Better life with Steem || The Diary Game || 7 January 2024
দৈনন্দিন কার্যাবলীর আরো একটি দিন তুলে ধরলাম আপনাদের মাঝে আশা করি সবার ভালো লাগবে।
- সুন্দর একটি দিন
- ৭ জানুয়ারি ২০২৪
আসসালামু আলাইকুম
- সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমার কাটানো আজকের সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করব। ৭ জানুয়ারি আজ সারাদেশে ভোট চলছে। আমিও সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে রস জ্বালাচ্ছিলাম। আম্মু পিঠা তৈরি করবে বলে। তখন বাজে দশটা। আমি বললাম চলেন ভোটের ওখানে গিয়ে ঘুরে আসিস। আমি আমার ছেলে ভাবি আম্মু সবাই একসঙ্গে রেডি হয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলাম। যদিও আমি ভোটার কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ভোট দিতে পারেনি দুঃখের বিষয়। এসেছিল নৌকা মার্কায় ভোট দিব 😅।
- আব্বুকে বলছি ভোটের মাঠে যাব। আব্বু আমার কাছে ৫০০ টাকার নোট ধরিয়ে দিল। আর বলল আমার ১০০ টাকা নিতে। ভাবিকে ১০০ টাকা দিতে ছোট ভাইকে ৫০ টাকা দিতে বড় ভাইকে একসাথে আর বাদ বাকি খাবার কিনার জন্য। আমি অল্প কিছু টাকা দিয়ে কিছু খাবার খেলাম আর বাকি অংশ টাকা আমার পকেটে ভুরলাম 😂আম্মু বলছে তোর আব্বু যে টাকা দিয়েছিল সেগুলো কি শেষ আমি বললাম সব শেষ এত এত কিছু কিনলাম টাকা কি আর বেঁচে থাকে 🤭
- গিয়ে ঘোরাঘুরি করলাম। নৌকার পোস্টার আর পোস্টার আমি ঝাল মুড়ি ছোলা ভোনা আর বেগুনি কিনলাম।ভেবেছিলাম ফুচকা চটপটি খাবো কিন্তু কোন দোকান খোলা ছিল না বেশ মনটা একটু খারাপ হলো। খুব আশা নিয়ে গিয়েছিলাম।
ছেলেকে একটা গাড়ি কিনে দিলাম। সবকিছু কেনাকাটা শেষ আম্মুর ভোট দেওয়া শেষ আপনার বাসায় চলে আসলাম। দুপুরে রান্না বান্না ভাবি টমেটো কাটছিল। ভাবিকে বললাম সালাদ তৈরি করলো আমার খুব পছন্দ বেশ সুন্দর করে ভাবি তৈরি করেছে খুব টেস্ট হয়েছিল।
- দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বসে আছি এমন সময় ছোট ভাই এসে বলছে ওরা নাকি পিকনিক করবে। আমার কাছে এসে বিশ টাকা চাইলো আমি দিয়ে দিলাম বললাম ২০ টাকার কোন পিকনিক হয় 😅ও বলছে তাই খেয়ে পারবি না সত্যি তাই এক গামলা খিচুড়ি নিয়ে হাজির সন্ধ্যার সময়। আমিও গেছিলাম তারা সবাই মিলে রান্না করছে। আমি পিক তুলছি ভাবলাম তাদের রান্না সাহায্য করি।কিন্তু তারা একাই একশ 😑আমাকে আর হাত দিতে দিল না। তখন মাগরিবের আজান দিচ্ছিলো। ভাবলাম রান্না শেষ করে আসবো আযান দেয়ার কারণে বাসায় এসে নামাজ পড়ে।
- মনটা খুব খারাপ ছিল। দেখছি ভাবি হাতে মেহেদি দিছে। ভাবি বল হাতে মেহেদী দিবেন আমি না না করলাম 🤭তারপরেও সে আমার কথা শুনলো না আমিও তার কথা রাজি হয়ে গেলাম। মেহেদী দিতে আমার খুব ভালো লাগে তার কিছুক্ষণ পরে মনটা ভালো হয়ে গেল।ছোট ভাইয়ের আনা খিচুড়ি সবাই মিলে খেলাম নিরামিষ খিচুড়ি খুব লবণ হয়ে গেছিলো 😫তারপরেও বললাম ভালো হয়েছে।
আজকের মত এখানে শেষ করছি লেখার ভিতরে কোন ভুল থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
TEAM Newcomer: Curation Guideline for January 2024
Curated by - @𝗁𝖾𝗋𝗂𝖺𝖽𝗂
Note:
