প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পিছনে মানুষের কর্মকাণ্ড দায়ী
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু ।হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন?আশা করি ভালো আছেন সুস্থ আছেন আমি আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি,আলহামদুলিল্লাহ
আজকে আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি ।বিষয়টি হলো প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পেছনে মানুষের কর্মকাণ্ড দায়ী। চলেন আর কথা না বাড়িয়ে মূল কোথায় চলে যায়।
পৃথিবীতে প্রাকৃতিক পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পেছনে মানুষের অনিয়ন্ত্রিত কর্মকাণ্ড সবচেয়ে বেশি দায়ী। তার অনেক উদাহরণ আছে যেমন গাছপালা, নদী নালা, কলকারখানা, জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করলে। আরো অনেক রকমের সমস্যা রয়েছে।
গাছপালা
আমাদের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের খুবই প্রয়োজন। এই অক্সিজেন আমরা গাছ থেকেই পেয়ে থাকি। পৃথিবীতে যদি গাছ পালা না থাকতো তাহলে অক্সিজেন থাকত না অক্সিজেন না থাকলে আমরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অনেক কষ্ট সাধ্য হতো।
আমরা যা কার্বন ডাই অক্সাইড ট্যাগ করি ওই কার্বন-ডাই-অক্সাইড আবার গাছ গ্রহণ করে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে ভারসাম্য রক্ষা করে।
আমরা যারা গ্রামে থাকি তারা মূলত গাছপালা কম কাটা হয় এবং প্রাকৃতিক পরিবেশটা এতটা নষ্ট হচ্ছে না ।কিন্তু আমরা যারা শহরাঞ্চলে থাকি গাছগুলো কেটে বড় বড় দালানকোঠা তৈরি করা হচ্ছে।
শুধু দালান কোঠা তুলেই গাছ কাটা হচ্ছে না বড় বড় রাস্তার পাশে গাছ থাকায় গাছগুলো কেটে রাস্তা গুলো সৌন্দর্য নষ্ট করে দিচ্ছে, রাস্তার পাশে গাছগুলো অনেক কমে যাচ্ছে। সেজন্যই আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
নদী নালা
নদী নালা থেকে মানুষের মাছের চাহিদা পূরণ করার জন্য, এই মাঠ থেকে আমাদের আমিষ চাহিদা পূরণ করে, নদী নালা থেকে পাহাড়ের মানুষ আজও মাছ ধরে জীবন যাপন করে এই নদী থেকে ৭০ থেকে ৭৫ মাছের চাহিদা মেটাই। কৃষি ক্ষেতের মধ্যে অন্যতম অর্থনৈতিক একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে নদী বা সমুদ্র থেকে মাছ সংগ্রহ করে অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি।
ছোটখাটো নদীগুলো বা খাল বিল বরাত করে পর্যটন পার্ক বা শিল্প হিসেবে গড়ে তুলছে, আমরা খাল গুলো বা নদীগুলো কোনো না করে ওইগুলো ভরাট করে শিল্প কারখানা বা দালান কোঠা গড়ে তুলছে এ থেকে আমাদের অনেক নদনদী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলে নদ-নদী গুলো থাকলে অনেক কাজে ব্যবহার করা যায় যেমন কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়। মাছ ধরে থাকে আরো বিবর্ণ ধরনের কাজ করে থাকে।
যদি এই শহরাঞ্চলে নদীগুলো থাকে তাহলে শহরের বড় বড় দালানকোঠা থেকে আবর্জনার পানি কল কারখানা থেকে ময়লার পানি এসে নদীতে মিশে এবং ওই পানি থেকে এক প্রকার দুর্গন্ধ ছড়াই,। আমাদের এত সুন্দর পরিবেশটা নষ্ট হচ্ছে।
কলকারখানা
আমাদের এই সুন্দর পরিবেশটাকে অনেক বেশি নষ্ট করছে শিল্প কলকারখানা এই শিল্প কলকারখানা থেকে দূষিত পানি ও রাসায়নিক গ্যাস বের হচ্ছে। এ দূষিত পানি থেকে আমাদের নদী নালা কৃষি ক্ষেত মাটিগুলো উর্বরতা নষ্ট করছে নদী নলার পানি গুলো দূষিত করছে, নদী নালার মাছগুলো এই দূষিত পানির কারণে মারা যাচ্ছে।
কলকারখানা থেকে রাসায়নিক গ্যাস কারণে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে দূষণ করছে, প্রাকৃতিক বাতাস কে দূষিত বাতাসে রূপান্তরিত করছে, এই গ্যাসের কারণে আমাদের শরীরে নানান ধরনের রোগ হচ্ছে।
জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার
