লোকনাথ পুজোর দিন - সন্ধ্যাবেলা

in Incredible Indialast month

নমস্কার বন্ধুরা, চলে এলাম গত দিনের কথা গুলো শেষ করতে। আমি গতদিন বলছিলাম লোকনাথ পুজোর গল্প। বলেছিলাম যে আমি আমার দাদার বাড়িতে পুজোর দিন ছিলাম। পুজোর দিন সকাল থেকে কি কি হল তা আপনাদের জানিয়েছি। এবার বাকিটুকু শেয়ার করবো আজ।

20240602_204527.jpg

সকাল থেকে বাচ্চাগুলোর সাথে খেলাধুলা করার পর আমি যখন হাঁপিয়ে গেছি, তখন বেশ আমার ঘুম পাচ্ছে। ওদেরকে আমার পাশে নিয়ে সবে একটু চোখটা বুজেছি। এই মুহূর্তেই পিসি আর আমার মা মিলে আমাদের সবাইকে উঠিয়ে দিল ,বলল দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে। পিসির কথা না শুনলেই নয়। তাই আমরা সবাই মিলে ছুটে চলে গেলাম দুপুরের খাওয়া দাওয়া করতে।

20240602_194036.jpg

এরপর বাড়ি চলে গিয়েছিলাম, কারণ আমাদের সন্ধ্যাবেলা আবার এখানে বৌদির বাড়িতে আসতে হবে ।কারণ লোকজন নিমন্ত্রণ রাতের বেলায়। মেন খাওয়া দাওয়া তখনই। যেহেতু আমরা বাড়ির লোকজন ,তাই সকাল থেকে আমাদের নিমন্ত্রণ ছিল। কিন্তু সবাইকে রাতের খাবার জন্যই বলা হয়েছিল।যেহেতু বাড়ি ফাঁকা রেখে এসেছি আমি ,মা আর ভাই। তাই মা বলল একবার বাড়ি যাওয়ার জন্য। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে তাই বাড়ি চলে গেলাম।

20240602_194118.jpg

বাড়িতে গিয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট না নিতে নিতেই যখন সন্ধ্যা হল, তখন আরো কত কাজ। আমাদের বাড়ির পাশেই লোকনাথ বাবার একটি মন্দির রয়েছে। এই মন্দিরে ছোটবেলা থেকে দেখে আসি অনেক ধুমধাম করে পুজো হয়। অনেক লোকজন খাওয়ানো হয়। তাই ভাবলাম সন্ধ্যেবেলায় একবার মন্দিরে গিয়ে ভগবানের দর্শন করে তারপর না হয় বৌদির বাড়িতে যাব।

সেই মতই সন্ধ্যা সন্ধ্যায় রেডি হয়ে গেলাম। প্রথমে চলে গেলাম বাড়ির পাশের ওই মন্দিরটিতে। একদম পুতুল পট্টির মোড়ে বাঁদিকে এই লোকনাথ বাবার মন্দির। প্রচুর ধুমধাম এবং খাওয়া দাওয়ার পর্ব চলছে। সাথে মন্দিরের ঢুকে দেখি লোকনাথ বাবার মূর্তিটি ফুলের মালা দিয়ে পুরো ঢেকে গেছে।।

20240602_194338.jpg

মন্দির থেকে হাঁটা পথে দু চারটে বাড়ি পরেই আমার জেঠুর বাড়ি। তাই জেঠুর বাড়িতে ঢুকে গেলাম একবার জেঠির সাথে দেখা করার জন্য। জেঠিনদের বাড়িতেও ছোটখাটো করে পুজো দেওয়া হয়। জেঠিরাও বলেছিল একবার দেখা করে যেতে। তাই সেখানে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি জেঠি তখন সন্ধ্যা দিচ্ছে।
জেঠির বাড়িতে কিছুটা প্রসাদ খেলাম ।আর সব থেকে নতুন যে জিনিসটা খেলাম ,সেটা হল হলুদ তরমুজ ।তরমুজ আবার হলুদ হয় ,তা আমি জানতাম না ।কিন্তু জেঠু বলল আজকালকার যুগে, আম কেউ লাল বানানো সম্ভব।

