Better life with Steem || The Diary Game || 4 January 2024steemCreated with Sketch.

in Incredible India10 months ago

আসসালামু আলাইকুম

দৈনন্দিন কার্যাবলীর আরো একটি দিন তুলে ধরলাম আপনাদের মাঝে আশা করি সবার ভালো লাগবে।

  • চাল কুমড়ার বড়ি

  • ৪ জানুয়ারি ২০২৪

  • আপনাদের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হলাম। চাল কুমড়ার বড়ি। এটা অনেকে চেনে আবার চেনে না। কিন্তু এটা আমাদের এদিকে অনেক আকর্ষণীয়। শীতকালে অধিকাংশ সবাই এই চাল কুমড়ার বড়ি দিয়ে থাকে। এটা সবজির সাথে রান্না করে খেলে অনেক সুস্বাদু হয়। কিভাবে চাল কুমড়ার বড়ি তৈরি করতে হয় সেগুলো বিস্তারিত আপনাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করব।

IMG_20240105_092104_548.jpg

IMG_20240105_092048_228.jpg

IMG_20240105_092039_250.jpg

  • এখান থেকে বেশ কয়েক বছর আগে শীতের রাতে। আমার আম্মু দাদিরা শীতে কাঁপতে কাঁপতে শিলে বেটে ডাল গুলো মিহি করতো। এটা অনেক কষ্টকর এই বড়ি দিতে অনেক খাটনি করতে হয়। প্রথমে ডালগুলো সুন্দরভাবে ঝেড়ে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হয় নরম করার জন্য। তারপরে চাল কুমড়া গুলোকেটে হাতে নিজেদের বানানো কুর্নি দিয়ে করতে হয় এটা খুব অনেক কষ্টদায়ক হাত ছিলে যাওয়ার ভয় কিন্তু বর্তমান সময়ে এটা খুব সহজ হয়ে গেছে কুমড়া গুলো ব্যালেন্ডারে ছোট ছোট করে কেটে ব্যালেন্ডারে সুন্দর করে মিহি করা হয়।

IMG_20240105_082511_351.jpg

IMG_20240105_081306_761.jpg

IMG_20240104_132842_431.jpg

IMG_20240104_122400_936.jpg

IMG_20240104_122357_538.jpg

IMG_20240104_102443_421.jpg

  • কুমড়ো কুরার দায়িত্ব আমারই ছিল। দু একটা হাতে তৈরি করা কুর্নিতে করছিলাম কিন্তু আমার অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল তাই ভাবলাম ব্যালেন্ডারে মিহি করলে কষ্ট একটু কম হবে।
  • ডালগুলো আগে শীতের রাতে বাটতে হতো এখন। প্রযুক্তির মাধ্যমে মেশিনে মিহি করা হয়। ভোর বেলা আমার ছোট ভাই ও ডালগুলো একটা পাত্রে নিয়ে মিহি করে নিয়ে আসলো। সেগুলো ডাল কুমড়া লবণ একসাথে মিক্স করে নিলাম নিয়ে সেগুলো ফাটাতে লাগলাম। ফাটালে বড়িগুলো হালকা হয় হালকা হওয়ার পরে সেগুলো কাটার উপযুক্ত হয়। এইভাবে আমরা বিভিন্ন পাত্রে বইগুলো কেটে থাকি।
  • বড়িগুলো আমি আর আম্মু দিয়েছি। আমার খুব ভালো লাগে বড়ি কাটতে। আমার ভাবি আর আমার আপু সেগুলো সুন্দর করে ফাটিয়ে দিল। বড়ি দিয়া শেষ।বসে আছি তখন বাজে এগারোটা ছোট ভাই কে বললাম বাজার থেকে ফুচকা নিয়ে আসতে। সেগুলো আমি আমার ছেলে ভাবি সবাই মিলে খেলাম। ফুচকা আমার খুব পছন্দ। এমন কেউ নেই ফুচকা তার পছন্দ না ছোট বড় সবাই খেতে পছন্দ করে।

IMG_20240104_124414_475.jpg

IMG_20240104_123019_584.jpg

  • মুখের অবস্থা দিন দিন। খারাপ হয়ে যাচ্ছে বরনের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ এই মলমটা নিয়ে আসলাম। জানিনা কার্যকর কেমন হবো।

IMG_20240104_125152_521.jpg

  • আমার ভালো বাসার একমাত্র জাগায়, আমার আদরের মিশু, সে আমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারেনা রাতে ঘুমানোর জন্য সে আমার পাশে ঘুমাই। এখন রাতে আমার কম্বলের নিচে ঘুমাই। তার প্রতি আলাদা যত্ন। তার বয়স যখন সপ্তাহখানে তখন আমার তাকে নিয়ে আসলাম। আজ ছয় মাসের মতন। তাকে প্রতিনিয়ত শ্যাম্পু দিয়ে। গোসল করিয়ে তার পায়ের নখগুলো কেটে দিই।

