Better life with steem || The Diary Game || 10 August 2024 ||
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। কেমন আছেন বন্ধুরা আশা করি ভালো আছেন সুস্থ আছেন আমি আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আমার আজকে ব্যস্ততম দিন কিভাবে পার করলাম তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসলাম।
আজকে সকালটা শুরু হয় মায়ের ডাক শুনে, ঘুম থেকে উঠে। দেখি আমার জন্য কিছু পিঠা ভাজি করে আর ডিম সিদ্ধ দিয়ে রেখে দিয়েছে। আম্মু ডাক দিয়ে বলল তাড়াতাড়ি উঠে সকালে নাস্তা করে আবার ঘুমাও।
বাড়িতে থাকলেই অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠি কোন প্যারা থাকে না। ফ্রেশ হয়ে প্রতিদিন মতোই সিদ্ধ ডিম খেয়ে নেই। সকালে নাস্তা শেষ করে।
বাড়িতে বসে থাকতে আর ভালো লাগতেছে না তাই কয়েকজন বন্ধুদের সাথে বাস স্ট্যান্ড দেখা করতে চলে আসি কিন্তু বৃষ্টির কারণে বন্ধুরা আর দেখা করতে আসে নাই ।তাই আমাদের পরিবারিক দোকানে বসে থাকি বৃষ্টি কমলে তারপর আবার বাড়িতে চলে আসি।
আমাদের পরিবারিক দোকানে |
---|
রুমে চলে আসি কিছুক্ষণ মোবাইল দেখে আম্মু ডাক দেই একটি কাজ করার জন্য কাজটা শেষ করে শরীরে অনেকটা কাদা লেগেছিল তাই গোসল করে রুমে শুয়ে থাকি।
এরমধ্যেই আমাদের বড় পুকুরে থেকে বড় রুই মাছ তুলছিল আমার জন্য তার পেট থেকে অনেকগুলো ডিম পাওয়া গেছিল সেগুলো আমার জন্য রেখে দিয়েছিল। ডিম গুলো দিয়ে পিঠা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি।
মাছের ডিমের পিঠা |
---|
খাওয়ার সময় তোলা ছবি |
---|
আমার মাছের ডিমের পিঠা খেতে এতটা সুস্বাদু বলে বোঝানো যাবে না। নাটক দেখতেছি আর মাছের ডিমের পিঠা খাইতেছিলাম।
খাওয়া-মাঝখানে আম্মু এসে বলে আজকে একটু তাড়াতাড়ি ডিম গুলো তুলে ফেলতে হবে কেননা আজকে ডিম নিতে লোক আসবে। দেরি না করে ডিম তুলতে পোল্ট্রি ফার্মে চলে আসি।
প্রথমে দেখি চার কুসুম ডিম দেখতে পায় দেখে তো পুরাই অবাক। ওই ডিমটা এক সাইডে রেখে দিয়ে বাকি ডিমগুলো তুলতে থাকি। আমরা শুধু কুসুম ওলা ডিম বিক্রয় করি। আর দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ সব ডিম আমাদের বাড়িতে নিয়ে চলে আসি নিজেরা খাওয়ার জন্য।
দুই কুসুম ডিম |
---|
এক কুসুম ডিম |
---|
চার কুসুম ডিম |
---|
ছোট ডিমের সাথে বড় ডিম কেইসে একজাস্ট হয় না তাই উঁচু-নিচু থেকে যায় তাই আর বড় ডিম ওইখানে রাখা হয় না শুধু ছোট ডিম বা এক কুসুমুলা ডিম দেওয়া হয়।
আমার ডিম তোলা শেষ হয়ে গেলেই সকল ডিমগুলো একত্রে করে বের হতে যাব তখনই ডিমের গাড়ি চলে আসে পিছনে দেখি আব্বু আম্মু চলে আসছে। ডিমের কেস গুলো আমি আর আব্বু একে একে বের করে দিতেছিলাম। আম্মু আশায় আমি আর আম্মু ডিমের কেস গুলো বের করে দেই আব্বু হিসাব করে।
ডিম নেওয়ার সময় তোলা ছবি |
---|
দেওয়া শেষ হলে আমাদের ওইখান থেকে ২০০ কেস ডিম দেওয়া হল আমরা মূলত চার দিন পর পর ডিম বিক্রয় করি। ডিম দেওয়া শেষ করে বাড়িতে চলে আসি দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য।
আমি আর আম্মু নাটক দেখি আর খাওয়া-দাওয়া শেষ করি আমি বাড়িতে শুয়ে থাকি আম্মু আর আব্বু পোল্ট্রি ফার্মে চলে যাই বিকেল বেলার খাদ্য পানি দেওয়ার জন্য। আমি আসলে আযানের পরে বাইরে বের হই কিছুক্ষণ হাটাহাটি করি তারপর আম্মু ডাক দিয়ে বলে আমাদের বাগানে ডালপালা কেটে নিয়ে যায়। তাই ওটা দেখে আসার জন্য বলে।
আমাদের একাসি বাগান |
---|
আমাদের একাসি বাগান |
---|
আমাদের বাড়ি থেকে আমাদের একসি গাছের বাগানটা একটু দূরে। বিকেলবেলা হাটতে দেখে আসি ওইখান থেকে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে আসে বাড়িতে এসে পোল্ট্রি ফার্মের চাবি নিয়ে লাইট অন করে দিয়ে আসি ।
বাড়িতে এসে আমিনার আম্মু নাটক দেখে কারেন্ট চলে যায় তারপর ভাড়াটি য়া দের সাথে গল্প করে আমরা সবাই সময় কাটাই তাই কারেন্ট আসলে যার যার রুমে চলে আসি।
আমাদের পোল্ট্রি ফার্মে লাইট জ্বালানোর সময় |
---|
সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে আসার সময় ছবি তোলা |
---|
পোস্ট লিখতে বসে পড়ি আজকে পোস্টে পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন।
সত্যি বলতে মায়ের ডাকে ঘুম থেকে ওঠার মধ্যে একটা মানসিক শান্তি রয়েছে। বাড়িতে থাকলে এই শান্তিটা প্রতিদিনই পেয়ে থাকি। আমাদের বাড়িতেও মুরগি আছে তাই প্রতিদিন সবাই সিদ্ধ ডিম খেয়ে থাকি। আপনার মা পিঠা বানিয়েছিলো আর আমার মা বিগতদিন তালের বোড়া বানিয়েছিলো।