দূর্গাআশ্রম

in Incredible India3 days ago

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আমিও এখন অনেক ভালো আছি ।শরীর বেশ ভাল আছে।তো আজ বুঝতেই পারছিলাম না আপনাদের সাথে কি শেয়ার করি ,ফোনের গ্যালারি ঘাটতে ঘাটতে দেখছি আলাদা করে রেখে দিয়েছি কিছু সুন্দর মুহূর্ত। তাই ভাবলাম সেই মুহূর্তের গল্পই আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করি।

IMG-20240112-WA0016.jpg

শীতকালের সময় ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে ।কারণ তখন ঘাম হয় না বেশি আর রোদের তাপটাও কড়া লাগে না। তাই শীতের বেলা অথবা সন্ধ্যে হোক কিংবা বিকেল শীতকাল মানেই ঘোরাঘুরি সময়। আর যারা ঘুরতে ভালোবাসে তাদের কাছে যদিও শীতকাল গরমকাল কোন ম্যাটার করে না ,কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়তেই শীতকাল বেছে নিই কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে।

IMG-20240112-WA0008.jpg

এই শীতকালেই আমি হঠাৎ একদিন প্ল্যান করে আমাদের কৃষ্ণনগরের ছাড়িয়ে কাছে একটি মন্দিরে গিয়েছিলাম ।মন্দিরটি বেশ অনেকদিন ধরেই ওপেন হয়েছে ,তবে কোন সময় যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আমার মোটামুটি কৃষ্ণনগর এবং আশেপাশের সমস্ত জায়গায় ঘোরা হয়ে গেছে ।কিন্তু এই জায়গাটা সেই দু-তিন বছর হলো হয়ে আছে ।কিন্তু আমি কখনো যাইনি। আমার আশেপাশের মানুষজনের এই বিষয়টা বড়ই অবাক করত। হাহাহা। কারণ সবাই জানে আমি কত ঘোরাঘুরি করি।

IMG-20240112-WA0017.jpg

তাই শীতকালের একদিন সকালে হঠাৎই ঠিক করে ফেললাম ওই মন্দিরে ঘুরতে যাব। তখন বাজে প্রায় এগারোটা হবে ।আমি ঘুরতে বেরিয়ে গেলাম। মাকে অনেক জোর করেই নিয়ে গেলাম। এই জায়গাটা যেতে আমার বাড়ি থেকে প্রায় আধঘন্টা মত সময় লাগবে। ৮ কিলোমিটার দূরত্ব হবে আমার বাড়ি থেকে।

এই জায়গাটার নাম দুর্গাআশ্রম। এখানে মা দুর্গার পূজা হয় প্রতিদিন। সাথে বাইরে মন্দিরে একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে ,যেটা একেবারেই কষ্টি পাথরের। সুন্দরভাবে মন্দিরে চারিদিক সাজানো গোছানো এবং মন্দিরের এলাকা খুবই সুন্দর ।

IMG-20240112-WA0012.jpg

IMG-20240112-WA0022.jpg

এর পাশে রয়েছে একটি রেস্টুরেন্ট যেটা মন্দিরের মালিকই তৈরি করেছে অর্থাৎ এখানে মন্দির যিনি তৈরি করেছেন, যাতে মানুষ এই জায়গাটি দর্শন করতে পারে ,সাথে খাওয়া-দাওয়া করতে পারে। সে কারণেই এই প্ল্যান। সব থেকে বড় কথা হলো খাওয়া দাওয়া এখানে পুরোপুরি নিরামিষ। আমিষের কোন প্রশ্নই ওঠে না। এখানে ভোগের প্রসাদও পাওয়া যায়। রেস্টুরেন্টটা পুরোপুরি নিরামিষ হওয়াতে বেশ অনেক লোকের ভিড় হয়।

IMG-20240112-WA0011.jpg

আমি সেদিন সকাল বেলায় পৌঁছে গিয়ে প্রথমে পুজো দিলাম। সকালবেলায় পুজো হয়ে গিয়েছে তাই নিয়ে যাওয়া সন্দেশ এবং ফুল যা ছিল সব মন্দিরের স্টাফের সাথে কথা বলে এক জায়গায় রেখে দিলাম এবং তাদের কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে মন্দিরে পূজাও দিতে পারলাম ইচ্ছামত। মন্দিরে ঢুকতেই দেখি ঘরে একটি মা দুর্গার ছবি রাখা এবং সেটাই পুজো হয় ।সাথে বাদ্যযন্ত্র রয়েছে সন্ধ্যার আরতির জন্য ।

IMG-20240112-WA0005.jpg

বাইরে শিবলিঙ্গটি খুব সুন্দর, পূজা করে নিলাম ।আমার ভীষণ ভালো লাগছিল কারণ জায়গাটা ফাঁকা থাকায় পুজো দিতে পেরে আমিও বেশ শান্তি পাচ্ছিলাম। ওই জায়গায় গেলে ওখান থেকে আর আসতে ইচ্ছা করবে না। কারণ ওর পাশেই রয়েছে একটি বড় জলাশয়। তাই সেই জলাশয়ের হাওয়াও পরিবেশটা খুবই মনোরম করে তুলেছে। নিত্য পূজার জন্য মন্দির জুড়ে প্রচুর গাছ রয়েছে। তাতে কত কত ফুল ফুটেছিল।

IMG-20240112-WA0004.jpg

পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা ওদের রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করলাম ।আমরা খেয়েছিলাম ভেজ ফ্রাইড রাইস আর পনিরের তরকারি ।এর সাথে নিয়েছিলাম দই। সব মিলিয়ে সেই দিনটি আমার খুব সুন্দরভাবে কেটেছিল। এত সুন্দর একটা মুহূর্ত আপনাদের সাথে আমি এতদিনও শেয়ার করে উঠতে পারিনি। আজ করতে পেরে ভালো লাগলো। আজ এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন।

Sort:  
Loading...
Loading...
 yesterday 

আসলে আমি আপনাদের এ বিষয়ে খুব একটা বেশি জানেনা তারপরও আপনার এই পোস্টটা পড়ে আমার কাছে অনেকটাই ভালো লেগেছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি টপিক আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.029
BTC 57452.21
ETH 3016.39
USDT 1.00
SBD 2.36