IMG_20240101_130934_078.jpg

আজকের মত এখানে শেষ করছি লেখার ভিতরে কোন ভুল থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।

Sort:  
Loading...
 10 months ago 

সাতক্ষীরা অঞ্চলের দিকে শীতের সময় ডাউলের ও কুমড়ার বড়ি দেওয়ার ধুম পড়ে। আমার বাড়িও সাতক্ষীরা তাই আমি জানি আমার মায়েরা শীতের সময় দুই থেকে তিনবার এই কুমড়োর বড়ি গুলো দিয়ে থাকে।

আপনার একটি দিনের কার্যক্রমের অধিকাংশ সময় এই কুমড়োর বড়ি দিতেই অতিবাহিত হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ অসংখ্য ধন্যবাদ এটার জন্য খুশি হলাম যে আপনার বাসা সাতক্ষীরাতে। হ্যাঁ শীতের সময় কুমড়ার বড়ি দেওয়া ধূম পড়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন

 10 months ago 

আসলে আমার জীবনে এই প্রথম দেখলাম চাল কুমড়া দিয়ে যে বড়ি বানানো হয়। আর এটা স্বাদ কিরকম কখনো আমি জানিনা । আর কিভাবে বড়িগুলো বানিয়েছেন তার সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন। আর এই চাল কুমড়ো গুলো মিহিন করা অনেক বড় একটি কষ্টের কাজ। তবে ভালো হয়েছে এখন বেলেন্ডার আসছে সবার সুবিধাই হচ্ছে।
আর এতো সকালে আপনাদের ওখানে ফুচকা পাওয়া যায়। আমাদের এখানে শুধু সন্ধ্যার পর রাত পর্যন্তই ফুচকা পাওয়া যায়। এখন বেশিরভাগ সব ছেলেমেয়েদের গালে এরকম ব্রণ হয়ে থাকে। আর যেহেতু ডাক্তারে পরামর্শ নিয়ে মলমটি এনেছেন লাগিয়ে দেখেন কি ভালো ফলাফল পান কিনা

যে যেটা পোষে তার সেটার উপরে অনেক মায়া থাকে এবং যত্নবানও থাকে। আপনি বিড়ালটির ওপর অনেক যত্ন করেন এবং শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করিয়ে দেন । থ্যাংক ইউ আপনার সারাদিনে কার্যক্রম গুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করেছেন।

আসলে আমাদের বাজারে সাইটে ইস্কুল এইজন্য সব সময় ফুচকা ঝাল মুড়ি চটপটি পাওয়া যায়। আগেকার দিনে আমার আম্মু দাদিরা খুব ভোরে উঠে এই ডাল মিহি করতো অনেক কষ্ট ইদানিং কয়েক বছর ধরে খুব সহজে মিহি করা যায়। আমার বিড়ালকে আমি খুব ভালোবাসি তাকে যত্ন সহকারে লালন পালন করেছে এই পর্যন্ত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য

 10 months ago 

ডালের বড়ি হোক বা কুমড়ো বড়ি আমার খুবই পছন্দের জিনিস দুটোই। কুমরা বড়ি দিয়ে ডিম, মাছ, সবজি, ঝোল সবকিছুই সুস্বাদু লাগে। আপনারা নিজেরাই এটা ঘরে তৈরি করেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আর আপনার আদরের মিশুকে দেখে ও খুব ভালো লাগলো। আপনি ওরা অনেক যত্ম করেন দেখে ও হয়তো আপনার নেওটা। আর ফুচকা পছন্দ নয় এমন মানুষ তো খুঁজে পাওয়া বিরল। যথেষ্ট ব্যস্ত দিন আপনি পার করেছেন। খুব ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।

চাল কুমড়া বড়ি আমার খুব পছন্দ। বিশেষ করে শীতকালে নতুন আলু দিয়ে মাছ একসঙ্গে রান্না করলে সুস্বাদু লাগে। আমরা নিজেরা শীতকালে বড়ি তৈরি করি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন

 10 months ago 

আমার কাছে তো পরবেশ ভালো লেগেছে কারণ,

  • আমি এই বড়ি কখনোই খাইনি, তাই এর স্বাদ ও বুঝবোনা।
    তবে, নতুন জিনিস শিখতে পেরে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
    অবশ্যই বাসায় একদিন চেষ্টা করে দেখব ধন্যবাদ আপনাকে।

অবশ্যই আপু চেষ্টা করে দেখবেন কিন্তু এই কুমড়ার বড়িটা কিন্তু রোদে শুকাতে হয় শীতকালে কুমড়ার বড়ি দিয়ে থাকি। একটু ১৯-২০ হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য অনেক সাবধানে আকাশের আবহাওয়া দেখে তারপরে আমরা এই কুমড়ার বড়ি দিয়ে থাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

