Better life with steem || The Diary Game || 22 December 2023
আসসালামু আলাইকুম
- সুন্দর একটা দিন
- 22 ডিসেম্বর 2023
- পরিবারের সবাই মিলে ফুফুর বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া।
দৈনন্দিন কার্যাবলীর আরো একটি দিন তুলে ধরলাম আপনাদের মাঝে আশা করি সবার ভালো লাগবে।
বাড়ির সবাই মিলে প্ল্যান করলো,, বড় ফুফুর বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার জন্য,, কিন্তু আমার পরীক্ষা থাকার জন্য,, আমি বল্লাম কয়দিন পর গেলে ভালো হবে। লং-টাইম ছুটি থাকার সত্ত্বেও যেতে পারিনি,, কারণ ছেলে অসুস্থ,, ছিলো, এই দিকে আমার বাড়ির আমার চাচা তো ভাই আর দাদিরা তো তাদের আর ধৈর্য ধরতে পারছেনা 😅 আমি ও ভাবলাম আর বেশি দেরি করবো না, তাই আজই চলে গেলাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ৮ টার বেশি বেজে গেছে,, মা তো বকাবকি করছে,, সারারাত ধরে ফোন টিপে সকালে উঠার নাম, নেই 😅 মা এমনি,, ফোন না টিপলে ও বলবে।
আমার প্রথম ভালোবাসা আমার মা, কখনো বলতে পারিনি,, যে আম্মু আপনকে অনেক ভালোবাসি। কিছু আশা আছে সেই গুলো পূরণ করতে চাই ইনশাআল্লাহ।
যাই হক গল্পে ফিরি,, সকালে সবার গোসল শেষ সবাই রেডি হচ্ছে,, কিন্তু আমি একটু অলস বল্লে ও চলে,, গোসল করবো বলে আধা ঘণ্টা বসে আছি,, আমার গোসল করার আগে ছেলেকে রেডি করলাম। সে তো বেশ খুশি মনে হচ্ছে আমাদের বাড়িতে আজ ঈদ🥰 আমার আর এক ফুফাতো বোন বকছে যে তোর কত খন লাগবে,, আমি বলছি আমি তো আর মেকাপ করবো না,, বোরখা পরবো আর হিজাব,, ১০ মিনিটে শেষ। আমরা মোট ১৮ জন যাবো বাড়ির পুরুষ মানুষ গুলো বাদে, একটা মাইক্রো ভাড়া করলো,, আমাদের সাতক্ষীরা থেকে যেতে ২ ঘন্টা সময় লাগে,, পাটকেল ঘাটা,, যেতে,, খুব মজা করে গেলাম।
মজার বিষয় হলো,, গাড়ির সিট অনুযায়ী,, মানুষ বেশি, 😅 ১৪ জন সিটে বসলো তাও গাদাগাদি করে,, আর ৪ জন বাকি,, গাড়ি আলা তো ভাবছে কি ভাবে সাজাবে, আর হে আমি, আমার ছেলে, আমার ছোট ভাই, আর চাচা তো বোন, আমি বাদে তারা কোলে বসতে পারবে,, কিন্তু আমি কি করবো রাগ ও হচ্ছে,, আনি আম্মুকে বলছি আমি জাবো না, আমি বড় হলেও ওজনে কম 😅 আমি বসলাম আমার বড় চাচির কোলো 🤭মনে মনে লজ্জা ও পাচ্ছি বেচারা বেশ কষ্ট হচ্ছে,, আমি ও কিছু বল্লাম না,, বেশ আরামে কোলে বসে গেলাম,,
মাঝ পথে গিয়ে গাড়ির চালাক রাগ করছে যে গুড়ের ভাড়ের মতো করে সাজিয়ে,, এত লোড নিয়ে ভাংচুর রাস্তায় যাওয়া যায় না,, আমি তো হাসতে হাসতে শেষ, বলছে আমি আর এক কিলোমিটার ও যেতে পারবো না 🥴।সবাই বলছে ভাই রাগ করেন না আপনার ভাড়া বেশি করে দিবান তাই তখন আর কিছু বল্লো না।
