আকন্দ গাছ ও তুলসী গাছের উপকারিতা, ও ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন,, আজকে আপনাদের মাঝে আজ ভিন্ন রকমের একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম,, আশা করি সবার ভালো লাগবে।।
আমরা ছোট বেলায় আকন্দ গাছের ফুল নিয়ে খেলা করতাম, বিভিন্ন বেথা বেদনা নিরাময়ের একমাত্র ঔষধি কার্যকর হিসাবে কাজ করে আকন্দ ফুল এই গাছের বিশেষ কোন যন্ত প্রয়োজন পড়ে না, তাই বাড়িতে এই গাছ লাগালে আপনি পুজো এবং শরীরের নানা রোগের উপকারী পাওয়া যায়।
সাপের উপদ্রব থেকে বাচতে গ্রামের মানুষেরা তাদের বাড়িতে আকন্দ গাছ লাগিয়ে থাকে। আকন্দ গাছের যেমন উপকারীতা আছে তেমন অপকারীতা ও আছে এই গাছের আঠা চোখে মুখে লাগলে, নানা প্রকার ক্ষতি হয়,, ছোট বাচ্চা দের কাছ থেকে দূরে রাখ শ্রেয়।
আকন্দ : আকন্দ এক প্রকার ঔষধি গাছ। গাছটির বিষাক্ত অংশ হলো পাতা ও গাছের কষ। গাছের ছাল ধূসর। কান্ড শক্ত ও কচি ডাল লোমযুক্ত। পাতা সরল প্রতিমুখ তির্যকপাতন, পুরু, শিরা বিন্যাস জালিকাকার পাতা।
গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। আকন্দ দুই ধরনের শ্বেত আকন্দ ও লাল আকন্দ, আকন্দ অর্ক, মান্দার, মাদার, আক, আকওয়ান প্রভূতি স্থানীয় নামে ও অনেকের কাছে পরিচিত। শ্বেত আকন্দের ফুলের রং সাদা এবং লাল আকন্দের ফুলের রং বেগুনি। গাছের ছল ধূসর। গাছের পাতা ছিড়লে কিংবা কান্ড ভেঙে ফেললে দুধের মতো কষ বের হয়।
উপকারীতা: আকন্দ ব্যথা নিবারক ও বিষনাশক হিসেবে খুবই কার্যকর। বায়ুনাশক, উদ্দীপক, হজমকারক, গর্ভপাতক, পাকস্থলীর ব্যথা ও ক্ষতস্থান, ফোলা নিবারক হিসেবে এর ব্যবহার সুবিদিত, এছাড়া ও প্লীহা, দাদা,অর্শ, কৃর্মি ও শ্বাসকষ্টে আকন্দ খুবই উপকারী, এর ফুল ডায়াবেটিসের জন্য বিশেষ উপকারী বলে মনে করা হয়।
তুলসী গাছ: তুলসী গাছ সাধারণত গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে থাকে। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের বাড়িতে তারা পূজার কাজে ব্যবহার করে। তুলসী পাতার ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে। নবজাতকের সর্দি কাশি হলে অনেকে মধু ও তুলসী পাতার রস এক সাথে করে খাওয়ালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
তুলসীপাতা কাঁচা চিবিয়ে খেলে শরীরের ব্যাথা দূর হয়ে যায়।
সাধারণত রাস্তার পাশে অযণ্তে বেড়ে ওঠে,, এই গাছের নানা বিধি উপকার পাওয়া যায়।
এবং জ্বর কিংবা সর্দি কাশি ছাড়া তুলসি গুণান্বিত এটি হার্টের রোগ সহ চুলের সমস্যায় তুলসী, স্বাস্থ্য ও ত্বক ছাড়া ও তুলসী পাতার উপকারিতা।
তুলসী পাতার উপকারিতা :
১.সর্দি কাশি কমিয়ে দেয়।
২.গলা ব্যথা দূর করে।
৩.ক্যন্সার প্রতিরোধ করে।
৪.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বৈজ্ঞানিক পরিক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে তুলসী পাতায় রয়েছে অসাধারণ রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা যেমন আ্যাজমা ফুসফুসের সমস্যা দূর করে। তুলসী চা শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবার বাড়ায় মাথা বেথা সাহায্য করে।
আজকের মতো এখানে শেষ করছি, সবার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল। সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ
তুলসী মানে হল যার কোন তুলনা হয় না। তুলসীগাছকে বলা মহৌষধি গুন সম্পন্ন গাছ।এই গাছের উপকারিতা অনেক। বিশেষ করে বাচ্চাদের কাশির জন্য এর রস অনেক উপকারী । আর আকম্দ গাছ এর আরেক নাম আপন গাছ।এটিও বাচ্চাদের জন্য অনেক উপকারী। আমি এই দুই গাছের ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। আপনার আলোচনা অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আকন্দ গাছ চিনি না আমি তবে স্টিমিট প্ল্যাটফরমে অনেক এর লেখায় এই গাছের উপকারীতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। আপনার লেখায়ও তেমনি নতুন নতুন বিষয় জানতে পারলাম।
তুলসীগাছ ছোট বেলা থেকেই বাসায় দেখেছি। আমার বারান্দায়ও আমি টবের মাঝে উপকারী এই গাছটি লাগিয়ে রেখেছি।
আপনার লেখা পড়ে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম এই গাছ সম্পর্কে। ধন্যবাদ এত সুন্দর করে এসব তথ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
আকন্দ গাছের বিবরণী দিতে গিয়ে আপনি চমৎকার উপকারিতা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। মূলত আমি এ বিষয়ে জানতাম না যে বাড়িতে সাপের উপদ্রব কমাতে এই গাছ খুবই উপকারী। চমৎকার চমৎকার এই ইনফরমেশন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
