হয়ে ছাতা দিয়ে ভাবি রুমে চলে আসি। সকালের খাবার খাওয়ার জন্য আজকে সকালের খাবার হিসেবে ছিল তিন থেকে চার রকমের পিঠা।
সকালের নাস্তা শেষ করে, রুমে চলে আসি এবং অফিসের সরঞ্জাম নিয়ে এবং আমি আর জাকারিয়া এক ছাতা দিয়ে অফিসে উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
দুই থেকে তিন মিনিট হাঁটার পরে বৃষ্টিটা কমে আসে, এবং আমি আর জাকারিয়া অফিসে পৌঁছায়, জাকারিয়া ল্যাবে চলে যাই ।আমি আমাদের রুমে চলে আসি,আমি এসে বসে পড়ি সিটের ।
৫ থেকে ৬ মিনিট বসে থাকার পর প্রায় সবাই চলে আসে বস বাদে তাই কাজ বিষয় নিয়ে আলাপ করে যার যার কাজে লেগে পড়ি। আমি প্রথমে ডেকোরেশন ফায়ারিং এ চলে আসি,
গতকালকে কিছু কালারের সমস্যা ছিল এবং সেইগুলো গতকালকে টেস্ট দেওয়া হয়েছিল এবং সেগুলো নিয়ে আসতেই আমি ডেকোরেশন ফায়ারিং এ চলে আসি,
রুমে এসে কালারের সাথে কালার দেখি এবং এগুলো আবার জিএম স্যারের জিএম স্যার কে দেখিয়ে এবং স্যার বলে এগুলো এন এস ডি হাতি বুঝিয়ে দেই। এবং বলি এগুলো স্যাম্পল হিসেবে হেড অফিস পাঠাতে।
এগুলো দিয়ে আমি ডেকোরেশনে চলে আসি এবং নতুন ডিজাইনের নতুন ডেকোরেশন হয়েছে ছিল এবং সেগুলো দেখাশোনা করতেছিল শরিফুল, তা কে সাহায্য করিতে জন্য আমি ডেকোরেশনে চলে আসি।
কিছুক্ষণ তাহাকে সাহায্য করিয়া এবং নতুন প্রোডাক্ট জিএম স্যার কে দেখিয়ে সিগনেচার নিয়ে আমাদের রুমে স্যাম্পল রেক রেখে দেই এবং লোকাল প্যাকিং এ চলে আসি।
ওইখানে আপনার অবগত আছেন বিভিন্ন প্রকারের ডিনার সেট প্যাকেট করা হয়। এবং কর্পোরেট অর্ডারের মগ আর কাপ প্যাকেট করা হচ্ছে এগুলো দেখতেছি প্রতি টেবিলে টেবিলে গিয়ে।
প্রতিটা টেবিল দেখে রুমে চলে আসে এক থেকে দুই মিনিট রেস্ট নিতে সকালবেলা মিটিং এর সময় হয়ে যায় তাড়াতাড়ি করেন মিটিং জয়েন করি এবং মিটিং শেষ করে রুমে এসে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে।
রেস্ট না শেষ করে লোকাল প্যাকিং এ চলে আসি ওইখানে প্রায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি এবং টুকটাক কাজ করে।
দুপুর বেলা
দুপুরে খাবারের টাইম হয়ে আসলে জাকারিয়া আমাদের রুমে আসে এবং আমি আর জাকারিয়া আর শরিফুল হাঁটতে হাঁটতে গল্প করতে করতে বাসায় চলে আসি।
রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে দুপুরে খাবার আনতে ভাবি
রুমে চলে আসি দুপুরে খাবার নিয়ে এসে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে দুইটার দিকে আবার অফিসে চলে আসি অফিসে এসে রুমে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে কাজে লেগে পড়ি ।
প্রথমে স্লিপ টেস্ট করি করে ফায়ারিং দিয়ে রুমে চলে আসি প্রতিদিনের রিপোর্ট রেডি করার জন্য রেডি করার শুরুতেই এডমিন থেকে ফোন আসে ।
বিকেল বেলা+সন্ধ্যাবেলা
এডমিন ম্যানেজার দেখা করার জন্য কল দেন, তাই আমি আরেক বড় ভাই এডমিনে চলে আসছি, এডমিন এসে সালাম দিয়ে ভিতরে ঢুকে এবং ঢুকেই অবাক, ঢুকে দেখি ট্রান্সফার লেটার,
আগের পোস্টে সবাইকে অবগতি করেছি যে QcথেকেQa ট্রান্সফরমার হয়েছে সেই ট্রান্সফার লেটার দেওয়ার জন্য আজকে এডমিন ।
লেটার কে হাতে পেয়ে অনেক খুশি হলাম এবং রুমে চলে আসলাম সবাই হাতে লেটার দেখে জিজ্ঞাসা করল কিসের কাগজ।
এবং আমি সবাইকে অবগত করি যে ট্রান্সফরমেশন লেটার একটা সিনিয়র বড় ভাই খামটি খুলে পড়ে।
Congratulations 👏 জানাই এবং রিপোর্ট রেডি করা শেষ করে বসে সিগনেচার নিয়ে ফাইল ক্লোজ করে আমি জাকারিয়া বাসায় চলে আসি। কিছুক্ষণ রেস্ট নেই এবং গোসল করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকতে । অন্য কোম্পানি থেকে আসছে আমার একটি ফ্রেন্ড কল দেই।
দেখা করার জন্য তাই আমি রতনপুর চা বাগান চলে যাই। চা বাগানে গিয়ে দেখি বৃষ্টির পানিতে নতুন নতুন চায়ের পাতা খুব সুন্দর লাগছে। দেখা করি কথাও বলি সন্ধ্যার দিকে বাসায় চলে আসি।
