"ছোট চাচাতো ভাইয়ের শশুরের মৃত্যু উপলক্ষে দোয়া ও মিল্লাতের আয়োজন"
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। কেমন আছেন বন্ধুরা আশা করি ভালো আছেন সুস্থ আছেন।
আজকে আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। বিষয়টি হল ছোট চাচাতো ভাইয়ের শশুরের মৃত্যু উপলক্ষে দোয়া ও মিল্লাতের আয়োজন।
তার শ্বশুর মারা গেছে আজ তিন মাস হলো বাড়িতে না থাকার কারণে তাদের বাড়িতে আমি দেখতে যেতে পারিনি। শ্বশুরবাড়িতে আগে কখনো যাই নাই।
তাই উপলক্ষে এখন বাড়িতে আছি।
যাওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করে চাচাতো ভাইয়ের বউ কাকি কাকা এবং চাচাতো ভাইয়েরা। প্রথমত আমি রাজি হয় নাই কেননা কিছুদিন আগেই ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে এসেছি ডাক্তার কিছু খাবার না খাওয়ার জন্য বলে দেই। এখন দাও তো গেলে সেই সকল খাবারই খাওয়া লাগবেই সেজন্যই না করে দেই।
কিন্তু উনারা বলে আমার জন্য এক্সট্রা রান্না করবে আমি ওদেরকে বলি এত কষ্ট করার কোন দরকার নেই আমার সুস্থতা ভালো হোক তারপর আমি ইনশাআল্লাহ আপনাদের বাড়িতে যাব।
তখন আবার যদি চাকরি হয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তখন তো আর যাওয়া হবে না তাই এখন সময় সুযোগ দুটোই আছে তাহলে যেতে কোন অসুবিধা হওয়ার কোন কথাই না।
দাওয়াত মূলত শুক্রবারে তারা বৃহস্পতিবার চলে যাবে। যাওয়ার সময় বারবার বলে দিয়ে যাই আমাকে সহ আম্মুকেও আমি যাতে যাই। আম্মু প্রথমে না করে ওই বিষয়টা নিয়ে তখন আম্মুকে কি বোঝাই আম্মু রাজী হয়ে যায়।
তারপর তারা চলে যায় শুক্রবারে সকাল থেকেই ফোন করা শুরু করে আমাকে অনেকগুলো ফোন দেয় রিসিভ করতে থাকি আসবো কি আসবো না এই নিয়ে কথা বলে।
চাচাতো ভাইয়ের আম্মু আমাকে ফোন দেয় আমার সাথে কথা বলে। সবাই অনেক করে বলতেছে না গেলেও খারাপ দেখাই সেজন্যই যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যাই। আমি কল করে বলি আমি আসবো শুনে মনে হয় অনেকটাই খুশি হয়।
দোয়া ও মিল্লাত পড়াতে গেলে কিছু হুজুর বা মাদ্রাসার শিক্ষক মসজিদের ইমাম সাহেব ও ছাত্ররা থাকলে আরো অনেক সুন্দর হয়। উনাদের মাধ্যমে দোয়া করা হয়। শুক্রবারে বড় একটি বিয়ের দাওয়াত থাকাই ওই এলাকার সকল হুজুররা দাওয়াতে চলে যায়।
শুক্রবার না হয়ে শনিবারে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমাদের কেউ জানিয়ে দেই আজকে দাওয়াত হবে না শনিবারে হবে কারণটাও বলে। আমাদেরকে অনেক বুঝিয়ে বলে যাতে রাগ না করি।
এখানে তো রাগ করার কোন বিষয়ই হয় নাই। কথা শেষ করে। শনিবার সকালবেলা থেকে আবার ফোন করা শুরু আসবো কি আসবো না। আমি না আসার কোন প্রশ্নই আসে না আমি আসবো।
আমরা যারা যাব সকলে কাজ করে প্রচন্ড গরম সাড়ে দশটার দিকে রেডি হয়ে রওনা দেই গরমের কারণে শরীরে কাপড় একদমই রাখা যাচ্ছে না কাপড় ভিজে লুডুবুডু হয়ে গেছে।
বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি অটো রিজার্ভ করে তাদের বাড়ি পর্যন্ত চলে আসি। আমি না চিনলেও আমার সাথে কয়েকজন গিয়েছিল তারা সকলেই অনেকবার ওই বাড়িতে গিয়েছে সে জন্যই বাড়িতে তাদের চেনা হয়ে যায়।
তাদের বাড়িতে গিয়ে প্রাকৃতিক বাতাস এত বেশি আমি তো অবাক অনেক গাছপালা। প্রথম ওই বাড়িতে যাওয়াই অনেক আপ্যায়ন করেছে। হালকা কিছু নাস্তা করে ছোট গাছের নিচে কিছু বাঁশ দিয়ে একসাথে বেঁধে বসার জন্য একটা স্থান আছে সেখানে ঘন্টাখানেকের উপর বসে প্রাকৃতিক বাতাস অনুভব করি।
শরীরটা অনেক ঠান্ডা হয়ে যায়। তাদের গাছের জাম্বুরা ভর্তা করে দেয় ভর্তা তো অনেক মিষ্টি হয় । ভর্তা খাওয়ার পর হুজরা চলে এসেছি তাই দোয়াতে অংশগ্রহণ করি।
দোয়া করি আমরা সকলে বাহিরে চলে আসি আগে হুজুরদের খাওয়ানো হোক সবাইকে একসাথে খাওয়ালে ঝামেলা বেধে যাবে তাই আমরা বাহিরে আবার সেই বসারস্থানে চলে আসি।
আমার সবথেকে ভালো লেগেছিলো বসে থাকার জন্য স্থান। ৩০ মিনিটের মাধ্যমে বসে থাকার পর চাচাতো ভাই এসে আবার বলে ওদের খাওয়া হয়ে গেছে আমরা যাতে খাওয়ার জন্য চলে আসি।