20240602_195256.jpg

জেঠির বাড়িতে দিদি, জেঠু আর জেঠিনের সাথে অনেকক্ষণ গল্প করে ঠিক রাত আটটা নাগাদ টোটো নিয়ে রওনা দিলাম আবার দাদার বাড়ি। দাদার বাড়িতে পৌঁছে দেখি লোকজন খাওয়া-দাওয়া করছে। ওদের বাড়ির সামনেও একটা বড় জায়গা রয়েছে। যেখানে সব লোকজন খাওয়া-দাওয়া করছিল।

20240602_204657.jpg

বেশ অনেকক্ষণ গল্প করার পর আমরাও খেতে বসে গেলাম। জেঠিনের বাড়িতে যেহেতু প্রসাদ খেয়েছিলাম তাই এখানে সেরকম খেতে পারব না, সেটা আমি আগে থেকে জানতাম। তাও আসতে হলো। জেঠিনের বাড়ি থেকে আমাদের কন্টেইনার করে খিচুড়ি ,পায়েস, সুজি ,চাটনি ,আলুর দম ,সবজি দিয়েছে। আবার এখানে এসে খিচুড়ি, চাটনি ,মিষ্টি আলুর তরকারি এসব বেশ ভরপেট খাওয়াই হলো ।

20240602_212040.jpg

ঈশান খুব খিচুড়ি খেতে ভালোবাসে, তাই ওর তো খুবই ভালো লাগলো। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি আমার দাদার ছেলে নিলয়ের সাথে কিছুক্ষণ খেলছিলাম। নিলয়কে আমার পোস্টে আপনারা অনেকেই দেখেছেন। ও এত ছোট হলেও এত মাথায় বুদ্ধি ওর ,আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না।

সেলফি তোলার সময় আমি যখন পাউট করতে বলছিলাম, ও আমার দেখাদেখি পাউট করছিল। আর সবাই দেখে খুব হাসাহাসি করছিল। পুজোর দিন সকাল থেকে রাত অব্দি এত পরিশ্রম গিয়েছে যে আমি রাতে এসে আর বই নিয়ে বসতে পারিনি। সেদিন ঠিকমত পড়া হয়নি আমার। তবে সবার সাথে মজা করতে পেরে বেশ ভালই লেগেছে।আজ এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন।

Sort:  
Loading...

Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.

 last month 

লোকনাথ পুজোর দিন সকালের পোস্টটা দেখলাম ।সকালেও তো ভালোই মজা করেছিলে। আবার সন্ধ্যা বেলায় ভালোই মজা করেছো। দিনটা বেশ তোমার ভালোই কেটেছিল। সারাদিন বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছো। তোমার পোষ্টটা বলেই আমার খুব ভালো লাগলো।


Congratulations 🥳


We support quality posts and good comments Published in any community and any tag.


Curated by : @malikusman1

 last month 

লোকনাথ বাবার পূজাতে ভালোই আনন্দ করেছেব সবার সাথে সেটা আপনার পোস্ট ও হাসিমুখ দেখেই বুঝতে পারছি।
দুপুরের খাবার শেষ করার পরে কিছু সময়ের জন্য বাড়িতে চলে গেলেও রাতে আবার এসেছিলেন।
হলুদ তরমুজ আমিও কখনো দেখি নাই । তাই এটা একটা নতুন জিনিস আমার জন্য।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে। ভালো থাকবেন সবসময়।

 last month 

লোকনাথ পুজোর দিন সন্ধ্যাবেলা আপনারা সবাই মিলে অনেক বেশি মজা করেছেন। আসলে পরিবারের আত্মীয়-স্বজনের সাথে গল্প করতে বেশ ভালই লাগে। আর ছোট বাচ্চারা বড়দেরকে অনুকরণ করে বড়রা যা যা করে ছোটরা ঠিক তাই তাই করা চেষ্টা করে। অসংখ্য ধন্যবাদ লোকনাথ পুজোর সন্ধ্যাবেলায় খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত এবং প্রিয় মানুষের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো, আমাদের সাথে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 last month 

প্রথমেই বলতে চাই আপনার তোলা প্রত্যেকটি ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে।আর বাচ্ছাদের সাথে খেলার বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।আমিও বাসায় গেলে ছোটদের সাথে খেলি।আপনি আপনার জ্যেঠির বাসায় হলুদ তরমুজ খেয়েছেন।আসলে জানিনা এটা খেতে কেমন তবে খুব তাড়াতাড়ি আমি এটা ট্রাই করতে ভাই।যাই হোক আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এতো সুন্দর একটা দিনলিপি আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 65733.39
ETH 3506.40
USDT 1.00
SBD 2.51