আমরা কিছু খন পরে পৌছালাম,, নেমে ফ্রেশ হয়ে সামনে নাস্তা নিয়ে আসলো,, আমার একটা সমস্যা বিয়ে বাড়ি হক আর অন্য জাগায় হক,, রান্নার ঘ্রাণে পেট ভরে যায় খেতে পারি না,, 😅 আমি আর নাস্তা খেলাম না,, ছেলে তো খেতে পারে না,, সে তার জামা নোংরা করছে,, আমি আর আমার ছেলে বাড়ির পাশে হাটতে এসেছি,, এর ভিতর সবাই খেতে বসেছে,, আমি মনে মনে বলছি এরা কেমন আমাকে একবার ও ডাকলো না,, সবার খাওয়া শেষ শুধু আমি বাদে আমি আমার ফুফুর শশুড় বাড়ির লোকের সাথে বসেছি,, যে লোক খাদিম করছে সে মনে করছে আমি মনে হয় এই বাড়ির লোক,, তাই আমার প্রতি নজর দিলো না, 😅 রাগ ও হচ্ছে খেতে নাই পারি না তাই বলে কি কম দেবে,,
তো বন্ধুরা এভাবে আমার একটি দিন অতিবাহিত হল আর পর্যায়ক্রমে আপনাকে শেয়ার করেছি যদি লেখার ভিতর কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
সব মায়েরাই এমন মনে হয়, মোবাইল হাতে নিলেই যেন ওনারা রাগ করেন। সব মায়েরই এইটা কম কথা, সারারাত মোবাইল টিপলে ঘুম তো ভাংবেই না
গ্রামে এই রকম পরিস্থিতি প্রায়শই হয়। দেখা গেলো যাবার আগে হিসেব করা হলো ১০ জন, কিন্তু গাড়িতে ঊঠার সময় কোথা থেকে যেন আরো ৩-৪ জন চলে আসে। গাদাগাদি করে যাবার অবশ্য আলাদা একটা মজা আছে, তবে আপনার বয়সী কাউকে কোলে করে নিয়ে যেতে চাচীর নিশ্চয়ই কষ্ট হয়েছে।
ভালো লাগলো আপনার সুন্দর দিনটি পড়ে।
আপনি বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন আর সেখানে যেতে একটু কষ্ট হয়েছে অনেক মানুষ ছিলো বলে ।কিন্তু সেই কষ্ট বিয়ে বাড়ীর নানা ধরনের খাবার দেখে চলে যাওয়ার কথা আমার হলে তো আর কষ্ট থাকতো না। আমাদের সাথে আপনার দিনের কার্যক্রম গুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
পরিবারের সবাই মিলে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গেলেন। আপনি আপনার চাচীর কোলে করে গিয়েছেন শুনে বেশ মজা পেলাম। আপনি সন্তানের মা হয়ে গেছেন ঠিকই কিন্তু এখনো ছোটটিই আছেন। আপনার লেখা পড়ে তাই মনে হচ্ছে। অতঃপর ফুফুর বাড়িতে গিয়ে আপনি বেশি কিছু খেতে পারলেন না। এদিকে খাদিমদার ও আপনাকে বাড়ির লোক মনে করে খেতে দিল না। তবে খাওয়ার থেকে বড় কথা হল সবাই মিলে গিয়েছেন ও আনন্দ করেছেন এটাই। এরকম ট্রিপ আমারও খুব ভালো লাগে। আপনার দিনটি নিশ্চয়ই আনন্দে কেটেছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। ভালো
থাকবেন।
ওরে আপু আপনার পোস্ট পড়তে গিয়ে তো অনেক মজাই পাইছি। আপনার চাচি আম্মার কোলে বসে গিয়েছে। বিষয়টা আপনার চাচীর জন্য কষ্টদায়ক হলেও আপনার জন্য বেশ আরাম দায়ক হয়েছে।
আপনার ফুফুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছেন যারা খাদিমদারি করেছে তারা ভেবেছে আপনি মনে হয় এইবারের লোক এই ভেবে আপনাকে অত নজরদারি করে দিল না। তবে এখানে আপনি ভুল করছেন, সেটা হলো আপনাকে তো বলতে হবে যে ভাই আমি মেহমান। তাহলে দেখতেন কবজি ডুবিয়ে দিত খাওয়াতে খাওয়াতে। 😜 যাই হোক বেশ মজা পেয়েছি পোস্টটি পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে পরবর্তীতে এরকম পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