কথা মতই আমরা বাড়িতে চলে আসি। এসে দেখি কারেন্ট চলে গেছে তাই বলে ওঠে কারেন্ট চলে গেছে এখন একটু গরম লাগবে। আমরা বলি ওইখানে অনেক সুন্দর বাতাস শরীরের লাগিয়ে এসেছি শরীরটা অনেক ঠান্ডা আছে কোন সমস্যা নেই।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কবর জিয়ারত করতে চলে যাই। এদিক দিয়ে আকাশের অবস্থা খুবই খারাপ বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে বৃষ্টি হবে হবে অনেক বাতাস।
বৃষ্টি হতে অনেক ভালো লাগলো দুই তিন দিন অনেক গরম গেছে। সব সময় বৃষ্টি দেখতে আমার ভালো লাগে। তাই দরজার কাছে চেয়ার রেখে বৃষ্টি দেখতেছি।
ঘন্টাখানেক পরে বৃষ্টি ভারী বৃষ্টি কমে যায়। ঝিরঝিরি হয়ে পড়তে থাকে তাই বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় আমরা আছি আমাদের সবাইকে থাকার জন্য অনেক অনুরোধ করে কিন্তু আমরা তো থাকার জন্য কোন প্রস্তুতি নিয়ে যাই নাই।
মাগরিবের আগেই বৃষ্টি কমে যায় তাই আমরা তাড়াহুড়া করে বেরিয়ে পড়ি বাড়ির উদ্দেশ্যে।
বাড়িতে আসতে ৮:০০ বেজে যায় আমার শরীরটা অনেক খারাপ হয়ে পড়ে।
আজকে পোস্ট পর্যন্তই সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন
মুসলমান ধর্মে মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর তার জন্য দোয়া ও মাহফিল করা হয় আমরাও করে থাকি।। আজকে সেখানেই গিয়েছিলাম প্রথমে না যেতে চাইলেও জোর করাতে গিয়ে এটা অনেক ভালো করেছেন।।
দুঃখের কথা কি ভাই ছোট ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি যাওয়াটাই কিছু আনইজি ফিল করেন লজ্জার ব্যাপার। মৃত্যুর সময় যেতে পারি নাই বাড়ীর বাহিরে থাকায় কারণে এখন অনেক বার করে বলছে তাই না গিয়েও পারলাম না। নতুন জায়গা ভালোই লাগছিল। ধন্যবাদ ভাই একটু সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন
সত্যি বলতে যদি কেউ অনেক আদর করে কোনো কিছু করার জন্যে অনুরোধ করে, তাহলে সেই অনুরোধ উপেক্ষা না করাই উচিত। বিশেষ করে বড়রা যদি কাজটি করে, তাহলে সেটায় সম্মতি জানানো ছোটো হিসেবে আমাদের সকলের কর্তব্য। যেটা আপনি করেছেন। তবে আপনার যেতে না যাওয়ার কারণটা যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত ছিলো। তাসত্ত্বেও তারা যখন আপনার জন্য আলাদা ভাবে খাবারের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন, তখন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক কাজ করেছেন।
ধর্মবিশেষে আমাদের সকলের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই আপনাদের ধর্ম অনুযায়ী সেই পালিত নিয়মেও আপনি অংশগ্রহণ করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে দিন শেষে হয়তো একটু ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, কিন্তু তবুও কিছু মানুষের মন রক্ষা করতে পেরেছেন এটাই তৃপ্তি। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। ভালো থাকবেন।
ডাক্তার দেখানোর পর অনেক কিছুই খাবার নিষেধ করে দিয়েছে সেজন্যই কোথাও বেড়াতে যাওয়ার একদম ইচ্ছে হয় না।
ছোট চাচাতো ভাইয়ের বউ অনেকদিন যাবত বলতেছে তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য । আমার মতে মানুষ শুধু দাওয়াতে খাবার জন্যই অংশগ্রহণ করেনা সে দাওয়াত থেকে একটা আনন্দ সবার মাঝে থাকে সেটা উপভোগ করার জন্য দাওয়াতে অংশগ্রহণ করে, সেরকম উদ্দেশ্যটা আমারই ছিল।
ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটা কমেন্ট আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য
যাহোক একটি ভালো কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। আমাদের উচিত মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা। যে চলে গেছে সে তার কখনো ফিরে আসবে না তার জন্য আমাদের দোয়া করা ছাড়া আর কোন রাস্তা নেই।
মানুষ মরণশীল কেউ চিরদিন বেঁচে থাকে না কিন্তু তার কর্মগুলো বেঁচে থাকে। মিত্র ব্যক্তির জন্য আসলে আমরা কিছুই করতে পারবো না দোয়া ও প্রার্থনা ছাড়া।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটা কমেন্ট আমার পোস্ট পড়ে দেওয়ার জন্য।