তবে তুলসী গাছের উপকারিতা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। আমিও এই গাছের পাতা ঠান্ডা জনিত যে কোন উপসর্গে ব্যবহার করি এবং বেশ উপকার পাই। আকন্দ গাছের পাতা ব্যথা নিরাময়ে একমাত্র এবং কার্যকরী ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে ঔষুধ হিসেবে দুটি কাছের পরিচিতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ আমার পোস্ট টা পড়ার জন্য
আপনি আমাদের মাঝে দুটি গাছের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছেন একটি হলো আকন্দ গাছ আরেকটি হলো তুলসী গাছ আর এই দুটির গাছের উপকারিতা গুলো বেশ সুন্দর ভাবে উপাস্থাপন করেছেন ৷ যার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ৷
আপনার পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখে নিজের গ্রামের কথা অনেক বেশি মনে পড়ে গিয়েছে। আমাদের গ্রামে এই আকন্দ ফুল গাছ অনেক আছে এবং আমি দেখে এসেছিলাম রাস্তার সাইডে এই গাছ গুলো অনেক দেখা যায়।
এই আকন্দ গাছের ফুল নিয়ে শৈশব কালে অনেক খেলাধুলা করেছি। এই আকন্দ গাছ আমাদের মাঠে আমি অনেক দেখেছি। এবং এর ফুল নিয়ে আগে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি। কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে আমার বেশি কিছু ধারণা ছিলো না আপনার পোস্টের মাধ্যমে কিছু ধারণা পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত।
এবং আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আরো তুলসী গাছের ফটোগ্রাফি এবং কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম অবশ্যই তুলসী গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আমার কিছুটা জানা আছে এবং আমি দুই দিন আগে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। কিন্তু আপনার পোস্টের মাধ্যমে তুলসী গাছের উপকারিতা দেখে আরো বেশি খুশি হয়েছে।
ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আকন্দ গাছ সাধারণত রাস্তার পাশে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। আগের গ্রামের এক কবিরাজ কে দেখতে প্রায়ই এই গাছের পাতা তুলে নিয়ে বেটে ওষুধ বানাতো। কাচের বোতলে এর রস করে সাথে চিনি মিশিয়ে সালসা বানাতো। অনেকেই এটা কিনে খেত। অনেক উপকারী একটি গাছ।
তুলসী গাছ তো ঠান্ডার মহাওষুধের ফ্যাক্টরি। এই গাছের পাতা রস করে খেলে যে কোন ধরনের কাশি দূর হয়ে যায়।
আপনি খুব সুন্দর করে এই গাছ দুইটির উপকারিতা ও ব্যাবহার আলোচনা করলেন যা আমাদের উপকারে আসবে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি এই স্টিম প্ল্যাটফর্মের দুটি গাছের কথা উল্লেখ করেছেন এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন। আকন্দ গাছ আমি চিনি কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা ছিল না। এই স্টিম প্লাটফর্মে ঢুকে আপনাদের এরকম পোস্ট পরে জানতে পারলাম উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিকগুলো। তুলসী গাছটা আমি বরাবরই চিনি কিন্তু এর উপকারিতা মোটামুটি জানা ছিল। আরো বেশি জানতে পারলাম আপনাদের এরকম পোস্টটি পড়ে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি দুটি ঔষধি ও গাছ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন থ্যাঙ্ক ইউ ।
আকন্দ গাছের ফুল দিয়ে ছোটবেলায় খেলতাম। তখন এই গাছটিকে চিনতাম না। খেলার স্বার্থে ঝোপঝাড়ে বিভিন্ন ফুল গাছের ফুল নেওয়াই ছিল আমাদের একমাত্র কাজ। কিন্তু এখন স্টিমিটে বিভিন্ন পোস্টে আমি সেই গাছগুলোকে দেখি আর ভাবি যে ছোটবেলায় কত অযত্নে এসব গাছকে মাড়িয়ে দিতাম।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে আকন্দ ও তুলসী গাছের ফটোগ্রাফি করেছেন এবং এদের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো বর্ণনা করেছেন। তুলসী গাছের উপকারিতা সম্বন্ধে আমরা কম বেশি সবাই জানি। আজকে আকন্দ গাছের ব্যাপারেও জেনে নিলাম। খুব ভালো লাগলো পড়ে।
আপনি আজকে আমাদের সাথে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।আপনি আজকে আকন্দ আর তুলসী গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছেন।আমি অনেক আগে আকন্দ গাছ নিয়ে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম।আপনার পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।