একজন সফল মানুষের প্রত্যেক দিনের কিছু নিয়মাবলী
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ আপনাদের মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব
- একজন সফল মানুষের কঠিন পরিশ্রমের কিছু নিয়মাবলী :
১.ভোরে ঘুম থেকে জেগে ওঠা।
- আমি একজন মুসলিম হয়ে সর্ব প্রথমে ফরজের সালাত আদায়ের সময়ে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী দিনের শুরুতে পূর্ব আকাশে সূর্য উদয়ের পূর্বে ঘুম থেকে জেগে ওঠা উত্তম নিয়ম এতে দিনের কর্মসূচি নির্দিষ্ট করা এবং সেই অনুযায়ী সবকিছু করা সম্ভব হয়। এবং এইভাবে সকল কিছু অনুসারের নিয়ম-নীতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।
২.রাতে যথা সময়ে ঘুমানো।
- আমরা সাধারণত বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের যুগে অধিকাংশ মানুষ ফোনের উপরে আসক্ত এইজন্য অনেকে ফোন টিপতে টিপতে রাত পার করে দেয় এটা নিজের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আমাদের ঘুমানো উচিত রাত ১০ টা থেকে ১১ টার ভিতরে কোনভাবেই এর চেয়ে বেশি সময় জেগে থাকা উচিত নয়। সাধারণত ১১ টায় ঘুমিয়ে গেলে ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে জেগে ওঠার সহজ হয়ে থাকে।
৩.রাতে খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
- রাতে খাবার খাওয়ার সাথে সাথে কারোর কারোর ঘুম আসতে শুরু করে। অর্থাৎ ভাত বেশি খেলে জীবনে বা ঘুম আসে। যদি তোমাদের কারোর রাতে খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুম আসে তোমরা রাতের খাবারটি দুই ভাগে খেতে পারো। সাধারণত সন্ধ্যার সময় হালকা নাস্তা আর ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে ভাত বা অন্য কিছু খেয়ে নিবেন। এইভাবে রাতে খাবার গ্রহণ করা হলে খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুম আসার সম্ভাবনা কম থাকবে।
৪.পরিমাণ মতো ঘুমানো।
- একজন মানুষের সর্বোচ্চ সময় ছয় ঘন্টা ঘুমাবে। কিন্তু ৬ ঘন্টার বেশি ঘুমকে কোনভাবেই প্রশ্রয় দিবেন না। প্রাথমিকভাবে এমন একটি অভ্যাস নিজেদের মাঝে গঠন করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
৫.ভোরে ঘুম থেকে উঠার ব্যাপারে গৃহ সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
ভোরে ঘুম থেকে জেগে ওঠার জন্য যে কারো গৃহসিদ্ধান্ত গ্রহণে যথেষ্ট। অর্থাৎ ভোর রাত ৪.০০/৫.০০ যেকোনো সময় ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস করতে হবে। জীবনের পুরো সময়টুকুতে কে তোমাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে ভালোভাবে জীবনের ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হবে।
৬.ঘুম থেকে জেগে ওঠার পদ্ধতি।
১.ঘুমাতে যাওয়ার পরে পানি পান করা।
- দুই থেকে তিন গ্লাস পানি পান করবে। তাহলে দেখবেন রাতের শেষ অংশে শারীরিক সুস্থতার লক্ষ্য প্রসব করার প্রয়োজন হবে এবং ফরজ সালাতের সময়টুকুতে শরীরের অন্ততন্ত,মূত্র কোষ তোমাদেরকে জাগিয়ে দিবে।
২.ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে রাখা।
- টেবিল ঘড়িতে এলার্ম সেট করে রাখলে নির্ধারিত সময়ে জেগে ওঠা সম্ভব হবে। তাই দীর্ঘ সময় বা পাঁচ মিনিট অন্তরের অন্তর অ্যালার্ম বাজে এমন ঘড়ি দেখে ক্রিয়ায় করবেন। ঘড়িটি টেবিলের উপরে থাকায় তোমাদেরকে বিছানা ছেড়ে উঠে গিয়ে ঘড়ির এলার্ম বন্ধ করতে হবে এই অবস্থা ঘুম দূর হওয়ার জন্য প্রধান সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
৩.পিতা মাতা ও অন্যান্যদেরকে জাগিয়ে দেওয়ার অনুরোধ।
৪.প্রতিবেশী কাউকে জাগিয়ে দেওয়ার অনুরোধ।
৫.ভরে জেগে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সন্তোষ প্রকাশ
৬.ঘুম খুব বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধান।
- ঘুম কেন বেশি হয় এর জন্য ঘুম আসার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে অনেক সময় দেখা দুর্বল হলে খুব বেশি ঘুম আসে। তাই এদিকে খেয়াল রেখে খাবার ঠিকভাবে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আবার অনেক সময়ে দেখা যারা ক্লান্ত হয়ে পড়লে একটু বেশি করে বিশ্রামক ঘুম দিয়ে ফ্রেশ হলে তখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