বাসায় এসে রুমে আসার পথে ভাবি ডাক দেয় ডাকে সাড়া দিন ভাবির রুমে চলে আসি এবং এক প্লেট কাঁঠাল হাতে ধরিয়ে দেয় তাই একা নাকি আমি রুমে নিয়ে আসি এবং জাকারিয়া শরিফুল আর আমি তিনজন মিলে মজা করে কাঁঠাল খায়।
কাঁঠাল খাওয়া শেষ করি প্লেট নিয়ে রুমে চলে আসি এবং রাত্রে খাবার খেয়ে পোস্টে লিখতে বসে যাই।
আজকে পোস্টে পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ
আপনার পোস্ট পড়লেই বোঝা যায় যে আপনি সারাদিন কতটা ব্যস্ত সময় পার করেন। আর এই অফিসিয়াল কাজ গুলো খুব জটিল এবং খুবই সাবধানতার সাথে করতে হয়।
চা বাগানের সৌন্দর্য দেখতে সব সময় আমি ভালোবাসি কারন আমাদের আশেপাশে চা বাগান নেই এজন্য যখনই আপনাদের পোস্টপর মধ্যে চা বাগান দেখি মন ভরে দেখি। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
বাহ আপনাদের ওখানে কাল বৃষ্টি হয়েছিল। আমাদের এদিকে হয় নি। এই তীব্র গরমে বৃষ্টির আশায় বসে থাকি। সকালের নাস্তায় পিঠা খেয়েছেন। তারপর সারাদিন অফিসে অনেক ব্যস্ত ছিলেন। দুপুরের পর ট্রান্সফার লেটার হাতে পেয়েছেন সেজন্য অভিনন্দন। দিন শেষে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলে মন ফ্রেশ হয়ে যায়। তাও যদি হয় এমন সুন্দর চা বাগানে। তারপর সবাই বাসায় এসে কাঁঠাল খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এখানে বৃষ্টি পড়তে পড়তে এখানকার মানুষ অত্যক্ত হয়ে গেছে বৃষ্টির উপর। আর এই অঞ্চলে আবহাওয়া একদমই বলা যায় না এই রোদ এই বৃষ্টি।
এখানে কাছে ধীরে চা বাগান থাকাই আমারও খুব ভালো লাগে মন খারাপ থাকলেই চা বাগানে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটাই।
আর বন্ধুবান্ধব আসলে অথবা দেখা করলে আমরা চা বাগানে বসে আড্ডা দিই এখানে গল্প করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
সকালবেলা আকাশের বিদ্যুৎ চমকানো শব্দে আপনার ঘুম ভেঙেছে। পরে বৃষ্টিতে ছাতা নিয়ে অফিসে গিয়েছেন। আপনাদের কিছু কাজ ছিল যেগুলো কালার সমস্যা হয়েছিল। সেগুলোকে আবার টেস্ট করতে দিয়েছেন। সত্যিই ভাই যত দিন যাচ্ছে আপনাদের কোম্পানি তৈরি প্রোডাক্ট গুলো দেখে লোভ সামলাতে পারছিনা।
আপনার ট্রান্সফার লেটার হাতে পেয়ে আপনি বেশ খুশি হয়েছেন।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
খুব সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করেছেন।সারাদিন নানান ধরনের কার্যকলাপের মধ্যদিয়ে কাটিয়েছেন।আসলে নানান ধরনের পিঠা দিয়ে নাস্তা করার অনুভূতি অন্যরকম।আপনি বৃষ্টি থামার জন্য অপেক্ষা করছিলেন এবং বৃষ্টি থেমে গেলে অফিসে গেছিলেন।বন্ধুদের নিয়ে কাঠাল খেয়েছেন।এরপর রাতের খাবার খেয়েছেন।
প্রথমেই আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আপনার একটা পদের উন্নতি হয়েছে জানতে পেরে ভালো লাগলো। সেই সাথে বৃষ্টির দিনটা আপনার বেশ ভালোভাবেই কেটেছে। আসলে বৃষ্টির সময় কাঁঠাল খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনার কাঁঠাল দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে, নিশ্চয়ই খেতেও বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
বৃষ্টির দিনে চলাচল করা অনেকটা কষ্টের, ছাতা থাকলেও মাঝে মাঝে ভিজে যেতে হয়।। সকালে বেশ কষ্ট করে অফিসে গিয়েছেন এবং দায়িত্ব নিয়ে কাজও করেছেন।। আর হ্যাঁ কাঁঠাল দেখতে বেশ লবণীয় লাগছে ভাই।। ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বৃষ্টির দিন চলাচল করা খুবই কষ্টকর পা পিছলে পড়ে গেলেই আলুর দম হয়ে যায়। কাদার মধ্যে আমি একদমই থাকতে পারিনা। আর বৃষ্টি যখন শুরু হয় তখন বৃষ্টি থেকে বাতাস বেশি থাকায় বৃষ্টির সময় শরীর ভিজে যায়। হ্যাঁ ভাই আমি নরম কাঁঠাল একদমই খেতে পারি না কিছু শক্ত হলে তাহলে কাঁঠালটা খাওয়া যেতে পারে। ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য