আমরা যারা গ্রামে থাকি ,এবং বসবাস করি তারা কি কৃষি কাজের সাথে পরিচিত আছি, কৃষি কাজে আর সুন্দরভাবে ফলন পাওয়ার জন্য রাসায়নিক সার ব্যবহার করে থাকে এ কারণে আমাদের মাটির উর্বরতা নষ্ট করে। মাটিতে বসবাসকারী জীবাণুগুলো ক্ষতি হতে পারে এটি মাটির উর্বরতা হাস করে এবং গাছপালা ফসলের বৃদ্ধি কে প্রবাহিত করতে পারে।
এই রাসায়নিক কীটনাশকগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হতে পারে।
আজকের পোস্টে পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন সাবধানে থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
আসলে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পেছনে মানুষেরই হাত আছে এটা আমি মানছি এবং আমরা যদি একটু সচেতন হয় তাহলে অবশ্যই এ পরিবেশ আমরা খুব সহজে বাঁচাতে পারবো।
আমরা যদি এই ময়লা প্লাস্টিক আলোচনা এসব গুলো নদীতে পানিতে না পেলে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় রাখে তাহলে হয়তো আমাদের নদী নালাগুলো অনেকটাই সুন্দর থাকবে।
এবং আমাদের উচিত বেশি বেশি করে গাছ লাগানো বড় গাছগুলো যদিও বা কাটেন তাহলে একটা ঘাটলে দুইটা লাগে রাখা অবশ্যই আমাদের উচিত।
যাইহোক আজকে আপনি পরিবেশ নষ্ট হওয়ার এ বিষয় নিয়ে যে পোস্টটি আপনি আমাদের মাঝে পড়েছেন সে পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমাদের কারণেই আমরা পরিবেশটাকে নষ্ট করে এবং পরিবেশ থেকে দূষিত বাতাস আমাদের গায়ে বা শরীরে মিশে যাচ্ছে একে আমাদের অনেক রোগ শরীরের বাসা বাঁধছে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পিছনে গাছপালা আর কলকারখানা সব থেকে বড় ওদের দ্বারাই অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে আমাদের পরিবেশের।
এখন আমাদের পরিবেশটাকে বাঁচিয়ে রাখতে বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং কলকারখানা থেকে রাসায়নিক গ্যাস এবং দূষিত পানি গুলো যাতে নদীতে বা জমিতে না থাকে তাই সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তাহলে আমরা সুস্থ সুন্দর একটি জীবন পাব। ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পরে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করেছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমি আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। পরিবেশের বিশাল একটা পরিবর্তনের কারণ হচ্ছে এই মানুষ। বর্তমানে প্রতিনিয়ত যে পরিমাণ দূষণ মানুষ ছড়াচ্ছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আদও স্বাভাবিক জীবন পাবে কিনা সেটা একটি প্রশ্ন। পৃথিবীর অবস্থাতে দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে সে কথা চিন্তা করেই বড় বড় মানুষজন অন্য গ্রহে মানুষ পাঠানোর চিন্তা করছে। এ সকল দূষণের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এর পরিণাম হবে আরো ভয়াবহ। আর আমাদের মতন ছোট দেশে অতিরিক্ত জনসংখ্যা হওয়ার কারণে দূষণের পরিমাণ আরো বেশি। এজন্য সকলেরই নিজে থেকে সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরী। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।ভালো থাকবেন।
সময় দিন যতই যাবে পরিবেশ ততটাই খারাপ হবে। মানুষটা পরিবেশের দিকে বা ভবিষ্যৎ চিন্তা ভাবনা না করে পরিবেশ নষ্ট করছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের। আমাদের আশেপাশে পরিবেশ নিয়ে না চিন্তা করলে সামনে আরো বড় বিপদ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য আমাদের সন্তানদের জন্য। তাই বেশি করে গাছ লাগানোর আশেপাশে পরিষ্কার রাখা বা শিল্প কলকারখানা থেকে দূরে বসবাস করা। দূষিত পরিবেশ থেকে যতটা দূরে থাকতে পারবো শরীর ততটাই সুস্থ থাকবে