৭.অলসতা পরিহার করা।
- মূলত এই অলসতার হোতা হলো ইবলিশ শয়তান। এখানে অলসতা পরিহার করা পদ্ধতির হলো :
১.অলস মানুষ থেকে সব সময় দূরে থাকতে হবে।
২.বেহুদা অনর্থক বা অর্থহীন কোন কিছুতে মগ্ন হওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
৩.বিছানায় শুয়ে শুয়ে বা বিছানায় বসে পড়ালেখা করবেন না।
৪.অতিরিক্ত খাবার খাবেন না।
৫.মনের মধ্যে হেরে যাওয়ার ঘৃণা ও লজ্জাবোধ প্রতিষ্ঠা করবেন অন্যরা পারলে আমিও পারবো এই জিও মনোভাব জাগ্রত করে মনোনিবেশ করতে চেষ্টা করবেন।
৬.শরীর ও স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হবেন।
আজকের মত এখানে শেষ করছি লেখার ভিতর কোন ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন সবার জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো আল্লাহ হাফেজ।
আপনি আজকে একজন সফল মানুষের কঠিন পরিশ্রমের কিছু নিয়মাবলী শেয়ার করেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো ৷ আসলে একজন সুস্থ মানুষের এই ধরনের নিয়মাবলি মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে একটি মন্তব্য করার জন্য আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার মন্তব্যে রিপ্লে দেওয়ার জন্য ৷ শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ৷ ভালো থাকবেন 🧡
প্রতিটা মানুষেরই উচিত দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চলা। সেটা সকালে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে তাতে ঘুমানো পর্যন্ত। নিয়ম মেনে না চললে সে সামাজিক ,মানসিক কিংবা পারিবারিক কোথাও সফল হতে পারবে না।
আপনার লেখা পরে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পুরাতন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
আপনার পোস্টগুলো সত্যিই খুব তথ্যবহুল হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবো আলোচনা করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টগুলো আপনার কাছে ভালো লাগার জন্য। এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
আপু আজ আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। একজন সচেতন মানুষের এসব গুণ থাকা জরুরী। আপনি যে ছয়টি পয়েন্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন সেগুলো আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সব মিলিয়ে দারুণ কিছু আজ আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
Team Newcomer- Curation Guidelines For January 2024 Curated by - <@ashkhan>
Note: Try and engage meaningfully with fellow users, comment and upvote on their post, as this will help you to have good Voting CSI
thank u sir
জীবনকে উন্নত করার জন্য রুটিন মাফিক চলা অত্যন্ত জরুরী।। আপনি খুবই চমৎকার ও শিক্ষণীয় পোস্ট করে।। আমি মনে করি আমরা জীবনে পিছিয়ে থাকার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে অলসতা।। এই অলসতার জন্য আমরা জীবনে অনেক কাজে অসফল হয়ে যায়।।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
প্রতিদিন চলতে গেলে আমাদের কিছু নিয়ম মানা জরুরি, সফল মানুষেরা তাদের জীবনে এসব মেনে এসেছেন। ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো তুলে ধরার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।
আপ্নাকেও ধন্যবাদ, আশা করি সামনে আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট পাবো আপ্নার থেকে।
*একজন সফল মানুষ তার পরিকল্পনা মাফিক কাজ করেই সফলতা অর্জন করেছেন। আর এই কাজগুলি সে কিভাবে করে থাকেন এবং তার মধ্যে থাকা বৈশিষ্ট্য বা গুন রেয়েছে তা খুব সুন্দর ভাবে আপনার লেখনীর মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন আপনি। খুব ভালো লাগলো পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।