সারাদিন কি ভাবে কাটিয়েছেন আপনার কার্যক্রমগুলো আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে কিছু ছবি সংগ্রহ করেছিলেন এবং আরো অনেক ছবি ও লেখা পড়ে জানতে পারলাম আনন্দ করেছিলেন সবচেয়ে বেশি আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে হাতে মেহেদি দেওয়ার মুহূর্তটি যাইহোক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি সকালে উঠে নাস্তা করে রস জ্বালাচ্ছিলেন আপনার মা পিঠা তৈরি করবে বলে ৷ তারপর আপনারা চলে যান ভোট দিতে ৷ ভোট কেন্দ্রে ঝালমুড়ি খেলেন ৷ তারপর বাড়ি এসে টমেটো সালাদ তৈরি করে খেলেন ৷ রাতে মেহেদি লাগিয়ে এখানেই আপনার সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেষ হয়ে যায় ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি দিনলিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
সারাদিন অনেক আনন্দের মাঝে আজকের দিনটা পার করেছেন। ভোটের ওখানে গিয়েছিলেন এবং ভোট না দিতে পারলেও বেশ আনন্দ-ফুর্তি করেছেন।
বিকেলে বাড়িতে ফিরে ভাবি আপনাকে মেহেদি লাগিয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি দিন পার করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ভোট তো দিতে পারিনি, কিন্তু ইচ্ছে ছিলো নৌকায় ভোট দিবো 😅ভাবি বেশ ভালো মেহেদীর ডিজাইনকরতে পারে।
সকালবেলা উঠে নাস্তা করলেন তারপর জ্বালাচ্ছিলেন আপনার মা পিঠা বানাবে তার জন্য। তারপর মা ভাবিকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে গেলেন ভোট দেবে বলে কিন্তু আপনার ভোট ছিলোনা তারপর অনেক মজা করেছেন এবং কিছু বাদাপোড়া খেলেন। তারপর ভোট কিভাবে থেকে এসে টমেটো কাঁচা মরিচ দিয়ে মুড়ি মেখে খেলেন। তবে আপনার হাতে মেহেদি ডিজাইন টা খুব সুন্দর হয়েছে। আমি হাতে মেহেদি পড়তে পারি না কারো কাছথেকে দেওয়াই কিন্তু আপনার টা দেখতে আমার কাছে খুব ভালো হয়েছে।
থ্যাঙ্ক ইউ খুব সুন্দর একটি দিন পার করলেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। সবাই মিলে ভোট কেন্দ্রে যাওয়াই মজাই আলাদা। ঘোরাঘুরি করলাম বেশ ভালো লেগেছিলো।হাতে মেহেদীর ডিজাইন টা ভাবি দিয়ে দিয়ে ছিলো।
তবে ভোট দিতে না পারলেও পরিবারের সকলকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। তারপরে আপনার বাবা ৫০০ টাকা দিয়েছে সবার কিছু খাবেন বলে। তাই কিছু বাজা পোড়া খেলেম এবং আনন্দ করলেন পরিবারকে নিয়ে । হাতে মেহেদি ডিজাইন টা যেই দিক না কেন খুব সুন্দর হয়েছে আমার কাছে বেশ ভালো লাগছে। থ্যাঙ্ক ইউ
এই ভোটের সময় ভোটার হয়েও ভোট না দেয়া টা উচিত হয় নি। অবশ্য আগে ভোটার এর পেছন পেছন মানুষ টাকা নিয়ে ঘুরতো, এখন আর ওই দিন নাই। ভোট দিলে দেন না হয় আমরা আপনার হয়ে দিয়ে দিবো এরকম একটা ভাব। মেহেদী ডিজাইন টা আকর্ষণীয় ছিল। পায়ায়াপাশি এরকম টাকা মেরে একা একা খেলে পাপ, হবে। আমাদেরকেও ট্রিট দিয়েন।
আপনিও আমার মত দূরভাগা একজন নাগরিক। দেশে থেকেও ভোট দিতে পারলেন না। আমিও নিজের কিছু সমস্যার কারণে ভোট করতে পারলাম না। আপনার বাবা আপনার হাতে ৫০০ টাকার নোট ধরিয়ে দিল। আপনি সেটা দিয়ে বিভিন্ন রকম খাবার খেয়ে নিলেন।
২০ টাকা দিয়ে পিকনিক ভাবতেই তো অবাক লাগতেছে🧐। তারপরেও সবাই মিলে বেশ মজা করেই খেয়েছেন। মেহেদি দেওয়া বেশ সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ২০ টাকা দিয়ে পিকনিক বলতে। ২০ টাকা দিয়ে ডাউল কিনছে। আর বাদবাকি সবার বাড়ি থেকে চাউল খিচুড়ি রান্নার মাল মসলা নেয়া হয়েছিল। তোমার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা।
আমার বাবা যদি আপনার আব্বুর মত হত তাহলে কোন কথাই ছিল না। ঝালমুড়ি মাখার ছবিটা দেখেই লোভ লাগছে। হাতের উপর মেহেদির ডিজাইনটা জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।