খুবই বাস্তবিক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে।। এটা একদম সঠিক বলেছেন, পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পিছনে মানুষের কর্মকান্ড জড়িত।। এটা একদম সঠিক বলেছেন। কেন আমার তুলনায় শহরের রাস্তাঘাটের জন্য গাছপালা বেশি কাটা হয়।। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট করার জন্য।।
গাছ পালা গুলো কেটে আমাদের বেঁচে থাকার অক্সিজেন গুলো কেড়ে নিচ্ছে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করতে কষ্ট বাধ্য হয়ে পড়ছে। একটি গাছ কিন্তু কয়েক জন মানুষ কে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। পরিবেশের সৌন্দর্য নষ্ট করে রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে এটাই আমাদের দেশ। শহরাঞ্চলে এখন খুব কম গাছ পালা দেখা যায়।
আমাদের প্রত্যেকের উচিত একটা গাছ কাটলে দুটি লাগানো কিন্তু এরকম আমরা কেহই করি না শুধু কাটা নিয়েই ব্যস্ত।। এটা একদম সঠিক একটি গাছ কয়েকটি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।।
পরিবেশ নিয়ে মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
পরিবেশ দূষণের পিছনে আমরা মানুষই দায়ী। আমাদের স্বার্থপরতার কারণে আজ এই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। যেমন বেশি মুনাফা লাভের জন্য ফসলের জমিতে কীটনাশক ব্যবহার এর ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কল কারখানা কালো ধোঁয়া বাতাসের সঙ্গে মিশে পরিবেশকে নষ্ট করছে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাগানের গাছপালা কেটে বাগানকে ধ্বংস করছে। যে গাছপালা আমাদের এই পৃথিবীতে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে সে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই অপকর্ম গুলি করছে। বাজার করতে গিয়ে পলিব্যাগের ব্যবহার বিভিন্ন প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহারের পর আমরা যেখানে খুশি সেখানেই ফেলে দেই এর কারনেও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত ময়লা আবর্জনা যেখানে খুশি সেখানে ফেলে পরিবেশকে দূষিত করা হচ্ছে। পরিবেশ কে এই ভাবে দূষিত করার ফলে মানুষের রোগ বালাই বেশি হচ্ছে।পরিবেশ নিয়ে এত সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চলুন আমরা সবাই মিলে পরিবেশ কে রক্ষা করার প্রচেষ্টা করি।
এখনকার মানুষ টাকার পিছনে ছুটে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে। প্রাকৃতিক পরিবেশের সুন্দর ভারসাম্য নষ্ট করছে। কিন্তু ওদিকে আমরা কেউ কিছু বলতে পারছি কেননা তাদের ক্ষমতাও শক্তি আমাদের চেয়েও বেশি।
কয়েক বছর আগে আমরা ফরমালিন মুক্ত খাবার খেতাম এখন আমাদের প্রতিটা খাবারই ফরমালিনযুক্ত খাবার রয়েছে, ফরমালিন ছাড়া কোন খাবারই এখন চোখে পড়ে না। সেজন্যই আমাদের রোগের মাপটা অনেক বেড়ে গেছে।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে সুন্দর পরিবেশটাকে দূষিত করছে এই প্লাস্টিকগুলো
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমাদের সকলের উচিত পরিবেশ টা কে সুন্দর রাখা, সুন্দর পরিবেশ থাকলে সুন্দর মানুষ তৈরি হবে
পরিবেশ দূষণের একমাত্র দায়ী মানুষ ৷ বন নিধন থেকে শুরু করে মাটি ক্ষয় তারপর কলকারখানা থেকে এই পরিবেশ দূষণ সৃষ্টি হয়ে থাকে ৷
ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন ৷
আমরা আমাদের পরিবেশ থেকে নষ্ট করছি এটা একেবারেই বাস্তব। কলকারখানা বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা জমির মধ্যে ব্যবহার করার। কীটনাশক অতিরিক্ত ফলন পাওয়ার আশায় অতিরিক্ত সার ব্যবহার করা। এগুলোর কারণেই আমাদের পরিবেশ অনেক বেশি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কলকারখানার ধোঁয়া যেন আমাদের পরিবেশ নষ্ট না করে। অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।