🤣🤣 ধন্যবাদ
আসলে সবাই মিলে বেরাতে যাওয়া মজাটা একদম ঠিক ঈদের মতনই। আপনার ছেলে তো ছোট তাই মানুষের হরধনী আওয়াজ পেয়ে মনে হচ্ছে তার আজকে ঈদ। আপনারা একটি মাইক্রো বারা করে গেলেন এবং সেখানে বসতে সবারই অসুবিধা ছিল কারণ সিট অনুসারে মানুষ বেশি। তারপর একজনের উপর একজনের কোলে করে দিলেন। আসলে এটা সবার বেলারি হয় রান্না ঘ্রানগুলো নাক দিয়ে পেটে গেলে তার খাবার আর স্বাদ থাকে না। তেমনি আপনার বেলায় সেটাই হয়েছিল।
থ্যাংক ইউ বেড়াতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
কোন জায়গায় যাওয়ার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। যদি সেখানে সবাই মিলে যাওয়া হয়। আপনারা সবাই মিলে বিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু যাওয়ার সময় একটা ঝামেলা হয়ে গেল। গাড়ির মধ্যে জায়গা কম মানুষ বেশি। মাঝে মাঝে এমন হয় সমস্যা হয় না। মজা করতে করতে গেলে ওই সমস্যাটা বেশি সমস্যা বলে আমার কাছে মনে হয় না। যাইহোক খাবার দাবার গ্রহণ করে আবার উনাদের বাড়ির পাশে হাঁটা শুরু করেছেন। ছোট বাচ্চার জামা নোংরা করবে এটাই স্বাভাবিক। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার আনন্দ কোন মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
আমি আপনার ডাইরি গেমটা পড়লাম। পড়ে আমার বেশ ভালো লেগেছে। আমি দেখতে পাচ্ছি যে, আপনি আপনার ফুফুর বাড়িতে পরিবারের সবাই মিলে বেড়াতে গেছেন এবং অনেক মজা করেছেন। আপনি আপনার কাটানো দিনটি খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম এবং আপনি ভালো থাকবেন সবসময় সেই কামনা করি।
মায়েরা যতই বকাবকি করুক না কেন বা শাসন করুক না কেন সন্তানকে তাদের থেকেও তাদের সন্তানকে বেশি ভালোবেসে থাকে ।সন্তান হলো মায়ের প্রথম বন্ধু ।তাদের পৃথিবী একদিকে সন্তান একদিকে।
হ্যাঁ সন্তানরা মাকে ভালোবাসে কিন্তু তারা বলতে পারে না ”আমি তোমাকে ভালোবাসি” এটি যেমন সত্য তেমনি মা সন্তানকে শাসন করবে তেমনি আদর করবে।
আপনার পরীক্ষার জন্য ফুফু বাড়ি যেতে পারছেন চাইছেননা। কিন্তু সবার কথা ভেবে আপনারা আজকে ফুপুর বাড়িতে গেলেন হঠাৎ করে ।আসলে সবার সাথে একত্রে ঘুরতে যাওয়া অনেক আনন্দ। আপনারা যেতেহু লোক সংখ্যা বেশি ছিলেন তাই আপনাদের গাড়িতে যায়গট হচ্ছিলনা । বসতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
কথায় আছে, ”যদি হয় সুজন তেতুল পাতায় নয় জন” তাই আপনারা কষ্ট হলেও খুব আনন্দ করে ফুফু বাড়ি গিয়েছিলেন। সুন্দর দিনলিপি আমাদের সাথেসাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।