 10 months ago 

ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি পরামর্শ দেওয়ার জন্য। ভাবছি তৈরি করব তবে সাহস পাচ্ছি না কেননা আমি কখনো আমাদের এদিকে কেউ কে দিতে দেখে নি তাই। তবে আপনার রেসিপিটা ফলো করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

 10 months ago 

কুমড়ার বড়ি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।হোক নিরামিষ তরকারি বা মাছ তরকারি। তবে শীত ছাড়া অন্য সময় আবার কেন যেন তেমন একটা ভালো লাগে না।
আপনার পোষা বিড়ালটি দেখতে অনেক সুন্দর।

 10 months ago 

বড়ি আমি খুব পছন্দ করি ।বড় মাছ বড়ি দিয়ে রান্না করলে খুব সুস্বাদু হয় ।বড়ি কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু সেটা অতটা ভালো লাগেনা ।কিছু কিছু বড়ি গুলো তিতা লাগে।

নিজেদের হাতে বুড়ি হলে তো কোন কথাই নেই। তবে বড়ি তৈরি করা অনেক কষ্টের এবং ধৈর্যের কাজ ।আপনারা সুন্দর মা, মেয়ে , বোন সবাই মিলে বড়ি দিয়েছেন ।দেখে তো আমার পেতে ইচ্ছে করছে ।কিছু কুরিয়ার করে বরিশালে পাঠিয়ে দিয়েন ।সবাই মিলেমিশে কাজ করলে কাজটা যেমন খুব সহজ হয়ে যায় এবং তাতে পরিশ্রম কম হয়।

ফুচকার ফটোগ্রাফি দেখে তো জিভে জল এসে গেল ।মেয়েরা আসলে ফুচকার প্রতি সবাই দুর্বল। আপনার বিড়ালটি অনেক সুন্দর। আপনাদের এই সুখী পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো ।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। আচ্ছা পাঠিয়ে দিবনে বরিশালে আপনার কুরিয়ার সার্ভিসের ঠিকানা দেন 😅বড়ি দিয়ে আমি তো অনেক ধৈর্যের কাজ এবং খুব কঠিন। তারপরেও শীতের সময় সবাই মিলে কঠিন কাজ কেউ ও সহজ করা যায়।

 10 months ago 

কুমড়ো বড়ি এটা আসলে আমি নাম শুনেছি। কিন্তু কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটা আমার জানা ছিল না।আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করার মাধ্যমে কিভাবে কুমড়া বড়ি তৈরি করতে হয়। সেই বিষয়টা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম। যদি কখনো হাতে সময় হয় তাহলে অবশ্যই তৈরি করার চেষ্টা করব। সেই সাথে শীতের মধ্যে বসে অনেক বেশি ঝাল দিয়ে ফুচকা খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

অবশ্যই আপু চেষ্টা করে দেখবেন কিন্তু কুমড়ার বড়ি শীতকালে দিতে হয়। রোদ থাকবে আর শীতের সময়। আকাশ মেঘলা থাকলে কিন্তু বড়ি নষ্ট হয়ে যাবে খাওয়া যাবেনা। এটা অন্য আবহাওয়া শীতকাল ছাড়া। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু

 10 months ago 

@isratjahanpriya,

শীতকালের সময় কুমড়ো বড়ি দেওয়া হয়ে থাকে। এবং একটু বেশি শীত পড়লেই যেন আমাদের এদিকে এই বড়ি দেওয়ার ভূত চেপে বসে সকলের মাথায়।

আপনার সম্পূর্ণ লেখাটি পরিদর্শনের পর আমার এরকমটা মনে হলো যে আপনার দিনের কিছুটা অংশের কার্যক্রম আপনি উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু দিনলিপি মানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটা মানুষের সকল কার্যক্রমের প্রতিচ্ছবি।

আশাকরি, বিষয়টি আপনি বুঝতে পেরেছেন যদি বুঝতে সমস্যা হয় অবশ্যই ডিসকর্ডে আমার সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে জেনে নিবেন।

আপনার মতন একটা মডারেটর পেয়ে। নিজের কাছেও ভালো লাগে। আমার ভুল ভ্রান্তি গুলো আপনি খুব সহজে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলতে পারেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো ।

 10 months ago 

কমড়ো বড়ি মাছ দিয়ে খেতে ভীষণ মজার। আমার গ্রামের বাড়িতে প্রচুর বানানো হয়, আবার গ্রামে হাটে গেলেও কিনতে পাওয়া যায়। তবে ঢাকায় তেমন একটা পাওয়া যায় না।

আপনি এগুলো ব্লেন্ড না করে হাতে কেন মিহি করেছেন?

হ্যাঁ আপনি হয়তো আমার সম্পূর্ণ। লেখাটি খেয়াল করে পড়েননি আমি ব্যালেন্ডার করে মিহি করেছি। এগুলো এত কষ্ট করে। এই প্রযুক্তির যুগে আমি কেন হাত দিয়ে মিহি করব 😅

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 76027.52
ETH 2923.44
USDT 1.00
SBD 2.62